Vanity Haul

Vanity Haul everyone join our page...

08/05/2025

মৃত্যু নিয়েও মশকরা
পুরুষের শারীরিক সৌন্দর্য আমাকে সচরাচর আকৃষ্ট করেনা ! আসলে, বাবার বংশের সব সুন্দর পোলাপান দেখে দেখে বড় হয়েছি বলে সুন্দর ছেলেদের প্রতি কেমন জানি একঘেয়েমি মিশ্রিত বিতৃষ্ণা কাজ করে !!!!
তখন আমি সদ‍্য এমবিবিএস পাশ করে জেনারেল সার্জারিতে ট্রেনিং করছি ! একদিন, আমার সার্জারির গুরু’র সাথে রাউন্ডে গিয়ে কেবিনে ঢুকেই থমকে গেলাম! কেবিন আলো করে অসম্ভব সুপুরুষ এক তরুণ বসে আছে! গ্রীক দেবতা এপোলো যেন গ্রীক পুরাণ থেকে বের হয়ে টাইম মেশিনে সওয়ার হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বেডে চলে এসেছে!
একজন রোগীর দিকে তরুনী চিকিৎসক ভ‍্যাবলার মতো তাকিয়ে আছে এটা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু ব‍্যপার ! তারপরও চোখ সরিয়ে নেয়া যাচ্ছে না!
নাহ! তার সৌন্দর্য কোন প্রকার মানসিক বা শারীরিক প্রেম তৈরি করেনা! বরং তার পুরুষালী সৌন্দর্য কোন মহান শিল্পীর আঁকা বিমূর্ত ছবির মতো যা অপলকে তাকিয়ে দেখা তো যায় কিন্তু তার গভীরতা স্পর্শের অতীত!
তার কেস ফাইলটা নিয়ে স‍্যারকে পড়ে শোনাতে গিয়ে হাত পা কাঁপতে থাকলো! এডিনোকারসিনোমা অফ কোলন ! সে ক‍্যানসারের তৃতীয় স্টেজে আছে !!! ছেলেটিও তার অসুখের কথা জানতো! তার বিষন্ন ডাগর চোখ দুটিতে রাজ‍্যের আকুতি নিয়ে বললো, আমাকে বাঁচান স‍্যার! যে কোন মূল্যে আমি বাঁচতে চাই!!! প্লিজ স‍্যার!
শত চেষ্টায়ও ছেলেটিকে বাঁচানো যায়নি! মৃত‍্যুর একদিন আগেও সে বিশ্বাস করতে পারছিল না- পৃথিবী একইরকম থাকবে- শুধু সেই থাকবে না! সে বারবার বলছিলো- “আমি ভালো হয়ে যাব, তাই না স‍্যার?? আজকে তো শরীরটা বেশ ভালো লাগছে!!!!”
এরপর কত রোগীর মৃত্যু দেখতে হয়েছে!! হার্ট অ্যাটাকের রোগী সামান্য বাতাস বুকে টেনে নেয়ার জন‍্য ছটফট করেছে! বেঁচে থাকা এত যন্ত্রনা কিন্তু মরে যাওয়া যে আরও ভীষণ কষ্টের !!!
হার্টের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মানো একটি ফুটফুটে আলহাদী বাচ্চার সফল অস্ত্রাপচারের পর দ্বিতীয় দিন হঠাৎ হার্ট ফেলিউরের দিকে যাওয়া শুরু করলো ! ভেন্টিলেটর সাপোর্টে সব ঔষধ প্রয়োগ সত্ত্বেও অক্সিজেন স‍্যাচুরেশল ক্রমশ কমছে ! ওৎ পাতা মৃত্যু ঝাঁপিয়ে পরার জন‍্য প্রস্তুত! কী নির্মম অসহায়ত্ব!!! মনে হচ্ছিল, আহ! আয়ু যদি ধার দেয়া যেত তবে নির্দ্বিধায় বিনা শর্তে বিনা সুদে আমার আয়ু তাকে ধার দিতাম !!
মৃত্যুকে থাবা গেড়ে বসতে দেখেছি, জীবন মৃত্যুর লড়াই দেখেছি! বেঁচে থাকার আর বাঁচিয়ে রাখার প্রমত্ত উন্মাদনা দেখেছি !
সেই মৃত্যু নিয়ে এখন মিথ্যা রটনা, গুজব, উপহাস , হাস‍্যরস এসবও দেখছি !
আমরা যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় তারা তো বিভিন্ন ভাবে নিজের জীবন কে মশকরা বানিয়েছি- এখন মৃত্যু নিয়েও মশকরা চলছে !!!!
বিবাহ, তালাক, প্রেম, বিরহ, গর্ভধারণ জীবনের এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে তামাশা করতে করতে আমরা এতটাই বেপরোয়া যে মৃত্যু নিয়েও আজকাল তামাশা করতে দ্বিধা করিনা !!!

