মৌলভী মো. অজীহুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার

  • Home
  • Bangladesh
  • Brahmanbaria
  • মৌলভী মো. অজীহুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার

মৌলভী মো. অজীহুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার চিনাইরের এক অদম্য কর্মউদ্যেগী ও শিক্?
(1)

কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে বাষট্টি হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার হজরত হোসাইন (রা.)...
13/07/2025

কারবালা’ ফোরাত নদীর তীরে অবস্থিত একটি প্রান্তর, যেখানে বাষট্টি হিজরি সনের মহরম মাসের ১০ তারিখ শুক্রবার হজরত হোসাইন (রা.) অত্যন্ত করুণভাবে শাহাদাতবরণ করেছিলেন। জগতের জানা ইতিহাসে এটি একটি বিয়োগান্ত ঘটনা। কারবালা যেন আরবি ‘কারব’ ও ‘বালা’–এর সরলরূপে পরিণত। ‘কারব’ মানে সংকট, ‘বালা’ মানে মুসিবত। তাই কারবালা সংকট ও মুসিবতের প্রকৃষ্ট উদাহরণ।

‘ফোরাত’ কুফার একটি সুপ্রাচীন নদী। এ নদীর কূলে অবস্থিত কারবালার প্রান্তর। হোসাইনি কাফেলা যখন কারবালায় অবস্থান করছে, তখন তাদের পানির একমাত্র উৎস এই ফোরাত নদী, যা উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদের বাহিনী ঘিরে রাখে, অবরুদ্ধ করে রাখে নিরস্ত্র অসহায় আহলে বাইতকে। এ নদী থেকে পানি সংগ্রহ করতে গেলে ফুলের মতো নিষ্পাপ দুগ্ধপোষ্য শিশু আলী আসগর এক ফোঁটা পানির জন্য সীমার বাহিনীর তিরের আঘাতে শহীদ হয়। সেদিন ফোরাতকূলে ‘পানি! পানি!’ বলে অবর্ণনীয় মাতম উঠেছিল।

‘কুফা’ ইরাকের একটি বিখ্যাত শহর। পরবর্তীকালে হজরত আলী (রা.)-এর শাসনামলে খেলাফতের রাজধানী। আখেরি নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সময় মুসলিম শাসনের প্রাণকেন্দ্র ছিল মদিনা মুনাওয়ারা। নবীজি (সা.)-এর ওফাতের পর প্রথম খলিফা হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) প্রায় আড়াই বছর খেলাফত পরিচালনা করে ইন্তেকাল করেন। এরপর দ্বিতীয় খলিফা হজরত উমর ফারুক (রা.) ১০ বছর খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে শহীদ হন। তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান গনি (রা.) ১২ বছর খেলাফত পরিচালনা করে শাহাদাতবরণ করেন। এ সময় পর্যন্ত ইসলামি খেলাফতের রাজধানী ছিল মদিনা। চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.) দুই বছরের শাসনামলে বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হলে প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় তিনি খেলাফতের রাজধানী ইরাকের কুফায় স্থানান্তর করেন। এ সময় কুফা ছিল একটি প্রদেশ এবং কুফার গভর্নর ছিলেন উবায়দুল্লাহ ইবনে জিয়াদ। তঁারই নেতৃত্বে কারবালার নির্মম ঘটনা সংঘটিত হয়। এই কুফাই পরবর্তীকালে ইসলামের ইতিহাসে ‘কুফা’তে পরিণত হয়েছে। কুফাবাসী ইয়াজিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য হজরত হোসাইন (রা.)-কে শত শত পত্রের মাধ্যমে আমন্ত্রণ জানায়। তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে তিনি সেখানে আগমন করলে তারা তাঁকে একাকী বিপদের মুখে ফেলে রেখে নিজেরা নীরব ও নিষ্ক্রিয় থাকে।

‘দামেস্ক’ বর্তমানে সিরিয়ার রাজধানী। চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রা.)-এর শাহাদাতের পর হজরত হাসান (রা.) তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন এবং ছয় মাস খেলাফতের দায়িত্ব পালন করে সিরিয়ার গভর্নর হজরত মুয়াবিয়া (রা.)-এর কাছে খেলাফতের ভার অর্পণ করেন। হজরত মুয়াবিয়া (রা.) প্রশাসনিক সুবিধার্থে রাজধানী দামেস্কে স্থানান্তরিত করেন। সে সূত্রে ইয়াজিদ ক্ষমতাসীন হলে তার রাজধানী দামেস্কেই রয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে কালক্রমে ইসলামি খেলাফতের রাজধানী তুরস্ক ও মিসরে স্থানান্তরিত হয়। মিসর থেকেই ১৯২৪ সালে ইসলামি খেলাফতের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ও যবনিকাপাত ঘটে।

