07/01/2025
বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য লেখক ও সংগঠক গোলাম কিবরিয়া পিনু। চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি নিরবিচ্ছিন্নভাবে লেখালেখি সংযুক্ত রয়েছেন। ছড়া, কবিতা ও প্রবন্ধসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ত্রিশেরও অধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যের নারী লেখকদের নিয়ে তাঁর একটি গবেষণা গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে বাংলা একাডেমি থেকে। বাংলাদেশের লেখক সমাজে শিশু সাহিত্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নানা লেখায় তাঁর যথেষ্ট দক্ষতা ও সুনাম রয়েছে। মিষ্টভাষী, সদালাপী ও গঠনমূলক আলোচনায় সকলের প্রিয় ভাজন ব্যক্তি তিনি।
গোলাম কিবরিয়া পিনু দেশের একজন বিশিষ্ট কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে আসছে প্রথম সারির দৈনিক পত্রিকা, সাময়িকী ও লিটল ম্যাগাজিনে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে তাঁর ‘খাজনা দিলাম রক্তপাতে’ (১৯৮৬) নামে প্রথম ছড়াগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু প্রকাশিত গ্রন্থ হচ্ছে- ঝুলন পূর্ণিমা থেকে নেমে এলো/ঝুমঝুমি/এক কান থেকে পাঁচ কান/মুক্তিযুদ্ধের ছড়া ও কবিতা/ছুঁ মন্তর ছুঁ/ মানুষ পোশাক পরলেও উলঙ্গ মনে হয়,/নির্বাচিত কবিতা/দেশ ভরা নদী/আমি আমার পতাকাবাহী/কাঁচা ঘুম পাকা ঘুম/ ফুসলানো অন্ধকার/ সমকালীন কবিতা ও বোধের দিগন্ত/নিরঙ্কুশ ভালোবাসা বলে কিছু নেই/দৌলতননেছা খাতুন/কবন্ধ পুতুল নাচে/ ভাষানীতি, নন্দনতত্ত্ব ও লেখক-শিল্পীর ভাবাদর্শের লড়াই/বাংলা কথাসাহিত্য নির্বাচন মুসলিম নারী লেখক ও অন্যান্য প্রসঙ্গ/ উনিশ-বিশ শতকের নারী লেখক ও আত্মশক্তির বিকাশ/মুক্তিযুদ্ধের কবিতা/কবিতার জগৎ ভাষানীতি ও বিবিধ প্রসঙ্গ ইত্যাদি।
কিশোর বয়সে শিশু-কিশোর সংগঠন খেলাঘরসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন তিনি। পরিণত বয়সে দায়িত্ব পালন করেছেন জাতীয় কবিতা পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হিসেবে। বর্তমানে বাংলাদেশ প্রগতি লেখক সংঘের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এই গুণি লেখক ও সংগঠক। এছাড়াও বাংলা একাডেমির জীবন সদস্য ও এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বাংলাদেশ-এর সদস্য তিনি। সাহিত্যচর্চা, সাংবাদিকতা, কলামলেখা, সম্পাদনা ও এডভোকেসি বিষয়ক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থেকেছেন দীর্ঘদিন। একটি বেসরকারি সংস্থার সিনিয়র কর্মকর্তা ও একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়া বিষয়ক সংস্থায় কর্মরত ছিলেন ।
কবি গোলাম কিবরিয়া পিনুর জন্ম ১৯৫৬ সালের ৩০ মার্চ, গাইবান্ধা জেলায়। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচ.ডি. অর্জন করা কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন সংগঠন থেকে পেয়েছেন নানা পুরস্কার ও সম্মাননা । পেশাগত প্রশিক্ষণ ও অন্যান্য প্রয়োজনে ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, আমেরিকা, বলিভিয়া, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন ফেসবুকে তাঁর সাথে সম্পৃক্ত থেকে তাঁর বিভিন্ন লেখা থেকে সাহিত্যরস আস্বাদন করলেও সরাসরি কখনো দেখা হয়নি। স্বনামধন্য এই লেখক ও সংগঠকের সঙ্গে আমার প্রথম সাক্ষাৎ ঘটে গত বছর ২২ নভেম্বর কবি ও প্রাবন্ধিক শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক স্যারের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাসায়। গুণি লেখকের সংস্পর্শ পেয়ে কিচিরমিচির উপহার দিতে ভুল করিনি। ভালো থাকবেন শ্রদ্ধেয় জন।
শুভেচ্ছাসহ
মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ
৭ জানুয়ারি ২৪
(তথ্য: সংগৃহীত ও সম্পাদিত)