22/06/2025
যে কেউ চাইলে যে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে পারে। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় চাইলে যে কেউ আসতে পারে না। কারণ শিক্ষক হতে শিক্ষক হওয়ার প্রবল আগ্রহ থাকতে হয়। কেউ প্রবল আগ্রহ ছাড়া পারিবারিক বা অন্য কোন কারণে শিক্ষকতায় আসলেও তারা সফল শিক্ষক হতে পারে না। কারণ তাদের মধ্যে আন্তরিকতার যতেষ্ঠ অভাব থেকেই যায়। আন্তরিকতা ছাড়া কোন দিনই একজন সফল শিক্ষক হওয়া অসম্ভব। আন্তরিকতার পাশাপাশি একজন শিক্ষকের যে সব জ্ঞান ও বিষয় অনুসরণ করা জরুরী।
#একজন শিক্ষকের যে সব জ্ঞান থাকা জরুরী-
Content Knowledge (বিষয় জ্ঞান)
* Pedagogical Knowledge (শিক্ষাবিদ্যা জ্ঞান- পড়ানোর কৌশল জানা)
❖ Technological Knowledge (প্রযুক্তিগত জ্ঞান)
Technological pedagogical content knowledge (TPACK) একজন শিক্ষকের মধ্যে এই জ্ঞান থাকলে, আন্তরিকতা দিয়ে একজন শিক্ষক সফল শিক্ষক হতে পারবে কিন্তু একজন শিক্ষককের মধ্যে Technological pedagogical content knowledge (TPACK) জ্ঞান না থাকলে ইনার পক্ষে সফল শিক্ষক হওয়া প্রায় অসম্ভব।
Technological pedagogical content knowledge (TPACK) জ্ঞান অর্জনের পর একজন শিক্ষকের যে সব বিষয় অনুসরণ করা জরুরী।
* আন্তরিকতার সহিত পাঠদান করা।
* শ্রেণিকক্ষে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করা।
* পাঠদানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একক কাজ, জোড়ায় কাজ বা দলীয় কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
* পাঠদান শেষে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। (ধারাবাহিক মূল্যায়ন)
* পাঠদান শেষে মূল্যায়নের সময় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর Skill gaps চিহ্নিত করা।
Skill gaps চিহ্নিত করে করে তা উন্নতির জন্য সাথে সাথে Feedback দেওয়া।
❖ Feedback দেওয়ার সময় ৩টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। Feedback হতে হবে- Specific, Helpful, Kind.
# Specific মানে- (কোন জায়গায় ঘাটতি আছে তা নিদিষ্ট করে দিতে হবে)।
# Helpful মানে- (Feedback টির জন্য ছাত্র-ছাত্রীর উন্নতি হতে হবে)।
(Feedback দয়ার সহিত Positive Feedback দিতে হবে। ধমক বা হতাশায় ভোগে এমন Feedback দেওয়া যাবে না।)
* শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের Equality & Equity অনুসরণ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
হচ্ছে- (সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সমানভাবে সহযোগিতা করা)।
হচ্ছে-(যার রকম সহযোগিতা প্রযোজন তাকে সেভাবে সহযোগিতা করা। অর্থাৎ দূবল শিক্ষার্থীদের একটু বেশি সহযোগিতা করা)
* শ্রেণিকক্ষকে Bias (পক্ষপাদিত্য) মুক্ত রাখা। Bias হচ্ছে- পক্ষপাদিত্য-(শিক্ষককের সাথে কোন বিষয় ছাত্রের সাথে মিল থাকলে তাকে প্রধান্য দেওয়া, ছেলে- মেয়ে বিভেদ করা, একটি ভালো গুণ বিবেচনায় সব কিছু ভালো মনে করা, মূল্যায়ন করার আগে কোন ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি পারবে এমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। যেমন-যে শিক্ষার্থী প্রতিদিন বাড়ির কাজে করে তার বাড়ির কাজ না দেখে বাড়ির কাজ করছে বলে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া অথবা যে প্রতিদিন পড়া পাবে তাকে মূল্যায়ন না করে পারবে বলে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া)
* শ্রেণিকক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেকে Safe, Valued, Respected অনুভব করানো।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শান্তি থেকে নিরাপদ রাখা)।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্ব নিশ্চিত করা। যথা- যে কোন শিক্ষার্থীর যে কোন ভুলের জন্য তিরিষ্কার না করে, সাহস যুগিয়ে
Positive কথাবার্তা বলা)।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান নিশ্চিত করা। যথা- যে কোন শিক্ষার্থীর মতামত কে সম্মান জানোনো, সকর কাজের জন্য
ধন্যবাদ জানানো সহ Positive Feedback নিশ্চিত করা)
