28/05/2025
🕋 সোশ্যাল মিডিয়া যুগে একজন মুসলমানের দায়িত্ব
আজকের যুগকে ডিজিটাল যুগ বলা হয়—তথ্য প্রবাহ, মতামত, বিনোদন, শিক্ষা, সবকিছুই এখন মুঠোফোনের এক ট্যাপে। এই প্রযুক্তির দুনিয়ায় মুসলমানদের সামনে যেমন অসীম সুযোগ, তেমনি বিপদের ঝুঁকিও কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়া এমন এক মাধ্যম, যা মানুষকে যেমন ভালো কাজে অনুপ্রাণিত করতে পারে, তেমনি ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিতেও পারে।
একজন মুসলমানের প্রথম দায়িত্ব হলো নিজের চিন্তা, কথা ও কাজের প্রতিটি দিককে ইসলামের মানদণ্ডে পরিমাপ করা। অনলাইনে কোনো কিছু শেয়ার করার আগে আমাদের ভাবতে হবে—এটা কি সত্য? এটা কি কারো সম্মানহানি ঘটাবে? এতে কি অন্যরা ভালোর দিকে আহ্বান পাবে, নাকি গুনাহের পথে ধাবিত হবে?
অনেক সময় আমরা ভাইরাল হওয়ার লোভে অপ্রয়োজনীয়, হাস্যকর বা গিবতপূর্ণ কনটেন্ট শেয়ার করি। অথচ রাসূল ﷺ বলেছেন,
"যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে কিংবা চুপ থাকে।"
(বুখারী ও মুসলিম)
সোশ্যাল মিডিয়ার আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো—নিয়ত। কেউ যদি দাওয়াতি পোস্ট দেয়, তাহলে তার নিয়ত আল্লাহর সন্তুষ্টি হওয়া উচিত, না যে, মানুষ তাকে সেলিব্রেটি ভাববে। নিয়ত ঠিক না থাকলে দাওয়াতের কাজও রিয়ায়ে (লোক দেখানো) পরিণত হতে পারে, যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
তাই আমাদের উচিত, সোশ্যাল মিডিয়াকে দ্বীনের এক নতুন ময়দানে রূপান্তরিত করা—যেখানে আমরা ভালো কনটেন্ট শেয়ার করবো, অন্যকে সৎ কাজের দিকে আহ্বান করবো, এবং নিজের সময়কে হেফাজত করবো।
---
🟢 উপসংহার: একজন সচেতন মুসলমানের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া শুধু একটি প্ল্যাটফর্ম নয়, বরং একটি পরীক্ষা। এখানে আমরা যা বলি, করি বা দেখাই—সবই আল্লাহর কাছে হিসাবের আওতায়। তাই চলুন আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে আল্লাহভীরুতা ও হিকমার পরিচয় দেই।