Sotter Golpo

05/08/2025

কি আপরূপা দৃশ্য...

27/07/2025

নদীর সুন্দর দৃশ্য

18/07/2025

18/07/2025

গাছের সূন্দর্য ফুলে💐💐
নদীর সূন্দর্য নৌকায়..🛀🛀

17/07/2025

🌧️ "ছাতা ছাড়া সেই দিন"

এক দুপুরে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলো। শহরের রাস্তাগুলো ভিজে উঠল, আর মানুষজন ছুটলো আশ্রয়ের খোঁজে। তানিয়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী, ছিল বাসার পথে। তার সাথে ছাতা ছিল না। সে দাঁড়িয়ে পড়ল একটা গাছের নিচে—নিরাপদ মনে হলেও একদমই না।

ঠিক তখন এক ছেলেও ছুটে এসে তার পাশে দাঁড়াল, হাতে ছিল একটা বড় কালো ছাতা। সে হাসিমুখে বলল,
— “একসাথে চলি? ছাতাটা ভাগ করে নিই?”

তানিয়া একটু দ্বিধা করলেও মাথা নেড়ে রাজি হলো। ছেলেটা নাম ছিল আদনান। গল্প করতে করতে তারা হাঁটছিল, যেন বৃষ্টি গান হয়ে বাজছিল তাদের চারপাশে।

হঠাৎ তানিয়ার খেয়াল হলো—এই রাস্তাটা তো সে চেনে না!

সে জিজ্ঞেস করল, “এই রাস্তা তো আমার বাসার দিকে না!”

আদনান হেসে বলল, “জানি… কিন্তু একটা বিশেষ জায়গা আছে দেখানোর, তুমি ভুলে যেতে পারবে না।”

তানিয়ার চোখে কৌতূহল। তারা পৌঁছাল একটা পুরনো লাইব্রেরির সামনে। দরজা খুলতেই পুরনো বইয়ের গন্ধ, দেয়ালে টানানো ছবি আর এক কোণে চায়ের ধোঁয়া।

আদনান বলল, “এখানে বৃষ্টির দিনে বসে গল্প পড়া যায়, কেউ বিরক্ত করে না।”

তানিয়া বসে পড়ল, মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে রইল চারপাশে। তারপর বলল,
— “আজকের দিনটা আমার জীবনের সেরা বৃষ্টির দিন।”

11/07/2025

এলাকার সবকিছু পানিতে টুইটুম্ভর হয়ে যাচ্ছে..

10/07/2025

🧔🧔🧔‍♂️এক কৃষক এবং ইদুরের গল্প 🐀🐀🐁

এক ছিল গরিব কৃষক — নাম তার রঘু। একপাটি ছেঁড়া লুঙ্গি, মাথায় ফাটা টুপি আর চোখে একরাশ হতাশা নিয়ে সে প্রতিদিন মাঠে হাল চাষ করত। তার মাটি শুকনো, ফসল হত না বললেই চলে। গ্রামের লোকেরা তাকে বলত “অলস রঘু”, যদিও সে অলস ছিল না—ভাগ্যই যেন তার শত্রু ছিল।

রঘুর ঘর বলতে একটা কুঁড়েঘর, যেখানে শুয়ে থাকত সে একাই, নিঃসঙ্গ, ক্ষুধার্ত আর বিমর্ষ। এক সন্ধ্যায়, ঝড়ো হাওয়ার মাঝে, তার চালের ওপর “ঠুস ঠাস” শব্দ শুনে সে উঠে দেখে — একটা ছোট ইঁদুর, কাঁপতে কাঁপতে চালের ফুটো দিয়ে নেমে এল ঘরের ভেতর।

রঘু ধমকে বলল, “যা! এবার তুইও আসলি আমার কপাল খেতে?”

কিন্তু ইঁদুরটা তাকিয়ে রইল তার দিকে, চোখে অদ্ভুত কৃতজ্ঞতা। একটু পর সে রঘুর ভাঙা চালের এক কোণায় বসে নিজের খুচরো রুটির টুকরো কুঁচি কুঁচি করে তার দিকে ঠেলে দিল।

রঘু প্রথমে থমকে গেল। তারপর হাসল।
“তুই বুঝি আমার চেয়ে ভালো? আমায় খাওয়াতে এসেছিস?”

এই ছিল শুরু।
প্রতিদিন ইঁদুরটা এসে রঘুর পাশে বসত। কখনও ধানক্ষেত থেকে ছোট ছোট শিষ এনে দিত, কখনও দূরের বনে গিয়েও ফল কুড়িয়ে আনত। রঘু একসময় বুঝতে পারল, সে আর একা নয়।
সে ইঁদুরটিকে নাম দিল “ছোঁয়া” — কারণ ওর ছোঁয়াতে তার হৃদয় গলে যেত।

দিন কেটে গেল।
রঘু ধীরে ধীরে নিজেকে বদলাতে লাগল। সে তার জমিতে নতুনভাবে চেষ্টা শুরু করল, ছোঁয়ার সাহায্যে কীটপতঙ্গ দূর করতে শিখল। ফসল হতে লাগল, অল্প করে হলেও। ইঁদুরটা যেন ছিল তার প্রেরণা।

তবে, হঠাৎ একদিন গ্রামে এল এক নতুন জমিদার। তার লোকেরা ঘোষণা দিল — “যে জমিতে ইঁদুর আছে, সেগুলো বিষ দিয়ে পরিষ্কার করা হবে।”

রঘু ছুটে গিয়ে বলল, “না! ওরা ক্ষতি করে না! আমার ছোঁয়া... সে তো আমার পরিবার!”

জমিদার হেসে বলল, “ইঁদুর আর পরিবার? পাগল নাকি?”

সেই রাতে রঘু ঘরের মেঝেতে বসে ছোঁয়াকে বলল, “তুই পালিয়ে যা। ওরা তোকে মারবে!”

কিন্তু ইঁদুরটা চুপচাপ তার গালে মুখ ঘষল আর কিছু না বলে তার কোলে বসে থাকল।

পরদিন ভোরে শুরু হল বিষ ছড়ানো। রঘু ছোটাছুটি করল, বাধা দিল, মার খেল।
সন্ধ্যায় ফিরে এসে সে দেখল, ছোঁয়া নিথর হয়ে পড়ে আছে চালের পাশে।

সে চিৎকার করে কাঁদল, “তুই ছিলি আমার শেষ আপন... আমাকে একা রেখে গেলি কেন?”

দিন যায়।
রঘুর জমি এখন সবুজ। গ্রামের লোকেরা আজ তাকে “সফল কৃষক” বলে।
তবে রঘুর মন খালি।
সে এখনো রাতে এক কোণায় বসে বলে —
“ছোঁয়া, তোর দেয়া ভালোবাসাই আমাকে মানুষ করেছিল। তুই তো একটা ইঁদুর ছিলি না... তুই ছিলি আমার আত্মা।”

14/06/2025

শেষ বিকালের গ্রামের নদীর সূন্দর্য...

13/06/2025

প্রাকৃতির সুন্দর্য্য..