Aynal Hoque

Aynal Hoque এখন আর কথা হয় না!

যত কথাতত ব্যথাযাই সেথাযেথা কেথা ভাল না মন্দ।মন্দ মন্দ মন্দ
20/10/2025

যত কথা
তত ব্যথা
যাই সেথা
যেথা কেথা

ভাল না মন্দ।
মন্দ মন্দ মন্দ

18/10/2025

ধারাভাষ্যকার: পৃথিবীর আর কোথাও কি আপনারা এমন উইকেটে খেলেছেন?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক: হ্যা, অনেকবার খেলেছি?
ধারাভাষ্যকার: কোথায় কোথায়?
ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক: বাগনলাদেশ, বাংলাদেশ।

একটা দেশের অবকাঠামো দেখেই বোঝা যায় এর ভেতরটা কতটা সেঁতসেঁতে, নরম!

18/10/2025

সে আমাকে চায়ের দোকানে নিয়ে গেলো, দোকানের সামনে বেঞ্চে বসলাম। বললো,
দবির ভাই দুই কাপ চা দেন, সাথে কসমস বিস্কুটের একটা প্যাকেট দেন। কথার মাঝে কনফিডেন্স, দাম্ভিকতার ভাব আছে, ডোন্ট কেয়ার টাইপের।

আমি আসলে তেমন কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না, সে আমার দূরসম্পর্কের ভাই, একটা সময় নাকি অনেক নামধাম ছিল, নদী ভাঙার পর দাম কিছুটা কমেছে, তবে ধাম একটু বেশীই কমেছে, এটা সে বিশ্বাস করতে চায় না। যার যার জায়গায় সে সে দামি, অন্যের এলাকায় আসলে এমনিতে ভ্যালু কমে যায়।

চা খেতে খেতে বলল, গল্প শুনবি?
আমি তাকালাম বিনয়ের চোখে, আমি এমনিতেই সবার সাথে কথা বলতে পারি না, বুক ধড়ফড় করে। বেশিক্ষণ কথার জালে আটকে গেলে তো আরও বিপদ। বুকে যে ব্যথা উঠে সেটা টিকতে না পেরে বাম হাত বেয়ে নেমে পড়ে। এমন অনেকবার হয়েছে আমার সাথে, আজকেও হবে আমি নিশ্চিত হয়ে গেলাম।

আমি বললাম, বলেন শুনি।

আমার বন্ধুর সুন্দর একটা বোন ছিল।মাত্রই ক্লাস টেনে উঠেছে। হঠাৎ একদিন একটা ছেলের সাথে পালালো। ঐ বন্ধু এবং আমরা আরো কয়েকজন মিলে খুজতে বের হলাম। কি বলব! খুজতে খুজতে তিন দিন পর খুঁজে পেলাম ঢাকা, হাজারীবাগ বস্তিতে! কত বড় স্টুপিড! এমন একটা বস্তিতে উঠেছে সেখানে আমাদের অনেক বন্ধুবান্ধব থাকে। মাঝে মাঝে আমরা ওখানে আড্ডা দেই।

কি বলব! পুরা ঘরে একটা মাত্র তোষক, স্যাঁতসেঁতে, আহ! কি বাজে একটা অবস্থা। এমন একটা ছেলে ওকে নিয়ে পালিয়েছে যে কিনা মাত্রই এস এস সি পাশ করেছে। কলেজের ভর্তি ফি না থাকায় HSC তে ভর্তি হতে পারেনি। ছেলের বাবা গাঁজা খায়, থাকে অন্যের ভিটায়।

আমি বললাম, আরে জাহিদ! তুই তো ভালো ছেলে, এলাকার সবাই তোরে ভালো বলেই জানে। কেমন করলি?
জাহিদ মাথা নিচু করে বলল:ভাই আমার এত সাহস নাই, ডালিয়াই আমারে নিয়ে আসছে। এই কথা বলার সাথে সাথেই কলার ধরে ঠাস ঠাস দিলাম থাপ্পড়। মারতে মারতে বলতে থাকলাম, তুই যে ওরে এই ভাঙ্গা ঘরে আনছো, তুই কি জানিস ও কোথায় ঘুমায়! কত বড় বেয়াদব।
ওই দিন জাহিদেরে ডালিয়ার ভাই বেল্ট দিয়ে পিডাইছে, আর জুতার মালা পড়িয়ে সারা বস্তি রাউন্ড দিছে।

