Mst Lija

Mst Lija "শীঘ্রই তোমার রব তোমাকে এত দিবেন যে,,,তুমি খুশি হয়ে যাবে"❤️❤️

আলহামদুলিল্লাহ
14/09/2025

আলহামদুলিল্লাহ

এমন একজনকে ভালোবাসুন যে আপনার দিকে এমন ভাবে তাকাবে যেনো আপনি তার জীবনের শেষ মানুষ ❤️❤️
14/09/2025

এমন একজনকে ভালোবাসুন যে আপনার দিকে এমন ভাবে তাকাবে যেনো আপনি তার জীবনের শেষ মানুষ ❤️❤️

08/09/2025

"রাত একটা ফি-ত-না!"
ক্যাপশন পড়ার অনুরোধ রইল..!!

রাতে মানুষ একা হয়, মন দুর্বল হয়, অনেক নিষিদ্ধ কাজ সহজ হয়ে যায়, গুনাহ করার পরিবেশ বেশি তৈরি হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায়, চ্যাটে, ভিডিও কনটেন্টে, এমনকি নিজের চিন্তা-ভাবনাতেও রাত ফি-ত-না-র দরজা খুলে দেয়।

নি-ফাক, শয়_তানি কু-মন্ত্রণা ও কু-প্রবৃত্তির শক্তি বাড়ে রাতে। রাতের নীরবতা আর একাকিত্ব মানুষকে এমন সব পথে নিয়ে যেতে পারে, যেখান থেকে ফেরত আসা কঠিন।

বেশিরভাগ হা-রাম সম্পর্ক, চ্যাট, ভিডিও দেখা, গি-বত — রাতেই হয়।

রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, "ফি-ত_নার সময় রাতে ঘুমিয়ে থাকা, দিনের ইবাদতের চেয়ে উত্তম।" (আবু দাউদ, হাদীস : ৪৩১১)

রাতের নিঃশব্দতা অনেক সময় গুনাহকে সহজ করে দেয়, কারণ মানুষ ভাবে— কেউ দেখছে না।

অথচ আল্লাহ!

জমসেদ মজুমদারের একটা কথা ভাল লাগে- "হে যুবক ! যদি তুমি শিউর থাকো যে আল্লাহ তোমাকে দেখছেনা, তবে যা খুশি তা করো, সমস্যা নেই!"

08/09/2025

একটা সত্যি কথা কি জানেন?
আমাদের মধ্যে না আছে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, না আছে ভয়।

এমন একজনের কথা একটু আগে বাসায় বলছিলাম, যে কিনা আমাদের সময়েরই একটা ছেলে।

এই ছেলে ইশার পরপরই ঘুমায়ে যায়, কারণ এটা রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাহ। আর রাসূলুল্লাহর (সা) সুন্নাহই তার কাছে গাইডেন্স। আর গাইডেন্স ফলো করলেই সে সফল। নইলে তো সে মিসগাইডেড, ব্যর্থ!

এই ছেলে প্রতি রাতে ঘুম থেকে সাড়ে বারোটায় উঠে যায়। ভোর পাঁচটা পর্যন্ত সে চুপিচুপি টানা সলাত করে। কিয়াম করে।
কেন?

কারণ, সে আল্লাহর প্রতি সত্যিই কৃতজ্ঞ।
সে নিজের ভুল আর জাহান্নাম নিয়ে সত্যিই ভীত।
এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে আর আশ্রয় চাইতে চাইতে সে দুই পা ফুলায়ে ফেলে।
প্রতিদিন।

একটা ট্যুরে ত্রিশদিনের একদিনও তার এই রুটিন মিস হয় নাই। তীব্র মশার প্রকোপেও আল্লাহর প্রতি ভালবাসা তাকে সুন্নাহর অনুসরণ থেকে থামাইতে পারে নাই। কোন পরিস্থিতি আর অজুহাতই তাকে আল্লাহর সাথে কথোপকথনের মিষ্টতা মিস করার দুঃসাহস দেয় নাই।

মনিব নিজে নেমে আসবেন, কথা শুনতে চাইবেন, মাফ করতে চাইবেন, আর এই কথার উপরে ঈমান থাকলে দাস হয়ে সে ঘুমাবে, তা কী হয়?
হয় না।

এই ছেলেটা তাওহীদ "বুঝেছে"।
আল্লাহকে চিনেছে।
সফলতা দেখেছে।

আর আমরা?
আমরা বয়ান দিয়ে, বয়ান শুনেই বিন্দাস!
ঠিক না?

