Medical Fiqh

Medical Fiqh You will find Islamic Sharia solutions to physical problems related to medicine and medical science on this page, InshaAllah. JazakAllah.

If you need to know any issue, please knock on the page's inbox.

রেফারেন্সসহ বিস্তারিত আলোচনা কিতাবটিতে বর্ণনা করা হয়েছে।এখানে সারাংশ উপস্থাপন করা হয়েছে।সকলের জানা জরুরী।। (১) আধুনিক মে...
18/08/2025

রেফারেন্সসহ বিস্তারিত আলোচনা কিতাবটিতে বর্ণনা করা হয়েছে।এখানে সারাংশ উপস্থাপন করা হয়েছে।সকলের জানা জরুরী।।

(১) আধুনিক মেডিক্যাল সাইন্সের শিক্ষাগ্রহণের নিমিত্তে মানুষের মরদেহ কাটাছেঁড়া করা অবৈধ, হারাম ও গুনাহের কাজ।

(২) আধুনিক মেডিক্যাল সাইন্সের অধীনে কোনো মানুষের চোখ বা কর্নিয়া দ্বারা অন্ধ ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদান করা জায়েয নেই। বরং তা মারাত্মক গুনাহের কাজ। এ ছাড়াও মানুষের যে কোনো অকেজো ও নষ্ট হয়ে যাওয়া অঙ্গের চিকিৎসার্থে অন্য কোনো মানুষের অঙ্গ কাটাছেঁড়া করা জায়েয নেই। যেমন: কলিজা, ফুসফুস, চোখ, ব্রেইন ইত্যাদি কাটাছেঁড়া করা জায়েয নেই।

(৩) নিহত হওয়ার কারণ সনাক্ত করতে মরদেহের শবচ্ছেদ (পোস্টমর্টেম) জায়েয নেই।

(৪) মেডিকেল রিপোর্ট প্রস্তুত করার জন্য লাশ কাটাছেঁড়া করা জায়েয নেই।

(৫) আধুনিক মেডিকেল সাইন্সের শিক্ষা ও অনুশীলনের জন্য জবাইকৃত জন্তর অঙ্গ কিংবা কৃত্রিম অঙ্গের ব্যবহার যেমন সহজ তেমনি জায়েযও।

(৬) কেউ যদি তার অকেজো অঙ্গের চিকিৎসা করতে চায় তাহলে জবাইকৃত জন্তুর অঙ্গ অথবা কৃত্রিম অঙ্গ দ্বারা তা করতে পারবে।

(৭) শূকরের অঙ্গ দ্বারাও চিকিৎসা করা জায়েয আছে। তবে তা একান্ত নিরুপায় অবস্থায় হতে হবে। অন্যথায় জায়েয নেই।

মোটকথা, নিম্নোক্ত অপকারিতাগুলোর কারণে মানবাঙ্গ দিয়ে চিকিৎসা দেয়া এবং নেয়া কোনোটাই জায়েয নেই।

(ক) মানুষের লাশ কাটাছেড়া করলে তার মর্যাদা হানি হয়। অথচ কুরআন হাদিসে মানুষের মর্যাদা ও সম্মানের বজায় রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

(খ) লাশ কাটাছেঁড়া করলে মৃতের কষ্ট হয়। কারণ যে জিনিস দ্বারা জীবিত ব্যক্তির কষ্ট হয়, শরিয়তের দৃষ্টিতে তা দ্বারা মৃত ব্যক্তিরও কষ্ট হয়।

(গ) মৃত্যুর পরও মানুষের দেহের সাথে তার আত্মার সম্পর্ক অবশিষ্ট থাকে। এজন্য কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় মৃত ব্যক্তি চিৎকার করে বলতে থাকে আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ তোমরা?

(ঘ) মানুষের লাশ বা তার অঙ্গ কাটাছেঁড়া মানে মহান আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি সাধন করা। অর্থাৎ এতে মানুষের সৃষ্টি ও জন্মগত অবয়বের বিকৃতি সাধন করা হয়, যা নিষিদ্ধ ও হারাম।

(ঙ) মানুষের অঙ্গ ও লাশ ব্যবহার করা, পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা নাজায়েয। আর কাটাছেঁড়া করতে গেলে তাই করতে হয়।

(চ) মানুষের দেহ বা অঙ্গ কাটাছেঁড়া করে তা দ্বারা উপকৃত হওয়া জায়েয নেই।

(ছ) মানবাঙ্গের কাটাছেঁড়ার ক্ষেত্রে উল্লিখিত অসুবিধাগুলো ছাড়াও পর্দাহীনতা হয় এবং নিষিদ্ধ অংশ দেখতে হয়। অথচ একান্ত কোনো প্রয়োজন ছাড়া তা দেখা জায়েয নেই।

(জ) মানুষের দেহ বা অঙ্গকে ঔষধ বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা কোনো অবস্থাতেই জায়েয নেই। যদিও তা হয় একান্ত নিরুপায় অবস্থায়।

(ঝ) মানুষ যেভাবে তার মাল-সম্পদের মালিক হতে পারে এবং তার মাঝে স্বাধীন ও নিরঙ্কুশভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে সেভাবে তার দেহ ও অঙ্গের বেলায় পারে না। এগুলোতে কাটাছেঁড়া করা মানে অন্যের (অর্থাৎ আল্লাহর) মালিকানায় অবৈধ হস্তক্ষেপ করা।

(ঞ) যারা মানুষের লাশ কাটাছেঁড়া করে এবং যাদের অনুমতিতে করে কেয়ামতের দিন তাদের সবাইকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

