শব্দের ছোঁয়া

  • Home
  • শব্দের ছোঁয়া

শব্দের ছোঁয়া Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from শব্দের ছোঁয়া, Digital creator, Mahabub Bahaban(3rd Floor), 208, Agrabad Chattogram, .

লেখার এক বিশাল মহাসাগর যেখানে শব্দেরা বুনে চলে অনুভূতি, চিন্তা, আর সৃষ্টিশীলতার গল্প। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি শব্দে লুকিয়ে আছে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, একটি নতুন গল্প। লেখার এক বিশাল মহাসাগর যেখানে শব্দেরা বুনে চলে অনুভূতি, চিন্তা, আর সৃষ্টিশীলতার গল্প। আমরা বিশ্বাস করি, প্রতিটি শব্দে লুকিয়ে আছে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি, একটি নতুন গল্প। এখানে আপনি পাবেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, আর জীবনের রং-ঢং নিয়ে গভীর ভাবনার প্রকাশ।

16/12/2024

সুরা ফাতিহার তাফসির

সুরা ফাতিহা ইসলামের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুরা। এটি পবিত্র কুরআনের প্রথম সুরা এবং মুসলিমদের প্রতিদিনের নামাজে বারবার পাঠ করা হয়। সুরা ফাতিহা সাতটি আয়াত নিয়ে গঠিত। এর অপর নাম আল-হামদ, উম্মুল-কিতাব এবং আস-সাবউল-মাসানী।

শব্দার্থ ও তাফসির:

১. بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম)
অর্থ: "শুরু করছি আল্লাহর নামে, যিনি পরম দয়ালু, পরম করুণাময়।"
তাফসির: এই আয়াত দিয়ে বুঝানো হয় যে, প্রতিটি কাজ শুরু করার আগে আল্লাহর নাম নিতে হবে। "রাহমান" ও "রাহিম" আল্লাহর করুণা ও দয়ার অসীমতার প্রতি ইঙ্গিত দেয়।

২. الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
(আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন)
অর্থ: "সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক।"
তাফসির: এখানে আল্লাহকে সকল সৃষ্টির প্রতিপালক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। সব প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা শুধুমাত্র তাঁর জন্যই প্রাপ্য।

৩. الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ
(আর-রাহমানির রাহিম)
অর্থ: "যিনি পরম দয়ালু, পরম করুণাময়।"
তাফসির: আল্লাহর দুই গুণবাচক নাম। "রাহমান" তাঁর অসীম করুণার বৈশিষ্ট্য এবং "রাহিম" তাঁর সুনির্দিষ্ট রহমতের ইঙ্গিত দেয়।

৪. مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
(মালিকি ইয়াওমিদ্দিন)
অর্থ: "যিনি প্রতিফল দিবসের অধিপতি।"
তাফসির: আল্লাহ কেয়ামতের দিনের মালিক। তিনি সেদিন সবার কাজের বিচার করবেন। এটি আমাদের জন্য সতর্কবার্তা।

৫. إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
(ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তায়িন)
অর্থ: "আমরা শুধু তোমারই ইবাদত করি এবং তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।"
তাফসির: এই আয়াত মানুষের বিশ্বাসের মূল ভিত্তি। ইবাদত ও সাহায্যের জন্য আল্লাহর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীলতা প্রকাশ করা হয়েছে।

৬. اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ
(ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম)
অর্থ: "আমাদের সোজা পথে পরিচালিত কর।"
তাফসির: এটি একটি দোয়া। সোজা পথ বলতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথ বোঝানো হয়েছে, যা জান্নাতের দিকে নিয়ে যায়।

৭. صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ
(সিরাতাল লাজিনা আনআমতা আলাইহিম গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ্দাল্লিন)
অর্থ: "সেসব লোকের পথ, যাদের প্রতি তুমি অনুগ্রহ করেছো; তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তুমি ক্রোধ প্রকাশ করেছো এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।"
তাফসির: এই আয়াতে দুই শ্রেণির মানুষের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। প্রথম শ্রেণি আল্লাহর প্রিয় বান্দা, যারা সঠিক পথে আছে। আর দ্বিতীয় শ্রেণি তারা, যারা আল্লাহর অসন্তুষ্টির পথে চলে।

---

সারমর্ম

সুরা ফাতিহা কুরআনের একটি সারাংশ। এটি আল্লাহর প্রশংসা, করুণা, বিচার দিবসের কথা এবং সোজা পথে পরিচালনার দোয়া হিসেবে গঠিত। এটি আমাদের আল্লাহর প্রতি আনুগত্য ও নির্ভরশীলতা শিক্ষা দেয়।

গল্প বা উপন্যাস লেখার শুরুটা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। লেখার প্রথম লাইন বা কাহিনীর শুরু কোথা থেকে হবে, তা নিয়ে ভেবে আমরা...
30/11/2024

গল্প বা উপন্যাস লেখার শুরুটা অনেকের জন্যই চ্যালেঞ্জিং। লেখার প্রথম লাইন বা কাহিনীর শুরু কোথা থেকে হবে, তা নিয়ে ভেবে আমরা অনেক সময়েই দ্বিধায় পড়ি। তবে ভালো খবর হলো, গল্প লেখা কোনো নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে করার বিষয় নয়। এটি সৃষ্টিশীলতার একটি মুক্ত জগত। তাই লেখার শুরুটা হতে পারে যে কোনো জায়গা থেকে, এমনকি গল্পের মাঝখান থেকেও। এখানে সহজ ও প্রাসঙ্গিক কিছু টিপস দেওয়া হলো, যা আপনার গল্প লেখার যাত্রাকে সহজ করবে।

১. গল্পের মাঝখান থেকে শুরু করুন

গল্পের শুরু নিয়ে অযথা চিন্তা করবেন না। প্রথম লাইন গুরুত্বপূর্ণ হলেও, তা দিয়েই শুরু করতে হবে এমন কোনো নিয়ম নেই। গল্পের এমন কোনো মুহূর্ত দিয়ে শুরু করুন, যা আপনাকে সবচেয়ে শক্তিশালী মনে হয়। পরে সেটা শুরুর অংশে বা মাঝখানে সরিয়ে নেওয়া যেতে পারে।

২. ধীর লয়ে শুরু করুন

গল্পের শুরুতেই বড় কোনো ঘটনা বা চমকপ্রদ টুইস্ট দেখানোর প্রয়োজন নেই। ছোট একটি রহস্য দিয়ে শুরু করুন, যা পাঠকের মনে কৌতূহল সৃষ্টি করবে। ধীরে ধীরে গল্পের গতি বাড়ান। এভাবে চরিত্র ও পরিবেশের সঙ্গে পাঠক সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন।

৩. পাঠকদের জন্য কৌতূহল রাখুন

গল্পের শুরুতেই সব তথ্য দিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। বরং পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগানোর চেষ্টা করুন। তারা যেন কাহিনীর পরবর্তী অংশ জানার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে। ছোট্ট একটি রহস্য বা চমকপ্রদ তথ্য পাঠকের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট।

৪. শিরোনাম থেকে অনুপ্রাণিত হন

গল্পের শিরোনাম কেবল একটি নাম নয়, এটি হতে পারে গল্পের দিকনির্দেশক। শিরোনাম আপনার গল্পের মূল ভাবনা ও থিমকে ধারণ করে। যদি গল্পের মাঝখানে এসে দিক হারিয়ে ফেলেন, শিরোনামের দিকে ফিরে যান। এটি আপনাকে কাহিনীর মূল পথে ফিরিয়ে আনবে।