আল্লাহর জন্য বাঁচা!
এতো সস্তা?

এই যে আমি হতাশায় শূন্যতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি, একটু একটু করে ফুরিয়ে যাচ্ছি, আমায় তো বুকে টেনে নিলে না! আমাকে তোমার ম...
23/08/2025

এই যে আমি হতাশায় শূন্যতার অতল গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি, একটু একটু করে ফুরিয়ে যাচ্ছি, আমায় তো বুকে টেনে নিলে না! আমাকে তোমার মতো করে একটু ভালোবাসলে না।

নিঃসঙ্গতা, একাকিত্বের যন্ত্রণা আমি যে সইতে পারি না! একাকিত্বে আমার দারুণ ভয়! তুমি সঙ্গ দিবে, কথা বলবে, যত্ন নিবে বলেই তো আমি নিজের প্রতি এত উদাসীন!

এই যে তুমি কথা না বললেই নিজেকে একা লাগে, তুমি দেখা না দিলে নিজেকে কেমন অসহায় লাগে, আমায় তো তুমি সময় দিলে না! কত রাত নির্ঘুম কেটে যায়, তোমার আর সময় হয় না।

ভালোবাসার বিনিময়ে ভালোবাসা তো সবাই চায়। পুরো পৃথিবীকে অবজ্ঞা করে আমি তোমাকে গুরুত্ব দিলাম, অথচ তুমি পৃথিবীর মাঝে শুধু আমাকেই অবহেলা–অবজ্ঞায় দূরে ঠেলে দিলে! যে আমি তোমার হাসির বিনিময়ে পুরো পৃথিবীকে বাজি রেখেছি, সেই তুমিই আমার সমস্ত হাসি কেড়ে নিলে!

আমার আর কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। অথচ আমি ছাড়া তোমার নিরাপদ আশ্রয়ের অভাব নেই। তুমি চাইলেই নিজেকে সরিয়ে নিতে পারো সহজে। আমি তো পারি না।

এই যে আমি একা হয়ে গেলাম, একটু একটু করে ফুরিয়ে গেলাম, তোমার তো কোনো শোক নেই তাতে! পৃথিবীর সমস্ত দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারি অনায়াসে। আমার কষ্ট হয় না, আফসোস হয় না। তবে যাকে ভালোবাসি, তার অবহেলা–অনাদর সহ্য করি কী করে, বলো তো?

লেখায়:- মোঃ ফাহাদ মিয়া🌼

হারিয়ে যাওয়া জিনিস গুলো আমার জীবনে আর না আসুক। হয়তো আমার ডাক শুনছো কিন্তু আমার না পাওয়া ভালোবাসার আত্মোচিৎকার কখনোই শুনত...
13/08/2025

হারিয়ে যাওয়া জিনিস গুলো আমার জীবনে আর না আসুক। হয়তো আমার ডাক শুনছো কিন্তু আমার না পাওয়া ভালোবাসার আত্মোচিৎকার কখনোই শুনতে পাওনি। এই বৃষ্টিভেজা দিনে সকল দুঃখ কষ্ট মুছে যাক।

দুনিয়ায় এমন কারোর অন্যের গল্প শোনার Time নাই🥺
13/08/2025

দুনিয়ায় এমন কারোর অন্যের গল্প শোনার Time নাই🥺

কাউকে বারবার প্রশ্ন না করায় ভালো। বিরক্ত থেকে তিক্ততে পরিণত হতে আবার সময় লাগে না
05/08/2025

কাউকে বারবার প্রশ্ন না করায় ভালো। বিরক্ত থেকে তিক্ততে পরিণত হতে আবার সময় লাগে না