(৮) মানবাঙ্গ দান করা বা দানের অসিয়ত করা কোনোটাই জায়েয নেই।

(৯) যদি কেউ কাউকে দান করার অসিয়ত করে, তবে ওয়ারিশদের উপর তা বাস্তবায়ন করা জরুরি নয়, বরং তার উপর আমল করাও জায়েয নেই।

(১০) যদি কেউ অসিয়ত করে আর ওয়ারিশরা তা বাস্তবায়ন করে, তাহলে উভয় শ্রেণির মানুষই গুনাহগার হবে।

(১১) যারা অঙ্গ দান করে তারা বিচার দিবসে বিকলাঙ্গ অবস্থায় উত্থিত হবে। আল্লাহ মাফ না করলে তাকে শাস্তিও ভোগ করতে হবে।

(১২) অভিজ্ঞ ডাক্তার যদি ব্যবস্থাপত্র দেয় যে, রোগীর আক্রান্ত অঙ্গটি কাটাছেঁড়া ও অপারেশন ব্যতীত চিকিৎসা করা সম্ভব নয়। তাহলে রোগীর অনুমতিক্রমে ক্ষতির হাত থেকে দেহ রক্ষার জন্য তা বৈধ হবে। রোগী অপ্রাপ্তবয়স্ক বা প্রতিবন্ধী হলে তার (ওলী) বা অভিভাবকের অনুমতিতে অপারেশন করতে হবে। একান্ত নিরুপায় অবস্থা না হলে, এবং অন্য কোনো সহজ চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকতে এমন ঝুঁকিপূর্ণ অপারেশনের রিস্ক নেয়া জায়েয হবে না। যা দ্বারা জীবনের বা কোনো অঙ্গের ক্ষতির প্রবল আশঙ্কা থাকে।

(১৩) যেক্ষেত্রে বিকল্প চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে, সেক্ষেত্রে এমন অপারেশন করা জায়েয হবে না, যাতে প্রাণহানী বা অঙ্গহানীর প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। অবশ্য জরুরি অবস্থা দেখা দিলে ভিন্ন কথা।

(১৪) অনেক সময় স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে বিশেষ কোনো প্রয়োজন ছাড়াই ডাক্তাররা গর্ভবতী মহিলাকে সিজার করার পরামর্শ দেয়। এটা মারাত্মক ভুল ও নাজায়েয। কারণ মায়ের পেটে আল্লাহ তায়ালা সন্তান সৃষ্টি করেছেন ও এর প্রসবের ব্যবস্থাও করে রেখেছেন। মানবরচিত একটি পদ্ধতি হলো সিজার। যথাসম্ভব এ থেকে বেঁচে থাকা শরিয়তের দৃষ্টিতে একান্ত জরুরি। মেডিকেল নীতিও এর পক্ষে। অনেক সময় নয় থেকে দশ মাসের মধ্যে বাচ্চা জন্ম না নিলে সিজারকে জরুরি মনে করা হয়, অথচ শরিয়তের দৃষ্টিতে বাচ্চা মায়ের পেটে সর্বোচ্চ দুই বৎসর পর্যন্ত থাকতে পারে। আর তা সম্ভবও। অতএব, একান্ত জরুরি অবস্থা ছাড়া অপারেশন করা বা করানো কোনোটাই ঠিক নয়।

(১৫) তবে যদি রোগীর অবস্থা একেবারে নাজুক হয়, তার জীবনের ক্ষতির আশঙ্কা হয়, অথবা প্রসব বেদনা দুঃসহনীয় পর্যায়ের হয়, তাহলে অপারেশনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। তবে এর সাথে রোগীর সম্মতিও থাকতে হবে। কিন্তু অপারেশন করার সময় নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখা জরুরি।

(ক) প্রথমত: মহিলা ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করাতে হবে। যদি মহিলা ডাক্তার পাওয়া না যায় বা মহিলা ডাক্তার অনভিজ্ঞ হওয়ার কারণে রোগীর ক্ষতির প্রবল আশঙ্কা করা হয়, তাহলে অভিজ্ঞ পুরুষ ডাক্তার দ্বারা অপারেশন করা জায়েয হবে।

(খ) প্রয়োজনের অধিক কাটাছেঁড়া করা যাবে না। করলে তা নাজায়েয হবে। সুতরাং চেষ্টা করবে যত কম কাটাছেঁড়ার মাধ্যমে অপারেশন সমাপ্ত করা যায়।

(গ) ডাক্তার পুরুষ হোক বা মহিলা হোক অপারেশনের সময় সতরের প্রয়োজনীয় অংশটুকুই খুলবে। তার অধিক স্থান খোলা জায়েয নেই।

(ঘ) ডাক্তাররা শরিয়তের প্রয়োজনীয় অংশ দেখতে পারবে নিষ্প্রয়োজনীয় অংশ দেখা বা প্রয়োজনের পর খোলা রাখা থেকে বিরত থাকবে।

(১৬) হাসপাতালগুলোতে যে সমস্ত লোক প্রাণ হারায় তাদেরকে মেডিকেল নিয়মানুসারে পোস্টমর্টেম করা হয়, কোনো কারণ থাক বা না থাক। এটা সম্পূর্ণ কুরআন-হাদিস পরিপন্থী নিয়ম। সুতরাং এ পরিস্থিতিতে ডাক্তারদের উচিত হবে তারা যেন লাশ কাটাছেঁড়া থেকে যথাসাধ্য বিরত থাকে। আর আইন প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোর কর্তব্য হলো তারা যেন এ ধরনের নিয়মকে বিলুপ্ত করে শরিয়তসম্মত নিয়ম প্রবর্তন করে।

