Organic Seed

Organic Seed Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Organic Seed, Digital creator, Chandpur.

নিজ হাতে সবজী লাগাই। বিষ মুক্ত সবজী খাই। পরিবারের সকলকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করি ইনশাআল্লাহ।
পে-আউট সেটআপ করতে :
WhatsApp: 01884138924
সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য !!
ঠিকানা:ইসলামিয়া মার্কেট নতুন বাজার মতলব উত্তর চাঁদপুর

🪴🍉শখের ছাদ বাগানে, বারান্দায়, টবে ও জমিতে তরমুজ চাষ করতে চান, তাদের জন্য নিয়ে এলাম উন্নত মানের তরমুজ বীজ। 🍉আরলি ড্রাগন ত...
08/11/2025

🪴🍉শখের ছাদ বাগানে, বারান্দায়, টবে ও জমিতে তরমুজ চাষ করতে চান, তাদের জন্য নিয়ে এলাম উন্নত মানের তরমুজ বীজ।

🍉আরলি ড্রাগন তরমুজ 🍉
হাইব্রীড তরমুজ-
আরলি ড্রাগন তরমুজ
জাতের ধরন: ড্রাগন বা ডোরাকাটা তরমুজ
বপনের সময়: বর্ষা ব্যতীত সারা বছর বপন করা যায়, (বারমাসি জাত)

👉বীজহার(একর): ১০০-১৫০ গ্রাম
👉ফসল সংগ্রহ (দিন): ৭৫-৮০ দিন
👉প্রতিটির গড় ওজন: ১০-১৫ কেজি
🔰বৈশিষ্ট্য🔰
আরলি ড্রাগন বড় সাইজের তরমুজের জাতটি বাংলাদেশে প্রচলিত যে কোন জাতের চেয়ে ১০-১২ দিন আগাম। এই জাত উচ্চ তাপমাত্রা ও হঠাৎ বৃষ্টি সহ্য করে টিকে থাকতে পারে। এটি ভাইরাস মুক্ত জাত। তরমুজ লম্বাটে ডিম্বাকৃতির হয় এবং এর ত্বকের রঙ ডোরাকাটা সবুজ। জমির সব তরমুজ একই আকৃতির হয়। তরমুজের ভিতরের মাংসল অংশ গাঢ় লাল রংয়ের এবং খেতে খুবই সুস্বাদু। এই তরমুজের মিষ্টতার পরিমাণ ১২-১৫%

#তরমুজ #বীজ

আপনার গাছের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষায় এক অসাধারণ উপাদান!Epsom Salt (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) গাছের জন্য অপরিহার্য দুইটি উপাদান...
08/11/2025

আপনার গাছের পুষ্টির ভারসাম্য রক্ষায় এক অসাধারণ উপাদান!
Epsom Salt (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) গাছের জন্য অপরিহার্য দুইটি উপাদান — Magnesium ও Sulfur সরবরাহ করে, যা পাতাকে করে গাঢ় সবুজ 🌱 এবং ফুল-ফল উৎপাদন বাড়ায় 🌸🍅

✨ উপকারিতা:
✅ পাতার হলদে ভাব দূর করে ক্লোরোফিল বৃদ্ধি করে
✅ ফুল ও ফলের পরিমাণ বাড়ায়
✅ শিকড়ের বৃদ্ধি ও পুষ্টি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায়
✅ সবজি, ফুল ও ফলগাছে নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য

🧂 ব্যবহার পদ্ধতি:
১ লিটার পানিতে ১ চা চামচ ইপসম সল্ট মিশিয়ে মাসে ১–২ বার স্প্রে করুন অথবা মাটিতে প্রয়োগ করুন।

📦 প্যাক সাইজ: 1 KG
🌱 উপযুক্ত: টব, ছাদবাগান ও খোলা জমির সব ধরণের গাছের জন্য

🥭 আগামী মৌসুমে আম গাছে ভালো ফলন পেতে নভেম্বর মাসের পরিচর্যা নির্দেশিকা 🥭নভেম্বর মাস আম গাছের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়,...
08/11/2025

🥭 আগামী মৌসুমে আম গাছে ভালো ফলন পেতে নভেম্বর মাসের পরিচর্যা নির্দেশিকা 🥭

নভেম্বর মাস আম গাছের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়, কারণ এ সময় গাছ ফুল ও ফল ধরার প্রস্তুতি নেয়। সঠিক পরিচর্যা না করলে পরের মৌসুমে ফুল কম আসে বা ঝরে যায়। নিচে ধাপে ধাপে করণীয় দেওয়া হলো 👇

🌳 ১️⃣ গাছ ছাঁটাই (Pruning)

নভেম্বরের শুরুতে গাছের শুকনো, রোগাক্রান্ত ও অতিরিক্ত ঘন শাখা-প্রশাখা কেটে দিন।

এতে গাছে বাতাস ও আলো চলাচল ভালো হয়, ফুলের মুকুল শক্ত হয়।

ছাঁটাইয়ের পর কাটার জায়গায় বোর্দো পেস্ট (Copper Sulphate + চুন) লাগান যেন ছত্রাক না লাগে।

🌱 ২️⃣ জমি পরিষ্কার ও আগাছা দমন

গাছের নিচে থাকা আগাছা ও শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলুন।

গাছের চারপাশে ২–৩ ফুট ব্যাসে মাটি কুপিয়ে ঝুরঝুরে করে দিন।

এতে শিকড় সহজে শ্বাস নিতে পারে এবং সার ভালোভাবে গ্রহণ করে।

🌾 ৩️⃣ সার প্রয়োগ (ফুল আসার প্রস্তুতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ)

নভেম্বর মাসে সার প্রয়োগ করলে গাছের মুকুল শক্ত হয় এবং ফলন বৃদ্ধি পায়।

🔸 প্রতি পূর্ণবয়স্ক গাছে সার পরিমাণ (জৈব ও রাসায়নিক উভয় মিলিয়ে):

সার পরিমাণ প্রয়োগ পদ্ধতি

পচা গোবর সার ১৫–২০ কেজি গাছের চারপাশে মিশিয়ে দিন
ইউরিয়া ২৫০–৩০০ গ্রাম মাটি কুপিয়ে মিশিয়ে দিন
টিএসপি ২৫০ গ্রাম মাটি কুপিয়ে মিশিয়ে দিন
এমওপি ২০০–২৫০ গ্রাম একইভাবে মিশিয়ে দিন
জিপসাম ১০০ গ্রাম মিশিয়ে দিন
দস্তা সালফেট (ZnSO₄) ২৫–৩০ গ্রাম প্রয়োজনে পানিতে গুলে স্প্রে করুন

👉 ছোট গাছে (৩–৫ বছর বয়সে) এই পরিমাণের অর্ধেক দিন।

💧 ৪️⃣ সেচ ব্যবস্থা

মাটি শুষ্ক থাকলে প্রতি ১৫–২০ দিনে একবার হালকা সেচ দিন।

শিকড়ের কাছে জলাবদ্ধতা যেন না হয়।

সেচ দিলে সার গাছ ভালোভাবে শোষণ করতে পারে।

🌿 ৫️⃣ রোগ ও পোকামাকড় দমন

নভেম্বর মাসে কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দেয় 👇

সমস্যা প্রতিকার

🌿পাতা কুঁকড়ে যাওয়া বা ঝরা নিম তেল (৫ মিলি/লিটার পানি) স্প্রে করুন
🌿ছত্রাক বা পাউডারি মিলডিউ ২ গ্রাম কার্বেন্ডাজিম/লিটার পানিতে স্প্রে করুন
🌿শাখায় পিঁপড়া বা মাছি গাছের গোড়ায় গাছের রস না উঠতে পেট্রোলিয়াম জেলি বা আঠালো ফিতা দিন