05/05/2025
collected post এই লোকটাকে দেখতে মনে হচ্ছে না—কত সুন্দর নূরানী চেহারা! নিশ্চয়ই একজন আলিম হবেন! আল্লাহ ওয়ালা কেউ!  কিন্তু ...
02/05/2025

collected post
এই লোকটাকে দেখতে মনে হচ্ছে না—কত সুন্দর নূরানী চেহারা! নিশ্চয়ই একজন আলিম হবেন! আল্লাহ ওয়ালা কেউ! কিন্তু এই লোক একটা বিশ্ব প্রতারক।

এক চিল্লার জন্য বের হয়েছিলো আমার ছোট ভাই। তাদের জামায়াতে সেই একমাত্র আলিম ছিলো। আর বাকি সবাই মুরুব্বি। ঈশার নামাজের পরে বয়ান করতেছিলো। এরমধ্যে এই লোক মসজিদে প্রবেশ করে। চারপাঁচ দিন এভাবে মসজিদে তালিমে বসে। একদিন তালিমের ফাঁকে সামনে এসে জিজ্ঞেস করে বাবাজি তোমার নাম কী?

‘আশিক এলাহী।’

লোকটা বলে, ‘ঠিক তোমার মতো দেখতে আমার একটা ছেলে আছে। তোমার মতোই মাথায় বাবরিচুল। চেহারাও কিছুটা তোমার মতো। তার ছেলের ছবি দেখালো। আসলেই ছেলেটা দেখতে আশিকের মতো ছিলো কিছুটা।
আমার ছেলে মদিনা ইউনিভার্সিটিতে পড়ে। এভাবে কয়েকদিন ভাইয়ের সাথে এই লোকের আলাপচারিতা হয়। বাসা কোথায়, বাবা কী করে, কয় ভাইবোন, তার ফিউচার প্ল্যান কী? আশিক সবকিছু উত্তর দেয়।

লোকটা বলে সে আমেরিকার বুস্টান শহরে থাকে। তখন আমার ভাইয়েরও নিউইয়র্কে যাওয়ার কথাবার্তা হচ্ছিলো। কিন্তু সেটা ফাইনাল ছিলো না।
এসব কথাবার্তা বলার দুইতিন দিন পরে বলল, বুস্টান শহরে তার শ্বশুরের একটা মসজিদ আছে। শ্বশুর আমেরিকান। সেই মসজিদের ইমাম সাহেব বৃদ্ধ হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ায় এখন ইন্সট্যান্ট ইমাম নিবে। আমার ভাইয়ের তেলাওয়াত শুনে তার ভালো লাগে। তারপর সে প্রস্তাব দেয় আমি চাই তোমাকে বুস্টানে নিয়ে যেতে। সেরকম খরচ লাগবে না।

তারপর লোকটা বলে এসব কথাবার্তা তো মসজিদে বসে বলা যায় না, চলো আমরা কোনো রেস্টুরেন্টে বসি। তার ব্যবহার, কথাবার্তা এতটা অমায়িক ছিলো যে কেউ তার ভক্ত হতে বাধ্য৷ তারপর রেস্টুরেন্টে নিয়ে চাউমিন খেতে দেয়। ভাই বলে আঙ্কেল আমি এটা খেতে পারবো না। লোকটা এমনভাবে অনুরোধ করলো তারপর সে বাধ্য হলো খেতে।

আমার ভাইয়ের থেকে আব্বুর নাম্বার নিলো লোকটা। তারপর আব্বুকে সব খুলে বলল। জানিনা লোকটার কথায় কী জাদু ছিলো, আমার জ্ঞানী আব্বুও এই লোকের কথা বিশ্বাস করে নেয়। কেমন যেন জিম্মি হয়ে যায়।