৫. একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করুন

লেখার আগে কাহিনীর একটি ছোট সারসংক্ষেপ তৈরি করে নিন। এটি গল্পের কাঠামো ঠিক রাখতে সাহায্য করবে এবং লেখার সময় দিক হারানোর সম্ভাবনা কমাবে। সারসংক্ষেপ লেখার সমস্যাগুলি আগে থেকেই চিহ্নিত করতে পারে, যা আপনাকে গল্পটিকে আরও মজবুত করতে সহায়তা করবে।

৬. খারাপ লেখার ভয় করবেন না

লেখার সময় নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করবেন না। প্রথমে যা মনে আসে, সেটাই লিখুন। এটি হতে পারে এলোমেলো, দুর্বল বা অসম্পূর্ণ। কিন্তু খসড়া থেকেই সেরা গল্প তৈরি হয়। প্রথম দফায় শুধু লেখার অভ্যাস তৈরি করুন, পরে তা সম্পাদনা করুন।

৭. লিখতে লিখতেই গল্প তৈরি করুন

আপনার পুরো কাহিনী যদি শুরুতেই পরিকল্পিত না থাকে, তাতেও সমস্যা নেই। লিখতে লিখতেই গল্প তৈরি হতে পারে। কখনো কখনো লেখার সময় চরিত্র ও ঘটনাগুলি এমনভাবে বিকশিত হয়, যা আপনি কল্পনাও করেননি। এটি লেখার এক দারুণ স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

৮. নতুন ধরণের গল্প লিখুন

আপনি যে ধরনের গল্প পড়তে পছন্দ করেন, সেটি লেখার চেষ্টা করতে পারেন। তবে নিজেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে এমন ধরণের গল্প লিখুন, যা সাধারণত আপনি পছন্দ করেন না। এটি আপনার সৃষ্টিশীলতাকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাবে এবং আপনাকে ভিন্ন ধরণের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।

গল্প লেখা একটি সৃজনশীল প্রক্রিয়া, যেখানে ভুল বা সঠিক বলে কিছু নেই। নিজের ভাবনাগুলি কাগজে আনুন, তারপর দেখবেন সেগুলোই একসময় সুন্দর গল্পে রূপান্তরিত হচ্ছে। সাহস নিয়ে শুরু করুন, বাকিটা আপনার লেখার অভ্যাস এবং সৃজনশীলতাই গড়ে দেবে।

 #ধৈর্য_বাড়ানোর_১০_কৌশল-কথায় আছে, ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আসবেই। কেউ কেউ স্বভাবগতভাবেই ধৈর্যশীল। কেউ আবার অল্পতেই হারিয়...
21/11/2024

#ধৈর্য_বাড়ানোর_১০_কৌশল-

কথায় আছে, ধৈর্য ধরে কাজ করলে সফলতা আসবেই। কেউ কেউ স্বভাবগতভাবেই ধৈর্যশীল। কেউ আবার অল্পতেই হারিয়ে ফেলেন ধৈর্য। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ধৈর্যহারা হয়ে পড়লে বিপদ আরও বাড়ে। অনেক সময় দেখা যায় পরিস্থিতির কারণে আমরা বাধ্য হয়ে অধৈর্য হয়ে পড়ি। যেমন অফিসে হয়তো সহকর্মী নানাভাবে আপনাকে হেনস্তা করছে। বস আবার আপনার বদলে সেই সহকর্মীকেই সাপোর্ট করছে। এমন পরিস্থিতিতে বিরক্ত হওয়া কিংবা ধৈর্যহারা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু আপনি যদি রাগের মাথায় সহকর্মীকে আঘাত করে ফেলেন বা আপত্তিকর আচরণ করে ফেলেন, তবে সেটা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি করবে আপনাকেই। এমন পরিস্থিতিতে তাই আপনাকে শান্ত থেকে ঠিক করতে হবে পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে।

জেনে নিন ধৈর্য বাড়ানোর কিছু কৌশল;

১। কেন ধৈর্যহারা হচ্ছেন সেটা খুঁজে বের করুন

কোনও পরিস্থিতিতে খুব বিরক্ত হচ্ছেন? ভাবার চেষ্টা করুন কেন এটি আপনাকে বিরক্ত করছে। একবার কারণ শনাক্ত করলে নিজেই সেই বিরক্তি কাটিয়ে ওঠার উপায়গুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। ধরুন আপনি কারোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। যদি অপেক্ষা করতে বিরক্তবোধ হয়, তবে সেই সময়টুকুকে কাজে লাগানোর জন্য কিছু উপায় বের করুন।

২। মেডিটেশন করুন

অনুভূতি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি নির্দিষ্ট মাত্রার মননশীলতা প্রয়োজন। চোখ বন্ধ করে, একটি গভীর শ্বাস নিয়ে মেডিটেশন অনুশীলন করতে পারেন। আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে আপনার জন্য।

৩। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

কোনও কিছু নিয়ে হতাস হয়ে পড়লে এমন কিছু ভাবুন যার জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এটি আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করবে। এতে জীবন সম্পর্কে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন আপনি।

৪। মেনে নেওয়ার গুণ আয়ত্ত করুন

কখনও কখনও পরিস্থিতি পরিবর্তন করার জন্য আপনি কিছুই করতে পারেন না। এই ক্ষেত্রে, অধৈর্য হলে কিছুই সমাধান হবে না। এর চাইতে বরং পরিস্থিতি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবকিছু আরও সহনীয় হবে।

৫। রসিকতা পরিস্থিতি হালকা করতে পারে

দৈনন্দিন জীবন অনেক কম বিরক্তিকর মনে হবে, যদি পরিস্থিতি হালকা করতে পারেন। অনেক চাপের পরিস্থিতি সহজ করতে পারে হাসি ও রসিকতা। তাই কোনও পরিস্থিতিকে খুব বেশি গুরুত্ব সহকারে নেবেন না।

৬। ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা করুন

আরেকজনের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। অন্যের কথা শেষ পর্যন্ত শোনা আপনাকে ধৈর্যশীল হতে সাহায্য করবে।

৭। সবসময় নিজেকে প্রাধান্য দেবেন না

অধৈর্য হয়ে পড়া কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর মানসিকতা। সবারই নিজস্ব উদ্বেগ, আকাঙ্ক্ষা এবং দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তাই সবসময় নিজেকে প্রাধান্য না দিয়ে সামনের মানুষটার অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। হয়তো তিনি এমন কিছুর মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন যা আপনি জানেন না।

৮। ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন

ডায়েরিতে নিজের আবেগ-অনুভূতি লিখতে পারেন বা দরকারি কাজের নোট রাখতে পারেন। এটি আপনাকে কাজে ফোকাস বাড়াতে সাহায্য করবে ও স্থির করে তুলবে আপনাকে।

৯। অনেক কাজে একসাথে মনোযোগ দেবেন না

অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে নিয়ে নিজের উপর চাপ বাড়াবেন না। এতে অধৈর্য হয়ে পড়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

১০। বই পড়ুন

ধৈর্য বাড়াতে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় পছন্দের লেখকের বই পড়ুন বা শিক্ষামূলক বই পড়ুন। এতে যেমন নিজেকে সময় দেওয়া হবে, তেমনি বাড়বে মননশীলতা। কমবে মানসিক চাপও।

হিংসা কি বাবা?অনীশ বড়ুয়া সেদিন তপু আর রুপু খেলছিল কতগুলো ব্লক নিয়ে। সেগুলো একটার ওপর একটা সাজিয়ে, কখনো পাশাপাশি জোড়া ল...
20/11/2024

হিংসা কি বাবা?
অনীশ বড়ুয়া

সেদিন তপু আর রুপু খেলছিল কতগুলো ব্লক নিয়ে। সেগুলো একটার ওপর একটা সাজিয়ে, কখনো পাশাপাশি জোড়া লাগিয়ে, দুজনেই চেষ্টা করছিল বাড়ি বানাতে। দুজনেই খুব ব্যস্ত... কারও মুখে কোন কথা নেই।

হঠাৎ রুপু হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো।

বাবা ছিলেন পাশের ঘরেই। তিনি ছুটে এলেন, কী হয়েছে?