আমি অমি, ওনার দিকে তাকালাম। ওনার চোখে মুখে তৃপ্তি। চেপ্টা টাইপের মানুষ, মাজারি সাইজ এর লম্বা, ৫ ফিট ৪ ইঞ্চি ম্যাক্স। গায়ে ব্লেজার, জিঞ্চ পড়া, পায়ে সু, মুখে মোটা মোটা দাড়ি।
ওনার নাম রাজ।

রাজ ভাই বলল, আজকে সময় নেই, নয়ত পুরো গল্পটা বলতাম। সাড়ে সাতটায় লঞ্চ, এখনই ঘাটের দিকে না গেলে লঞ্চ মিস করব।

রাজ ভাই যেতে যেতে বলল তোর সাথে খুব শীগ্রই কথা হবে।

সন্ধ্যার মৃদু আলোয় আমি তার চলে যাওয়া দেখছি, আর ভাবছি উনি কি আমাকে কোনো ম্যাসাজ দিতে চাইলো! পুরো বিষয়টা মাথায় পাশ দিয়ে চলে গেলো।

আমার সাথে গল্প বলার আগেই সব ঠিক করা ছিল, বুঝতে পেরেছি পরের দিন সকালে। যখন তিনার মা আমার খুজে আসলেন। সংসারে সে তৃতীয় সন্তান হলেও কর্তৃত্ব খুব ভালোই। রাজ ভাই ভালো টাকা কামায়, ঢাকা শহরে মানুষ নিয়ে তার কাজ কারবার।

ওনার মা আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গেলেন। তিনি ও তার পরিবার আমাকে চুজ করার যথেষ্ট লজিক আমি পরে বুঝতে পেরেছি। আমি নিরীহ, সহজ সরল। কোন ভুল করার সাহস পাবো না।

কিন্তু ভুল তো ভুলই। কাউকে কেয়ার করে তো আর ভুল হয় না। ভুল এমনি এমনি সংঘঠিত হয়।

রাজ ভাইয়ের সাজানো ভুলের প্লেনেটে আমরা চারটি মানুষ জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে গেলাম। কি অসহনীয় যন্ত্রণা! আমরা সবাই সেই পোড়া দাগ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি।

১৮.১০.২৫
পোড়াদাগ

17/10/2025

মডেল নোবেল অথেন্টিক একটা কথা বলেছেন।
যারা ভার্সেটাইল তারা ফেইলুর। কি খাঁটি কথা !
এতদিনের এক্সপেরিয়েন্স এবং তীক্ষ্ণ অবসেরভেশন থেকেই তিনি এই অপ্রিয় সত্যি কথাটা বলতে পেরেছেন।

আমি কি পারলাম না! সব পারলাম! স্কলারশিপ পেলাম, সাইন্স পারলাম, আর্টস পারলাম, কমার্স পারলাম, ইকোনমিক্স পারলাম, পি,এস পারলাম, মার্চেন্ডাইজার পারলাম, ফ্রিল্যান্সিং পারলাম, ভালো লিখতে পারি, ২ টা উপন্যাস শুরু করেও শেষ করি নাই।

ফ্রীল্যান্কিং শুরু করলাম এড পোস্টিং দিয়ে , মুভ করতে করতে কত কিছুতে মুভ করলাম, ২ ০ ০ ৯ -১ ০ যদি একটা স্কিল নিয়ে পরে থাকতাম তাহলে এতদিনে একটা কোম্পানি হতেই পারতো।

প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবকিছুই বিষ , অতিরিক্ত মেধা তার মধ্যে একটি

pose: ইন্টারন্যাশন স্টেজে ঢুকে , ৩ ০  বছর পরেও এরা বলে, "এই সিরিজ থেকে আমার অনেক কিছু শিখেছি, সামনের সিরিজে এই ভুলগুলো হ...
17/10/2025

pose:
ইন্টারন্যাশন স্টেজে ঢুকে , ৩ ০ বছর পরেও এরা বলে, "এই সিরিজ থেকে আমার অনেক কিছু শিখেছি, সামনের সিরিজে এই ভুলগুলো হবে না"

মন চায় চরভৈরবী এলাকার একটা গালি দিতে।

স্টুপিড গুলার ইমপ্রুভমেন্টের আর শেষ হয় না। প্রত্যেক ম্যাচ শেষে বলবে ইমপ্রুভ করবে। ইমপ্রুভ না হয়ে খেলতে জাস কেন। নির্লজ...
11/10/2025