(১৭) মানুষের রক্তের ব্যাপারে গবেষক উলামাদের ফাতাওয়া হলো এই যে, একান্ত অপারগ অবস্থায় জীবন বা অঙ্গ বিনষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা খুব প্রকট হলে রক্তের ব্যবহার জায়েয আছে। কিন্তু যে রক্ত দিবে তার জন্য বিনিময় গ্রহণ করা জায়েয নেই। কিন্তু যার রক্তের প্রয়োজন সে যদি বিনিময় ছাড়া রক্ত না পাওয়া যায়, তাহলে প্রয়োজনের ভিত্তিতে বিনিময় দিয়ে হলেও তার জন্য রক্ত সংগ্রহ করা জায়েয হবে। তবে রক্তদাতার জন্য বিনিময় নেয়া কোনো অবস্থাতেই জায়েয হবে না বরং হারাম হবে।

(১৮) প্রয়োজনের ভিত্তিতে যখন রক্ত দেয়া হবে, তখন ঐ পরিমাণ দেওয়া যাবে, যতটুকু দ্বারা প্রয়োজন মিটে যায়। অতিরিক্ত রক্ত দেয়া কোনোক্রমেই জায়েয হবে না।

(১৯) প্রকাশ থাকে যে, যেখানে যেখানে চিকিৎসার প্রয়োজনের ভিত্তিতে অপারেশনের রোগীকে রক্ত দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে সেখানে ওই অনুমতির উপর আমল করা সংশ্লিষ্ট রোগীর জন্য ওয়াজিব নয়। যদি কোনো রোগী এর উপর সম্মত না হয় এবং এর ফলে সে মারা যায়, তাতে সে গুনাহগার হবে না।

◾◾◾রোজার আধুনিক মাসয়ালা◾◾◾▪️ইনজেকশন (Injection):ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)▪️ইনহেলার (Inhaler):শ্বা...
18/08/2025

◾◾◾রোজার আধুনিক মাসয়ালা◾◾◾

▪️ইনজেকশন (Injection):
ইনজেকশন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাওয়াহিরুল ফতওয়া)

▪️ইনহেলার (Inhaler):
শ্বাসকষ্ট দূর করার লক্ষ্যে তরল জাতীয় একটি ঔষধ স্প্রে করে মুখের ভিতর দিয়ে গলায় প্রবেশ করানো হয়, এভাবে মুখের ভিতর ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ইমদাদুল ফতওয়া)

▪️এনজিওগ্রাম (Angio Gram):
হার্ট ব্লক হয়ে গেলে উরুর গোড়া দিয়ে কেটে বিশেষ রগের ভিতর দিয়ে হার্ট পর্যন্ত যে ক্যাথেটার ঢুকিয়ে পরীক্ষা করা হয় তার নাম এনজিওগ্রাম। এ যন্ত্রটিতে যদি কোনো ধরনের ঔষধ লাগানো থাকে, তারপরেও রোজা ভাঙ্গবে না।

▪️এন্ডোসকপি (Endos Copy):
চিকন একটি পাইপ, যার মাথায় বাল্ব জাতীয় একটি বস্তু থাকে। পাইপটি পাকস্থলিতে ঢুকানো হয় এবং বাইরে থাকা মনিটরের মাধ্যমে রোগীর পেটের অবস্থা নির্ণয় করা হয়। এই নলে যদি কোন ঔষধ ব্যবহার করা হয় বা পাইপের ভিতর দিয়ে পানি/ঔষধ ছিটানো হয়ে থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে, আর যদি কোন ঔষধ লাগানো না থাকে তাহলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

▪️নাইট্রোগ্লিসারিন (Nitro Glycerin):
এরোসল জাতীয় ঔষধ, যা হার্টের জন্য দুই-তিন ফোঁটা জিহ্বার নীচে দিয়ে মুখ বন্ধ করে রাখে। ঔষধটি শিরার মাধ্যমে রক্তের সাথে মিশে যায় এবং ঔষধের কিছু অংশ গলায় প্রবেশ করার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে। অতএব এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

▪️লেপারোসকপি (Laparoscopy):
শিক্ জাতীয় একটি যন্ত্র দ্বারা পেট ছিদ্র করে পেটের ভিতরের কোন অংশ বা গোশত ইত্যাদি পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বের করে নিয়ে আসার জন্য ব্যবহৃত যন্ত্র। এতে যদি ঔষধ লাগানো থাকে তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে অন্যস্থায় রোজা ভাঙ্গেব না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)

▪️ অক্সিজেন (OXzgen):
রোজা অবস্থায় ঔষধ ব্যবহৃত অক্সিজেন ব্যবহার করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে শুধু বাতাসের অক্সিজেন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

▪️মস্তিষ্ক অপারেশন (Brain Operation):
রোজা অবস্থায় মস্তিষ্ক অপারেশন করে ঔষধ ব্যবহার করা হোক বা না হোক রোজা ভাঙ্গবে না। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)

▪️ রক্ত নেয়া বা দেয়া:
রোজা অবস্থায় শরীর থেকে রক্ত বের করলে বা শরীরে প্রবেশ করালে রোজা ভাঙ্গবে না। (আহসানুল ফতওয়া)
▪️ সিস্টোসকপি (cystoscop):
প্রসাবের রাস্তা দিয়ে ক্যাথেটার প্রবেশ করিয়ে যে পরীক্ষা করা হয় এর দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)

▪️প্রক্টোসকপি (proctoscopy):
পাইলস, পিসার, অর্শ, হারিশ, বুটি ও ফিস্টুলা ইত্যাদি রোগের পরীক্ষাকে প্রক্টোসকপি বলে। মলদ্বার দিয়ে নল প্রবেশ করিয়ে পরীক্ষাটি করা হয়। রোগী যাতে ব্যথা না পায় সে জন্য নলের মধ্যে গ্লিসারিন জাতীয় কোন পিচ্ছিল বস্তু ব্যবহার করা হয়। নলটি পুরোপুরি ভিতরে প্রবেশ করে না। চিকিৎসকদের মতানুসারে ঐ পিচ্ছিল বস্তুটি নলের সাথে মিশে থাকে এবং নলের সাথেই বেরিয়ে আসে, ভেতরে থাকে না। আর থাকলেও তা পরবর্তীতে বেরিয়ে আসে। যদিও শরীর তা চোষে না কিন্তু ঐ বস্তুটি ভিজা হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (ফতওয়া শামী)