রুপু কেঁদে কেঁদে বলল, তপু ভাইয়া আমার বাড়িটা ভেংগে দিয়েছে...

বাবা তপুর দিকে তাকালেন, তপু মাথা নিচু করে বসে রইলো।

কেন অমন করলে তপু? বাবা জানতে চাইলেন।

তপু তবুও চুপ।

বাবা বললেন, কী হল, বল কেন করেছ?
তপু বলল , ওর বাড়িটা আমার চাইতে বড় হয়ে গিয়েছিল।ওহ তাই? বাবা বললেন, এখন যদি তোমার বাড়িটা বড় হয়ে যেতো আর রুপু তা ভেংগে দিতো তাহলে তোমার কেমন লাগতো? একটু চুপ থেকে তপু বলল- খারাপ লাগতো, কষ্ট হত, রাগও হত...

ঠিক তাই, বাবা বললেন, রুপুরও তাই হয়েছে। সেও চাইলে তোমার বাড়িটা ভেংগে দিতে পারতো, কিন্তু দেয়নি...

তাহলে তোমার এখন কি করা উচিত?

তপু রুপুর দিকে এগিয়ে বলল- সরি রুপু, এসো আবার নতুন করে বানাই...

দু'জনকেই আবার খেলা শুরু করতে দেখে বাবা বললেন, এটাই ভালো। কখনো কাউকে হিংসা করবে না। মিলেমিশে থাকবে।

রুপু বলে উঠলো, হিংসা কি বাবা?

হিংসা হল, অন্যকে ভালো বা ভিন্ন কিছু করতে দেখলে রাগ হওয়া। তখন যদি তার সেই কাজ ভেংগে দিতে ইচ্ছে করে বা ভেংগে দাও, তাকে হিংসা বলে... যেটা তোমরা করছিলে। এতে নিজেরই ক্ষতি হয় বেশি।

তপু-রুপু দুজনেই বলে উঠলো, এমন আর করব না বাবা।

বাবা বললেন- বেশ। তারপর দুজনের মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে বেরিয়ে গেলেন।

শিশু মনের কৌতহল নিয়ে "প্রশ্নের ঝাঁপি" বইটি থেকে সংগৃহীত।
বইটি সংগ্রহ করার জন্য যোগাযোগ করুন তৌহিদ ভাই +8801716652895।

পাখিরা ওড়ে, আমরা পারি না কেন?অনীশ বড়ুয়া বাবার হাত ধরে ইসকুল থেকে ফিরছিল সজল। একটা পার্কের ভেতর দিয়ে। গাছ-পালা, ফুল-প্র...
20/11/2024

পাখিরা ওড়ে, আমরা পারি না কেন?
অনীশ বড়ুয়া

বাবার হাত ধরে ইসকুল থেকে ফিরছিল সজল। একটা পার্কের ভেতর দিয়ে। গাছ-পালা, ফুল-প্রজাপতি, দেখতে দেখতে। পায়ে চলা পথের ধারে লেকের পাড়ে কয়েকটা পাখি কি যেন খুঁটে খুঁটে খাচ্ছে। ওদের কাছে আসতে দেখেই উড়াল দিয়ে পাখিগুলো গাছের ডালে গিয়ে বসলো।

সজল তাদের দেখতে লাগলো। হঠাৎ তার মনে হল, একটা পাখি তাকে ভেংচি দিয়ে বলছে, 'ছিঃ ছিঃ, ছেলেটা উড়তে পারে না...'

সজল বলল, বাবা, পাখিরা উড়তে পারে, আমরা পারি না কেন?

বাবা দাঁড়িয়ে পড়ল। বলল, ভালো প্রশ্ন করেছ। ভেবে দেখা যাক... একটা লম্বা বেঞ্চিতে বসলো ওরা।

বাবা বলল, আমাদের চারপাশে আর কি কি প্রাণী দেখতে পাও? গাছ-পালা, গরু-ছাগল, কুকুর-বিড়াল, মাছ-ব্যাঙ...

এসবের মধ্যে কোনগুলো উড়তে পারে?

একটু ভেবে সজল বলল, এগুলো একটাও পারে না... তবে মশা-মাছি, জোনাকী, প্রজাপতি, পারে।

একদম ঠিক বলেছ। বাবা বলল। খোদা এক এক প্রানীকে এক এক রকম করে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।

সজল বাবার দিকে তাকিয়ে মনোযোগ দিয়ে শুনছে।

যেমন ধর, বাবা আবার বলল, মাছ আর ব্যাঙ পানিতে থাকতে পারে, কুকুর-বিড়াল পারে না। আবার দেখ, গাছ দাঁড়াতে পারে, লতা পারে না, সে গাছ বা অন্য কিছুকে ধরে ওপরে ওঠে, ছড়ায়। তেমনি পাখিরা উড়তে পারলেও আমরা উড়তে পারি না। খোদা যে তা-ই চেয়েছেন।

কিন্তু মানুষ তো উড়তে পারে এরোপ্লেনে চড়ে... সুপারম্যান, স্পাইডারম্যানও তো পারে...

বাবা বললেন, তা-ও ঠিক... কিন্তু মনে রেখো মানুষ নিজে ওড়ে না, তবে ওড়াতে পারে। আর সেটাও খোদা চেয়েছেন বলেই পারে...

সজলের দিকে তাকিয়ে বাবা বুঝল, তার কৌতূহল বেড়ে গেছে। তাই বলল, এখন তুমি সব বুঝবে না। আরও পড়াশোনা করলে, একদিন আরও অনেক কিছু জানতে পারবে।

চল এখন বাড়ি যাই।

বেঞ্চি থেকে নেমে বাবার হাত ধরে চলতে শুরু করলো সজল। কিন্তু ভাবনাটা গেল না মন থেকে...

শিশু মনের কৌতূহল নিয়ে "প্রশ্নের ঝাঁপি " বইটি থেকে সংগৃহীত।
বইটি সংগ্রহ করার জন্য যোগাযোগ করুন
তৌহিদ ভাই +8801716652895।

কখন বড় হবো আমি?অনীশ বড়ুয়া পুতুলের মনটা ভালো নেই আজ। মা-বাবা-ভাইয়ারা তাকে কিছু করতে দেয় না। খালি বলে, বড় হও।ভাইয়াদের সা...
19/11/2024

কখন বড় হবো আমি?
অনীশ বড়ুয়া

পুতুলের মনটা ভালো নেই আজ। মা-বাবা-ভাইয়ারা তাকে কিছু করতে দেয় না। খালি বলে, বড় হও।

ভাইয়াদের সাথে স্কুলে যেতে চাইল সেদিন, বাবা বলল, যাবে তো, আরও বড় হও।

মা'কে তরকারি কেটে দিতে চাইল সে, বলল, বড় হও, তখন দিয়ো। ভাইয়াদের বই নিয়ে ছবি দেখতে চাইলে তারাও বই কেড়ে নিয়ে বলল, বড় হও।

আমি তো বড়ই, পুতুল ভাবল...সব পারি... তাহলে বড় হওয়া কি?