স্টুপিড গুলার ইমপ্রুভমেন্টের আর শেষ হয় না। প্রত্যেক ম্যাচ শেষে বলবে ইমপ্রুভ করবে। ইমপ্রুভ না হয়ে খেলতে জাস কেন। নির্লজ্জ শিয়ালগুলা। মঞ্চে উঠে কি কেউ শিখে, ফাযিল গুলা। তোরা গু খা

11/10/2025

ধারাভাষ্যকার: আজকে আপনাদের এই অবস্থা হলো কেনো?
বাংলাদেশের অধিনায়ক: আসলে আজকে যে পিচে খেলা হয়েছে, ব্যাট করা আসলেই কঠিন! বল সাপের মত একেবেকে স্ট্যাম্প চলে আসে।

২৫ বছর পরও এরা পিচের দোষ দেয়। বেয়াদবগুলা

09/10/2025

তুমি থামতে বলেছিলে, আমি থামিনি। আমি যেতে যেতে হারিয়ে গেলাম। থামতে জানতে হয়, থামতে জানার শিক্ষা পেতে হয়। আমি সে শিক্ষা পাই নি। তাই চলতে চলতে হারিয়ে গেলাম।
শুনেছি তুমি নাকি নারিকেল বাগানে এসেছিলে খোঁজ নিতে। তোমার চোখ নাকি ছলছল ছিল।
তারও কিছুদিন পর, আমিও গিয়েছিলাম, কিন্তু আমার চোখ ছিল টকটকে লাল। সেদিন ও আমি থামিনি, খেজুর কাটা দিয়ে নিজের চোখ উঠিয়ে দেখতে চাইলাম, চোখের ভিতর কোন কোন রং থাকে!
আমি তোমার প্রিয় রং সবুজ খুঁজে পাই নি। কি এক জটিল ধাঁধায় পরে গেলাম। ভুল পথ , চিকন সরু পথে এখনো হাটি আমি, যদি তোমার দেখা পাই। তোমার দেখা পেলাম না।
কিভাবে পাবো বলো , তুমিতো অশরীরী মরীচিকা।

৯। ১ ০। ২ ৫

05/10/2025

মে মাসের ঠাডায় ২৬ জেলায় ৮১ জন ঠাডা খাইছে।মানে ইন্তেকাল ফরমায়েশ!
আহ্, ইস্ কিংবা আচানক হই না। কারন মানুষকে পোড়ানোর জন্য তিনার অনেক আয়োজন আছে। হরেক আয়োজনের এক আয়োজন ঠাডা।

তখন গায়ে ভাল ছেলের তমকা লাগানো।গায়ে ভাল ছেলের তমকা লাগানো কোন বিষয়ই না, জাস্ট একটু কম কথা বলতে হবে, কেউ কথা বলার সময় যতদূর সসম্ভব চুপ থাকতে হবে, আর হাটার সময় মাটির দিকে তাকিয়ে হাটতে হবে, ব্যাস, সারা গ্রামে ছড়িয়ে পরবে ছেলেটার ভদ্রতা । ভাল ছেলে তাই বলে যে গাছের মগঢালে উঠতে পারতাম না তা কিন্তু না।সব গাছ চষে বেড়াতাম।আমদের একটা জংলী বাগান ছিল, বাগানে ছিল হরেক রকম জংলী সব গাছ।ডেউয়া, কাউ,জাম, আম, কাঠাল! এতো শুধু বর্ষার ফল। কি গাছ ছিল না এ বাগানে! মান্দার থেকে শুরু বাঁশ দিয়ে শেষ।সুপারি গাছে উঠে সবচেয়ে বেশী মজা পেতাম, এই গাছে উঠতে তেমন বেগ পেতে হত না, নামার সময় তো আরো মজা!কোলাকোলি করে জরিয়ে ধরে পায়ের দিকে নরমাল প্রেসার রাখলেই হয়, নিমিষেই ছেরছের করে নেমে যাওয়া যায়। কতবার যে বুক ছিলে গেছে আর কত বার যে হাফ পেন্টের মাঝখান দিয়ে ফুটো হয়ে গেছে এর হিসেব নেই। দুরন্তপনা হিসেব করে হয় না।

বর্ষার সময় কাউফলের প্রতি এক ধরনের এডভেঞ্চার ছিল। এই ফল কাচা থাকতে সবুজ আর পাকলে টকটকে হলদে! ভিতরে কমলার মত ফালিফালি, টসটসা রসালো, টকমিষ্টি অদ্ভুত স্বাদ, বেশিক্ষণ খেতে থাকলে মুখে আঠা আঠা লাগে।গাছগুলো খুব উচু নয়, মাজারি, ডালগুলো সরু।

