15/09/2025
বডি শ্যামিং (Body Shaming) হলো কারো শারীরিক গঠন, রং, উচ্চতা, ওজন, সৌন্দর্য বা অন্য যে কোনো শারীরিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে অপমান, কটূক্তি, ব্যঙ্গ বা তাচ্ছিল্য করা। যেমন –
কাউকে মোটা বা রোগা বলে উপহাস করা
গায়ের রং কালো বা ফর্সা নিয়ে বিদ্রূপ করা
উচ্চতা বা শারীরিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিয়ে খোঁটা দেওয়া
এটি এক ধরনের মানসিক নির্যাতন যা ভুক্তভোগীর আত্মমর্যাদা ও মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
ইসলামের দৃষ্টিতে
ইসলাম মানুষের শরীর, চেহারা, রং, গঠন—এসবকে আল্লাহর সৃষ্টি বলে ঘোষণা করেছে। কুরআন ও হাদীসে অন্যকে উপহাস বা হেয় করার কঠোর নিন্দা রয়েছে।
🔹 কুরআন:
“হে ঈমানদারগণ! কোনো জাতি যেন অন্য জাতিকে উপহাস না করে; হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম। আর নারীরাও যেন অন্য নারীদের উপহাস না করে; হতে পারে তারা তাদের চেয়ে উত্তম।”
(সূরা আল-হুজুরাত ৪৯:১১)
🔹 রাসূল ﷺ বলেছেন:
“মুসলিম হল সে ব্যক্তি, যার জিহ্বা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে।”
(সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম)
অন্যকে শরীর বা চেহারা নিয়ে কষ্ট দেওয়া মানে তাকে মানসিক আঘাত দেওয়া, যা গুনাহের কাজ।
ইসলামী শিক্ষার আলোকে
শরীরের বৈশিষ্ট্য আল্লাহর দান – মানুষ নিজের ইচ্ছায় রং, উচ্চতা, গঠন নির্ধারণ করে না। এগুলো নিয়ে উপহাস মানে আল্লাহর সৃষ্টিকে অবজ্ঞা করা।
গিবত ও ঠাট্টার শামিল – বডি শ্যামিং অনেক সময় গিবত, তিরস্কার বা উপহাসের মধ্যে পড়ে, যা হারাম।
মুসলিম ভ্রাতৃত্বের পরিপন্থী – মুসলিমকে সম্মান ও মর্যাদা দেওয়া ফরজ, আর অপমান করা হারাম।
তাকওয়ার মানদণ্ড – ইসলাম বলেছে মর্যাদা নির্ভর করে কেবল তাকওয়ার উপর, শরীর বা সৌন্দর্যের উপর নয়। (সূরা আল-হুজুরাত ৪৯:১৩)
✅ তাই ইসলামের দৃষ্টিতে বডি শ্যামিং নিষিদ্ধ, গুনাহ ও অনৈতিক কাজ।
বরং ইসলাম শিক্ষা দেয় – মানুষকে তার গঠন, রং বা চেহারা নয়, বরং ঈমান, নৈতিকতা ও কর্মের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করতে।
#বডি_শ্যামিং #ইসলামিক_বার্তা #মানবিকতা #আত্মসম্মান #শরীর_নিয়ে_ঠাট্টা #ইসলামের_দৃষ্টিতে #নৈতিক_শিক্ষা #সমাজের_সমস্যা #আল্লাহর_সৃষ্টি #ইসলামী_শিক্ষা