▪️কপার-টি (Coper-T):
কপার-টি বলা হয় যোনিদ্বারে প্লাস্টিক লাগানোকে, যেন সহবাসের সময় বীর্যপাত হলে বীর্য জরায়ুতে পৌঁছাতে না পারে। এ কপার-টি লাগিয়েও সহবাস করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। কাযা কাফফারা উভয়টাই ওয়াজিব হবে।

▪️সিরোদকার অপারেশন (Shirodkar Operation):
সিরোদকার অপারেশন হল অকাল গর্ভপাত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে জরায়ুর মুখের চতুষ্পার্শ্বে সেলাই করে মুখকে খিচিয়ে রাখা। এতে অকাল গর্ভপাত রোধ হয়। যেহেতু এতে কোন ঔষধ বা বস্তু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য খালি স্থানে পৌঁছে না তাই এর দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না।

▪️ডি এন্ড সি (Dilatation and Curettage):
ডি এন্ড সি হল গর্ভধারণের আট থেকে দশ সপ্তাহের মধ্যে ঔষধের মাধ্যমে জীবিত কিংবা মৃত বাচ্চাকে মায়ের গর্ভ থেকে বের করে নিয়ে আসা। এতে রোজা ভেঙ্গে যাবে। অযথা এমন করলে কাযা কাফফারা উভয়টি দিতে হবে এবং তওবা করতে হবে। (হেদায়া)

▪️ এম আর (M.R):
এম আর হল গর্ভ ধারণের পাঁচ থেকে আট সপ্তাহের মধ্যে যোনিদ্বার দিয়ে জরায়ুতে এম আর সিরিঞ্জ প্রবেশ করিয়ে জীবিত কিংবা মৃত ভ্রণ নিয়ে আসা। যার পর ঋতুস্রাব পুণরায় হয়। অতএব মাসিক শুরু হওয়ার কারণে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। কিন্তু যদি রাতের বেলা করা হয় তাহলে দিনের রোজা কাযা করতে হবে না। (ফতহুল কাদীর)

▪️আলট্রাসনোগ্রাম (Ultrasongram):
আলট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় যে ঔষধ বা যন্ত্র ব্যবহার করা হয় সবই চামড়ার উপরে থাকে, তাই আলট্রাসনোগ্রাম করলে রোজা ভাঙ্গবে না। (হেদায়া)

▪️ স্যালাইন (Saline):
স্যালাইন নেয়া হয় রগে, আর রগ যেহেতু রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা নয়, তাই স্যালাইন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না, তবে রোজার কষ্ট লাঘবের জন্য স্যালাইন নেয়া মাকরূহ। (ফতওয়ায়ে দারুল উলূম)

▪️টিকা নেয়া (Vaccine):
টিকা নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, টিকা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তায় ব্যবহার করা হয় না। (আপকে মাসায়েল)

▪️ ঢুস (Do**he):
ঢুস মলদ্বারের মাধ্যমে দেহের ভিতরে প্রবেশ করে, তাই ঢুস নিলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। ঢুস যে জায়গা বা রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে এ জায়গা বা রাস্তা রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য স্থান । (ফতওয়ায়ে শামী)

▪️ইনসুলিন গ্রহণ করা: (Insulin):
ইনসুলিন নিলে রোজা ভাঙ্গবে না। কারণ, ইনসুলিন রোজা ভঙ্গ হওয়ার গ্রহণযোগ্য রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করে না এবং গ্রহণযোগ্য খালি জায়গায় প্রবেশ করে না। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

▪️দাঁত তোলা:
রোজা অবস্থায় একান্ত প্রয়োজন হলে দাঁত তোলা জায়েজ আছে। তবে অতি প্রয়োজন না হলে এমনটা করা মাকরূহ। ঔষধ যদি গলায় চলে যায় অথবা থুথু থেকে বেশি অথবা সমপরিমাণ রক্ত যদি গলায় যায় তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (আহসানুল ফতওয়া)

▪️পেস্ট, টুথ পাউডার ব্যবহার করা:
রোজা অবস্থায় দিনের বেলায় টুথ পাউডার, পেস্ট, মাজন ইত্যাদি ব্যবহার করা মাকরূহ। কিন্তু গলায় পৌঁছালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। (জাদীদ ফিকহী মাসায়েল)

▪️ মিসওয়াক করা:
শুকনা বা কাঁচা মিসওয়াক দিয়ে দাঁত মাজার দ্বারা রোজার কোন ক্ষতি হয় না। চাই যখনই করা হোক না কেন। (ফতওয়ায়ে শামী)

▪️মুখে ঔষধ ব্যবহার করা:
মুখে ঔষধ ব্যবহার করে তা গিলে ফেললে বা ঔষধের অংশ বিশেষ গলায় প্রবেশ করলে রোজা ভেঙ্গে যাবে। গলায় প্রবেশ না করলে রোজা ভাঙ্গবে না। (ফতওয়ায়ে শামী)

▪️রক্ত পরীক্ষা:
রক্ত পরীক্ষার জন্য রক্ত দিলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। তবে খুব বেশি পরিমাণে রক্ত দেয়া যার দ্বারা শরীরে দুর্বলতা আসে, তা মাকরূহ।