মা'কে বলতেই মা বলল, বলতো, তুমি আর আমি কি সমান? আমি কত বড়, ফ্রিজের ওপর থেকে জিনিস নিতে পারি, তুমি কি পারো?

পুতুল ভাবনায় পড়ে গেল।

মা বলল, আবার দেখ, ভাইয়ারা অআকখ, ABCD, ১২৩৪ সব পড়তে পারে, তুমি কি পারো?

পুতুল চুপ করে রইল।

মা আবার বলল, তুমি তো এখন শিখছ, একদিন সব পারবে..

তাহলে, তুমি আমাকে বড় করে দাও...

মা হেসে বলল, বড় করে দেয়া যে যায় না মা-মনি, বড় হয়ে যায়... কেন?

শোন তাহলে। মা বলল, মনে আছে একদিন বারান্দার টবে একটা ছোট্ট চারা লাগিয়েছিলাম? সেটা এখন বড় হয়ে গাছ হয়েছে, মরিচ ধরেছে, তাই না? আবার দেখ পিয়াদের বাড়িতে ছোট্ট ছোট্ট বিড়াল ছানা ছিল, এখনও কি ছোট্ট আছে?

পুতুল বলল, না বড় হয়েছে, নিজে নিজে ঘুরতে পারে, অনেক কিছু খেতে পারে, মাছের কাঁটাও খেতে পারে।

মা বলল, ঠিক তাই, ধীরে ধীরে ওরা আরও বড় হবে... তাই বলছিলাম, বড় করে দেয়া যায় না... বড় হয়ে যায়।

আমি কত বড় হয়েছি মা?

তুমিও বড় হচ্ছো সোনা। মা বলল, আগে তো শুধু শুয়ে থেকে হাত পা নাড়াতে, শানুদের বাবুটার মত। এখন তো হাঁটতে পারো, কথা বলতে পারো, নিজে নিজে খেতে পারো... তাই না?

আরও বড় হলে, আমিও পড়তে পারবো? স্কুলে যেতে পারবো? সব করতে পারবো?

মা পুতুলকে কাছে টেনে নিয়ে বলল, পারবেই তো। তখন তোমারও ভালো লাগবে, আমাদেরও।

পুতুলও মা'কে জড়িয়ে ধরল।

শিশুকে বিপদ-ঝুঁকি বোঝানোলেখক -অনীশ বড়ুয়া ভালো মানুষের খোঁজে বই হতে সংগৃহীত। অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় শফিক সাহেব চা খেতে...
19/11/2024

শিশুকে বিপদ-ঝুঁকি বোঝানো
লেখক -অনীশ বড়ুয়া
ভালো মানুষের খোঁজে বই হতে সংগৃহীত।

অফিস থেকে ফিরে সন্ধ্যায় শফিক সাহেব চা খেতে খেতে স্ত্রী সুমাইয়ার সাথে বসে গল্প করছিলেন। পাশেই তাদের ১ বছর বয়সের মেয়ে সাফা খেলা করছিল। হঠাৎ করে ইলেক্ট্রিসিটি চলে যাওয়ায় সুমাইয়া একটি মোমবাতি জ্বালিয়ে নিলেন।

আলো দেখে সাফা আলোটি ধরার জন্য হামাগুড়ি দিয়ে এগিয়ে গেল। হাত পুড়ে যাবার ভয়ে মা তাকে বাধা দিয়ে কোলে তুলে নিলেন। সাফা কিছুতেই মা'র কোলে বসে থাকতে চাইছে না; বারবার আলোর দিকে যেতে চায়। মা বিরক্ত হয়ে এক পর্যায়ে মেয়েটাকে ধরে রাখলেন। মেয়েটি কান্না করতে করতে আবারও আগুনের দিকেই হাত বাড়াতে লাগলো।

এসব লক্ষ্য করে শফিক সাহেব আদর করে মেয়েকে কোলে টেনে নিলেন। বললেন, তুমি এটা ধরবে? এই যে দেখো, বলে তিনি আগুনের শিখাটি ছুঁয়ে দেখালেন। সাফা খুব মজা পেয়ে তার হাত এগিয়ে দিলো।

শফিক সাহেব মেয়ের হাত ধরে শিখার কাছে নিয়ে গেলেন। একটু তাপ লাগতেই মেয়ে হাত গুটিয়ে নিয়ে ভয়ে ভয়ে বাবার মুখের দিকে তাকালো।

বাবা বললেন, ভয় পেয়েছো? ভয় নেই, এই দেখো। বলে আবার শিখাটি ছুঁতে লাগলেন। সাফা অবাক হয়ে দেখছে। এবার বাবা মেয়ের হাত ধরে টানলেন, কিন্তু মেয়ে হাত আরও শক্ত করে লুকিয়ে রাখলো। এরপর বাবা মোমবাতিটি মেয়ের কাছাকাছি আনার চেষ্টা করলেন কিন্তু সাফা আগুনের তাপের ভয়ে দূরে সরে যাবার জন্য চেঁচামেচি শুরু করলো।

আরেক বাড়িতে রানা পড়া শেষ করে ছবি আঁকার জন্য বসলো। সে একটি কাগজ দুই ভাগ করে কেটে আপন মনে ছবি আঁকতে লাগলো। ছুরি, কাঁচি, রং পেন্সিলগুলো পাশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রইলো। একটু পর ৪ বছর বয়সের ছোট ভাই পাভেল এসে কয়েকটা রং-পেন্সিল নিয়ে নাড়াচাড়া করতে করতে ছুরির দিকে চোখ পড়তেই ছুরিটা হাতে নিলো। পাশে পড়ে থাকা এক টুকরা কাগজ কুড়িয়ে সেটি কাটার চেষ্টা করতে লাগলো।

ছবিটার কিছু অংশ এঁকে রানা বললো, 'দেখো পাভেল আজ কি আঁকছি।' বলতে বলতে ছোট ভাইয়ের দিকে তাকালো রানা। তাকিয়েই ভয়ে চিৎকার দিলো 'এ কি করছো?'

সে দেখলো, পাভেল ছুরিটা হাতে নিয়ে এলোমেলো ভাবে কাগজের টুকরাটি কাটার চেষ্টা করছে।

'দেখি দেখি, ছুরিটা আমাকে দাও তো' বলে পাভেলের হাত থেকে ছোঁ মেরে ছুরিটা নিয়ে নিলো বড় ভাই।

পাভেল বললো, আমি কাটবো তো!

হুমম... তুমিও কাটবে, তার আগে আমি কেটে দেখাই।

রানা কাগজটি ভাঁজ করে মুহূর্তের মধ্যে ঘ্যাচ ঘ্যাচ করে কেটে দুই টুকরা করে দিলো। এরপর সে ছোট ভাইয়ের একটি আঙ্গুল টেনে ধরে বললো, এখন এই আঙ্গুলটা কেটে দেই?