আমার ভাইকে যদি বলা হতো লোকটার বাসা কোথায়, তার আত্মিয়স্বজন কে কে আছে খোঁজ নিতে সে কেন যেনো রেগে যেতো। তারপর পাসপোর্ট করলো। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে নাকি অনেক কাটখোড় পোহানো লাগবে, দালালরা অনেক টাকা খাবে। এজন্য দিল্লি থেকে যেতে চাইলো। যেখানে আমেরিকা যেতে ২৫/৩০ লাখ লেগে যায় সেখানে ১৫ লাখ লাগবে। কারণ লোকটা ফ্যামিলি ভিসায় নিতে চেয়েছে।

বিশ্বাস করার অনেক কারণ ছিলো, সে ওমরা গিয়ে কাবা ঘরের সামনে, তাওয়াফ করার সময়, সায়ী করার সময়, মদিনা গিয়ে আমার আব্বুর সাথে, ভাইয়ের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতো। কাবার গিলাফের কাছে গিয়ে বলেছে ভাইজান চিন্তা করবেন না আপনার ছেলেকে আমি আমার নিজের সন্তানের মতো জানি। বিশ্বাস অর্জনের জন্য যা যা লাগে সব করেছে সে।

দেশে এসে আমার ভাইকে সে বলল, ভাইপো, আমাকে চিংড়ি মাছ গিফট করো। আমাদের এলাকা চিংড়ির জন্য বিক্ষাত। আমার দয়ালু বাবা ১৫ কেজি গলদা চিংড়ি উপহার দেয়। সেটা নাকি সে আমেরিকা পাঠাবে।

তারপর ভিভো নতুন ফোন কিনালো, এটা নাকি লাগবে এম্বাসিতে দেখানোর জন্য। ব্লাড কানেক্টেড ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বলা যাবে না। কারণ দিল্লির চেকপোস্টে এগুলো চেক করে। এগুলো মাথার উপর দিয়ে যায় আমাদের। ভিসা নেওয়ার সময় এম্বাসিতে নতুন ফোন জমা দিতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা পাঠায়। এটা ভিসার কাজে লাগবে। যা যা করানো লাগে সবই করে, মেডিকেল থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু ঢাকা থেকে করে। কিন্তু ভিসাটা দিল্লি থেকে করতে হবে। দিল্লি হয়ে গেলে সুবিধা।

লোকটা বারবার বলতো, বাংলাদেশের মানুষ হলো কুত্তা। এরা টাকার কুত্তা। সব দালাল, সব জায়গায় ঘুষ খায়। বলতো, ঘুষ আমি খাবো না। এসব আমি পছন্দ করি না। খাবারও বেছে চলতো। এমনভাবে বলতো মনে হতো সে একজন আল্লাহর ওলী।

৫ লাখ টাকা ডলার করে বেনাপোল থেকে দিল্লিতে যায়। সেখানে একটা হটেল বুকিং করে আশিককে রাখে। সেখানে মিট আইটেম কিছুই যেন না খায় সে ব্যাপারে সতর্ক করতো। মাছ সবজী এসব যেন খায়। মাংস তো হালাল হবে না।

দিল্লি এম্বাসিতে ঢোকার সাথে সাথে সেখানে চেক করে বলে এগুলো কিসের ডলার? এটা বলার সাথে সাথে এই লোকটা ভাইয়ের থেকে ডলার গুলো নিয়ে বলে এগুলো কিছু না। এই ছেলেটা আমার রিলেটিভ। ভিসা হতে তিনদিন লাগবে। কোনো সমস্যা নেই সবই ঠিক আছে।

তিনদিন দিল্লিতে বসে কী করবে এজন্য লোকটা ট্যুরিস্ট বাস বুকিং করে বলে, ‘আশিক, আজ সারাদিন দিল্লি শহর ঘুরে দেখো। একা একা ভালো লাগবে না। লোকটা নিজের সাথে আশিককে রাখলো না। কারণ লোকটার সাথে তার স্ত্রী ছিলো। স্ত্রী হলো আমেরিকান মহিলা। আগে অমুসলিম ছিল, পরে মুসলিম হয়ে এই লোককে বিবাহ করে। তার স্ত্রী আসার কারণ হলো সে যেহেতু সরাসরি আমেরিকান এজন্য ভিসা হতে সময় লাগবে না।