একদিন স্কুল পালালাম, ঝুম বৃষ্টি! পথেঘাটে প্লাবন, আকাশ - মাটি একাকার, চারিদিকে শুধু বৃষ্টি আর ঠাডার গর্জন।পথে আছি আমি আর কতগুলো হাসের দল। হাসগুলো নরম মাটিতে ঠোট ডুকিয়ে অতি প্রিয় খাদ্য আহরণ করছে। আমি আমার অতি প্রিয় খাদ্য আহরনে জংলী বাগানে ডুকলাম।বৃষ্টি আর গাছের পাতা, সাথে ঠাডার শব্দ-আজকের দিনের হরর মুভির ভয়ংকর পরিবেশের প্রতিচ্ছবি। চারিদিকের ছপছপ শব্দে গা শিউরে উঠে।

হায়রে বৃষ্টি ! বাগানে পানির ডল! মনে হয় পূর্ণিমার জোয়ার! আমি টারজানের মতো গাছের সারি পেছনে ফেলে দৌড়াচ্ছি। এমন ও দিনে উদ্দীপনা শরীরের শিরায়। মাতন তোলে দেহে নাচন তোলে প্রাণে।আমি কি আর ডরাই তারে যে আমারে ডাকে পিছে! কাউ গাছের সামনে গিয়ে আচানক হয়ে গেলাম।কাউ গাছের জায়গায় কয়লা গাছ দাঁড়িয়ে আছে।গাছের ডালে রাকিব বসে আছে।তাকে ভিনগ্রহের ভিনদেশি মনে হচ্ছে, বুজতে বাকি নেই- রাকিবকে ঠাডায় খাইছে! কাউ গাছ পুড়ে গেছে, সাথে পুড়ে গেছে রাকিব।তার ডান হাতটা আসমানের দিকে ৪৫ ডিগ্ৰী কোণে যা তিনাকে ভেংগার্থক ভঙ্গি নিক্ষেপ ছাড়া আর কিছুই নয়।এই বিশাল বাগানে চিৎকার গর্জনহীন নদীর মতো।

রাকিব ছিল আমার চেয়েও দুরন্ত।তার সাথে দৌড়ে পারে এমন ছেলে গ্রামে ছিল না, গ্রামে কেউ যদি পাতায় পাতায় চলত তাহলে রাকিব চলত শিরায় শিরায়।

জুন মাসের ঠাডায় আমার বাসার রাউটার পুড়ে গেছে।২৫০০ টাকার রাউটার।মশা যদি কারী কারী টাকা খেতে পারে, সেখানে ঠাডায় টাকা খাওয়াটা দোষের কিছু নয়। রাউটার আমি ওই দিনই কিনে ফেলেছি, কিন্তু ইন্টারনেট একটিভ করতে আমাকে ৪ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে। নেটযুক্ত মানুষ নেটহীন থাকা দিনের আলোতে রাতের অনুভূতির শামিল।আজকের দিনে ইন্টারনেটহীন মানে সময়ের শত্রু হয়ে যাওয়া।ব্যথা দিয়েছে ঠাডা, ব্যথিত হৃদয়ে যখন রাকিবের কথা মনে পড়েছিল; তখন এটাই মনে হয়েছে, রাউটার পুড়ে যাওয়াটা রাকিবের পুড়ে যাওয়ার কাছে নিতান্তই নগন্য উচ্চাভিলাষ!

03/10/2025

দুঃখের তীব্রতা থাকে। দুঃখকে মানুষ তীব্রভাবেই প্রকাশ করে নানান উপমায় কিংবা কৃত্তিম পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে। আমার মনে হয় সুখ প্রকাশের ভঙ্গী মানুষের জানা নেই, থাকলে মানুষ নিশ্চই তা করত। তবে আমার কাছে মনে হয় সুখ পরিমাপক যন্ত্রের নাম "কম জানা" বেশি জানার মানুষগুলিই বেশি দুখী হয়।

এক খণ্ড চর, চারিদিকে অথৈ পানি, টংয়ের ঘর, মেঘ, বৃষ্টি, রোদ , প্রবল জোসনা, হারিকেনের আলো ও আমি।
30/09/2025

এক খণ্ড চর, চারিদিকে অথৈ পানি, টংয়ের ঘর, মেঘ, বৃষ্টি, রোদ , প্রবল জোসনা, হারিকেনের আলো ও আমি।

Address

Chandpur

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Aynal Hoque posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share