🌸 ৬️⃣ মুকুল আসার আগের যত্ন (নভেম্বরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের শুরু)

মুকুল আসার আগে গাছে ১% ইউরিয়া দ্রবণ (১০ গ্রাম ইউরিয়া/লিটার পানি) হালকা স্প্রে করুন।

এতে মুকুল শক্ত হয় ও ঝরে যায় না।

পুষ্টি ঘাটতি দেখা দিলে বোর্ন (Boron) স্প্রে (১ গ্রাম/লিটার পানি) দিন।

🌻 ৭️⃣ বিশেষ টিপস

গাছের গোড়ায় মালচ (শুকনো পাতা বা খড়) বিছিয়ে দিন যেন আর্দ্রতা থাকে।

গাছের আশেপাশে মুগ/ডাল জাতীয় ফসল চাষ করলে মাটির নাইট্রোজেন বাড়ে।

গাছের ডালপালা যদি আগের বছর বেশি ফল দিয়েছে, এবার সামঞ্জস্য রাখতে সার একটু বাড়ান।

✅ ৮️⃣ সারসংক্ষেপ (নভেম্বর মাসের মূল কাজ)

কাজ সময় উদ্দেশ্য

☑️ছাঁটাই মাসের শুরুতে রোগ ও পোকা দমন
☑️মাটি ঝুরঝুরে করা মাঝামাঝি শিকড় সক্রিয় করা
☑️সার প্রয়োগ নভেম্বরের মাঝামাঝি ফুলের মুকুল শক্ত করা
☑️সেচ প্রয়োজন অনুযায়ী আর্দ্রতা বজায় রাখা
☑️রোগ দমন স্প্রে শেষ সপ্তাহে মুকুল রক্ষা

#চাষআবাদ #ছাদকৃষি

 #আপনারা_কালোজিরা_কিভাবে_আবাদ_করবেনঃ #আবহাওয়াঃআবহাওয়াশুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই অনুকুল। মেঘাচ্ছন্ন ...
07/11/2025

#আপনারা_কালোজিরা_কিভাবে_আবাদ_করবেনঃ

#আবহাওয়াঃ
আবহাওয়াশুষ্ক ও ঠান্ডা আবহাওয়া কালোজিরা চাষের জন্য খুবই অনুকুল। মেঘাচ্ছন্ন আকাশ রোগবালাইয়ের জন্য অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে। ফুল ফোটার সময় বৃষ্টি হলে কালোজিরার ফলন কমে যায়।

#মাটিঃ
উঁচু ও মাঝারী উঁচু জমি যেখানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়না এমন জমিতে কালোজিরা চাষ করা হয়ে থাকে। দোঁয়াশ থেকে বেলে দোঁয়াশ মাটিতে এ মসলা ভালভাবে জন্মে থাকে। জমিতে পানিসেচ এবং নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা ভাল।

#মৌসুম
বাংলাদেশে রবি মৌসুমে নভেম্বর মাসে কালোজিরার চাষ হয়ে থাকে।

#জমি_তৈরীঃ
সাধারনতঃ ৩-৪ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি ঝুরঝুরা করে এবং আগাছা পরিষ্কার করে জমি তৈরী করা হয়।

#বীজ_বপণের_সময়ঃ
অক্টোবর-নভেম্বর মাসে এর বীজ বপন করা হয়। তবে নভেম্বর মাসের প্রথম- দ্বিতীয় সপ্তাহ বীজ বপনের উত্তম সময়।

#বীজ_বপনের_নিয়মঃ
বিলম্বে বীজ বপন করলে ফলণ কমে যায়। দু'ভাবে এর বীজ বপণ করা যায়।
ক) সমস্ত জমিতে বীজ ছিটানো অথবা
খ) সারি করে সারিতে বীজ ছিটানো যায়। কালোজিরার জন্য সারি থেকে সারির দূরত্ব ১৫ সেমি, বজায় রেখে হাত দিয়ে বীজ বপন করা হয়। বপনের পর বিদা বা মই দিয়ে বীজকে ভালভাবে মাটিতে ঢেকে দিতে হয়।

#বীজের_পরিমানঃ
শতকে ৩০ গ্রাম
বিঘায় ১ কেজি
একরে ৩ কেজি
হেক্টর ৭ কেজি বীজের দরকার।

#সারের_পরিমানঃ

পঁচা গোবর ১০০০ কেজি
ইউরিয়া ২০ কেজি
টিএসপি ১৫ কেজি
পটাশ ১২ কেজি
জিপসাম ১৫ কেজি
জিংক ১ কেজি (আলাদাভাবে)
বোরন ১ কেজি
ম্যাগসার ৫ কেজি

#সার_প্রয়োগ_পদ্ধতিঃ
সম্পূর্ণ পঁচা গোবর সার জমি চাষের সময় দিতে হয়। অর্ধেক পরিমান ইউরিয়া, সম্পূর্ণ পরিমান টিএসপি, পটাশ, জিপসাম, জিংক (আলাদাভাবে), বোরন, ম্যাগসার সার শেষ চাষের আগে জমিতে ছিটিয়ে ভালভাবে মাটিতে মিশিয়ে দিতে হয়। অবশিষ্ট ইউরিয়া সার বীজ বপণের ৪০ দিন পরে উপরি প্রয়োগ, করতে হয়। আগাছা নিড়ানোর পর সার প্রয়োগ করতে হয়। মাটিতে প্রয়োজনীয় রস না থাকলে সার উপরি প্রয়োগের পর পরই সেচ দেয়া ভাল।

#আগাছা_দমনঃ
আগাছা দমন গাছের সঠিক বৃদ্ধি ও ফলন বাড়ানোর জন্য সময় মত আগাছা নিড়ানো ও গাছ পাতলাকরণ অবশ্যই জরুরী। সাধারনতঃ বীজ বপণের ১৫-২০ দিন পর আগাছা নিড়ানো উচিত। একই সাথে উপরে বর্নিত গাছ থেকে গাছের দুরত্ব বজায় রাখার জন্য পাতলা করণ প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। কয়েকটি ধাপে পাতলাকরণ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হয়। এ ফসলের জন্য ২-৩ টি নিড়ানো ও পাতলাকরনের কাজ করাই উত্তম।

#সেচঃ
জমিতে রস না থাকলে বীজ বপনের পর হালকা সেচ দেয়া ভাল। প্লাবন সেচ দিলে বীজ এক জায়গায় জমা হয়ে যেতে পারে। মাটির ধরন ও বৃষ্টির উপর নির্ভর করে জমিতে ২-৩ টি সেচ দেয়া উত্তম।

#রোগবালাইঃ

কালোজিরার জমিতে তেমন একটা পোকা মাকড়ের আক্রমন দেখা যায়না। তবে কিছু ছত্রাকের আক্রমণ লক্ষ্য করা যায়। ছত্রাকের আক্রমন দেখা দিলে রিডোমিল গোল্ড বা ডাইথেন এম-৪৫ নামক ছত্রাক নাশক প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ২-৩ বার ১০ দিন পর পর স্প্রে করা যেতে পারে। এছাড়াও আপডেট পরামর্শ পেতে ছবি সহ ভোটমারী কৃষি ও কৃষি আবহাওয়া তথ্য সেবা গ্রুপ এ পোষ্ট দিয়ে পরামর্শ নিতে পারেন।