সারাদিন দিল্লিতে ঘুরে রাতে হোটেলে ফিরে চোখটা লেগে আসে আশিকের৷ রাত ২ টার সময় তার ফোনে ম্যাসেজ আসে, বাবাজি আমার শ্বাশুড়ি মারা গেছে, সে তো অসুস্থ ছিলো কয়েকমাস ধরে। তোমার আন্টিই তাদের একমাত্র মেয়ে। তোমার আন্টি একদম ভেঙ্গে পড়েছে। এজন্য তাকে নিয়ে ইন্সট্যান্ট টিকিট কেটে আমেরিকা চলে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ ৩ মাস পরে এসে আমরা তোমাকে নিয়ে যাবো। আমার ভাই তো তখন সর্বশান্ত। তার হাতে ২ হাজার টাকা ছাড়া কিছু নেই। বাংলাদেশ থেকে টাকা পাঠানোর পরে সে দেশে আসে।

তারপর ৩ মাস গেলো, তখন আরেকটা অযুহাত দেখালো। একবার তার শ্বাশুড়ি মরলো, আরেকবার তার বউ অসুস্থ হলো, শেষে তার হোয়াটসঅ্যাপ থেকে ম্যাসেজ আসলো, ‘বাবাজি আমি তোমার আঙ্কেলের বোন ফুপু বলতেছি। তোমার আঙ্কেল মারা গেছে। আমরা তোমাদের ১০ লাখ টাকা ফেরত দিতে চাই। ব্যাংক আকাউন্টের নাম্বার পাঠাও, আমার ভাই একাউন্ট নাম্বার পাঠালো। আজ দেব, কাল দেব করে দেয়নি।

যে ম্যাসেজ এসেছিলো সেই ম্যাসেজের ধরণ এই লোকের ম্যাসেজের মতোই ছিলো। সে মারা গেলো কী করে!

এই খবর শোনার পরে আমার ভাই, আব্বু ভেঙ্গে পড়েছিলো একদম। আমার মনে হচ্ছিলো, কী যেন হয়ে গেলো। কয়েকমাস আমাদের পরিবার একটা ট্রমার ভেতর ছিলো। তাদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নিবে! কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। খোঁজ নিয়ে যেটা বের হয়, লোকটার নাম বলেছিলো আব্দুর রহমান। কিন্তু ব্যাংক একাউন্টে নাম ছিলো হেলাল উদ্দীন। এটা একটা গ্যাং, যার সাথে অনেক হিন্দু জড়িত।

আমাদের এসবে যখন সন্দেহ হতো তখন বলতাম লোকটা যদি ফ্রড হয়? এই কথা বললে আমার ভাই এবং আব্বু দুজনই কেনো যেন রেগে যেতো। এখানে রেগে যাওয়ার কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না। আমার আব্বু কখনোই কাউকে এভাবে বিশ্বাস করে টাকা দেয়নি। এই লোকটাকে কেনো বিশ্বাস করলো তিনি এখনো বুঝে উঠতে পারেননা। আমার ভাই তো এক প্রকার উন্মাদ ছিলো। তার আচরণ ছিলো অন্যরকম।

আমাদের অনেক আত্মিয়স্বজন আমেরিকা আছে। জেঠা, মামাদের অনেকেই আছে। আব্বু তাদের সাথেও শুরুতে এই লোকের কথা বলে, তারাও বলল হয়তো ভালো হবে। কিন্তু এত বড় ফাঁদ বুঝলো না। লেবাস আর কথায় বিশ্বাস করেছে। সে নিজেকে আলিম পরিচয় দিয়েছিলো। কথাবার্তাও আলিমের মতোই ছিলো।

শেষে একটাই সান্ত্বনা তারা আমার ভাইকে দিল্লি নিয়ে মেরে ফেলেনি এটাই অনেক। টাকা গেছে এটা পরোকালে পাবোই৷ ভাই যে সুস্থসবলে ফিরে এসেছে এটাই অনেক।

আমাদের জন্য একটা শিক্ষা—লেবাস আর মিষ্টি কথা দেখে আমরা গলে যাই। আল্লাহ ভিরুতা দেখে আমরা ওলী ভাবি, কাবা ঘরের গিলাফ ধরেও বিশ্বাস নিয়ে যে খেলে সে সাক্ষাত একটা কাঞ্জুস, মুনাফিক। আল্লাহ এসব মুনাফিকদের বিচার নিজ হাতে করবেন।

