25/05/2025
***দোয়া কবুলের কিছু বিশেষ সময় ও নিয়ম :-
১. নিয়মিত তাহাজ্জুদ পড়া।
(এটা পরীক্ষিত তাহাজ্জুদের সময় করা দোয়া আল্লাহ ফিরিয়ে দেয় না। কখনো যদি দোয়া কবুল না হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চিত দোয়াটা কবুল আপনার জন্য বিপদ বয়ে আনতো)
২. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের, ফরজ সালাতের পর দোয়া করা।
৩. আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় দোয়া করা।
৪. মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে বসে আল্লাহর কাছে দোয়া করা।
৫. মা বাবার কাছে দোয়া চাওয়া।
(কারণ মা বাবার দোয়া আল্লাহ কবুল করে থাকেন। আমরা বড় বড় পীরদের কাছে, হুজুরদের কাছে দোয়া চাই। কিন্তু আমরা জানি না সবচেয়ে বড় পীর আমাদের ঘরে অবস্থান করছে)
৬. মুসাফিরের কাছে দোয়া চাওয়া।
(কারণ মুসাফিরের দোয়া কবুল করে থাকেন)
৭. দোয়া করার সময় হাত তুলে দোয়া করা।
(কারণ আল্লাহর কাছে হাত তুলে দোয়া চাইলে ওই হাত দুটোকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন)
৮. দোয়ার শেষে আমিন বলা ।
(প্রথমে আল্লাহর গুনাগুন করা। আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা কতটা অসহায় সেটা তুলে ধরা । তারপর আপনার কি প্রয়োজন তা তুলে ধরা। যেমনটা শিখিয়েছে সূরা ফাতিহা আমাদের)
৯. হালাল খাবার খাওয়া ও পোশাক পরিধান করা।
১০. দোয়া করার সময় আল্লাহর কাছে কান্না করে দোয়া চাওয়া।
(কারণ আমাদের আল্লাহ এত দয়ালু যে তার বান্দার চোখের পানি আল্লাহ সহ্য করতে পারেন না)
১১. আল্লাহর কাছে দোয়া করার সময় আল্লাহকে সুন্দর সুন্দর নামে ডাকা।
(যেমন- আর রহমান, আর রাহিম, ইয়া গাফফারু)
১২. আল্লাহকে বলা, আল্লাহ তোমার হাবিবের ওসিলায় আমার দোয়াটা কবুল করে নাও।
১৩. হাজতের নামাজ পড়া।
১৪. মন থেকে দোয়া করা।
(আমাদের দোয়া টা যেন না হয়ে যায়, রবোটিক টাইপের, নেই কোনো আবেগ, নেই কোন কান্না, নেই কোন আকুতি)
১৫. আল্লাহর কাছে মিনতি,ও বিনয়ী ভাবে যাওয়া।
১৬. আল্লাহকে আদেশ না দেওয়া।
(যেমন- তুমি তো চাইলেই দোয়া কবুল করতে পারো তাহলে করো না ?কেন এভাবে কখনো বলা যাবে না)
১৭. সিজদায় গিয়ে দোয়া করা।
১৮. নিরবে,গোপনে দোয়া করা।
১৯. জুমার দিনে আসর ও মাগরিব এর মধ্যবর্তী সময় দোয়া করা।
২০. দোয়া করার সময় আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখা, যে দোয়াটা আল্লাহ কবুল করবেনই।
২১. বেশি বেশি ইস্তেগফার পড়া ।এটা খুব উপকারী একটা আমল
২২. শুধু বিপদে আল্লাহকে স্মরণ রাখা নয়।
সুখের সময়ও আল্লাহকে স্মরণ রাখা...
২৩. অন্য মুমিন ভাই বোনদের জন্য দু'আ করা