সত্য ও ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত কারবালার প্রান্তরে প্রতারিত নির্মম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হোসাইনি কাফেলা চিরস্মরণীয় ও বরণীয়। প্রতিটি মহররম ও প্রতিটি আশুরা আমাদের সত্য ও ন্যায়ের ওপর দৃঢ়পদ থাকার মাহাত্ম্য স্মরণ করিয়ে দেয়। জীবনের ব্রত, ত্যাগের শিক্ষা, আত্মমর্যাদাবোধ জাগ্রত করে; ভয়কে জয় করে, নিজের জীবন উৎসর্গ করে, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য সহজ পথ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ করাই কারবালার শিক্ষা।
Collected post

হুমায়ূনের ভুবন থেকে --- ১১২হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাসৈয়দ শামসুল হকহুমায়ূন চলে গেলেন। এই চলে যাওয়ার জন্য মন প্রস্তুত ছিল; কিন...
02/07/2025

হুমায়ূনের ভুবন থেকে --- ১১২

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা
সৈয়দ শামসুল হক

হুমায়ূন চলে গেলেন। এই চলে যাওয়ার জন্য মন প্রস্তুত ছিল; কিন্তু তারপরও এই শোক আমার কাছে গুরুতর মনে হচ্ছে। তার কারণ, চোখের সামনে দিয়ে যখন অনুজরা চলে যায়, তখন সেই বেদনা সত্যিই কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। হুমায়ূন ছিলেন অসামান্য এক গল্পকথক। আমি হুমায়ূনকেই বলেছি_ তুমি হচ্ছো হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। তোমার গল্পের টানে দেশের সমস্ত তরুণ-তরুণীকে তুমি টেনে নিয়ে যাচ্ছ। এই মাপের একজন গল্পকথক বাংলা ভাষায়, বাংলা সাহিত্যে বিরল। অনেকেই শরৎচন্দ্রের কথা বলেন; শরৎচন্দ্র জনপ্রিয় ছিলেন, হুমায়ূন আহমেদও জনপ্রিয়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, 'শরৎচন্দ্রকেও ছাড়িয়ে গেছেন হুমায়ূন আহমেদ।' কিন্তু আমার মতে, দু'জনের জনপ্রিয়তা দু'রকমের। এবং যে জনদের কাছে তারা জনপ্রিয়, সেই জনরাও দু'ধরনের। শরৎচন্দ্র সমাজকে দেখেছেন, বিশ্লেষণ করেছেন এবং তুলে ধরেছেন তার গল্প-উপন্যাসে। আর হুমায়ূন আহমেদ, তিনি সমাজকে অবলোকন করেছেন; সমাজকে তিনি প্রভাবিতও করেছেন। বিশেষ করে, তরুণ প্রজন্মকে। তার লেখার এক বিরাট প্রভাব রয়েছে তরুণ প্রজন্মের ওপর। শুধু তার লেখা নয়, তার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে, বিশেষ করে তার টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে। আজকের তরুণ-তরুণীরা যেভাবে বাঁচতে চায়, যেভাবে জীবনকে দেখতে চায়, জীবনের পথে চলতে চায়, তাদের উচ্চারণ, তাদের পারস্পরিক সম্পর্কজ্ঞান_ এসবের ওপরই হুমায়ূনের একটা প্রভাব আছে বলে আমি প্রত্যক্ষ করেছি। এই মাপের মানুষ আমরা খুব সহসা দেখতে পাব বলে মনে হয় না। কত বিচিত্র দিকে ধাবিত ছিল তার সৃজনশীল মন। কত পরিকল্পনা ছিল তার। হুমায়ূন আহমেদ একবার অসুস্থ হয়ে পড়লেন। আমি বইমেলায় ছিলাম তখন। একটা অনুষ্ঠান স্থগিত রেখে আমি সোজা তার কছে চলে গেলাম। গিয়ে তাকে বললাম_ হুমায়ূন, আমাদের লেখকদের হাতের আঙুল পাঁচটি নয়, ছয়টি। কলম হলো আমাদের ছয় নম্বর আঙুল। আর এই আঙুলটি সবার চাইতে দীর্ঘ এবং এটি বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমার এ কথা শুনে হুমায়ূন আহমেদ বললেন, 'আপনার এই কথা শুনে মনে হচ্ছে, তাই তো, আমি কেন ভেঙে