পাভেল ভীষণ ভয় পেল, সাথে সাথে ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে টান দিয়ে হাত সরিয়ে ফেললো।

অনেক সময় আমরা দেখি, ছোট বাচ্চারা অবলীলায় তেলাপোকা ধরে। টিকটিকির লেজ ছিঁড়ে লাফালাফি দেখে, ফড়িং ধরে খেলা করে এমনকি বাড়িতে কুকুর-বিড়াল থাকলে ওগুলোকে ধরতে যায়। এতে কিছু কিছু সময় বিপদের আশঙ্কা থাকে যা তারা জানে না এবং বোঝেও না। তাদের মনে থাকে জানার অদম্য কৌতূহল এবং আগ্রহ।

আমরা অভিভাবকরা শিশুকে আশঙ্কাযুক্ত কাজ থেকে দূরে রাখার জন্য তাদেরকে সে সব কাজ করতে নিষেধ করি, ভয় দেখাই, কখনো সখনো মিথ্যা গল্পও বলি। কিন্তু নিষেধ করার ফলে তাদের আগ্রহ আরও বেড়ে যায়। এবং শিশু মন অজানা রহস্য খোঁজার জন্য উতলা হয়ে পড়ে।

অনেক অভিভাবক দেখা যায়, বিপদ বা ঝুঁকি থেকে নিরাপদে রাখার জন্য সন্তানকে ধমক দিয়ে, বকাঝকা করে বা তাদের মনে কোন কাল্পনিক ভয় ঢুকিয়ে স্বস্তি খোঁজেন যা তাদের জন্য মানসিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। এ ছাড়া যে বিপদ থেকে আমরা সন্তানদের দূরে রাখতে চাই, নিজের অজান্তে সঠিক প্রক্রিয়ার অদক্ষতায় আমরাই তাদেরকে সেই বিপদের দিকে ঠেলে দেই...!

জীবনে যেসব ভয় আমাদের তাড়িয়ে বেড়ায় তার অনেকটাই অজানা বা ভুল ধারণা থেকে সৃষ্ট। নানান কষ্ট বা ব্যথা থেকে বাঁচার জন্য, খরচ এড়ানোর কৌশল বা লোকে কি বলবে সে চিন্তা থেকেই আমরা শিশুদের নিবৃত্ত করার সহজ পথ খুঁজি। আমরা ভুলে যাই বিপদ এড়ানোর জন্য ভয়ের দরকার হয় না, দরকার হয় কিছু সচেতন সতর্কতা আর বুদ্ধির। যেমন:

• অনেক বাড়িতেই ইলেক্ট্রিসিটির প্লাগ হোল্ডার দেয়ালের নিচের দিকে লাগানো থাকে। সেগুলো ফলস্ প্লাগ দিয়ে তা ঢেকে রাখতে হবে;

• রান্নার পর গ্যাসের চুলা বন্ধ করে রাখতে ভুলবেন না। সম্ভব হলে রান্না ঘরের দরজাটিও;

• ব্যবহার শেষে বাথরুম-গোসলখানার দরজা লাগিয়ে রাখবেন, কারণ তা পিচ্ছিল হতে পারে। আবার অনেক শিশুর বালতি বা ড্রামের পানি নিয়ে খেলার আগ্রহ থাকে যা কখনো কখনো বিপদ ডেকে আনতে পারে;

• আগুন নিয়ে খেলা, বাজি পোড়ানো এসব থেকে শিশুকে দূরে রাখবেন;

• দা-বটি, ছুরি-কাঁচি-ব্লেড, সূঁচ এমন ধারালো সবকিছু ছোটদের লাগালের বাইরে রাখতে হবে;

• রেলিংবিহীন/বারান্দা/সিঁড়ি/ছাদ থেকে শিশুকে দূরে রাখবেন, চেয়ার টেবিল খাট এসবও সাবধানে ব্যবহার করবেন;

• বাড়ির আশেপাশে ডোবা, পুকুর বা পাতকুয়া থাকলে সেখানে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখতে ভুলবেন না।

শিশুর জানার আগ্রহ স্বতঃস্ফূর্ত। নতুন বিষয় জানার আগ্রহ থেকেই সে শিখতে পারে। তাই বাবা-মায়ের দায়িত্ব হলো ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া, তাদের বাধা দিয়ে দমিয়ে রাখা নয়। মনে রাখবেন, শিশু ধীরে ধীরে সবকিছুই শিখে নেবে তবে তা হওয়া উচিত তার শারীরিক/মানসিক বৃদ্ধি ও বিকাশের ভিত্তিতে।
সহযোগিতায় - ইয়াছিন মনজু
বইটি কেউ কিনতে চাইলে যোগাযোগ করুন
তৌহিদ ভাই +8801716652895 ।

05/11/2024

দুনিয়ার জীবন সম্পর্কে আমাদের অনেকের মাঝে বিভ্রান্তি রয়েছে। কেউ আখিরাতের চিন্তা করে পৃথিবীর জীবনের গুরুত্বকে তুচ্ছ মনে করে, ফলে জীবিকা ও পরিবারের প্রয়োজনীয়তাকে অবহেলা করে। আবার কেউ আখিরাতের জীবনকে উপেক্ষা করে শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনকেই প্রধান মনে করে। অথচ কোরআন ও হাদিসে দুনিয়ার সঠিক অবস্থান স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.)-এর সময়কার একটি ঘটনা এই বিষয়ে আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। একবার এক ব্যক্তি, জাবের, সংকটে পড়ে রাতেই মদিনায় পৌঁছান। পরের দিন সকালে তিনি ওমর (রা.)-এর দরবারে যান। তিনি দুনিয়ার জীবনকে হেয়ভাবে উপস্থাপন করেন এবং এতটা সমালোচনা করেন যে দুনিয়ার জীবনকে খুবই তুচ্ছ মনে হয়।

ওই বৈঠকে ওমর (রা.)-এর পাশে বসা শুভ্র আকৃতির একজন ব্যক্তি তখন বলেন, ‘তুমি দুনিয়ার বিষয়ে যেটুকু সমালোচনা করেছ, তা ছাড়া বাকি কথা ভারসাম্যপূর্ণ ছিল। কিন্তু তুমি কি জানো, দুনিয়া কী? মূলত, দুনিয়া আখিরাতে পৌঁছানোর সহজ রাস্তা। এখানেই আমরা আমল করি, যার ফলাফল আখিরাতে পাবো।’

জাবের তখন ওমর (রা.)-এর কাছে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে ওমর (রা.) বললেন, তিনি হলেন মুসলমানদের সরদার, হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) হযরত উবাই ইবনে কাব (রা.) সম্পর্কে বলেছেন, ‘আল্লাহ আমাকে আদেশ করেছেন, তোমার কাছে সুরা বাইয়িনাহ পড়ার জন্য।’ তখন উবাই (রা.) বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, ‘আল্লাহ কি আমার নাম উল্লেখ করেছেন?’ নবীজি (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ।’ তখন উবাই (রা.) আবেগে কেঁদে ফেলেন।

এই ঘটনা আমাদের শেখায় যে, দুনিয়ার সমালোচনা না করে বরং এর প্রকৃত স্বরূপ বুঝে আখিরাতের সাফল্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়া উচিত। দুনিয়ার জীবনকে আখিরাতের পথে অগ্রসর হওয়ার মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করাই শ্রেয়।

30/10/2024

সন্তান জন্মের পর আমাদের দেশের বেশীরভাগ স্বামী স্ত্রীর সম্পর্কেই ভাটা পড়ে। ২ জন বা ৩ জন বাচ্চা হলে তো কথাই নেই।

বিয়ের স্বাদ তো বটেই জীবনের স্বাদ ও মিটে যায় অনেক ক্ষেত্রে। স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক হয়ে যায় ভাইবোনের মতো। বাচ্চার পিছনে দৌড়ে দৌড়ে, সংসারের কাজ করে করে স্বামীর সাথে রোমান্টিক সম্পর্কের মুড আর থাকেনা।