ংগ্রহঃ
বীজ বপণের ১৩৫-১৪০ দিনের মধ্যেই কালোজিরা সংগ্রহ করতে হয়। এ সময় গাছ হলদে বর্ণ ধারণ করে। হাত দিয়ে গাছ তোল হয়। সংগ্রহের পর গাছ গুলোকে শুকানোর জন্য রোদে স্তুপাকারে রাখতে হয়।

#মাড়াই_ঝাড়াই_সংরক্ষণঃ
হাত দ্বারা ঘসে কিংবা হালকা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে বীজ বাহির করা হয়। বীজগুলো কুলা দ্বারা পরিষ্কার করা হয় এবং পরে রোদে শুকিয়ে ও ঠান্ডা করে বস্তায় ভর্তি করা হয়। বস্তায় ভর্তি কালোজিরা ঠান্ডা ও শুষ্ক জায়গায় রেখে সংরক্ষণ করতে হয়।

#ফলনঃ
সমস্ত- পরিচর্যা সঠিকভাবে ও সময়মত করলে এ জাতটির ফলন সাধারনতঃ গড়ে হেক্টর প্রতি ১ থেকে ১.২ টন হয়ে থাকে।

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
কালিগঞ্জ লালমনিরহাট

 #আপনারা_মিষ্টিআলু_কিভাবে_আবাদ_করবেন। #জলবায়ুঃ প্রখর সূর্যালোক, গরম রাত ও মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা মেঘলা আবহাওয়ায় মিষ্টি আলু গাছ...
07/11/2025

#আপনারা_মিষ্টিআলু_কিভাবে_আবাদ_করবেন।

#জলবায়ুঃ
প্রখর সূর্যালোক, গরম রাত ও মাঝে মাঝে ঠাণ্ডা মেঘলা আবহাওয়ায় মিষ্টি আলু গাছ ভালো হয়। গাছ খুব ঠাণ্ডা সহ্য করতে পারেনা।

#মাটিঃ
মিষ্টি আলু আবাদের জন্য দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ মাটি উপযুক্ত।
বেলে দোআঁশ মাটি উত্তম তবে ভাল ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সব ধরণের মাটিতে মিষ্টি আলুর চাষ করা যায়। মাটির অম্লতা (pH) ৫.৬ থেকে ৬.০ হলে ভাল। মিষ্টি আলু চাষের জন্য এঁটেল মাটি ভাল নয়। এঁটেল মাটিতে চাষ করলে কন্দ চিকন, লম্বা বা অনিয়মিত আকারের হয় ফলে বাজার মূল্য দারুণভাবে কমে যায়।

#লতা_রোপণের_সময়ঃ
অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত (কার্তিক থেকে মধ্য অগ্রহায়ণ) মিষ্টি আলুর লতা রোপণের উপযুক্ত সময়।

#জাত_পরিচিতিঃ
বারি মিষ্টি আলু-১ (তৃপ্তি) ও
বারি মিষ্টি আলু-২ (কমলা সুন্দরী) বাংলাদেশের সব অঞ্চলে চাষ উপযোগী দুটি উন্নত মানের জাত। এদের জীবনকাল ১৩৫-১৪০ দিন এবং ফলন হেক্টর প্রতি প্রায় ৪০-৪৫ টন । যশোর ও খুলনায় আগাম চাষের জন্য আছে বারি মিষ্টি আলু-৪ ও
বারি মিষ্টি আলু-৫ যাতে উইভিলের আক্রমণ কম কয়।
বারি মিষ্টি আলু-৬ ও
বারি মিষ্টি আলু-৭ জাত দুটির আছে লবনাক্ততা সহনশীল গুনাগুন । এছাড়াও
বারি মিষ্টি আলু-৮ ও
বারি মিষ্টি আলু-৯ নামে আছে খরা সহিষ্ণু জাত
বারি মিষ্টি আলু ১০/১১/১২/১৩/১৪/১৫/১৬/১৭/ মুরাসাকি ও ওয়াকিনা

#জমি_নির্বাচনঃ
সারাদিন রোর্দজ্জ্বল থাকে এমন জমি নির্বাচন করতে হবে।
ছায়াযুক্ত জমিতে ডালের বৃদ্ধি বেশি হয়। মিষ্টিআলু কম হয়। তাই আলো বাতাস চলাচল করে এমন জমি উপযুক্ত।

#জমি_তৈরিঃ
জমি ৩-৪ টি চাষ দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে। গোল আলু চাষের মতই জমি তৈরি করতে হবে যাতে মাটি নরম থাকে।

#লতা_রোপণ_পদ্ধতিঃ
মিষ্টি আলুর লতার কাটিং সমতল বেডে বা উঁচু ভেলি পদ্ধতিতে রোপণ করা যায়। তবে উঁচু ভেলি পদ্ধতিতে ফলন বেশি হয়। সাধারণত চরাঞ্চলে এবং সেচবিহীনভাবে চাষ করলে সমতল জমিতে ফারো করে লতার কাটিং লাগানো হয়।
#রোপন_দুরত্বঃ
সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেমি, (২ ফুট) এবং
চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩০ সেমি (১ ফুট)। লতার অগ্রভাগ মাটির উপরে রেখে দুই থেকে তিনটি পর্ব সমান্তরালভাবে মাটির ৪ থেকে ৮ সেমি নিচে পুতে দিতে হবে।

চারা ভালভাবে না লাগা পর্যন্ত প্রয়োজনানুসারে ১-২ দিন পর পর সেচ দেয়া উচিত।

#বংশবিস্তারের_জন্য_লতা_নির্বাচনঃ
মিষ্টি আলু সাধারণত লতার কাটিং এর মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হয়। রোগ জীবাণু মুক্ত সুস্থ, সবল, পরিপক্কা লতা হতে কাটিং প্রস্তুত করা হয়। লতার কাটিং এর দৈর্ঘ্য ২৫-৩০ সেমি (প্রায় ১ ফুট) হওয়া উচিত যাতে ২-৩ টি পর্ব বিদ্যমান থাকে। মিষ্টি আলুর লতার প্রথম কাটিং সর্বোত্তম ও ফলন বেশি দেয়।

#সারের_পরিমাণঃ
বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে সারের পরিমান
গোবর বা খামারজাত সার ২০০০ কেজি
ইউরিয়া ৩০ কেজি
টিএসপি ৩০ কেজি
এমওপি ২৫ কেজি
জিপসাম ১৫ কেজি
জিংক সালফেট ১.৫ কেজি
বরিক এসিড ১ কেজি
ম্যাগসার ৫-১০ কেজি

সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
সম্পূর্ণ গোবর বা খামারজাত সার, টিএসপি, জিপসাম, ম্যাগসার, জিংক সালফেট ও বরিক এসিড এবং অর্ধেক ইউরিয়া ও অর্ধেক এমওপি সার শেষ চাষের সময় জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

বাকি অর্ধেক ইউরিয়া ও এমপি রোপণের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে সারির পার্শ্বে (সারি থেকে উভয় দিকে ১০ সেমি দূরে) ফারো তৈরি করে প্রয়োগ করা উত্তম। সারের উপরি প্রয়োগের পর পরই গাছের গোড়ায় অল্প পরিমাণে মাটি উঠিয়ে দিয়ে সেচ দেওয়া প্রয়োজন। চরাঞ্চলে বা সেচবিহীনভাবে চাষ করলে উপরোক্ত রাসায়নিক সার শতকরা ১০-১২ ভাগ কমিয়ে একসঙ্গে জমি প্রস্তুতির শেষ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে।