পড়ব।' আর এবার যখন ক্যান্সার হলো তাকে ভেঙে পড়তে শুনিনি, ভেঙে যেতে দেখিনি। নিউইয়র্কে তিনি যখন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়ছিলেন আমার মনে হয়েছে, তার যতক্ষণ জ্ঞান ছিল তিনি সতেজ ছিলেন। অত্যন্ত শান্ত, নিবেদিত, মিতভাষী এবং পরিশ্রমী লেখক ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ। নিয়মিত লিখেছেন তিনি। এ রকম লেখক খুব কমই আছেন সমগ্র বাংলা সাহিত্যে। তিনি পাঠাভ্যাস গড়ে তুলেছিলেন আমাদের। এবং বাংলাদেশের সাহিত্যের দিকে, বাংলাদেশের লেখার দিকে তিনি তরুণদের ফিরিয়েছেন। এখন হুমায়ূন আহমেদ তো চলে গেলেন। নতুন বই আর আমরা তার কাছ থেকে পাব না। হুমায়ূনকে পড়তে পারব না বলে বাংলা সাহিত্য আর পড়ব না, এ রকম যেন না হয়। সেই তরুণ সমাজ, যারা হুমায়ূনকে তাদের মানস নির্মাতা হিসেবে জানেন, সেই তরুণ সমাজকে আমি বলব_ যেন তাদের সাহিত্যপাঠের অভ্যাসটা চলমান থাকে। হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পরও এই বাংলাদেশে যারা লিখছেন, আগামীতে লিখবেন, তাদের প্রতি তরুণ সমাজের দৃষ্টি যেন থাকে। এটা না থাকার আশঙ্কা বা সম্ভাবনা এবারের বইমেলাতেই আমি দেখতে পেয়েছি যে, হুমায়ূন আহমেদের বিরল উপস্থিতি বই বিক্রির ওপর একটা প্রভাব ফেলেছিল। এ রকমটা যেন না হয়।কালের যাত্রায় হুমায়ূনের বিপুল রচনার অনেকটাই হয়তো ঝরে যাবে, অনেক লেখাই আমাদের দৃষ্টির গহ্বরে তলিয়ে যাবে; কিন্তু তার শ্রেষ্ঠ রচনা যেগুলো সেগুলোর মাঝে হুমায়ূন আহমেদ টিকে থাকবেন। আমার ব্যক্তিগত ধারণা_ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের সাহিত্যের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি দীর্ঘ জীবন লাভ করবেন তার ছোটগল্পের জন্য। তার কিছু ছোটগল্প কেবল বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে তো বটেই, সমগ্র বিশ্বসাহিত্যের প্রেক্ষিতেও অসাধারণ। জীবনের ছবি তিনি এঁকেছেন অনবদ্যভাবে। যখন আমি খবর পেয়েছি হুমায়ূন আহমেদ আর নেই, সেই মুহূর্তে তার মায়ের কথা আমার বিশেষ করে মনে পড়ছে। মায়ের উপস্থিতিতে সন্তানের চলে যাওয়া, এ শোকের কোনো সান্ত্বনা নেই। আমি তার পাশেই আছি। আমরা সবাই তার পাশে আছি। হুমায়ূন আহমেদের দুই কৃতী ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল এবং কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব। তাদের প্রতিও সমবেদনা জানাই। রত্নগর্ভা মা ছিলেন হুমায়ূনের মা। মানুষ মরণশীল, এই চিরসত্য আজ পর্যন্ত লঙ্ঘিত হয়নি। জীবন যখন থাকবে, তার সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুও থাকবে। কিছু কিছু মানুষ আছেন যারা মৃত্যুকে জয় করে নিয়েছেন। হুমায়ূন আহমেদ সেই মানুষদের একজন, যিনি ইতিমধ্যে মৃত্যুকে জয় করে নিয়েছেন।
Collected

বৈশাখী ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির পর আমাদের পাঠাগার ও মসজিদ!
28/06/2025

বৈশাখী ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টির পর আমাদের পাঠাগার ও মসজিদ!

Address

Brahmanbaria

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মৌলভী মো. অজীহুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মৌলভী মো. অজীহুল ইসলাম চৌধুরী স্মৃতি পাঠাগার:

Share