▪️ডায়াবেটিস পরীক্ষা:
ডায়াবেটিসের সুগার মাপার জন্য সুঁচ ঢুকিয়ে যে একফোঁটা রক্ত নেয়া হয়, এতে রোজার কোন ক্ষতি হবে না।

▪️নাকে ঔষধ দেয়া:
নাকে পানি বা ঔষধ দিলে যদি তা খাদ্যনালীতে চলে যায়, তাহলে রোজা ভেঙ্গে যাবে এবং কাযা করতে হবে। (ফতওয়ায়ে রাহমানিয়া)

▪️চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করা:
চোখে ঔষধ বা সুরমা ব্যবহার করার দ্বারা রোজা ভাঙ্গবে না। যদিও এগুলোর স্বাদ গলায় অনুভব হয়। (হেদায়া)

▪️কানে ঔষধ প্রদান করা:
কানে ঔষধ, তেল ইত্যাদি ঢুকালে রোজা ভেঙ্গে যাবে। তবে গোসল করার সময় অনিচ্ছায় যে পানি কানে ঢুকে তাতে রোজা ভঙ্গ হবে না। অবশ্য এক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে, যেন পানি গলায় না চলে যায়। (আল মাকালাতুল ফিকহীয়া)

▪️নকল দাঁত মুখে রাখা:
রোজা রেখে নকল দাঁত মুখে স্থাপন করে রাখলে রোজার কোন ক্ষতি হয় না। (ইমদাদুল ফতওয়া)

-জাস্টিস মুফতী তাকী ওসমানী দা. বা.(দারুল উলূম করাচী, পাকিস্তান)

💠💠Artificial Insemination(কৃত্তিম প্রজনন)💠💠🔘🔘যেসব পুরুষ যেকোনো কারণেই হোক,শরীয়ত সিদ্ধ উপায়ে স্ত্রীর শরীরে শুক্রাণু পৌছাত...
18/08/2025

💠💠Artificial Insemination(কৃত্তিম প্রজনন)💠💠

🔘🔘যেসব পুরুষ যেকোনো কারণেই হোক,শরীয়ত সিদ্ধ উপায়ে স্ত্রীর শরীরে শুক্রাণু পৌছাতে সক্ষম নয়,তাদের ক্ষেত্রে কৃত্তিম উপায়ে সিরিঞ্জের মাধ্যমে স্ত্রীর শরীরে শুক্রাণু পৌছানোর প্রক্রিয়াকে Artificial Insemination বলা হয়।এটা তিন পদ্ধতিতে করা যায়:
1️⃣হাজবেন্ডের শুক্রাণু সিরিঞ্জের মাধ্যমে স্ত্রীর শরীরে পৌছে দেওয়া।
2️⃣হাজবেন্ড ব্যাতীত অন্য পুরুষের শুক্রাণু স্ত্রীর শরীরে পৌছে দেওয়া।
3️⃣হাজবেন্ড এবং অন্য পুরুষের শুক্রাণু একত্র করে স্ত্রীর শরীরে পৌছে দেওয়া।

প্রথমোক্ত পদ্ধতিটি শর্ত সাপেক্ষে জায়েজ(নিচে বিস্তারিত আলোচনা দেওয়া হয়েছে)।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ নাজায়েজ।

💠💠💠Test Tube Baby(টেস্টটিউব বেবি)💠💠💠

🔘🔘বর্তমানে যাদের সন্তান হয় না, তারা অনেকে টেস্ট টিউব বেবি নেয়।টেস্ট টিউব বেবি নেয়া কি জায়েজ?

যদি স্বামী স্ত্রীর বীর্য নিয়ে টেস্ট টিউবে রেখে মিলন ঘটিয়ে যথাসময়ে তা নিজ স্ত্রীর গর্ভাশয়ে স্থাপন করা হয় অথবা স্বামীর বীর্য সিরিঞ্জের সাহায্যে নিজ স্ত্রীর গর্ভাশয়ে বা ডিম্ববাহী নালীতে বিশেষ পদ্ধতিতে রাখা হয়; যাকে মেডিকেলের পরিভাষায় আইইউআই (ইন্ট্রা ইউটেরাইন ইনসেমিনেশন) বা আইভিএফ (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বলা হয়–তাহলে শরিয়ত একে অবৈধ মনে করে না।

তবে এক্ষেত্রে দারুল উলুম করাচির (১/৬/১৪৩১ হি. ১৭/১২৩৪,৬৫/৬৭৯) ফতোয়া মতে নিন্মোক্ত বিষয়গুলোর প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

◾ টেস্ট টিউব পদ্ধতি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার একটি পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করার সুযোগ আছে। তবে এটি প্রথম বা একমাত্র পদ্ধতি নয়। বরং প্রথমে সন্তান জন্ম দেওয়ার সকল স্বাভাবিক চেষ্টা সম্পন্ন করতে হবে। এরপর যদি বন্ধ্যাত্ব চিকিৎসার অন্য সব পদ্ধতি ব্যর্থ হয় এবং আর কোনো উপায়ান্তর না থাকে তাহলে সর্ব শেষ চিকিৎসা হিসেবে এ পদ্ধতি গ্রহণ করার সুযোগ নিতে পারবে।

◾ এ পদ্ধতি গ্রহণ করার প্রতিটি ধাপে সতর ও হিজাবের প্রতি সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকতে হবে। যেমন, স্ত্রীর কাছ থেকে ডিম্বানু সংগ্রহ করা এবং স্ত্রীর জরায়ুতে ভ্রূণ সংস্থাপন করা; এ কাজগুলো মহিলা ডাক্তারকে দিয়ে করাতে হবে।