😄😄
05/08/2025

😄😄

😒😒
04/08/2025

😒😒

🥺🥺
31/07/2025

🥺🥺

“ভাই, মরিচ কত করে?”
--“ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

স্টেশনের প্ল্যাটফর্মটা তখনও অনেকটাই ফাঁকা। ট্রেন আসতে আরো কিছুটা সময় বাকি। ঘড়ির কাঁটা তখন সবে আটটা ছুঁই ছুঁই। হঠাৎ চোখে পড়লো, একজন লোক, পরনে টি-শার্ট আর লুঙ্গি, মলিন তার পায়ের স্যান্ডেল, বসে আছেন রেললাইনের উপর, পাশে একটা বড় পলিথিনের ব্যাগ। ব্যাগ ভর্তি লাল আর সবুজ বোম্বাই মরিচ।

কৌতূহল বসত জিজ্ঞেস করলাম, “ভাই, মরিচ কত করে?”
জিজ্ঞেস করতেই লোকটি মাথা নিচু করে বলল, “ভাই, মরিচ এইগুলি বেচুম না।”

আমার কৌতূহল বেড়ে গেল।
ব্যাগ ভর্তি মরিচ নিয়ে বসে আছেন, অথচ বলছেন বেচবেন না? আমি হেসে বললাম, “মরিচ নিয়ে বসে আছেন আর বলছেন বেচবেন না! কাহিনী কী ভাই?”

লোকটি মাথা নিচু করে ছিল, মুখ তুলতেই বুঝতে পারলাম এতক্ষন কান্না করছিলো। চোখে পানি আর কান্না জড়ানো কণ্ঠে লোকটি যা বললো শুনে আঁতকে উঠলাম।
ঠোঁট কাঁপছিলো তার, কণ্ঠে অসহায়ত্ব আর কান্নার মিশ্র ধ্বনি।

“এই মরিচগুলা আমি আমার মাইয়ার জন্য আনছিলাম, ভাই, কিন্তু আমার মাইয়াটা আর নাই, আর আমার নিজের কিছুই নাই।”

আমি চুপ করে গেলাম। আমার মনে হল সময় থেমে গেছে।
আমি বসে পড়লাম তার পাশে, রেললাইনে। বললাম, “মেয়ের জন্য মরিচ আনছিলেন কেন? আর মেয়ে নাই মানে, কি হইছে আপনার মেয়ের?”

আকাশের দিকে তাকিয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল লোকটি । একটু সময় নিলো-
আমার বাড়ি কালীগঞ্জ আড়িখোলা, ছোড একটা জমি আছে, তাতেই ক্ষেত খামারি করতাম।
আমার একটাই মাইয়া, নাম রাখছিলাম রুহি। ফুটফুইট্টা মাইয়াডা আমার সারাক্ষন খালি হাসতো। বকলেও হাসতো, মারলেও হাসতো। জন্মের সময় ওর মায় মইরা গেছিলো। এই একটা মাইয়ার মুখের দিকে চাইয়াই বাইচা আছিলাম।

রুহির বয়স এহন সাত, তিন মাস ধইরা জ্বর, ওষুধেও জ্বর কমে না । গেরামে ডাক্তার দেখাইলাম, কইলো নরমাল জ্বর, সাইরা যাইবো।
কিন্তু জ্বর কমে না, মাইয়াডা আমার আর হাসে না, খালি চাইয়া থাকে, কি জানি কইতে চায়, বুকের মইদ্দে তার কত কতা জইম্মা আছে কিন্তু মুখ ফুইট্টা কইতে পারে না।
শহরে নিয়ে আইলাম, ডাক্তার পরীক্ষা কইরা কইলো, লিউকেমিয়া।

খালি দেখলাম মাইয়াডা কেমন হুগায়া যাইতাছে, চুলডি সব পইড়া যাইতাছে, আর দিনে দিনে চোক দুইডা কেমন ঘোলা হইয়া যাইতাছে।
রুহি একদিন কইলো, “আব্বা, আমি মরতাম চাই না। আমি স্কুলে যামু, ডাক্তার হমু , তোমার লাইগা টাকা কামাই করমু।”

জমিডা বেইচা দিলাম, একটা দুধের গরু আছিলো, হেইডাও বেইচা দিচ্ছি, তাও টেহা কম পরে।
চক্ষে মুখে আন্ধার দেহি, একটা মাত্র মাইয়া আমার, তারে কি বাচাইতে পারুম না?