সম্পর্কে শুরু হয় তিক্ততা। এদিকে দেশীয় কালচারে বাচ্চা নিয়ে ঘুমানো প্রায় সব পরিবারেই দেখা যায়। বাচ্চার বয়স ৫/৬/৭, কিন্তু মা বাবার সাথে শোয়। যেখানে আড়াই বা তিন হলেই বাচ্চাকে আলাদা করে দেয়া উচিত। কারন এরপর বাচ্চারা বুঝতে পারে অনেককিছুই।

রাতে ঘুম ভেংগে সে মা-বাবাকে অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখলে তার মনে যেমন প্রশ্নের উদ্রেক হবে, তেমনি উল্টোদিকে বাচ্চার সাথে একসাথে শোবার কারনে দাম্পত্যে বিঘ্ন তৈরি হয়।

বাচ্চার বয়স আড়াই বা তিন হলেই তাকে আলাদা করে দিন। বাচ্চা কিন্তু কষ্ট পাবেনা, কষ্ট পাবেন আপনি, বাচ্চা দূরে সরে যাবে মনে হবে। কিন্তু না, আসলে বাচ্চা দূরে সরে যায়না। এটা বাচ্চার ভালোর জন্য, আপনাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো থাকার জন্য অত্যাবশ্যকীয়।

বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা রেডি করুন। ওর রুমটাকে ওর পছন্দ মতো সাজিয়ে দিন। রাতে গল্প শুনিয়ে বা বই পড়িয়ে ওকে ঘুম পাড়ান। ঘুমিয়ে গেলে চলে আসুন আপনার রুমে।

ও আপনার অনুপস্থিতি টেরও পাবেনা। রাতে ও উঠতে পারে এই ভয় থাকলে একটা বেবি মনিটর কিনে নিন, দাম বেশি নয়। ওর মাথার কাছে মনিটর রেখে রিসিভার আপনার নিজের বালিশের কাছে রাখুন।

রাতে উঠলে আপনি সাথে সাথে টের পাবেন, যেমনটা পেতেন আপনার সাথে ঘুমালে। আপনি তো জানেনই সকালে কখন উঠে। তার একটু আগে গিয়ে ওর সাথে শোবেন। ও ঘুম হতে উঠেও আপনাকে পাবে। রাতে যে আপনি ছিলেন না, তা ও বুঝবেইনা।

দ্বিতীয় সন্তান হলে বেশীরভাগ মায়েরা প্রথম সন্তানকে অবহেলা শুরু করে। সব আদর যেন ছোটজনের জন্য, অথচ সে আদরের কিছুই বোঝেনা। আর যে বোঝে সেই বড়জনকে কথায় কথায় ডাক দেয়া, বকা দেয়া চলতে থাকে। মা/ রে*র কথা তো বাদই দিলাম।

স্বাভাবিকভাবেই তার মনে ছোট বাচ্চাটার প্রতি বি- দ্বেষ সৃষ্টি হয়। ভাবে, ও না থাকলেই ভালো হতো, মা আদর করতো। অথচ মায়ের উচিত এই সময়ে বড়জনকে বেশি করে সময় দেয়া, আদর করা।

বড়জনকে বোঝানো তোমার প্রতি আমার ভালোবাসা একটুও কমেনি। আপনি আর আপনার স্বামী দুজনেরই দায়িত্ব এটা।

দু বাচ্চার মাঝে তুলনা করবেন না। কারন তারা দুজনই সম্পুর্ন আলাদা মানুষ। দুই বাচ্চার জন্য আলাদা নিয়ম বানাবেন না। একজনকে মোবাইল দেখিয়ে খাওয়াবেন, আরেকজনকে বলবেন খাওয়ার সময় নো ডিভাইস, তাহলে তো হবেনা।

দুজনের বেডটাইম যেন এক হয়। কোনো জিনিস কিনলে একজনের জন্য নয়, দুজনের জন্যই কিনবেন।

ছোটটির বয়স যখন আড়াই হবে তখন ওকেও আলাদা করে দিন, বড়জনের সাথে। দুজন একসাথে ঘুমুবে বা একই রুমে দুটো বিছানায়।
দিনে এক হতে দেড়ঘন্টা আলাদা করে রাখুন যখন পরিবারের সবাই মিলে সময় কাটাবেন। হাসি আনন্দ করবেন।

বাচ্চাদের সাথে স্বামী স্ত্রী একসাথে খেলবেন। নিজের পার্টনারের দিকে ভালোবাসার দৃষ্টিতে তাকাবেন। মেজাজ যদি বেশি খারাপ থাকে অকারণে, সরে যান প্রিয় মানুষগুলোর কাছ হতে তাদের আ*ঘাত করার আগেই।

আলাদা রুমে বা বারান্দা বা ছাদে গিয়ে মেডিটেশন করুন। নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে কারনে আপনার মেজাজ খারাপ তা কতটা যুক্তিযুক্ত। গভীর নিঃস্বাস নিন। মন খারাপকে ছড়িয়ে দিন বাতাসে।

সংসার তৈরি হয় স্বামী স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে। সংসারের কাজ করতে করতে এই মানুষগুলোই যেন অবহেলিত না হয় সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব কিন্তু আমাদেরই। ভালোবাসার সম্পর্কগুলো অটুট থাকুক।

~ সংগৃহীত

30/10/2024

নিজের মতো করে বাঁচো !!
কারো কাছে তুমি নগণ্য, কারো কাছে জঘন্য, কারো কাছে তার সবটুকুই তুমি! একটা কথা মনে রেখো, গাঁধার নাম ঘোড়া রাখলেও সেটা গাঁধা থেকে যায়। কারো জাজমেন্টে তোমার মূল্য একটুও কমে যাবে না।

কারণ আলুর ব্যাপারী তো আর সোনা চিনবে না! তুমি নেকা তুমি বোকা, তুমি রাগী, তুমি অহংকারী। আসলে এর কোনটাই তুমি নও। তুমি তাদের কাছে সেরকমই যেরকমটা তারা ডিজার্ভ করে____🦋

দিন শেষে তুমি তুমিই! একটু একটু ভালো একটু একটু মন্দ! সবটুকু ভালো হতে গেলে দেখবে সবাই ভালোই আছে, শুধু তুমি ছাড়া!

30/10/2024

শিক্ষণীয়
--------------- কোভিড কালীন আমি ঢাকার এক বিখ্যাত কর্পোরেট হাসপাতালের আইসিইউ স্পেশালিস্ট ছিলাম ।
কোভিড আক্রান্ত একজন ভদ্রলোক ভর্তি হলেন আইসিইউতে, ভদ্রলোক মারাত্নক চোটপাট করলেন , টাকা পয়সা অর্থ ক্ষমতা ওনার কাছে কোনো ইস্যুই না তখন। আমি যেদিন ওনাকে রোগী হিসেবে রিসিভ করলাম সেদিন ওনার আচরণ আমাকে মারাত্নক ব্যাথিত করেছিলো।
বড় জায়গা , কোটিপতিদের হিসাব নিকাশ , অনেক সময়ই চুপ থাকতে হয় ! বড়লোকদের টুকটাক চিৎকার , গালমন্দ হজম করে ম্যানেজ করতে না পারাটাও কর্পোরেটে ডিসক্রেডিট হিসেবে গণ্য হয় ।