◾পুরুষ ডাক্তার সিরিঞ্জের মাধ্যমে স্বামীর কাছ থেকে বীর্য সংগ্রহ করবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে হস্তমৈথুনের পরিবর্তে নিজ স্ত্রীর সঙ্গে আযলের মাধ্যমে তা সংগ্রহ করবে।

◾ যাতে করে অপরের বীর্যের সঙ্গে কোনোভাবে কোনো প্রকার গড়মিল না হয়; সন্তান তার পিতৃ পরিচয় লাভের উদ্দেশ্যে অবশ্যই এর প্রতি পরিপূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।

◾যেহেতু বন্ধ্যাত্বের কারণে অনেক সময় তালাকের মত দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাই জরুরতের প্রতি লক্ষ করে উপায়ান্তর না থাকার পরিস্থিতিতে টেস্টটিউব বেবি নেয়ার চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং কেবল বিলাসিতার উদ্দেশ্যে অর্থাৎ, ছেলে চাই-মেয়ে নয় কিংবা মেয়ে চাই- ছেলে নয়; এ জাতীয় উদ্দেশ্যে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা জায়েয হবে না।

💠💠💠💠💠Abortion(গর্ভপাত)💠💠💠💠💠

◾যদি গর্ভস্থ ভ্রুনের বয়স চার মাস হয়ে যায় তাহলে সেটা কে নষ্ট করা বা গর্ভপাত করানো কোনো অবস্থাতেই জায়েয নেই। আর যদি ভ্রুনের বয়স চার মাস থেকে কম হয় এবং দ্বীনদার, অভিজ্ঞ কোনো ডাক্তার এ কথা বলে যে,বাচ্ছা জন্ম নিলে নিশ্চিত বা প্রবল ধারণা অনুযায়ী মায়ের প্রাণ নাশের বা বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে অথবা যদি মার স্বাস্থ্য গর্ভাবস্থা সহ্য করতে না পারে বা প্রথম সন্তানকে পরিচর্যা সহ শিক্ষা দিতে অসুবিধার আশঙ্কা থাকে এবং সঠিক পরিচর্যা করতে পারবে না বলে আশংকা হয় তাহলে গর্ভপাত করার সুযোগ রয়েছে, চাইলে গর্ভপাত করাতে পারবে।
আর যদি রিজিকের আশংকায় এরূপ করে তাহলে গর্ভের ভ্রুন নষ্ট করা জায়েয হবে না। যদিও গর্ভের বয়স চার মাসের চেয়ে কম হয়।
আর যদি উল্লেখযোগ্য কোনো অতিব প্রয়োজন না দেখা দেয় তাহলে চার মাসের কম বয়সের ভ্রুন কেও নষ্ট করা বা গর্ভপাত করানো জায়েয হবে না।

◾ধর্ষণের ক্ষেত্রে: গর্ভপাত বা এবরশন একটা মানবতাবিরোধী কাজ, বিনা ওজরে গর্ভপাত ঘটানো অপরাধ।ভ্রুনের মাঝে যখন রুহ সঞ্চার হয়, তখন তা করা হারাম, কেবল মাত্র গর্ভ কন্টিনিউ করলে মায়ের প্রাণহানি বা অঙ্গহানি ঘটার প্রবল ধারণা হলেই ফুকাহাগন বিজ্ঞ দ্বীনদার ডাক্তারের পরামর্শের বিবেচনায় এর অনুমতি দিয়েছেন।
রুহ সঞ্চার হওয়ার আগেও বিনা ওজরে গর্ভপাত ঘটানো না-জায়েজ। তবে কিছু যৌক্তিক ওজরের বিবেচনায় ফুকাহাগন অনুমতি দিয়েছেন।ধর্ষণ একজন নারীর জন্য বিশাল মানসিক আঘাতের কারণ, ধর্ষকের সন্তান পেটে ধারণ অনেক সময় আরও বড় মেন্টাল ট্রমার কারণ হয়। অনেক সময় তা মেজর সাইকিয়াট্রিক অসুস্থতায় রূপ নেয়। পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডার অনেক সময় ধর্ষিতার মানসিক স্বাস্থ্যের উপর খুবই খারাপ প্রভাব ফেলে। কিছু স্টাডিতে ধর্ষণজনিত গর্ভাবস্থার পর সৃষ্ট মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে মেডিকেল এবরশন পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া মায়ের মানসিক স্বাস্থ্যের চরম অবনতির কারণে ভবিষ্যৎ সন্তানের স্বাস্থ্যের উপর নেগেটিভ প্রভাব মেডিকেল সায়েন্স দ্বারা প্রমাণিত।
কাজেই ধর্ষণজনিত গর্ভাবস্থায় একজন নারীর মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেগেটিভ প্রভাব বিবেচনায় একজন দ্বীনদার মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শের ভিত্তিতে ভ্রুনের বয়স চারমাস পূর্ণ হওয়ার আগে এবরশন করানো যেতে পারে। এ ধরণের ক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি এবরশন করানো যায়, ততই নারীর স্বাস্থ্যের জন্য এবরশনজনিত ঝুঁকির পরিমাণ কম।তবে সবচেয়ে উত্তম হলো, ধর্ষিতা হওয়ার পর পরই ৭২ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই ধর্ষিতা নারীকে ইমারজেন্সী পিল খাইয়ে দেয়া যেন গর্ভাবস্থা এড়ানো যায়।তবে চারমাস পূর্ণ হয়ে গেলে মায়ের প্রাণহানি বা অঙ্গহানি হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছাড়া এবরশন করানো হরাম। তবে এক্ষেত্রে সিরিয়াস মেন্টাল অসুস্থতা একটা ওজর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে একজন দ্বীনদার মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ সাপেক্ষে।

