❐ পেইজ সম্পর্কেঃ
আমাদের হাজীগঞ্জ পেইজ টি মূলত সামাজিক সচেতনতা ও দ্বায়বদ্ধতা থেকে ১২ ই অক্টোবর ২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন "গাজী মোঃ ফয়সাল"
আমাদের এই অগ্রযাত্রায় প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহযোগী অ্যাডমিন হিসাবে পাশে ছিলেন "শরীফ হোসেন" "সাঈদ আজমল" এবং "সাদ্দাম হোসেন"
এছাড়া বর্তমানে আরো অন্যান্য অ্যাডমিনদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমাদের হাজীগঞ্জ পেইজ টি আজকের এ অবস্থানে এসে পৌছায়,এজন্য হাজীগঞ্জ বাসীর কাছে আমরা কৃ
তজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
❐ হাজীগঞ্জ সম্পর্কিত তথ্যঃ
চাঁদপুর জেলার অর্ন্তরগত হাজীগঞ্জ উপজেলার আয়তন ১৮৯.৯ বর্গ
কিলোমিটার। বর্তমানে এটি ০১টি পৌরসভা, ১১
টি ইউনিয়ন পরিষদ এবং ১৪৭ টি গ্রাম
নিয়ে গঠিত।। হাজীগঞ্জ পৌরসভা প্রথম
শ্রেনীভুক্ত পৌরসভা। এটি ১২টি ওয়ার্ড
নিয়ে গঠিত ।
মকিমাবাদ ও হাজীগঞ্জের নামকরণ
এগার’শ বাংলা অব্দের
কাছাকাছি সময়ে হাজী মকিমউদ্দিন (রঃ)
নামে এক বুজুর্গ অলীয়েকামেল ইসলাম ধর্ম
প্রচারের উদ্দেশ্যে পবিত্র আরব ভূমি হতে স্ব-
পরিবারে এ অঞ্চলে আগমন করেন। চাঁদপুর-
কুমিল্লা কোম্পানী রাস্তার উত্তর পাশে |
বর্তমান মসজিদের প্রথম অংশ
যা একটি দ্বীপাকৃতি ভূ-খন্ড ছিল, বর্তমান
মসজিদের মাঝখানে একটি পুকুর। সে পুকুরের
উত্তর-পশ্চিম কোনে তিনি আস্তানা স্থাপন
করেন। আল্লাহর রহমতে কয়েক বছরের মধ্যে এ
অলীয়ে কামেলের বার্তা ধীরে ধীরে বিস্তার
লাভ করতে আরম্ভ করে। দূর-দুরান্ত
হতে প্রথমে মুসলমানগণ পরে বিভিন্ন
সম্প্রদায়ের লোকেরাও আল্লাহর অলীর
উছিলায় নিজেদের মকছুদ হাসেলের জন্য নিয়ত
মানতের হাদিয়া, নজর নেওয়াজ
নিয়ে পীরে কামেল হযরত মকিমউদ্দিন (রঃ) এর
দরবারে উপস্থিত হয়ে আল্লাহর রহমতে উপকৃত
হত। পীর মকিমউদ্দিন (রঃ) তার ভক্ত মুরিদান
সহ নিজ আস্তানা খানকা শরীফে ধর্মীও কর্ম
সমাধা করত। ধর্মীও চেতনায় উদ্ধুদ্ধ
হয়ে এলাকায় নব্য মুসলিম বসতি এবং বিভিন্ন
স্থান থেকে আগত মুসলিম
বসতি গড়ে উঠে পর্যায়ক্রমে আজ মুসলিম প্রধান
এলাকায় পরিণত হয়। হযরত মকিমউদ্দিন (রঃ)
ইহলোক ত্যাগের পর নিজ আস্তানায় বর্তমান
মসজিদের পশ্চিমে মেহরাবের ডানের পশ্চিম
অংশে তাকে সমাহিত করা হয়।
(ইন্নালিল্লাহে .................. রাজেউন)।
উল্লেখ্য যে, হযরত মকিমউদ্দিন (রঃ) কতৃক এ
এলাকায় ইসলামের প্রচার তথা আবাদ ঘটে।
পীরে কামেল হযরত মকিমউদ্দিন (রঃ) এর
প্রভাব ও শ্রদ্ধা জনমনে এমনি গভীর রেখাপাত
করেছিল যে, হিন্দু প্রধান এ জনপদটি পীর
মকিমউদ্দিন (রঃ) কতৃক ইসলামের
আবাদে ‘মকিমাবাদ’ নামে আখ্যায়িত হয়।
আল্লাহ পাকের দরবারে অনেক শুকরিয়া। হযরত
মকিমউদ্দিন (রঃ) তারই বংশের শেষ পুরষদ্বয়
হাজী মুতিউদ্দিন ও তারপুত্র হাজী মুনিরুদ্দিন
(মনাই হাজী) রঃ পৈত্রিক
খানকা শরীফে (হুজরা খানা নামে খ্যাত) আশ
পাশ হতে আগত ভক্তগণকে নিয়ে ধর্ম কর্ম
সম্পাদনের জন্য মুরিদগণকে ছবক প্রদান করতেন্
উক্ত হুজরা খানাটি পরবর্তী সময়ে স্থানান্তর
পূর্বক পুকুরের পূর্ব পাড়ে বর্তমান মিনারার
ডানে অতঃপর মূল্যবান কাঠ দ্বারা সংস্কার
পূর্বক বর্তমান মসজিদের দক্ষিণ পূর্ব
কোনে স্থানান্তরিত হয়। পিতার ইহলোক
ত্যাগের পর হাজী মুনিরুদ্দিন ওরফে মনাই
হাজী (রঃ) সন্তান-সন্ততি বিহীন
স্ত্রী নিয়ে এ নির্জন পৈত্রিক আস্তানায়
থাকা অসুবিধা মনে করে মোতাওয়াল্লী সাহেবদের