দিনের পর দিন উনি আস্তে আস্তে অক্সিজেন ডিপেন্ডেন্ট হয়ে গেলেন, পোস্ট কোভিড লাংস ফাইব্রোসিস ওনার। হাই ফ্লো একটু খুললেই শ্বাসকষ্ট শুরু হয় , দাপাতে থাকেন , ওনার জোড়া ফুসফুস তছনছ করে দিয়েছে কোভিড। দিনে দিনে ভদ্রলোক খুব চুপচাপ হয়ে যেতে লাগলেন।

একদিন রাত দশটায় আইসিইউ রাউন্ডের সময় উনি ইশারায় আমাকে ডাকলেন , আমি বুঝলাম কিছু বলতে চান । কাঁপাকাঁপা গলায় বললেন -
" আসিফ ! আমার গার্মেন্টস গুলোর পেছনে লোন বাড়তে বাড়তে প্রায় শতকোটি টাকা এখন , ছেলে কানাডা থেকে ফেরত চলে এসেছে , লেখাপড়াই করেনা , আমার তিন স্ত্রীর কেওই তেমন যোগাযোগ রাখেনা আর আমার সাথে , জীবনে বহু ভুল করেছি , উত্তরায় কিছু জায়গা দখল করেছিলাম , এর মধ্যে একজন মূল জায়গার মালিক মারা গেছেন, উনি আজীবন আমাকে অভিশাপ দিয়েছেন। আমি একের পর এক থ্রেট দিয়ে গিয়েছি ওনাকে। আহারে , কি করলাম ! কি করলাম ! "

ভদ্রলোকের শ্বাসকষ্ট বাড়ছেই , আমি বিড়বিড়িয়ে বললাম - " আপনি চুপ থাকুন, রেস্ট নিন, সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ! "
উনি আবারও বলা শুরু করলেন - " আমি সুযোগ পাবোনা আর, আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করবেন না, আল্লাহ সুযোগ দিয়েছিলেন, কাজে লাগাইনি। তুমি বাবা রাগ রেখোনা, ভর্তির দিন খুব খারাপ ব্যবহার করেছিলাম আমি। "

আমি বিড়বিড়িয়ে বললাম - " আপনি অসুস্হ্য ছিলেন, এমন ব্যবহার হয়তো ইচ্ছা করে করেননি ! "

উনি আমাকে তাজ্জব করে দিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন - " না, আমি জেনেশুনে বুঝেই চোটপাট করেছি, বুঝাতে চেয়েছি আমার ক্ষমতা! এখন আর চোটপাটের শক্তিও নেই রে বাবা ! মিনমিনিয়ে কথা বলি দেখো না, আল্লাহ ইঁদুর বানিয়ে দিয়েছেন, চিঁচিঁ শব্দ তুলি , গলা দিয়ে আওয়াজই বের হয়না ! "

ভদ্রলোক মারা গিয়েছিলেন কিছুদিন পরই , ঘটনাটা আমার হৃদয়ে দাগ কেটে দিয়েছে।
প্রতিটা জিনিসের হিসেব হবে , যে হিসাবে অন্যের হক জড়িয়ে যায় - আল্লাহ খুব রুষ্ট হয়ে যান হয়তো ,
আল্লাহ ছাড় দেন , ছেড়ে দেন না ।

আল্লাহ সেই ভদ্রলোকের আযাব কমিয়ে দিন, শেষ সময়ে উনি আমাকে কিছু আমল বাতলে দিয়েছেন , আমি ওনার জন্য দোয়া করি , আমিন ।

© Dr. Asif Saikat

19/10/2024

যারা এবার এইচএসসি পরীক্ষায় খারাপ করেছেন তাদের উদ্দেশ্য বলছি:

প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য এক ধরনের ফাঁদ। HSC পাস ফেল যাই হোক, লেখাপড়া এখানেই শেষ করো। বিদেশে গিয়ে ১০-১২ বছর পরিশ্রম করো, দেখবা জীবন প্রতিষ্ঠিত হবে। গাড়ি, বাড়ি, সব থাকবে। আর তোমার শিক্ষিত বন্ধুরা হয়তো তখন ১৮ হাজার টাকার চাকরি করবে, কেউ কেউ হয়তো বিসিএস ক্যাডার হবে, বাকিরা বেকার থাকবে।

লেখাপড়া করতে গিয়ে ১৮-৩০ বছরের স্বর্ণালী সময়টা নষ্ট করো না। এই সিস্টেমে সময়মতো কিছু শেষ হবে না, চাকরি পেলে সেটা দিয়ে পেটের দায় মেটানো ছাড়া কিছু হবে না।

বিদেশে গিয়ে অভিজ্ঞতা ও আর্থিক স্থিতিশীলতা অর্জন করো, তারপর নিজের ইচ্ছায় জ্ঞান অর্জনের চেষ্টা করো। একটা বড় লাইব্রেরি বানাও, সেখানে বসে জ্ঞান চর্চা করো। কারণ, টাকা ছাড়া জ্ঞান কাজে আসে না।

ইয়াছিন মনজু

19/10/2024

একদিনের কথা একটি ছোট্ট গ্রামের প্রান্তে বটগাছের নিচে বসে ছিল ছোট্ট ছেলে রাহুল। প্রতিদিনের মতো আজও সে গ্রামের মাঠে খেলতে যাচ্ছিল, কিন্তু আজ যেন মনের মধ্যে একটা ভারী ভাবনা জেগে উঠেছিল। গ্রামে এখন আর আগের মতো মানুষদের হাসিমুখ দেখা যায় না। সবাই ব্যস্ত, সবাই নিজের স্বার্থে মগ্ন।

একদিন রাহুল তার দাদু জামিল চাচার কাছে গিয়ে জানতে চাইল, “দাদু, আগে তো সবাই মিলে হাসি-আনন্দ করত, এখন কেন কেউ হাসে না? সবাই কেন শুধু নিজেদের নিয়ে ভাবছে?”

জামিল চাচা একটু হাসলেন, তারপর গভীর দৃষ্টিতে রাহুলের দিকে তাকিয়ে বললেন, “বাবা, মানুষের মনের গভীরে যে ভালোবাসা ও আন্তরিকতা থাকে, সেটা হারিয়ে গেছে। মানুষ এখন বাহির থেকে ভালো থাকার অভিনয় করে, কিন্তু ভেতরে ভেতরে তারা সব সময় ব্যস্ত। তারা ভুলে গেছে কীভাবে মন খুলে হাসতে হয়।”

রাহুল একটু ভেবে বলল, “কিন্তু দাদু, সবাই যদি নিজের স্বার্থ নিয়ে ব্যস্ত থাকে, তবে কীভাবে আমরা ভালো থাকব?”