💠💠💠💠Surrogate Mother💠💠💠💠

🔘🔘একজন নারীর গর্ভে অন্য দম্পতির সন্তান ধারণের পদ্ধতিকে 'সারোগেসি' বলে। ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন পদ্ধতিতে নারীদেহ হতে ডিম্বাণু ও পুরুষ দেহ হতে শুক্রাণু দেহের বাইরে টেস্টটিউবে নিষিক্ত করে তা সারোগেট নারীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়।

সারোগেসি দুই রকমের হয় -
১. পার্শিয়াল সারোগেসি- অনেকদিন থেকে এটি চলছে। সন্তানধারণে এখানে কোনও ভূমিকাই পালন করেন না মা। বাবার শুক্রাণু আর সারোগেট মায়ের ডিম্বাণু থেকে শিশুর জন্ম হয়।
২) ট্রু-সারোগেসি/জেস্টেশনাল/আইভিএফ সারোগেসি- মায়ের ডিম্বাণু নিয়ে ল্যাবে ভ্রূণ তৈরি করা হয়। এরপর সারোগেট মায়ের জরায়ুতে প্রতিস্থাপন করা হয় ভ্রূণটি। এটিই এখন প্রচলিত পদ্ধতি।

পার্শিয়াল সারোগেসি পদ্ধতিতে মহিলার ডিম্বাণু এবং গর্ভ – দুটোই ভাড়া নেয়া হয়। সেক্ষেত্রে সন্তানের ওপর মায়ের একটা জৈবিক অধিকার থেকে যায়। অন্যদিকে আইভিএফে মায়ের ডিম্বাণু ‘স্পার্ম ব্যাংক` থেকে আনা অন্য পুরুষের শুক্রাণুর সঙ্গে অথবা বাবার শুক্রাণু ডোনার মহিলার ডিম্বাণু দেহের বাইরে নিষিক্ত করে ভাড়া দেয়া মহিলার গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়।

যেহেতু গর্ভ ভাড়া দেওয়া মহিলার ডিম্বাণু ব্যবহার করা হয়নি, সেহেতু ভূমিষ্ট সন্তানের ওপর সেই মহিলার কোনো অধিকার বর্তায় না। তবে বাবা-মা`র শুক্রাণু এবং ডিম্বাণু নিষিক্ত করে যে ভ্রুণ তৈরি করা হয়, তার পিতৃত্ব বা মাতৃত্ব নিয়ে কোনো সংশয় থাকে না। তবে আইভিএফ পদ্ধতিতে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করাকে টেস্ট-টিউব বেবি মনে করা যাবে না। কারণ টেস্ট-টিউব বেবি ভ্রুণ অবস্থায় মাতৃগর্ভেই বেড়ে ওঠে।

উভয় ধরণের সারোগেসিই মুসলিম আইনবিশারদদের সর্বসম্মতিক্রমে অবৈধ।

কারন কোন পুরুষের শুক্রানু বৈধ স্ত্রী ছাড়া অন্য নারীর গর্ভে স্থাপন করা বৈধ না। স্বামী ছাড়া অন্য পুরুষের সন্তান ধারন করা সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।

মহিলার গর্ভে বেড়ে ওঠা সন্তানের মা তিনিই। যদিও ডিম্বানু ও শুক্রানু উভয়টাই অন্য নারী পুরুষ থেকে নেয়া হয় তারপরেও তিনিই মা। কারন তার শরীরের অংশ হিসেবেই এই সন্তানের বেড়ে ওঠা। সন্তানের দেহের প্রতিটি কোষ, রক্ত, মাংস সব তার দেহের নির্যাস থেকেই সৃষ্ট। তাই শুধুমাত্র ডিম্বানু দেয়ার অযুহাতে কোন নারী এই সন্তানের মাতৃত্ব দাবী করতে পারবেনা। আর পিতৃত্বের ব্যাপারটা যদিও উক্ত পুরুষের দিকে সংযুক্ত। কিন্ত ইসলামের দৃষ্টিতে এই বাচ্চা 'অবৈধ সন্তান' হিসেবে বিবেচিত হবে। কারন উক্ত পুরুষ ও সারোগেট মাদার স্বামী স্ত্রী না।

টাকা দিয়ে মাতৃত্ব বিক্রি হয়না। ইসলামের দৃষ্টিতে গর্ভ ভাড়া দেওয়ার উপযুক্ত জিনিস না। মাতৃত্ব বিক্রয়যোগ্য জিনিস না। মানবসন্তান ক্রয়যোগ্য জিনিস না।
পার্শিয়াল ও আইভিএফ জায়েজ হওয়াটা ইসলামী দৃষ্টিকোনে আক্ষরিক অর্থেই অসম্ভব।

শুধুমাত্র যখন বৈধ স্বামী স্ত্রীর পরস্পরের শুক্রানু ডিম্বানু নিষিক্ত করে উক্ত স্ত্রীর গর্ভেই স্থাপন করা হবে তখন বৈধ।

উল্লেখ্য, স্বামী যদি স্পার্ম ব্যাংকে শুক্রানু রেখে মারা যান তাহলে তার স্ত্রী ওই শুক্রানু নিয়ে মৃত্যুর পরে গর্ভবতী হলে তাও অবৈধ। কারন এখন এটি তার জন্য পরপরুষের বীর্য।

কোন পুরুষের বাবা হওয়ার প্রবল ইচ্ছে থাকলে এবং স্ত্রী সন্তান ধারনে অক্ষম (যেমন, জরায়ু নেই) হলে সে একাধিক বিবাহ করতে পারে।