#পানি_সেচঃ
মিষ্টিআলুর গাছ মাটিতে লেগে গেলে ৩০ দিন, ৬০ দিন ও ৯০ দিন পর ৩ বার সেচ দেয়া উচিত।

#পানি_নিষ্কাশনঃ
অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সময়মতো পানি সেচ মিষ্টি আলুর ফলন এবং বাজার জাতকরণের উপযোগী কন্দমূলের সংখ্যা, ওজন ও গুণাগুণ বৃদ্ধি করে।

#আগাছা_ব্যবস্থাপনাঃ
মিষ্টি আলু দ্রুত বর্ধনশীল ফসল এবং এটি দ্রুত মাটিকে ঢেকে ফেলে এবং আগাছাকে অবদমিত করে। তবুও গাছের বৃদ্ধির প্রাথমিক পর্যায়ে আগাছা দমন করা জরুরি। ভাল ফলনের জন্য চারা রোপণের পর এবং সারির উপরি প্রয়োগের আগে কমপক্ষে একবার আগাছা দমন করা অত্যাবশ্যক।

#ভেলি_তোলাঃ
কাটিং বা কলম লাগানোর মাস খানেক পর সারির মাঝখান থেকে মাটি তুলে গাছের গোঁড়ায় তুলে উঁচু করে ভেলি বেঁধে দিতে হবে। এতে উপকার পাওয়া যাবে এবং কন্দ গঠন ভালো হবে।

#লতা_নাড়ানোঃ
চারা রোপণের ৫০-৬০ দিন পর থেকে মাসে অন্তত একবার লতা নেড়ে চেড়ে দিতে হবে। এতে মিষ্টি আলুর পর্ব থেকে শিকড় গজানো তথা বাজারজাত অনুপযোগী কন্দমূল উৎপাদন এড়ানো সম্ভব হয় এবং ফলশ্রুতিতে কন্দের আকার ও ফলন বৃদ্ধি পায়।

্তোলনঃ
চারা রোপণের ১২০ থেকে ১৪০ দিন পর কন্দমূল উত্তোলন উপযোগী হয় তবে ১৬০ দিনের বেশি রাখলে শাঁস আঁশযুক্ত হয়। মাটির সাধারণ ‘জো’ অবস্থায় কোদাল দ্বারা কুপিয়ে মিষ্টি আলু উত্তোলন করা হয়।

#ফলনঃ
উত্তম ব্যবস্থাপনায় উচ্চফলনশীল মিষ্টি আলুর জাতগুলোর ফলন ৩৫-৪০ টন/হেক্টর হয়ে থাকে।

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
কালিগঞ্জ লালমনিরহাট

✅কোন সারের কি কাজে চলুন জেনে নেই......✅ #️⃣ ইউরিয়া সার:👉 গাছের ডাল-পালা, কান্ড ও পাতার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।👉 পাতাকে গাঢ় সব...
07/11/2025

✅কোন সারের কি কাজে চলুন জেনে নেই......

✅ #️⃣ ইউরিয়া সার:
👉 গাছের ডাল-পালা, কান্ড ও পাতার দ্রুত বৃদ্ধি ঘটায়।
👉 পাতাকে গাঢ় সবুজ করে তোলে, ক্লোরোফিল তৈরিতে সহায়ক।
👉 গাছের প্রোটিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

✅ #️⃣ টিএসপি/ডিএপি (ফসফেট সার):
👉 গাছের প্রাথমিক বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে।
👉 মূল গঠনে সাহায্য করে, ফুল ও ফল আসতে সাহায্য করে।
👉 ফলের পরিপক্বতা দ্রুত ঘটায়।

#️⃣ ✅পটাশ (এমপি সার):
👉 ক্লোরোফিল তৈরিতে সহায়তা করে, শর্করা চলাচলে সাহায্য করে।
👉 গাছকে করে রোগ প্রতিরোধী ও খরা সহনশীল।
👉 নাইট্রোজেনের কার্যকারিতা বাড়ায়।

✅ #️⃣ জিপসাম সার:
👉 সালফার সরবরাহ করে যা নাইট্রোজেন শোষণে সহায়ক।
👉 প্রোটিন ও তেল তৈরিতে সাহায্য করে।
👉 ভিটামিন ও কো-এনজাইম তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

✅ #️⃣ জিংক সালফেট:
👉 প্রোটিন তৈরিতে সাহায্য করে।
👉 গাছের হরমোনের কাজ সক্রিয় করে।

✅ #️⃣ বোরন সার:
👉 ফুল ও ফলের বিকৃতি রোধ করে।
👉 ফল ধারণে সহায়তা করে।
👉 তেল জাতীয় ফসলে ১৯.৮%–২৩% পর্যন্ত ফলন বৃদ্ধি করে!

✅ সঠিক সময়ে সঠিক সার প্রয়োগ করলে গাছ থাকবে সুস্থ, সবল এবং ফলন হবে দ্বিগুণ।

 #মরিচের_ব্যাকটেরিয়াল_উইল্ট_রোগ_দমনে_পরামর্শ:১) রোগ দেখার সাথে সাথে সাথে সাথে "বিসমার্থিওজল"গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্য...
07/11/2025

#মরিচের_ব্যাকটেরিয়াল_উইল্ট_রোগ_দমনে_পরামর্শ:

১) রোগ দেখার সাথে সাথে সাথে সাথে "বিসমার্থিওজল"গ্রুপের ব্যাকটেরিয়ানাশক ব্যাকট্রোবান, অটোব্যাক, রাদি ৩ গ্রাম / লিটার #অথবা

বিসমার্থিওজল +কাসুগামাইসিন গ্রুপের কিমিয়া ২ গ্রাম / লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে #অথবা

কাসুগামাইসিন গ্রুপের কাসুমিন, নেকসুমিন ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করবেন।

২) আক্রান্ত জমিতে সেচ বন্ধ রাখুন রোগ নিয়ন্ত্রণে না আসা পর্যন্ত।

৩) আক্রান্ত গাছ জমি থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে এবং পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

৪) আক্রান্ত জমিতে পরবর্তীতে মরিচ চাষ না করে অন্য ফসল চাষ করে তারপর মরিচ চাষ করুন (শস্য পর্যায় অবলম্বন করুন)।

৫) সুষম মাত্রায় সার ব্যবহার করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৬) চাষের শুরুতে প্রতি ১০ শতকে ৪০ কেজি ডলোচুন ব্যবহার করুন।

মোঃ আক্তার হোসেন
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
কোম্পানীগঞ্জ ,সিলেট।

🪴🌿ছাদকৃষির জন্য ১২ টি পরামর্শ🟡🟢ছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল, কেউবা সবজির গাছ লা...
07/11/2025

🪴🌿ছাদকৃষির জন্য ১২ টি পরামর্শ🟡🟢
ছাদ বাগানীদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। টবে, ড্রামে গাছ লাগানো হয়। কেউ ফল, কেউবা সবজির গাছ লাগান। কেউ সফল হন। কেউ সফল হন না। ছোট ছোট কিছু ভুল বাগানীরা করে থাকেন। সে কারণে যত্ন নিলেও ফল আসে না। এখানে ছাদ বাগানীদের জন্য কিছু টিপস দেয়া হলো, যা মানলে সফলতা পাওয়া সহজ হতে পারে।