একদিন রুহি কইলো, “আব্বা, তুমি বাড়িত গেলে আমার লিগ্গা লাল-সবুজ রঙ্গের বোম্বাই মরিচ আনবা।”
আমি কইছিলাম, “ব্যাগ ভইরা তোর লাইগা বোম্বাই মরিচ আনমু মা।”

শুইন্না হেইদিন কি সুন্দর হাসি সে দিছিলো, কেডায় জানতো ওই আমার মায়ের শেষ হাসি।

গতকাল কেমোথেরাপি দেওনের পর বাড়িত গেছিলাম, কয়ডা টেহা ধার করেনের লেইগ্গা। আইজকা সকালে ট্রেনে কইরা আহনের সময় হাসপাতাল থন ছোড বাই ফোন দিয়া কইলো আমার রুহি আর নাই।

টেরেনের মইদ্দে হাজার হাজার মানুষ, দুনিয়াডা জুইড়া কোটি কোটি মানুষ, কিন্তু আমার এই দুনিয়াতে আর কেউ নাই, আমার আর কিছুই নাই এই এক ব্যাগ লাল-সবুজ বোম্বাই মরিচ ছাড়া. আমি এই মরিচ কাউরে দিমু না বাই, কাউরে না।

আমার ট্রেন চলে এসেছে, কিন্তু আমার পা জোড়া এতটাই ভারী হয়ে গিয়েছিলো যে সেখান থেকে উঠে আমার ট্রেন পর্যন্ত যাওয়ার শক্তি ছিল না।

আমি কিছু বলার মতো শব্দ খুঁজে পাচ্ছিলাম না। চারপাশে শহরের কোলাহল, ট্রেন প্লাটফর্ম থেকে বের হয়ে গেলো বাঁশি বাজিয়ে, এর সবই যেন এক অসহায় বাবার কান্নায় মিশে যাচ্ছিলো।

গলার কাছে কান্না টা দলা পাকিয়ে উঠেছিল আমার। কি শান্তনা তাকে আমি দিবো, কোন ভাষায় তাকে আমি ভোলাব সে আমার জানা ছিল না।

অনেক কষ্টে বললাম, “হাসপাতালে যান, মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যান. আপনার মেয়ের শেষ ইচ্ছা ছিল বোম্বাই মরিচ খাওয়ার। তার কবরে অনেক গুলো বোম্বাই মরিচের গাছ লাগিয়ে দিবেন।
আর দোয়া করি আল্লাহ আপনাকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন।“

পকেট থেকে কিছু টাকা বের করে তার হাতে দিতেই সে বললো, “বাই আমার টেহার দরকার নাই আর”, আমার রুহি নাই, টেহা দিয়া আমি আর কি করমু”?
এই দুনিয়াতে আমার কষ্টের কথা শোনার আর কেউ নাই, আপনি শুনছেন, এটুকুই যথেষ্ট।

তার হাতটা শক্ত করে ধরলাম। বললাম, “রুহির নামে আমিও একটা বোম্বাই মরিচের গাছ লাগাবো, আরও যারা রুহির কথা জানবে সবাইকে বলবো একটা করে গাছ রুহির নামে লাগাতে, রুহি আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে”।

চোখ থেকে তার তখন অনবরত পানি পড়ছিলো, ঠোঁট কাঁপছিলো, শুধু হাতটা শক্ত করে ধরে রাখা ছাড়া আর কিছুই বলতে পারছিলো না ।

আমার ট্রেন আসে, জীবিকার প্রয়োজনে আমাকে তার হাত ছাড়িয়ে ছুটতে হয় ট্রেন ধরবার জন্য। সবার গন্তব্য আছে, তাড়া আছে, রুহির বাবার কোনো গন্তব্য নেই, আর কোনো তাড়া নেই। মেয়ের ওষুধ কিনবার জন্য তাকে আর ছুটতে হবে না, চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবার জন্য আর এর ওর কাছে হাত পাততে হবে না। রুহির কথা আমরা হয়তো ভুলে যাবো, ছোট্ট রুহি যে জীবনের শেষ আবদারে তার বাবার কাছে বোম্বাই মরিচ খেতে চেয়েছিলো । আমাদের সন্তানের মাঝে ছায়া হয়ে রুহি বেঁচে থাকুক। ❤️❤️❤️

লেখা ও পিক: কায়েস হোসেন

Address

Bogura

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mst Lija posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share