27/04/2025
গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস।
গর্ভধারণের আগে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস মা ও শিশু উভয়ের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি গর্ভধারণের সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, গর্ভকালীন জটিলতা কমায় এবং ভ্রূণের সঠিক বিকাশ নিশ্চিত করে। নিচে গর্ভধারণের পূর্বে কী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত এবং কী এড়ানো উচিত তা দেওয়া হলোঃ
গর্ভধারণের আগে যা খাবেনঃ
১. ফলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার
উপকারিতাঃ ভ্রূণের মস্তিষ্ক ও স্পাইনাল কর্ডের বিকাশে সাহায্য করে।
উৎসঃ সবুজ শাকসবজি (পালং শাক, ব্রকলি), লেবু, বাদাম, ডাল, শস্যদানা, ফোর্টিফাইড সিরিয়াল।
পরিমাণঃ দিনে কমপক্ষে ৪০০–৮০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড প্রয়োজন।
২. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
উপকারিতাঃ রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে এবং গর্ভাবস্থায় রক্তের চাহিদা পূরণ করে।
উৎসঃ লাল মাংস, ডিমের কুসুম, কাঠবাদাম, মসুর ডাল, কিশমিশ, আপেল।
টিপসঃ ভিটামিন-সি (লেবু, আমলকী) এর সাথে আয়রন খেলে শোষণ বাড়ে।
৩. ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি
উপকারিতাঃ হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করে।
উৎসঃ দুধ, দই, পনির, টফু, সয়াবিন, স্যামন মাছ, সূর্যালোক।
৪. ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
উপকারিতাঃ গর্ভধারণের সক্ষমতা বাড়ায় ও ভ্রূণের মস্তিষ্কের উন্নতি করে।
উৎসঃ সামুদ্রিক মাছ (স্যালমন, সার্ডিন), আখরোট, ফ্লাক্সসিড।
৫. প্রোটিন
উপকারিতাঃ কোষ ও হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
উৎসঃ ডিম, মুরগির মাংস, ডাল, বীজ, সয়াবিন।
৬.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার
উপকারিতাঃ ডিম্বাণু ও শুক্রাণুর গুণগত মান উন্নত করে।
উৎসঃ বেরি (ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি), গাজর, টমেটো, ডার্ক চকলেট।
যা এড়িয়ে চলবেনঃ
1. প্রক্রিয়াজাত খাবারঃ প্যাকেটজাত জাঙ্ক ফুড, ক্যানড ফুড।
2. ক্যাফেইনঃ দিনে ২০০ মিলিগ্রামের বেশি নয়; অর্থাৎ ১–২ কাপ কফি।
3. অ্যালকোহল ও ধূমপানঃ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমায় ও ভ্রূণের ক্ষতি করে।
4. কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস/ডিমঃ ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি থাকে।
5. মার্কারি সমৃদ্ধ মাছঃ যেমন: টুনা, হাঙর।
গর্ভধারণের আগে ৩–৬ মাস থেকে এই ডায়েট মেনে চললে সর্বোচ্চ উপকার পাওয়া যায়। তবে অবশ্যই একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর এই ধরনের ডায়েট শুরু করা উচিত। 🌿
মায়ের স্বাস্থ্যই শিশুর প্রথম অধিকার।
#স্বাস্থ্যটিপস #হেলথটিপস #গর্ভধারণ #গাইনী