জামিল চাচা তখন বললেন, “বাবা, মানুষ এখন অতিরিক্ত চাহিদার পেছনে দৌড়াচ্ছে। জীবনে যা সত্যিকারের মূল্যবান, যেমন ভালো মন, আন্তরিকতা, সেই জিনিসগুলো তারা আর খুঁজে পায় না। মানুষের জীবন হয়ে গেছে একটা প্রতিযোগিতার মতো, যেখানে সবাই শুধু জিততে চায়, কিন্তু সেই পথে হাঁটতে গিয়ে নিজেদের মনের শান্তি হারিয়ে ফেলছে।”

রাহুল চুপচাপ দাদুর কথা শুনছিল। তার মনে হলো, সে যেন সত্যিই এই কথাগুলোর অর্থ বুঝতে পারছে। সে ভাবল, “আমাদের চারপাশে সবাই যদি একে অন্যকে ভালোবেসে ও আন্তরিকভাবে সাহায্য করে, তাহলে নিশ্চয়ই জীবনটা সহজ হয়ে যাবে। তখন কেউ আর নিজেদেরকে প্রতিদিন এতটা ক্লান্ত মনে করবে না।”

এরপর রাহুল প্রতিজ্ঞা করল, সে নিজে ভালো থাকার ভান করবে না। সে মন খুলে হাসবে, অন্যদের সঙ্গে আন্তরিকভাবে কথা বলবে, এবং মানুষকে বোঝাতে চেষ্টা করবে যে জীবনে সবার আগে ভালো মন থাকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

গ্রামের বটগাছের নিচে বসে রাহুল সেই দিন নিজেকে এক নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে পেল। হয়তো একদিন তার মতো আরো অনেকে বুঝবে যে জীবন শুধু নিজের জন্য নয়, বরং একে অন্যের জন্য ভালোবাসা ও আন্তরিকতা বিলিয়ে দেওয়ার মধ্যেই প্রকৃত সুখ লুকিয়ে আছে।
ইয়াছিন মনজু।

শিশুদের মৌলিক জীবন দক্ষতা বৃদ্ধিতে পারিবারিক শিক্ষা : শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রাথমিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকে...
19/10/2024

শিশুদের মৌলিক জীবন দক্ষতা বৃদ্ধিতে পারিবারিক শিক্ষা :
শিশুদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রাথমিক শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের যুগে কেবল একাডেমিক শিক্ষাই যথেষ্ট নয়; তাদের জীবন দক্ষতা অর্জনও সমান প্রয়োজন। গাছে চড়া, সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো, সুষম খাদ্য গ্রহণ, লিখতে-পড়তে শেখা, প্রাথমিক অংক শেখা, এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা—এই মৌলিক দক্ষতাগুলো শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য অপরিহার্য। এসব শিখিয়ে আমরা আমাদের শিশুদের একটি সুস্থ, সুশৃঙ্খল এবং আত্মবিশ্বাসী জীবনযাত্রার পথ দেখাতে পারি।
মৌলিক জীবন দক্ষতার গুরুত্ব
মৌলিক জীবন দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে শিশুরা জীবনের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হয়ে ওঠে। এ দক্ষতাগুলো শুধু তাদের দৈনন্দিন জীবনে উপকারী নয়, বরং তাদের মানসিক এবং শারীরিক বিকাশেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। শিশুদের যখন প্রাথমিক পর্যায়ে গাছে চড়া, সাঁতার কাটা বা সাইকেল চালানোর মতো কার্যকলাপ শেখানো হয়, তখন তারা প্রকৃতি ও শারীরিক পরিশ্রমের মূল্য বুঝতে শেখে। পাশাপাশি, সুষম খাদ্য গ্রহণ তাদের শারীরিক সুস্থতা নিশ্চিত করে, যা ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার ভিত্তি গড়ে তোলে।
লিখতে-পড়তে শেখা এবং প্রাথমিক অংক করার মতো বিষয়গুলো শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অগ্রগতি নিশ্চিত করে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার শিক্ষা। শিশুরা যখন আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে, তখন তারা অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে শিখে এবং সমাজের একজন ভালো নাগরিক হয়ে উঠতে পারে।
পারিবারিক শিক্ষার ভূমিকা
শিশুদের এই মৌলিক জীবন দক্ষতা শেখানোর ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। শিশুরা প্রথম শিক্ষা পায় তাদের পরিবার থেকেই। পারিবারিক শিক্ষা শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের প্রথম ধাপ। শিশুরা তাদের বাবা-মা ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের পর্যবেক্ষণ করে এবং তাদের আচরণ থেকে শেখে। সঠিক পারিবারিক শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের ভিত শক্ত হয়, যা তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করে।
পরিবারে শিশুরা যে মূল্যবোধ, শৃঙ্খলা, এবং সামাজিক আচরণ শেখে, তা তাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কাজে লাগে। যদি বাবা-মা তাদের সন্তানদের মৌলিক জীবন দক্ষতা শেখাতে মনোযোগী হন, তবে শিশুরা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিক জীবনে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়াতে পারে।
অভিভাবকদের করণীয়
অভিভাবক হিসেবে সন্তানদের মৌলিক দক্ষতা বৃদ্ধিতে কিছু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। নিচে অভিভাবকদের জন্য কিছু করণীয় তুলে ধরা হলো:
1. শারীরিক দক্ষতা চর্চা: অভিভাবকরা নিজেদের সন্তানদের শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখতে উৎসাহিত করবেন। যেমন, গাছে চড়া বা সাইকেল চালানোর মতো কাজগুলো করতে দিন। এগুলো শুধু শারীরিক ব্যায়ামই নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়াতেও সহায়ক।
2. সাঁতার শেখানো: সাঁতার শেখানো একটি গুরুত্বপূর্ণ জীবন দক্ষতা, যা শিশুদের জন্য বিপদের সময়ে কাজে আসে। অভিভাবকরা শিশুদের স্থানীয় সুইমিং পুল বা নদীতে সাঁতার শেখানোর সুযোগ করে দিতে পারেন।
3. সুষম খাদ্য শিক্ষা: স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পরিবারেই প্রথম উদ্যোগ নিতে হবে। বাচ্চাদের শাকসবজি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে উৎসাহিত করুন এবং জাঙ্ক ফুডের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে সচেতন করুন।
4. লিখতে-পড়তে শেখা: অভিভাবকরা নিয়মিত সময় বের করে শিশুদের বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সহায়তা করতে পারেন। শিশুরা যখন পরিবারের সঙ্গে বসে লিখতে-পড়তে শেখে, তখন তারা একাডেমিক জীবনে আরও ভালো করতে পারে।
5. আবেগ নিয়ন্ত্রণ: শিশুদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখাতে বাবা-মাকে ইতিবাচক উদাহরণ তৈরি করতে হবে। ধৈর্য ধরে তাদের অনুভূতিগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন এবং কিভাবে আবেগের সঙ্গে সঠিকভাবে আচরণ করতে হয় তা শিখিয়ে দিন।
6. মৌলিক গণিত শিক্ষা: শিশুরা ছোটবেলা থেকেই প্রাথমিক অংক শেখা শুরু করতে পারে। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে গণিত শেখানো সহজ ও মজার একটি পদ্ধতি হতে পারে।
7. পর্যাপ্ত সময় ব্যয় করা: বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের সঙ্গে যথেষ্ট সময় কাটান। গল্প বলা, খেলা করা এবং শিক্ষামূলক কার্যকলাপে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে মানসিক বন্ধন গড়ে তোলে এবং তাদের থেকে জীবনের প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করে।
শিশুদের মৌলিক জীবন দক্ষতা শেখানোর প্রাথমিক দায়িত্ব পরিবার ও অভিভাবকদের ওপরই নির্ভর করে। সঠিক পারিবারিক শিক্ষা শিশুদের জীবন দক্ষতা অর্জনে সহায়ক হয় এবং ভবিষ্যতে তাদের আত্মবিশ্বাসী ও সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। অভিভাবকদের উচিত সচেতনভাবে এই শিক্ষাগুলো প্রদান করা এবং শিশুদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যেন তারা সমাজের জন্য মূল্যবান সম্পদ হয়ে উঠতে পারে।
ইয়াছিন মনজু

Address

Mahabub Bahaban(3rd Floor), 208, Agrabad Chattogram

4204

Telephone

+8801815501008

Website

http://www.yeasinmonju.com/

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শব্দের ছোঁয়া posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to শব্দের ছোঁয়া:

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share