প্রথমেই মনে রাখতে হবে, টবে বা ড্রামে গাছ লাগালে তাকে খাবার দিতে হবে। প্রকৃতিতে বিদ্যমান গাছের মতো সে খাবার সংগ্রহ করতে পারে না। রোগ-বালাই হলো কিনা সেটাও বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে। ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে।

১. মাটির সাথে অবশ্যই কিছু কোকোপিট মেশাবেন। গাছের গোড়া স্যাতস্যাতে হতে দিবেন না। স্যাতস্যাতে হলে অসংখ্য রোগ হবে। মাটি ভেজা থাকবে তবে স্যাতস্যাতে না। কেকোপিট মেশালে পানি কম দিলেও হবে। কোকোপিট (নারকেলের ছোবলার গুড়া) পানি ধরে রাখে। অতি বৃষ্টি হলে গোড়ায় পানি জমতে দেয় না। হালকা হওয়ায় ছাদে ওজনের চাপ পড়ে না। এছাড়া কোকোপিটে কিছু পুষ্টি উপাদান আছে। যা গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। কোকোপিটে চারা দ্রুত গজায়, বড় হয়। মাটির চেয়ে কোকোপিটে চারা ভালো হয়।

২. গাছের জন্য বিরিয়ানি হলো সরিষার খৈল-পচা পানি। মাটির হাড়িতে খৈল পচাতে হবে। কমপক্ষে ৫ দিন। ৭ দিন কিংবা বা ১৫ দিন হলে উত্তম। অল্প পানিতে পচিয়ে তার সাথে আরো পানি মিশিয়ে দিতে হবে। এটি গাছের জন্য অত্যন্ত উপকারী। একটু গন্ধ হয়, তাই অল্প একটু গুড় দিতে পারেন। ছাদে হাড়িতে পচালে বাসায় গন্ধ আসবে না। বৃষ্টির সময় খৈল-পচা পানি দেবেন না। পুকুরের নিচে থাকা পাক কাদা গাছের জন্য খুব উপকারী।

৩. আমরা জানি, মাটিতে অসংখ্য ক্ষতিকর ছত্রাক থাকে। যা গাছকে মেরে ফেলার জন্য যথেস্ট। তাই মাটি রেডি করার সময় কিছুটা বায়োডামা সলিট দিবেন। এটি উপকারী ছত্রাক। মাটিতে ক্ষতিকারক উপাদানগুলো মেরে ফেলে। আবার জৈব সারের কাজও করে। গাছের জন্য মাটি হবে ঝুরঝুরে, হালকা।

৪. যাই লাগান না কেন, ভালো জাতের বীজ কিনা নিশ্চিত হয়ে নেবেন। ভালো বীজে ভালো ফসল হবে। নতুবা যতই যত্ন নেন না কেন, সব পরিশ্রম বেলাশেষে জলে যাবে। বীজ থেকে নিজে চারা করা উত্তম। কারণ বাজার থেকে যে চারা কিনবেন সেটার জাত ভালো হবে সে নিশ্চয়তা কোথায়? ছত্রাকনাশক দিয়ে বীজ শোধন করে নেয়া উত্তম। পদ্ধতি হলো- ছত্রাকনাশক দেয়া পানিতে কিছুটা সময় বীজ ভিজিয়ে রাখতে হবে। ম্যানসার, মেটারিল দুটি ছত্রাকনাশক।

৫. গাছ বেশি তো ফলন বেশি- এটি ভুল ধারণা। অল্প জায়গায় বেশি গাছ লাগানো যাবে না। গাছ পাতলা করে লাগাতে হবে। বেশি লাগালে গাছ প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে না। একটি ফলের ক্রেটে মাত্র দুটি গাছ। একটি টবে একটি গাছ। ক্রেট বা টবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৬. ছাদে মাচা দেয়া সমস্যা। কারণ ঘুঁটি থাকে না। এ জন্য ফলের ক্রেটের চারপাশে লাঠি বেঁধে সহজে মাচা দেয়া যায়। লতাপাতা জাতীয় গাছ লাগানোর পাত্র একটু গভীর হলে উত্তম। গাছের জন্য সবচেয়ে বেশি ভালো জৈব সার হলো পাতা-পচা সার, তারপর ভার্মি কম্পোস্ট, তারপর গোবর সার। পাতা-পচা সার সহজলভ্য নয়। দাম বেশি। কিন্তু ভার্মি কম্পোস্ট সহজলভ্য। মাটির সঙ্গে মিনিমাম ৪০% জৈব সার দেয়া উত্তম।

৭. নিম কীটনাশককে ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় খুব অপছন্দ করে। এটি দিলে তারা বিরক্ত বোধ করে। গাছে বাসা বাঁধতে পারে না। প্রতি সাত দিনে একবার সব গাছের পাতায় নিম কীটনাশক স্প্রে করতে হবে। মাসে একবার ইপসম সল্ট স্প্রে করে দেয়া উত্তম। একইভাবে মাসে একবার পানির সঙ্গে হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড মিশিয়ে স্প্রে করা ভালো।

৮. ডাটা, পুইশাক, লালশাক, ধনেপাতা এসব লাগাতে পারেন। মাত্র ২৫ দিনে খেতে পারবেন। লালশাক লাগালে নেট দিয়ে ঘিরে দেবেন। শাকপাতা লাগালে দ্রুত আউটপুট পাবেন। যা আপনাকে প্রেরণা দেবে। পুইশাক গাছের পাতায় দাগ হলে পাতা কেটে দিন। অথবা ছত্রাকনাশক স্প্রে করেন। অথবা গাছ উঠিয়ে আবার লাগান। ইউরিয়া সার দিলে পুইশাক দ্রুত বাড়বে। শশা গাছের বৃদ্বির জন্য ডিএপি সার দিলে ভালো হবে। শশা গাছে ছাড়া ছাড়া ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হয়। খুব রোদ, গাছের গোড়ায় মালচিং করে দিয়ে উত্তম ফল মিলবে। মালচিং হলো গাছের গোড়ায় বিশেষ পলিথিন কিংবা শুকনো পাতা, খড় দিয়ে ঢেকে দেয়া।

৯. ফুল আসার পরে প্রানোফিক্স অথবা মিরাকুরান গাছের পাতায় শেষ বিকালে স্প্রে করবেন। বাসায় দুইটি গ্রুপের ছত্রাকনাশক রাখা ভালো। যেমন- ম্যানসার, মেটারিল। ১৫ দিনে একবার স্প্রে করবেন। এগরোমিন্ড গোল্ড অনুখাদ্য বা অন্য কোনো অনুখাদ্য বাসায় রাখতে হবে। মাসে কমপক্ষে একবার স্প্রে করবেন। অতিরিক্ত গরম, বৃষ্টি, খাদ্যের অভাব, গাছ রোগাক্রান্ত, আবহাওয়া দ্রুত আপডাউন করা ইত্যাদি কারণে ফুল ঝরে পড়তে পারে। আবার পরাগায়ন না হলে ঝরে পড়তে পারে। এ জন্য হাতের মাধ্যমে পরাগায়ন করতে হবে। পুরুষ ফুলের পরাগদণ্ড নারী ফুলে গর্ভে ঘষে দিতে হবে।