Fatima Afrin

18/02/2025
Ten Unknown Facts About   😉
06/09/2024

Ten Unknown Facts About 😉

24/08/2024

আমার বন্ধু ওয়াসিফ আজিম সুপ্ত ইন্ডিয়া ট্যুরে গেছে অনেকবার। তো একবার ট্রেনে একটা মজার ঘটনা ঘটে। সে পকেট থেকে বেনসন সিগারেট বের করে। পাশে থাকা এক ইন্ডিয়ান তাকে জিজ্ঞেস করে সে কি বেনসন খাচ্ছে কি না! সুপ্ত বলে হ্যাঁ৷ ভারতীয়টা তার হাত থেকে বেনসনটা নিজের হাতে নিয়ে দেখতে চাইলো। সুপ্ত দিলো।
ভারতীয় জিজ্ঞেস করলো, "দাদা আপনার বাবা কি খুব বেশি বড়লোক?" কেন? না মানে, বেনসন খাচ্ছেন তো তাই।
ওহ! আরে না। এত বড়লোক না।
সুপ্ত বললো, "তুমি খাবা নাকি বেনসন?" লোকটা বললো, হ্যাঁ। লোকটা খুব খুশি। সুপ্ত লোকটাকে একটা বেনসন দিলো। লোকটা অনেক্ষণ ওটা দেখার পর পকেটে রেখে দিলো। সুপ্ত বললো, খাচ্ছেন না কেন? পকেটে রেখে দিলেন যে? লোকটা বললো, "দাদা সামনে পূজো তো, পুজোয় খাবো"।
সুপ্ত, তাকে আরেকটা বেনসন দিয়ে বলে, "আপনি এটা খান এখন, আর ঐটা পুজোতে খাইয়েন "।

এই লেভেলের ফ কি ন্নির বাচ্চারা বলে বাংলাদেশে ত্রাণ না পাঠাতে।
শা [লা] রা বেনসন জীবনে চোখেও দেখে নি। বাংলাদেশীদের থেকে ভি*ক্ষা করে চেয়ে নেয়। ওরা আবার ত্রাণ না দেয়ার শপথ নিছে। আগে তোরা খেয়ে বাঁচ ভাই। আমাগো লাগবে না।।

© copy post

23/08/2024

ডক্টর ইউনূস সেদিন বলেছিলেন, এই দেশের সব প্রতিষ্ঠান হাসিনা ধ্বংস করে গেছে।

সেই ধ্বংসের নমুনাই আমরা এখন এই বন্যাতে দেখতেছি।

সেনাবাহিনী বিমানবাহিনী চেষ্টা করতেছে। কিন্তু রিসোর্স নাই। ফেনীতে হেলিকপ্টার পাঠাইলে কুমিল্লা বা খাগড়াছড়িতে পাঠানো যাচ্ছে না।

রিসোর্সও নাই। ম্যানপাওয়ারও নাই। অথচ বন্যা আমাদের জন্য কোন হঠাৎ ঘটনা না। প্রতি বছরই হয়। অথচ ১৫ বছর ধরে হাসিনা এই মানুষগুলোর জন্য কিছু করে নাই। লিটারালি কিছু না।

আমাদের ফায়ার সার্ভিস এখনও সেই মান্ধাতার আমলের ইকুইপমেন্ট নিয়ে কাজ করে। কাজ করতে যাইয়া নিজেরাও মরে।

অথচ ফায়ারসার্ভিসকে আধুনিক করতে কয় টাকা লাগে? হাসিনা নিজেই রূপপুর থেকে খেয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। এস আলম খেয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা।

এই টাকাতে কতগুলো উদ্ধার হেলিকপ্টার হতো? এই টাকাতে কতদিনের ত্রান কেনা যেত?

অথচ প্রকল্পের পর প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। রুপপুর, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু। আর মানুষের জীবন বাঁচানোর বেলায়? টাকা নাই। ত্রান পাঠাও। সাহায্য আনো।

বাট এই মানসিক বিকৃতি কি শুধু হাসিনারই ছিলো? আমার আপনার মতো আরবান মিডল ক্লাসের দায় কি একেবারেই নাই?

