15/05/2025
এই ছেলেকে মাদ্রাসার হুজুররা পি'টিয়ে মে'রে ফেলেছে।
মে'রে ফেলার পরেও তারা বলছিল এটা সুইসাইড!
প্রথমত, এই ছেলেটার অভিভাবকের বিচার হতে হবে আগে, এরপর মাদ্রাসার হুজুরদের।
এসব কওমী মাদ্রাসায় এমন ঘটনা প্রায়ই প্রতিদিনই ঘটে। মরার আগে তো আর নিউজ হয় না। অর্ধমরা বাচ্চাদের নিয়ে কে নিউজ করবে ভাই? অমানবিক নির্যাতন আর ব'লাৎ'কার তো প্রতিদিনের ঘটনা।
একটা ছোট বাচ্চা! মা-বাবাকে ছাড়া তাকে চার দেয়ালের মাঝে বন্দি করে দিলেন!
যে বাচ্চাটার সকালে ঘুম থেকে উঠে মায়ের হাতে খাবার খেয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার কথা,
যে ফিরে এসে আবার মায়ের হাতে ভাত খেয়ে বিকেলে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার কথা,
রাতে এসে মায়ের কোলে ঘুমানোর কথা
সে বাচ্চাটিকে আপনি একটি চার দেয়ালের ঘরে আবাসিকে পাঠিয়ে দিলেন— একঘেয়ে জীবন, বিচ্ছিন্নতা, মানসিক চাপে ঠেলে দিলেন এক অদৃশ্য কারাগারে। কেন?
হুজুরের ব্রেইনওয়াশে? খুব আলেম বানাবেন, তাই না?
একটা বিষয় বুঝতে খুব বেশি কমনসেন্স লাগে না—
একটা বাচ্চা ছেলেকে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহী করতে হলে, সবার আগে তার মানসিক শান্তি, নিরাপত্তা ও ভালোবাসা দরকার।।।
কিন্তু আপনারা তুলে দেন তাকে নর'পি'শাচদের হাতে, আবার তাদের বলে দেন,
"পিঠের চামড়া তুলে নিলেও সমস্যা নেই, শুধু হাড্ডিটা আমাদের দিয়ে দিয়েন!"
দিনশেষে দেখা যায়, অধিকাংশ কওমী মাদ্রাসার এইভাবে আবাসিকে থেকে যারা পড়াশোনা করে তারা অল্প বয়সে বাইরে চলে আসে আর রিকশা চালায়,
নাহয় চায়ের দোকান দেয়, অথবা দিনমজুরি করে।
খুব রেয়ারলি কাউকে আলেম হতে দেখি।
আর যারা আলেম হয়, তাদের অনেকেই দীর্ঘকাল অবহেলা, বঞ্চনা আর দারিদ্র্যের লড়াইয়ের ভেতর দিয়ে যায়।
কারণ এইভাবে অমানবিক একটা প্রথায় শিক্ষা দিয়ে কাউকেই অন্তত শিক্ষিত করতে পারবেন না।