যে শ্রেণিকক্ষে এই সকল বিষয় অনুসরণ করা হয় তা হবে পৃথিবীর সেরা শ্রেণিকক্ষ। আর যে শিক্ষক এই সকল বিষয় অনুসরণ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে সে নিশ্চিয়ই পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আসুন, আমার শ্রেণিকক্ষকে পৃথিবীর সেরা শ্রেণিকক্ষে পরিণত করি এবং আমি নিজেও পৃথিবীর সেরা শিক্ষক হতে সচেষ্ট থাকি। ধন্যবাদ।যে কেউ চাইলে যে কোন পেশায় নিয়োজিত হতে পারে। শিক্ষকতা এমন একটি পেশা যে পেশায় চাইলে যে কেউ আসতে পারে না। কারণ শিক্ষক হতে শিক্ষক হওয়ার প্রবল আগ্রহ থাকতে হয়। কেউ প্রবল আগ্রহ ছাড়া পারিবারিক বা অন্য কোন কারণে শিক্ষকতায় আসলেও তারা সফল শিক্ষক হতে পারে না। কারণ তাদের মধ্যে আন্তরিকতার যতেষ্ঠ অভাব থেকেই যায়। আন্তরিকতা ছাড়া কোন দিনই একজন সফল শিক্ষক হওয়া অসম্ভব। আন্তরিকতার পাশাপাশি একজন শিক্ষকের যে সব জ্ঞান ও বিষয় অনুসরণ করা জরুরী।
#একজন শিক্ষকের যে সব জ্ঞান থাকা জরুরী-
Content Knowledge (বিষয় জ্ঞান)
* Pedagogical Knowledge (শিক্ষাবিদ্যা জ্ঞান- পড়ানোর কৌশল জানা)
❖ Technological Knowledge (প্রযুক্তিগত জ্ঞান)
Technological pedagogical content knowledge (TPACK) একজন শিক্ষকের মধ্যে এই জ্ঞান থাকলে, আন্তরিকতা দিয়ে একজন শিক্ষক সফল শিক্ষক হতে পারবে কিন্তু একজন শিক্ষককের মধ্যে Technological pedagogical content knowledge (TPACK) জ্ঞান না থাকলে ইনার পক্ষে সফল শিক্ষক হওয়া প্রায় অসম্ভব।
Technological pedagogical content knowledge (TPACK) জ্ঞান অর্জনের পর একজন শিক্ষকের যে সব বিষয় অনুসরণ করা জরুরী।
* আন্তরিকতার সহিত পাঠদান করা।
* শ্রেণিকক্ষে আনন্দময় পরিবেশ সৃষ্টি করা।
* পাঠদানে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের একক কাজ, জোড়ায় কাজ বা দলীয় কাজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
* পাঠদান শেষে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়ন নিশ্চিত করা। (ধারাবাহিক মূল্যায়ন)
* পাঠদান শেষে মূল্যায়নের সময় প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর Skill gaps চিহ্নিত করা।
Skill gaps চিহ্নিত করে করে তা উন্নতির জন্য সাথে সাথে Feedback দেওয়া।
❖ Feedback দেওয়ার সময় ৩টি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। Feedback হতে হবে- Specific, Helpful, Kind.
# Specific মানে- (কোন জায়গায় ঘাটতি আছে তা নিদিষ্ট করে দিতে হবে)।
# Helpful মানে- (Feedback টির জন্য ছাত্র-ছাত্রীর উন্নতি হতে হবে)।
(Feedback দয়ার সহিত Positive Feedback দিতে হবে। ধমক বা হতাশায় ভোগে এমন Feedback দেওয়া যাবে না।)
* শ্রেণিকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের Equality & Equity অনুসরণ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
হচ্ছে- (সকল ছাত্র-ছাত্রীদের সমানভাবে সহযোগিতা করা)।
হচ্ছে-(যার রকম সহযোগিতা প্রযোজন তাকে সেভাবে সহযোগিতা করা। অর্থাৎ দূবল শিক্ষার্থীদের একটু বেশি সহযোগিতা করা)
* শ্রেণিকক্ষকে Bias (পক্ষপাদিত্য) মুক্ত রাখা। Bias হচ্ছে- পক্ষপাদিত্য-(শিক্ষককের সাথে কোন বিষয় ছাত্রের সাথে মিল থাকলে তাকে প্রধান্য দেওয়া, ছেলে- মেয়ে বিভেদ করা, একটি ভালো গুণ বিবেচনায় সব কিছু ভালো মনে করা, মূল্যায়ন করার আগে কোন ছাত্র-ছাত্রীর প্রতি পারবে এমন নিশ্চিত হয়ে যাওয়া। যেমন-যে শিক্ষার্থী প্রতিদিন বাড়ির কাজে করে তার বাড়ির কাজ না দেখে বাড়ির কাজ করছে বলে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া অথবা যে প্রতিদিন পড়া পাবে তাকে মূল্যায়ন না করে পারবে বলে নিশ্চিত হয়ে যাওয়া)
* শ্রেণিকক্ষকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেকে Safe, Valued, Respected অনুভব করানো।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক শান্তি থেকে নিরাপদ রাখা)।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের গুরুত্ব নিশ্চিত করা। যথা- যে কোন শিক্ষার্থীর যে কোন ভুলের জন্য তিরিষ্কার না করে, সাহস যুগিয়ে
Positive কথাবার্তা বলা)।
হচ্ছে (ছাত্র-ছাত্রীদের সম্মান নিশ্চিত করা। যথা- যে কোন শিক্ষার্থীর মতামত কে সম্মান জানোনো, সকর কাজের জন্য
ধন্যবাদ জানানো সহ Positive Feedback নিশ্চিত করা)
যে শ্রেণিকক্ষে এই সকল বিষয় অনুসরণ করা হয় তা হবে পৃথিবীর সেরা শ্রেণিকক্ষ। আর যে শিক্ষক এই সকল বিষয় অনুসরণ করে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করে সে নিশ্চিয়ই পৃথিবীর সেরা শিক্ষক। আসুন, আমার শ্রেণিকক্ষকে পৃথিবীর সেরা শ্রেণিকক্ষে পরিণত করি এবং আমি নিজেও পৃথিবীর সেরা শিক্ষক হতে সচেষ্ট থাকি। ধন্যবাদ।