01/10/2025
এই আর্টখানার সিম্বোলিক রিপ্রেজেন্টেশানে জিওপলিটিক্যাল-থিওপলিটিক্যাল কিছু মাজেজা আলাপে আসা দরকার, কিন্তু আসে নাই।
খেয়াল করেন, পার্বত্য অঞ্চলের রক্ষক হয়ে আসছেন দেবী দূর্গা। চেহারার গড়নে তিনি বাংলাদেশের পাহাড়ী না, উত্তর ভারতীয়, মূলত উত্তরাখন্ড/উত্তর প্রদেশের আর্যবংশীয় উচ্চবর্নের মানুষ। তিনি বধ করতেসেন মহিষাসুর রুপী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে, হাতের ত্রিশুল দিয়ে। ত্রিশুল বাংলাদেশের পাহাড়ীদের অস্ত্র না, মূলত উত্তর ভারত এবং বিহার, মিথিলা, বাঙ্গালা, তিহার, ভুপাল, নেপালের শক্তিপুজারীদের ধর্মীয়ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ অস্ত্র।
পেছনে যে সূর্য উঠতেসে, ঐটায় বাংলাদেশের পতাকার সূর্যের লাল নাই, বাংলাদেশের পতাকায় শহীদের রক্তে লাল যে সূর্য আমরা দেখি তা আরো গাঢ় লাল। এই ছবির সূর্য গেরুয়া রঙেরই বেশি কাছাকাছি। সেই গেরুয়া রক্ত বইতেসে দুই পাহাড়ের মাঝখানের উপত্যকায়।
বাংলাদেশের পাহাড়কে অসুর-যবন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হাত থেকে রক্ষা করতে গেরুয়া সূর্যের শক্তিতে আবির্ভুত হইতেসেন উত্তর ভারতীয় আর্য এথনিসিটির দেবী দুর্গা, হাতে উত্তর ভারতীয় অস্ত্র।
এবং এইখানে কোথাও পাহাড়ের মানুষের কোন উপস্থিতি নাই। তাদের এইজেন্সি জিরো।
আমাদের পাহাড়ীরা কোনকালে বিপদে পড়ে দুর্গাকে ডেকেছে, দীর্ঘ ১০ বছর যাবত পাহাড়ে যাতায়াত করেও এই দৃশ্য দেখার অভিজ্ঞতা আমার হয় নাই।
হইতে পারে এই দুর্গা নিজে নিজেই আসতে চাইতেসেন, পাহাড়কে 'মুক্ত' করতে। অন্তত ঢাকাই লিবারেল লেফটদের ভাবেসাবে তো সেটাই মনে হইতেসে। তাকে মূলত এই আর্টের মাধ্যমে আহবান জানানো হইতেসে।