07/09/2025
ফেন্সিখোরদের দৌরাত্ম্য....
গত শুক্রবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন মাস্টার সাহেবের রুমে বসে প্রয়াত স্টেশন মাস্টার জসিম ভাইয়ের সাথে কথা হচ্ছিলো।উনার শরীর খারাপ লাগছিলো, এর মাঝেই বিভিন্ন বিষয়ে কথা হয় ঐদিন, এর মধ্যে একটি বিষয় ছিলো ফেনসিডিল /মাদক সেবীদের উৎপাতে অতিষ্ট হওয়া নিয়ে। খুব মনখারাপ ও রাগ করে বলছিলেন, ভাই এই ফেন্সিখোরদের নিয়ে কিছু করেন, আমরা আর পারতেছিনা। সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের টাইমে ওরা স্টেশন মাস্টার রুমে এসে ভীড় করে,টেবিলে, চেয়ারে বসে থাকে। এখনতো নাকি এই রুমে বসেই ফেনসিডিল সেবন শুরু করেছে ওরা। প্রতিদিন জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে আজমপুর জায় এই নেশাখোরের দল। দুপুর ১২ টা থেকে শুরু হয় তাদের উৎপাত,চলে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস আসা পর্যন্ত। সেই শুক্রবার রাতেই জসিম ভাই ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ উনাকে মাগফিরাত দাননকরুন।
বিষয়গুলো বহু আগে থেকেই সবারই জানা। আমি প্রায় সময়ই বলতাম এবং ঐদিনও বলেছি আপনারা ১২ টা থেকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের টাইম পর্যন্ত আপনাদের দুই পাশের কলাপসিবল গেটের তালা কিছুতেই খুলবেন না। না খুললে নাকি গালিগালাজ /চিল্লাচিল্লি করে,স্থানীয় দাপট দেখায়।পরে অতিষ্ঠ হয়ে খুলতেই হয় এমন! জসিম ভাই এদের বলতেন তোমরা প্ল্যাটফর্মে থাকলেই হয়, ওরা বলে প্ল্যাটফর্মে থাকলে নাকি পরিচিত মানুষরা দেখেফেললে মন্দ ভাববে তাদের! চিন্তা করেন অবস্থা!
এইসব ঘটনা ও দৃশ্যের প্রত্যক্ষদর্শী আনি নিজেই। এদের জন্য স্টেশন মাস্টার ও স্টাফদের অযথা ভোগান্তি হয় অনেক। কয়েকদিন আগে তো জয়ন্তিকা লেট হওয়ায় রিফাত নামের একজন দায়িত্বরত রেলকর্মীর সাথে এক ফেন্সিখোরের ব্যাপক বাকবিতণ্ডা! পরে আমি সহ উপস্থিত লোকজন তাকে প্রতিহত করি।
এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় গুলো এড়ানোর জন্য ঐ সময়ে জিআরপি ও আরএনবি সদস্যদের তৎপরতা প্রয়োজন। রুমে যেন ওরা কিছুতেই প্রবেশ করতে না পারে। পাশাপাশি প্রয়োজন স্থানীয় লোকজনের সতর্কা ও সম্পৃক্ততা।