নারীর মা হওয়ার ইচ্ছে থাকলে সে আগেই দেখেশুনে সক্ষম পুরুষকে বিবাহ করবে। বিয়ের আগেই প্রয়োজনে পরিক্ষা নিরিক্ষা করে নিবে। স্বামী যদি মিলনে একান্ত অক্ষম না হয় কিন্ত স্পার্ম কাউন্টজনিত সমস্যায় পিতা হওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে বিয়ের পর এ নিয়ে আফসোস করা অর্থহীন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে দোয়া এবং চিকিৎসা।
আল্লাহ তায়ালা মরুভূমিতেও ফুল ফোটাতে পারেন।

সন্তান হওয়া না হওয়া আল্লাহর ফয়সালা। তাই এ নিয়ে কাউকে বিব্রত করা, খোঁটা দেয়া, কটু কথা বলা সর্বম্মতিক্রমে হারাম। এসব অপরাধে রীতিমত 'নোবেল' পাওয়ার উপযুক্ত নারী/পুরুষ অধিকাংশ বংশেই বেশ কয়েকজন করে থাকে। নিজে মানুষ হয়ে অন্য একজন মানুষের জীবনকে জাহান্নাম বানানোতে যারা পৈশাচিক আনন্দ পায় তাদেরকে এড়িয়ে চলা কর্তব্য। যত কাছের আত্নীয় হোকনা কেন এসবের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করা জরুরী।

আসলে স্বামী স্ত্রীর মাঝে সত্যিকারের ভালোবাসা থাকলে সন্তান না থাকলেও সুখী হওয়া যায়। পরস্পরের দিকে তাকিয়ে জীবন কাটিয়ে দেয়া যায়। কিংবা পিতৃমাতৃহীন বাচ্চাদের প্রতিপালন করা যায়। (দত্তক নেয়া সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে পরপরুষ/পরনারী হিসেবে গন্য হবে)

এগুলো ইসলামী আইনে এতোটাই প্রসিদ্ধ বিষয় যে আলাদা করে বলার প্রয়োজন হয়না।

◾ইউরিনারি ক্যাথেটর ও মাসয়ালা ◾প্রশ্ন: ক) রোগের কারণে জনৈক ব্যক্তির পেশাবের রাস্তার সাথে ক্যাথেটার (এক প্রকার নল) লাগিয়ে ...
18/08/2025

◾ইউরিনারি ক্যাথেটর ও মাসয়ালা ◾
প্রশ্ন: ক) রোগের কারণে জনৈক ব্যক্তির পেশাবের রাস্তার সাথে ক্যাথেটার (এক প্রকার নল) লাগিয়ে পেশাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে তা দিয়ে সর্বক্ষণ পেশাব ঝরতে থাকে। তাই প্রশ্ন হল, ক) ঐ ব্যক্তির পবিত্রতা অর্জনের উপায় কী?

খ) নামায শুরুর আগে ইউরিন ব্যাগটি কি খালি করে নেওয়া জরুরি? যদি খালি করে নেওয়া হয় তবুও প্রতি মিনিটে তাতে ফোঁটায় ফোঁটায় পেশাব জমা হবে। এর ফলে কি নামায আদায়ে কোনো সমস্যা হবে? আশা করি জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর:
ক) ক্যাথেটার লাগানোর পর থেকে ওয়াক্তের শেষ পর্যন্ত তা লাগানো থাকলে ঐ ব্যক্তি মাজুর গণ্য হবে। তাই ক্যাথেটার লাগানোর পর থেকে সে প্রতি ওয়াক্তে অযু করবে এবং ক্যাথেটার লাগানো অবস্থায় পেশাব ছাড়া অযু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া না গেলে যতক্ষণ ওয়াক্ত বাকি থাকবে ঐ অযু দিয়ে ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত ও নফল নামায আদায় করতে পারবে। ওয়াক্ত শেষ হওয়ার আগে পেশাব ঝরার কারণে অযু ভাঙ্গবে না। তবে অযু ভঙ্গের অন্য কোনো কারণ পাওয়া গেলে অযু নষ্ট হয়ে যাবে।

উত্তর : খ) নামায শুরুর আগে ইউরিন ব্যাগটি খালি করে নেওয়ার প্রয়োজন নেই। ওজরের কারণে ঐ ব্যাগসহ নামায আদায় করা জায়েয।

-মাবসূত, সারাখসী ২/১৩৯; আদ্দুররুল মুখতার ১/৩০৫; মারাকিল ফালাহ ৮০, ৮১; বাদায়েউস সানায়ে ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/২১৫, ১/২১৭

07/01/2024

আপনার ঈমানদীপ্ত বয়ানের অপেক্ষায় গোটা জাতি...
আমাদের চ্যানেল লিংক⬇️

https://www.youtube.com/-

#আল্লামা_মামুনুল_হক #মামুনুল_হক

#ওয়াজ #বয়ান #ওলামায়ে_দেওবন্দের_বয়ান

07/01/2024

মাওলানা আনিসুর রহমান আশ্রাফী সাহেব দাঃ বাঃ।


#আনিসুর_রহমান_আশরাফি #নতুন_ওয়াজ #বয়ান #নতুন_ওয়াজ #মাহফিল #মাহফিল_২০২৪ #মোটিভেশন
#ভোট_কাকে_দিবো
# #ওয়াজ #নতুন_মাহফিল #নতুন_বয়ান
#বয়ান #বাংলা_ওয়াজ #মাহফিল #মাহফিলের

06/01/2024

ভোট দিতে যাওয়ার আগে একবার শুনুন.....

#নুরুল_ইসলাম_ওলীপুরী #নতুন_ওয়াজ #বয়ান #নতুন_ওয়াজ #মাহফিল
#ভোট_কাকে_দিবো
# #ওয়াজ #নতুন_মাহফিল #নতুন_বয়ান
#বয়ান #বাংলা_ওয়াজ #মাহফিল #মাহফিলের

06/01/2024

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

Address

Chandpur

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Medical Fiqh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Medical Fiqh:

Share