১০. ছাদ বাগানে গাছ মারা যাওয়ার অন্যতম কারণ পানি বেশি বা কম দেয়া। যতটুকু লাগে ঠিক ততটুকু পানি দিতে হবে। কোন গাছের কি চাহিদা, রোগ একটু স্টাডি করলে সহজে সফল হতে পারবেন।

১১. গাছের পাতার নিচে খেয়াল করবেন। বেগুন গাছের পোকা মারার জন্য সেক্স ফোরেমান ফাঁদ লাগাবেন। ডগা ছিদ্র বা ফল ছিদ্র হলে সাইপারমেত্রিন গ্রুপের কীটনাশক দিতে হবে। একটি বেগুন গাছ অনেক দিন ফল দেয়। ঢেড়স গাছ বেশি রোদ পড়ে এমন জায়গায় লাগাবেন। বেগুন, ঢেড়স, লালশাক, পুইশাক, ধনেপাতা, ডাটা শাক- এসব গাছের খুব যত্ন করতে হয় না।

১২. রসুন আর লবঙ্গ বেটে সেই পানি গাছে স্প্রে করলে পোকা কম আসবে। মরিচ গাছে নেপথলিন বেঁধে দিন, পোকা কম আসবে। পাতা কোকড়ালে ভার্মিটেক কিংবা এবোম কীটনাশক দিন। কোকড়ানো পাতা ফেলে দিন। মরিচ গাছে দশ দিন পর পর ডায়মেথট গ্রুপের (যেমন টাফগর) কীটনাশক দিলে উপকার হবে। সবকিছু করছেন, তারপরও কাজ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে গাছের জায়গা বদল করেন, উঠিয়ে অন্যত্র লাগান।
*যেকোন প্রকার বাগান বিষয়ক সেবার জন্য, যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে।

♦️*ছাদ বাগান টিপস ও কৃষি পরামর্শ পেতে পেইজটি লাইক ফলো দিয়ে যুক্ত হন আমাদের সাথে,ধন্যবাদ।

🌱 শাহী পেঁপে চাষের সহজ গাইড (১ বিঘা/২০ কাঠা) 🌱কম খরচে বেশি লাভ করুন! 🚀আপনার জমিতে ১ বিঘা (২০ কাঠা) শাহী পেঁপে চাষ শুরু ক...
07/11/2025

🌱 শাহী পেঁপে চাষের সহজ গাইড (১ বিঘা/২০ কাঠা) 🌱
কম খরচে বেশি লাভ করুন! 🚀

আপনার জমিতে ১ বিঘা (২০ কাঠা) শাহী পেঁপে চাষ শুরু করতে চাইছেন? জানুন সঠিক পদ্ধতি, সার-সেচ এবং কীটনাশকের সহজ নিয়ম:

➡️ জমি প্রস্তুতি ও চারার দূরত্ব:

জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে নিন।

প্রতি চারা ১.৮ মিটার দূরে রোপণ করুন।

১ বিঘায় প্রায় ৪০০ চারা লাগবে।

➡️ মাদা তৈরির নিয়ম:
৫০x৫০x৫০ সেমি গর্তে ১০ কেজি গোবর সার + ১০০ গ্রাম টিএসপি মিশিয়ে ১৫ দিন রেখে চারা রোপণ করুন।

➡️ সার প্রয়োগ:

জৈব সার: ৪ টন (মাদা তৈরির সময়)

টিএসপি: ৪০ কেজি (চারা রোপণের সময়)

ইউরিয়া: ৬০ কেজি (৩ কিস্তিতে)

এমওপি: ৪০ কেজি (ফল ধরার শুরুতে)

➡️ সেচ ও পরিচর্যা:

গ্রীষ্মে ৫-৭ দিন পর সেচ দিন।

বর্ষাকালে পানি জমে না থাকার ব্যবস্থা রাখুন।

ফল ধরার পর সপ্তাহে ১ বার সেচ দিন।

➡️ রোগ ও কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ:

পাউডারি মিলডিউ, অ্যানথ্রাকনোজ, পেঁপে রিংস্পট ভাইরাসের উপযোগী স্প্রে করুন।

আক্রান্ত গাছ দ্রুত নষ্ট করুন।

প্রয়োজনমতো কীটনাশক প্রয়োগ করুন।

➡️ ফল সংগ্রহ:

চারা রোপণের ৫-৬ মাস পর ফল পাওয়া যাবে।

ফলের গায়ে হালকা হলুদ রং দেখা দিলে সংগ্রহ শুরু করুন।

আপনার স্বপ্নের ফসল শাহী পেঁপে! এখনই শুরু করুন, বাড়ান আয়! 🌟

 #আগাম_ভূট্টা_কিভাবে_আবাদ_করবেন #উপযুক্ত_জমি/মাটি: বেলে ও ভারি এটেল মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে ভূট্টা আবাদ করা যায়। তবে প...
07/11/2025

#আগাম_ভূট্টা_কিভাবে_আবাদ_করবেন

#উপযুক্ত_জমি/মাটি:
বেলে ও ভারি এটেল মাটি ছাড়া সব ধরনের মাটিতে ভূট্টা আবাদ করা যায়। তবে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা যুক্ত বেলে দোআঁশ ও দোআঁশ মাটি ভূট্টা আবাদের জন্য উত্তম। নিচু রসালো জমিতে ভূট্টা আবাদ না করাই ভালো।

#বীজ_বপনের_সময়ঃ
মধ্যে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। ভূট্টার বীজ বপনের উপযুক্ত সময়।

#জাত_নির্বাচনঃ
বর্তমানে কৃষক পর্যায়ে আবাদকৃত সর্বাধিক উচ্চ ফলনশীল জনপ্রিয় ভূট্টার জাত সমূহ

বিঘা প্রতি ৩৩ শতকে শুকনো গড় ফলন। (পরিচর্যার উপর ভিত্তি করে ফলন কম বেশি হতে পারে)

নারিশ সীডসঃ
#নারিশ৫৫

#পেট্রোকমঃ
পায়োনিয়ার-৩৩৫৫ বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫ মন)
পায়োনিয়র-৩৩৭৬ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#রাফিদ_সীডসঃ
বিজয়-৭১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
মহান-২১(বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
পদ্মা-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)

#রাসেল_সীডসঃ
সম্রাট (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#তিস্তা_সীডসঃ
ডালিয়া-৪৪৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪১ মন)
সিভাম-২৩৯ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#জামাল_সীডসঃ
মন্ডল- ৩৫ বি ৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৩ মন)
পারফেক্ট ৩০ বি ৫১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫ মন)

#ব্রাদার্স_সীডসঃ
রূপসী বাংলা-৬৬৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)

#বিজোতা_সীডসঃ
বিরাট-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#ব্রাক_সীডসঃ
যুবরাজ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)

#আলফা_সীডসঃ
রকেট-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#ব্যবিলনঃ
সুপার-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
বাজিমাত (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#বায়ারঃ
ডিকাল্ব ৯২১৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৩৮-৪০ মন)
ডিকাল্ব- ৯১৬৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)

#ইস্পাহানিঃ
লাকী-৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)

#এসিআইঃ
ডন-১১১ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ডিসকোভার-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)
ডিসকোভার-৭৭৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪১ মন)

#অটো_ক্রপ_কেয়ারঃ
আলাস্কা (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)
ফ্যালকন (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#ইউনাইটেডঃ
ইউরেকা (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ইউনাইটেড-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২মন)