আপনি যখন মেট্রোরেলে উঠে বলেছেন, থ্যাংকিউ পিএম। ঠিক ঐ সময় কুড়িগ্রামে বন্যায় একটা মেয়ে মারা গেছে। আপনি ইন্নালিল্লাহও পড়ার টাইম পান নাই। কারণ আপনি তখন মেট্রোরেল আর পদ্মাসেতুর সাথে ছবি তুলতে ব্যস্ত।

হাসিনা আমাদের বোঝাতে চেয়েছিলো, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে মানে উন্নয়ন। ফ্লাইওভার মানে উন্নয়ন। চার লেনের সড়ক মানে উন্নয়ন। আমরাও সেইটা মেনে নিয়েছিলাম।

হাজার হাজার কোটি টাকার মেগাপ্রজেক্টের উন্নয়নে আমরা বন্যাগ্রস্থ মানুষের কথা ভুলে গেছিলাম। আমরা ভুলে গিয়েছিলাম নদী ভাঙনে বা ভূমি ধ্বসে সব হারানো পরিবারটার কথাও।

হাসিনা যখন মানুষের লাশ ছেড়ে মেট্রোরেল ধরে কান্নাকাটি করলো, সবাই খুব কষ্ট পেলেন। বাট আমি আপনিও কি সেইম কাজটাই করে আসিনি এতোদিন?

খেলাফতের দায়িত্ব পাওয়ার পর খুব সম্ভবত হযরত উমর খুব কাঁদতে লাগলেন। জিগানো হলে বললেন, আজ থেকে নদী দিয়ে যদি কোন কুকুর ভেসে যায়, সেটার দায় তো আমাকেই নিতে হবে। এ কি সহজ দায়িত্ব?

উন্নত রাষ্ট্রের ডেফিনিশন ঐ যে ঐটা। একটা বিড়াল একটা কুকুরের জীবনের জন্যও যখন রাষ্ট্র দায়বদ্ধ থাকবে, ঐটাকেই বলে কল্যান রাষ্ট্র।

আপনার মেট্রোরেল না থাকুক, ঝা চকচকে রাস্তা না থাকুক, বাট বন্যা হলে একটা মানুষকে উদ্ধার করার সামর্থ্য যখন থাকবে, জীবন জিবীকা হারানো কৃষকটার পাশে যখন রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় পয়সা নিয়ে দাঁড়াতে পারবে, ঐটারে তখন বলা হবে উন্নয়ন।

হাসিনাকে দেশ ছাড়া করা গেছে।

এবার ওর এইসব অশ্লীল উন্নয়নের ডেফিনিশনগুলোকেও তাড়ানোর সময় হয়েছে।

আমরা অবশ্যই অবকাঠামোগত উন্নয়ন চাই । মেট্রোরেল চাই, পাতাল রেল চাই, তবে সেটা মানুষের জীবনের বিনিময়ে না।

হাসিনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত নোয়াখালী, ফেনী, কুমিল্লা বা কুড়িগ্রামের মতো বন্যাকবলিত এলাকা থেকেই শুরু হোক।

মানুষের যেটুকু করার, করেছে। আরো যা করার, ঐটাও আমরা সাধারণ মানুষ করবো।

বাট রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো, উদ্ধার ব্যবস্থাকে আধুনিক করা। পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়া। একটা মানুষকেও যেন সর্বস্ব হারাতে না হয়, ভর্তুকি, বিনা সুদে লোন, যত রকম সাহায্য করা সম্ভব, ঐটা এনশিওর করা।

দুই কেজি মুড়ি আর চাল ডাল আমরাই দিতে পারবো, সরকার বরং দীর্ঘমেয়াদি কিছু করুক। যত টাকা লাগে, খরচ করুক।

ওতে যদি যমুনা রেল সেতুর কাজ অফ থাকে, থাকুক। যদি মেগা প্রজেক্ট দুইটা কম নেওয়া হয়, তাও হোক।

হাসিনার বাংলাদেশে মেগাপ্রজেক্ট মানেই ছিলো রাস্তা, ব্রিজ, বিল্ডিং।

নতুন বাংলাদেশের সবচে বড় মেগাপ্রোজেক্ট হোক মানুষ, জীবন আর জীবিকা।

আমরা হাসিনার ঐ মেট্রোরেলের জন্য কান্নাকাটি আর দেখতে চাই না। মানুষের জন্য কান্নাকাটি দেখতে চাই।

রাষ্ট্র মানুষকে রক্ষা করুক। তাহলে এই মানুষই রাষ্ট্রকে রক্ষা করবে নিজের রক্ত দিয়ে হলেও।

Address

Chittagong, Pahartali
Chittagong Division

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Vanity Haul posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share