খালের উত্তর পাড়ে বর্তমান
বাড়ীতে বসতি স্থাপন করেন।
(ইহা তৎসময়ে মনাই হাজী (রঃ) এর বাড়ী তার
উত্তরাধিকার হিসেবে পুত্র সন্তান না থাকায়
পরবর্তী সময়ে সকলের পরম শ্রদ্ধেয়
জামাতা আহসান উল্লাহ পাটওয়ারী সাহেবের
অবস্থানের
কারণে পাটওয়ারী বাড়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ
করে) আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে দ্বিতীয়
স্ত্রী পর পর দুইটি কন্যা সন্তান লাভ করেন। এ
অলীয়ে কামেল হাজী সাহেবদের
জায়গা জমিনের প্রতি লিপ্সা ছিল না। মনাই
হাজী (রঃ) নেহায়েত জীবিকা নির্বাহ ও
সুন্নাতে রাসূল (সঃ) হিসেবে মুসলমান
ব্যবসায়ী গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বর্তমান
মসজিদের পূর্ব-দক্ষিণ গেইটের
দক্ষিনাংশে আহমাদ আলী পাটওয়ারী (রঃ)
মাজারের একটু পূর্ব সীমানায় তৎসময়কার
নালা খালের উত্তর পাড়ে একটি দোকান
প্রতিষ্ঠা করেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য
সামগ্রী তথায় মওজুদ রাখা ও সুলভে বিক্রয়ের
ব্যবস্থা করেন। -----------আল-হামদুলিল্লাহ।
পূর্বেই বলা হয়েছে যে, মসজিদ
এলাকাটি একটি দ্বীপাকৃতি ভূ-খন্ড ছিল।
বোয়ালজুরি খাল হতে আগত পূর্ব হতে পশ্চিম
দিকের খালটি বর্তমান মসজিদ মাঠের
পূর্বপাশে মোড় দিয়ে উত্তর
হতে দক্ষিণে এসে কোম্পানীর রাস্তার
কাছে খালের একটি ছোট
শাখা পশ্চিমে মোড় নিয়ে কোম্পানীর
রাস্তা ঘেষে পূর্ব হতে পশ্চিম দিকে প্রবাহিত
ছিল, যা রেল ষ্টেশনেও পৌঁছেছে এবং অন্য
অংশটি বর্তমান পৌরসভা অফিস বরাবার
উত্তর হতে দক্ষিণে প্রবাহিত
হয়ে দক্ষিণে নদীর সাথে মিলিত হয়।
পরবর্তী সময়ে কোম্পানীর রাস্তা তৈরীর
প্রাক্কালে রাস্তা বরাবর পূর্ব পশ্চিম
মুখী ভরাট হয়। নৌকা পথে লোকজন খাল
দিয়ে পূর্ব পশ্চিমে যাতায়াত করত
এবং প্রয়োজন বোধে আবশ্যকীয় দ্রব্য
সামগ্রী চাল, ডাল, তৈল, লবন ইত্যাদি মনাই
হাজী (রঃ) এর হাজী দোকান
হতে কেনাকাটা করত। দক্ষিণ
পাড়ে কোম্পানীর
রাস্তা দিয়ে লোকেরা সাঁকোর
সাহায্যে এসে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র ক্রয়
করত। এ হাজী দোকানের সুখ্যাতি লোকের
মুখে রূপ কথার ন্যায় চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
অতঃপর বর্তমান মাছ বাজারে উঁচু
স্থানে বর্তমান জীর গাছের নিচে তিনি আরও
একটি দোকান স্থাপন করেন।
পরবর্তী সময়ে হাজী সাহেবের দোকানের
পাশাপাশি তারই উৎসাহে আরও দোকান
গড়ে উঠে। যতই সময় অতিবাহিত হতে লাগল ততই
হাজী বাজারের সুখ্যাতি অর্জন করতে লাগল।
পরম শ্রদ্ধেয় হযরত মনাই হাজী (রঃ)
সুন্নাতে রাসুল (সঃ) হিসেবে ব্যবসায়ের দ্বার
উন্মুক্ত করে ইহলোক ত্যাগ করেন।
(ইন্নালিল্লাহে ................. রাজেউন)।
তাঁকে বর্তমান মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ কবর
স্থানের পূর্ব অংশে সমাহিত করা হয়। তাঁরই
প্রতিষ্ঠিত হাজী বাজার বিরাট এলাকার
কেন্দ্রীয় বাজার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু
করল। মনাই হাজী (রঃ) এর রুহানী দোয়ার
বরকতে বাণিজ্যিক এলাকা হিসেবে সুনাম লাভ
করে ব্যাংক বাণিজ্যিক কেন্দ্র
হিসেবে কলকাতার সাথে যোগাযোগ সমৃদ্ধ
হল। এভাবে সকলের পরম শ্রদ্ধেয় মনাই
হাজী (রঃ) দোকানের উছিলা ও
সুখ্যাতিতে ‘হাজীর হাট’ ‘হাজীর বাজার’
হতে বর্তমান এ হাজীগঞ্জ বাজারের উৎপত্তি।
পবিত্র এ নামকরণের সৌভাগ্যে আল্লাহর
নিকট অনেক অনেক শুকরিয়া।