#লালতীরঃ
টারজান-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪৫-৪৬ মন
PAC-339 (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
GT-822 (বিঘা প্রতি ফলন: ৪২-৪৫)
সুলতান (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৩ মন)

#নাবা_সীডসঃ
নাবা-৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#থ্রিএসএগ্রোঃ
দূর্জয়-৫৫৭৭ (বিঘা প্রতি ফলন: ৩৮-৪০ মন)
তান্ডব (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)

#সরকার_এগ্রোঃ
সম্পদ-৯১৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪৫ মন)

#দেশ_জেনেটিকঃ
জয়-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)

#ফজলু_সীডঃ
ফাইজা-৫৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০-৪২ মন)
ফাতেমা-২৫৫ (বিঘা প্রতি ফলন: ৪০ মন)

#বীজহার/বীজের পরিমাণ:
হেক্টর: ২১ কেজি (২৪৭ শতকে)
বিঘায়: ২.৮ কেজি (৩৩ শতকে)
শতকে: ৮৫ গ্রাম

#বীজ_শোধনঃ
ভূট্টার ফল আর্মি ওয়ার্ম পোকা দমনে ফরটেনজা প্রতি কেজি ভূট্টার বীজে ২.৫০ মিলি হারে সাথে ১০ মিলি পানি দিয়ে বীজ
মিশিয়ে নিবেন। বীজ শোধনের ৮-১২ ঘন্টা পরে বীজ রোপন করা উত্তম।
#বীজ_বপনঃ
ভুট্টা বীজ সারিতে বুনতে হয়৷ সারি থেকে সারির দূরত্ব ৬০ সেন্টিমিটার বা ২৪ ইঞ্চি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ২৫ সেন্টিমিটার বা ১০ ইঞ্চি

#বীজের_গভীরতাঃ
ভূট্টার বীজ ২-৩ সে: মি: গভীরতায় রোপন করতে হবে।

#বীজ_রোপন_পদ্ধতিঃ
সারিতে রশি টেনে হাত দিয়ে বীজ রোপন করলে সর্বোচ্চ সংখ্যক চারা গজায় এতে বীজ গজাতে মাটির ঢেলা বাধা গ্রস্ত হয় না।
#সার ব্যবস্থাপনাঃ
ভুট্টা গাছের পুষ্টি চাহিদা অনেক বেশি৷ এজন্য অধিক ফলন পেতে হলে ভুট্টা জমিতে সুষম সার দিতে হয়৷

#সারের পরিমাণ শতকে
১/ ইউরিয়া ২.৩০ কেজি
২/ টিএসপি ১.৪০ কেজি
৩/ এমপি ১ কেজি
৪/ জিপসাম ৮০০ গ্রাম
৫/ জিংক সালফেট ৪৮ গ্রাম
৬/ বোরন ৪০ গ্রাম
৭/ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ২০০ গ্রাম
জমির ধরন অনুযায়ী কম/বেশি হতে পারে
৮/ গোবর ৪০ কেজি

#সারের পরিমাণ (বিঘা প্রতি = ৩৩ শতকে)
১/ ইউরিয়া ৭৬ কেজি
২/ টিএসপি ৪৬ কেজি
৩/ এমওপি ৩৩ কেজি
৪/ জিপসাম ২৬.৪ কেজি
৫/ জিংক সালফেট ১.৫০ কেজি
৬/ বোরন ১.৩০ কেজি
৭/ ম্যাগনেশিয়াম সালফেট ৬.৬০ কেজি
৮/ গোবর ১৩২০ কেজি

#টিএসপি সারের পরির্বতে ডিএপি সার ব্যবহার করলে ৪০% ইউরিয়া সার কম প্রয়োগ করতে হবে।

#সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ
এক-তৃতীয়াংশ ইউরিয়া এবং অন্যান্য সারের সবটুকু জমি তৈরির শেষ চাষের আগে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে। বাকি ইউরিয়া দুই কিস্তিতে জমিতে প্রয়োগ করতে হবে

#প্রথম কিস্তি ইউরিয়া সার ৮-১০ পাতা পর্যায়ে
#দ্বিতীয় কিস্তি ইউরিয়া সার ৮০-৮৫ দিনে। পুরুষ ফুল ফোটা পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে

#আগাছাঃ
ভূট্টার জমি সবসময় আগাছা মুক্ত রাখতে ভালো। তবে বীজ বপনের ৩০-৪০ দিন পর্যন্ত ভূট্টা ক্ষেত অবশ্যই আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।

#সেচ_ব্যবস্থাপনাঃ
#প্রথম সেচঃ
বীজ বপনের ২০- ২৫ দিনের মধ্যে (৩-৫ পাতা পর্যায়ে)

#দ্বিতীয়_সেচঃ
বীজ বপনের ৪৫-৫০ দিনের মধ্যে (৮-১০ পাতা পর্যায়ে)

#তৃতীয়_সেচঃ
বীজ বপনের ৮০-৮৫ দিনের মধ্যে (পুরুষ ফুল আসার সময়)

#চতুর্থ_সেচঃ
বীজ বপনের ১০০-১১০ দিনের মধ্যে (দানা বাঁধার পর্যায়ে) সেচ দিতে হবে৷

#পোকাঃ
#কাটুই পোকাঃ চারা অবস্থায় কাটুই পোকার আক্রমণ করে থাকে- (ক্লোরোপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) গ্রুপের কীটনাশক নাইট্রো৫০৫ ইসি/সেতারা ৫৫ ইসি/ক্লোরোসাইরিন৫৫ ইসি/এসিমিক্স ৫৫ ইসি যে কোন একটি কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি হারে মিশিয়ে সন্ধ্যায় স্প্রে করে দিবেন।

্মি_ওয়ার্ম_পোকাঃ
কুশির ভিতরে পাতা খেয়ে মল ত্যাগ করে থাকে এ পোকা- ফউলিজেন/সাকসেস/বায়ো স্পিনোসেড/বায়ো বিটিকে/ যে কোন একটি কীটনাশক স্প্রে করতে পারেন।

#রোগঃ
#পাতা_ঝলসানো_রোগ:
পাতা ঝলসে বা পুড়ে যাওয়ার মত হলে প্রপিকোনাজল গ্রুপের ছত্রাকনাশক টিল্ট/প্রোটেন্ট/প্রাউড/সাদিদ যে কোন একটি বালাইনাশক প্রতি লিটার পানিতে ১ মিলি হারে মিশিয়ে স্প্রে করে দিবেন।

#ফিউজেরিয়াম_স্টক_রট:
কান্ডের ভিতরে বা গোড়ায় শিকড়ে কালো দাগ পড়ে এমন হলে বিঘা প্রতি ১০-১৫ কেজি পটাশ সার দিবেন এবং কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক স্প্রে করে দিবেন

#বিশেষ_দ্রষ্টব্যঃ
#ভুট্টার ফুল ফোটা ও দানা বাঁধার সময় কোনো ক্রমেই যেন পানির স্বল্পতা এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়।

#বীজ রোপনের ৩০ দিনের মধ্যে জমি থেকে অতিরিক্ত চারা তুলে ফেলতে হবে।

#চারার বয়স ১ মাস না হওয়া পর্যন্ত আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
#জমি বা মাটির ধরন অনুযায়ী সেচের সংখ্যা বেশি হতে পারে।
#ডলোচুন শতকে চার কেজি হারে প্রয়োগ করলে ম্যাগনেশিয়াম সালফেট প্রয়োগ করার দরকার নেই।

