Dipak Kar

Dipak Kar আহ্বায়ক
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি।।

16/08/2025

📜গুলশানের ইতিহাস-ভোলা গ্রাম থেকে আজকের গুলশান

ঢাকার অভিজাত ও আধুনিক এলাকার নাম বললে প্রথমেই আসে গুলশান। কিন্তু এই জমজমাট নগরীর অতীতে লুকিয়ে আছে এক ভিন্ন গল্প—যা অনেকেই জানেন না।

---

🔹 নামকরণের ইতিহাস

বর্তমান গুলশান একসময় ছিল নিরিবিলি কৃষিভূমি ও সবুজে ঘেরা গ্রাম। এখানে মূলত ভোলা জেলা থেকে আসা কৃষক পরিবাররা বসবাস করত। তারা কৃষিকাজ, বিশেষ করে ধান, সবজি ও ফল চাষ করত। স্থানীয়রা একে ডাকতে শুরু করে “ভোলা গ্রাম”। ধীরে ধীরে এই নাম চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

---

🔹 মুঘল আমল (১৬শ–১৮শ শতাব্দী)

মুঘল আমলে ঢাকার উত্তরাঞ্চল ছিল মূলত নদী, খাল ও ফসলি জমিতে ভরা। গুলশান এলাকায় জনবসতি ছিল কম, তবে নদীপথে যাতায়াত ছিল সহজ। আশপাশে কয়েকটি ছোট গ্রাম ও বাজার গড়ে উঠলেও এলাকা তখনও শহুরে রূপ পায়নি।

---

🔹 ব্রিটিশ আমল (১৭৫৭–১৯৪৭)

ব্রিটিশ শাসনামলে ঢাকার কেন্দ্রে নগরায়ণ শুরু হলেও গুলশান রয়ে যায় গ্রামীণ। ব্রিটিশরা এই এলাকা মূলত কৃষিজমি ও চাষাবাদের জন্য রেখে দেয়। কিছু জমি জমিদার ও ধনী ব্যবসায়ীদের হাতে চলে গেলেও এখানকার কৃষকরা চাষাবাদ চালিয়ে যেত। “ভোলা গ্রাম” নাম তখনও প্রচলিত ছিল।

---

🔹 পাকিস্তান আমল (১৯৪৭–১৯৭১)

পাকিস্তান আমলে ঢাকার বিস্তার শুরু হলে গুলশানকে একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৬০-এর দশকে ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (DIT) এই এলাকায় “Gulshan Model Town” প্রকল্প হাতে নেয়। সবুজে ভরা শান্ত এলাকা ধীরে ধীরে রূপ নিতে থাকে অভিজাত আবাসিক অঞ্চলে। সেই সময়ই “ভোলা গ্রাম” নাম হারিয়ে যায়, স্থায়ীভাবে জায়গা নেয় গুলশান নামটি।

---

🔹 বর্তমান গুলশান

আজকের গুলশান ঢাকার অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক কেন্দ্র। এখানে রয়েছে দেশের বড় বড় কর্পোরেট অফিস, বিদেশি দূতাবাস, বিলাসবহুল হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও শপিং মল। তবুও, এর মাটির নিচে লুকিয়ে আছে এক সময়ের কৃষিভূমি ও “ভোলা গ্রাম”-এর গল্প।

---

📌 সংক্ষেপে:
গুলশানের ইতিহাস শুধু আধুনিকতা নয়, বরং এক গ্রাম্য জীবনের অধ্যায়, মুঘল যুগের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ব্রিটিশ আমলের কৃষি ঐতিহ্য এবং পাকিস্তান আমলের পরিকল্পিত নগরায়ণের এক মিশ্র কাহিনি।
____________
লেখা-মো:নাঈম ভুইয়া ||
এডমিন- ঢাকার গণপরিবহন |
_______________
#ঢাকারগনপরিবহন #নাঈম #ভোলাগ্রাম #গুলশান

16/08/2025

হে কবি রবি প্রণাম!
--- দীপক কুমার কর, ( কবিকঙ্কণ)
""""""""""""""""""""""""""'''''''''''''''"'''''''''''''''''''''''''''''''
রবির উদয়ে শুরু হয় দিন রবির মধুর গানে
দিনশেষে ঘুমাই তারি সুরে সুরে মুগ্ধ শীতল প্রাণে।
এত সুধা বাণী ছন্দ ও সুরে যেন স্বরগ মুর্ছনায়
রহি রহি বাজে হৃদয়-সরাজে প্রেমের বিটপী ছায়।
ক্ষণ জনমে এত সুগভীর অমৃত অতল বারিধি
সৃজিলে মহান প্রেমময় যুগ প্রাণবন্ত হল নিধি।
সুরের বাঁধনে তুমিই মাত্র বেঁধিয়াছো মহাকাল
অযুত হৃদয় করিয়াছে জয় তব রাগ- ইন্দ্রজাল।
গগণের রবি আঁধার টুটায়ে দেয় ভবে আলো প্রাণ
তুমি রবি দিলে ছন্দ সুধা বাণী, মানবিক সংবিধান।
যুগে যুগে রবে এধরণী বুকে তোমার উজল নাম;
হে প্রাতঃস্মরণীয় বরণীয় গুরু প্রণাম
তোমারে প্রণাম।।
রাত ১০:৪৯, ১৫-০৮-২৫
সিরাজগঞ্জ।

02/08/2025

যারা বিদেশগামী ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দিয়েছে, তাদের সাথে নতুন করে কেউ আত্মীয়তা করবেন না। কারণ এরা সমাজে পরকিয়া সৃষ্টির হোতা।

02/08/2025
02/08/2025

প্রভুভক্ত ও দায়িত্বশীল প্রাণী কুকুরের প্রতি যত্নশী হোন।

02/08/2025

দেখুন এক দুর্লভ ঐতিহাসিক দৃশ্য ধারণ

07/07/2025

যারা বিদেশগামী ছেলের সাথে মেয়ে বিয়ে দেয় তারা সমাজে পরকীয়া বৃদ্ধির হোতা। এদেরকে বযকট করা দরকার।

06/07/2025

বন্যেরা তো তাদের লাশ দাফন করে না। তাহলে বনে কঙ্কালের পাহাড় হয়না কেন???

04/07/2025

দেশের কিছু কিছু এলাকায় মানবাধিকার সংগঠনের হাস্যকর কমিটি গঠিত হয়েছে। এসব কমিটির সদস্যের কেউ কেউ সুদ আর মাদকের ব্যবসা করে, বুড়ো বাবা মাকে ভাত দেয় না, কালোবাজারি করে, মানবাধিকারের সনদ সম্পর্কে যাদের বিন্দুমাত্র ধারণা নেই। মানবাধিকার সুরক্ষায় যাদের কোন ভূমিকা নেই....।

22/06/2025

Address

Rajshahi
Chandaikona
6720

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Dipak Kar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share