21/06/2025
ড. মো. মোজাম্মেল হোসেন বকুল (সাজ্জাদ বকুল)
প্রফেসর ও সভাপতি
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
সংবাদ-বিজ্ঞপ্তি
বেরোবি শিক্ষক মাহমুদুল
হকের মুক্তি চাই
রাজশাহী, ২১ জুন ২০২৫
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হককে একটি হত্যা মামলায় যেভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাতে আমরা গভীর উদ্বেগ ও হতাশা প্রকাশ করছি। আমরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অবিলম্বে তাঁর মুক্তি দাবি করছি।
যে প্রক্রিয়ায় জনাব মাহমুদুল হককে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তা কোনোভাবেই আমাদের কাছে স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, গত বছর ২ আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রংপুরে মুদিদোকানি ছমেস উদ্দিনের মৃত্যু হয়। গণমাধ্যমের খবরে আমরা জানতে পারছি, সেদিন ছমেস উদ্দিন পুলিশের ভয়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এ বিষয়কে কেন্দ্র করে গত ৩ জুন, ২০২৫ রংপুর নগরের হাজিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন রংপুর নগরে রাধাকৃষ্ণপুরের বাসিন্দা ছমেস উদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম (৬০)। এ মামলার ৫৪ নম্বর আসামি অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক।
উল্লেখ্য, মামলায় মোট আসামির সংখ্যাও ৫৪ এবং শেষ নম্বর আসামি হলেন অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক। হঠাৎ করে শেষ নম্বর আাসামিকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনাটি স্বাভাবিক মনে না হবার যথেষ্ট যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। এ বিষয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমানের বক্তব্য আমাদের কাছে বেশ প্রণিধানযোগ্য বলে মনে হয়। তিনি বলেছেন, এ মামলা আসলে ষড়যন্ত্রমূলক। মামলার বিষয়ে কেউ যেন বুঝতে না পারে, সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশের তাজহাট থানায় মামলা না করে হাজিরহাট থানায় মামলা করা হয়েছে (সূত্র: https://www.jugantor.com/tp-news/967737)।
আমরা মনে করি না যে, জনাব মোহা. মাহমুদুল হক, যিনি ইতিপূর্বে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সুনামের সাথে সাংবাদিকতা করেছেন এবং বর্তমানে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন, তার পক্ষে প্রকাশ্য রাস্তায় এসে হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনায় যুক্ত থাকা সম্ভব। বরং এটা বিশ্বাস করার যথেষ্ট দৃঢ় কারণ আছে যে, মামলায় বর্ণিত ঘটনার সাথে তাঁর মতো দায়িত্বশীল নাগরিকের দূরতম কোনো সম্পর্ক থাকাও সম্ভব নয়। তাই এই মামলায় তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করাকে সাজানো ঘটনা বলে মনে করার জোরালো ভিত্তি আছে।
আমরা আশা করব, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন, প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করবেন এবং জনাব মো. মাহমুদুল হককে এই মামলা থেকে চূড়ান্তভাবে অব্যাহতি দিয়ে তার প্রতি ন্যায়বিচার করবেন।