#এছাড়াও
ভূট্টার জমিতে যে কোন ধরনের সমসাময়িক রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে দ্রুত আপনার নিকটস্থ উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/উপজেলা কৃষি অফিসে পরামর্শের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা এই গ্রুপে ছবি সহ পোষ্ট করতে পারেন।

মোঃ ফরিদুল ইসলাম
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা
কালিগঞ্জ, লালমনিরহাট।

🌾 চাল থেকে তৈরি প্রাকৃতিক সার! 🌱একদম সহজ, কম খরচে ও ১০০% প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের পুষ্টি বাড়ান 💚---🪴 ধাপে ধাপে তৈরি পদ্ধতি👇...
06/11/2025

🌾 চাল থেকে তৈরি প্রাকৃতিক সার! 🌱
একদম সহজ, কম খরচে ও ১০০% প্রাকৃতিক উপায়ে গাছের পুষ্টি বাড়ান 💚

---

🪴 ধাপে ধাপে তৈরি পদ্ধতি👇

১️⃣ একটি পাত্রে ১০০ গ্রাম চাল নিন।
২️⃣ এতে ১ লিটার পানি যোগ করুন।
৩️⃣ ২৪ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন — এতে চাল থেকে স্টার্চ, ভিটামিন বি, নাইট্রোজেন, ফসফরাস, ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম বের হবে।
4️⃣ ২৪ ঘণ্টা পর ভালোভাবে নেড়ে ছেঁকে নিন।
৫️⃣ চাল ফেলে দেবেন না! এটি মাটিতে মিশিয়ে ঠোস সার হিসেবে ব্যবহার করুন।
৬️⃣ ছেঁকে নেওয়া পানিটা ১ কাপ চালের পানি : ১০ লিটার সাধারণ পানি অনুপাতে মিশিয়ে নিন।
৭️⃣ এই মিশ্রণটি দিয়ে গাছে পানি দিন বা পাতায় স্প্রে করুন। 🌿

---

🔁 প্রয়োগের নিয়ম

প্রতি দুই সপ্তাহে একবার এই সার ব্যবহার করুন।
👉 অতিরিক্ত পুষ্টির জন্য গাছের গোড়ায় অল্প কফির গুঁড়া ছিটিয়ে দিতে পারেন — এতে মাটি আরও উর্বর হবে ও গাছ হবে শক্ত। ☕

---

🌸 ফলাফল

আপনার গাছ হবে আরও সবুজ, স্বাস্থ্যবান ও ফুলে-ফলে ভরপুর! 🌼
কোনও রাসায়নিক ছাড়াই সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক যত্নে আপনার বাগান থাকবে সতেজ ও সুন্দর 🍃

🌿🌾🌸

🌿লতিরাজ কচু চাষ — কৃষকের লাভজনক সবুজ ফসল লতিরাজ কচু বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি লতি জাত, যা খেতে সুস্বাদু, বাজারে চাহিদাসম্...
06/11/2025

🌿লতিরাজ কচু চাষ — কৃষকের লাভজনক সবুজ ফসল

লতিরাজ কচু বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি লতি জাত, যা খেতে সুস্বাদু, বাজারে চাহিদাসম্পন্ন এবং চাষে অত্যন্ত লাভজনক। যারা ছাদ বাগান, পুকুরের পাড় বা জমিতে কম পরিশ্রমে ভালো আয় করতে চান — তাদের জন্য লতিরাজ কচু চাষ হতে পারে সেরা পছন্দ!

🗓️ চাষের উপযুক্ত সময়:

ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত রোপণের সেরা সময়।
রোপণের ৪–৫ মাস পর থেকেই লতি তোলা শুরু করা যায় এবং টানা ৬–৮ মাস পর্যন্ত লতি সংগ্রহ করা সম্ভব।

🌾 জমি ও প্রস্তুতি:
• দোআঁশ বা এঁটেল দোআঁশ মাটি সবচেয়ে উপযোগী।
• হালকা জলাবদ্ধ জমি হলে ভালো ফলন পাওয়া যায়।
• জমি ২–৩ বার চাষ দিয়ে ঝুরঝুরে করে উঁচু বেড তৈরি করুন।
• বেডের মাঝে নালা রাখলে পানি নিষ্কাশন সহজ হয়।

🌱 চারা ও রোপণ:
• মূল গুটি বা গাঁট থেকে চারা তৈরি করুন।
• সারির দূরত্ব ৬০ সেমি এবং গাছের দূরত্ব ৪৫ সেমি রাখুন।
• রোপণের পর হালকা সেচ দিন যাতে জমি আর্দ্র থাকে।

🌿 সার ব্যবস্থাপনা (প্রতি হেক্টরে):
সার পরিমাণ
গোবর বা জৈব সার১০–১২ টন
ইউরিয়া২৫০ কেজি
টিএসপি১৫০ কেজি
এমওপি২০০ কেজি
👉 ইউরিয়া ও এমওপি ২–৩ ধাপে ভাগ করে প্রয়োগ করলে গাছ ভালো বাড়ে।

💧 সেচ ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ:
• জমি সবসময় আর্দ্র রাখুন কিন্তু স্থায়ী পানি জমতে দেবেন না।
• ২০–২৫ দিন পরপর আগাছা পরিষ্কার ও মাটির উপরিভাগ আলগা করুন।

🐛 রোগ ও পোকার দমন:
• পাতা পোড়া বা শিকড় পচা রোগ হলে আক্রান্ত অংশ তুলে ফেলুন।
• নিমপাতার রস বা জৈব কীটনাশক ব্যবহার করুন।
• ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা রাখলে রোগ অনেকটাই কম হয়।

🥬 ফসল সংগ্রহ:

রোপণের ৪০–৪৫ দিন পর থেকেই লতি সংগ্রহ শুরু করা যায়।
প্রতি ৭–১০ দিন পরপর লতি তুললে ফলন ও গাছের বৃদ্ধি দুটোই বাড়ে।
এক বিঘা জমিতে বছরে প্রায় ২৫–৩০ টন লতি উৎপাদন সম্ভব।

💰 লাভজনক দিক:
• প্রতি বিঘায় খরচ প্রায় ৫০–৬০ হাজার টাকা।
• বিক্রি করে লাভ পাওয়া যায় প্রায় ১–১.৫ লাখ টাকা পর্যন্ত।
• গাছের যত্ন কম, উৎপাদন বেশি — তাই এটি একটি নিশ্চিত আয়মুখী ফসল।

📌 চাষের টিপস:

✅ রোদযুক্ত ও হালকা জলাবদ্ধ জমি নির্বাচন করুন।
✅ নিয়মিত সেচ ও আগাছা পরিষ্কার করুন।
✅ বেশি ফলনের জন্য জৈব সার ব্যবহার করুন।
✅ সময়মতো লতি সংগ্রহ করুন, গাছের বৃদ্ধিও বাড়বে।

🌿 সবার জন্য বার্তা:

লতিরাজ কচু চাষে সফলতা আসে নিয়মিত পরিচর্যা, সঠিক জমি নির্বাচন ও প্রাকৃতিক উপায়ে যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে।
সবুজ হোক কৃষি, সমৃদ্ধ হোক দেশ 🇧🇩।

#লতিরাজকচু #কচুচাষ #লতিকচুচাষ #কৃষিপ্রযুক্তি #কৃষিবাংলা #সবজিচাষ #কৃষিকথা #বাংলাদেশেরকৃষি #লাভজনকচাষ

Address

Chandpur
1230

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Organic Seed posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share