25/01/2025
গল্প: নবীজীর ধৈর্য এবং দুর্ব্যবহারের প্রতি তার উত্তরদায়িতা
মক্কার মক্কাবাসী নবী করিম (সা.)-এর প্রতি শুরু থেকেই বিরূপ ছিল। তবে এক ব্যক্তি, আবু হুমায়রা নামে, নবীজীকে বিশেষভাবে বিরক্ত করত। সে প্রতিদিন রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে নবীজীর প্রতি কটাক্ষ করত, গালিগালাজ করত, এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত।
একদিন, আবু হুমায়রা নবীজীকে এমনভাবে গালিগালাজ করতে থাকে, যার ফলে নবীজী (সা.) খুবই কষ্ট পেলেন। সাহাবীরা তখনই এগিয়ে এসে বললেন, “হে রাসূলুল্লাহ! আমরা তার কাছে প্রতিশোধ নেব। আমরা তাকে শাস্তি দেব।”
নবীজী (সা.) হাসিমুখে তাদের থামিয়ে দিয়ে বললেন, “না, আমি আল্লাহর রাসূল। আমি প্রতিশোধ নেব না, আমি শুধু আল্লাহর পথে চলব।” তিনি বলেছিলেন, “ধৈর্য রাখা আল্লাহর নির্দেশ, এবং আমি আমার ধৈর্য ও সহানুভূতিতে বিশ্বাসী।”
সেইদিনের পর, আবু হুমায়রা একদিন রাস্তায় হেঁটে যাওয়ার সময় নিজেকে অসুস্থ বোধ করল এবং রাস্তা থেকে পড়ে গেল। তখন, নবীজী (সা.) দেখলেন এবং দ্রুত তার পাশে এসে দাঁড়ালেন। তিনি আবু হুমায়রাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এলেন, যদিও এই ব্যক্তি আগে নবীজীকে গালিগালাজ করত।
এতে আবু হুমায়রা অবাক হয়ে গেল এবং বলল, “আপনি আমাকে সাহায্য করছেন, অথচ আমি আপনার প্রতি এত কটু কথা বলেছি!” নবীজী (সা.) হাসিমুখে বললেন, “আমি আল্লাহর রাসূল। তুমি আমাকে ক্ষতি করতে চেয়েছিলে, কিন্তু আমি তোমার উপকার করতে চেয়েছি, কারণ আমি আল্লাহর রাস্তা অনুসরণ করি।”
আবু হুমায়রা অবশেষে আত্মসমালোচনা করলেন এবং ইসলামে প্রবেশ করলেন। তিনি নবীজীর ধৈর্য এবং সহানুভূতির জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেন।
এটি নবীজীর ধৈর্য এবং শিলত্বের এক বড় উদাহরণ, যেখানে তিনি বিরোধিতার মধ্যেও শান্ত থাকার এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতি দেখানোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।