Sadhana24

Sadhana24 SADHANA24 পেইজের সাথে থাকার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ রইল।
(1)

হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
12/10/2025

হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে ১৮তম দানোত্তম কঠিন চীবর দানানুষ্ঠানে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চার্জশিটে নাম আসা কর্মরত ১৫ জন সেনা ক...
12/10/2025

আওয়ামী লীগ শাসনামলে সংঘটিত গুমের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) চার্জশিটে নাম আসা কর্মরত ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে (এলপিআর) থাকা আরও একজন কর্মকর্তাও হেফাজতে রয়েছেন।

তবে অভিযুক্তদের মধ্যে মেজর জেনারেল কবির নামে একজন কর্মকর্তা গত ৯ অক্টোবর থেকে ‘নিখোঁজ’ রয়েছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।

শনিবার বিকেলে ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী এই র...
12/10/2025

চলতি বছর শান্তিতে নোবেল পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদো। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) ভেনেজুয়েলার গণতন্ত্রকামী এই রাজনীতিককে সম্মানজনক এ পুরস্কারে ভূষিত করে নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি।

নোবেল কমিটি জানিয়েছেন, গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় নিরলস কাজের স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে মাচাদোকে। ভেনেজুয়েলাকে একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন এই নারী।

এর আগের বছর শান্তিতে পুরস্কার পেয়েছিল জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। তারা পারমাণবিক বোমা হামলার শিকার মানুষদের প্রতিনিধিত্ব এবং পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত বিশ্ব গড়তে কাজ করে।

অন্যদিকে, এবছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শান্তিতে নোবেল পেতে ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। তবে তিনি এ পুরস্কার পাননি।

প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেল পুরস্কারে এ বছর মনোনয়ন পেয়েছিলেন ৩৩৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। তবে কারা মনোনয়ন পেয়েছেন সেটি প্রকাশ করে না নোবেল কমিটি। এ তালিকা আগামী ৫০ বছর পর্যন্ত সুরক্ষিত রাখা হবে গোপন ভল্টে।

প্রথমত, উক্তিটি অননুশীলিত বা অপ্রশিক্ষিত মনের দুর্বলতাকে একটি 'দুচ্ছন্দ গৃহ' বা ত্রুটিপূর্ণ ছাদের সাথে তুলনা করে। "দুচ্ছ...
12/10/2025

প্রথমত, উক্তিটি অননুশীলিত বা অপ্রশিক্ষিত মনের দুর্বলতাকে একটি 'দুচ্ছন্দ গৃহ' বা ত্রুটিপূর্ণ ছাদের সাথে তুলনা করে। "দুচ্ছন্দ গৃহ যেমন বর্ষণধারা প্রতিরোধ করতে পারে না, সেরূপ অননুশীলিত চিত্ত কামনাকে প্রতিরোধ করতে পারে না।" - একটি দুর্বল বা ক্ষতিগ্রস্ত ছাদ যেমন বৃষ্টির পানিকে ঘরে ঢুকতে বাধা দিতে পারে না, তেমনি অপ্রশিক্ষিত এবং অসংযত মনও জাগতিক কামনা-বাসনা, প্রলোভন এবং ক্ষণস্থায়ী আবেগের ঢেউকে প্রতিরোধ করতে পারে না। এই ধরনের মন সহজেই ভোগবাদী আকাঙ্ক্ষা, ক্রোধ, লোভ এবং মোহের দ্বারা প্রভাবিত হয়। যেহেতু মনকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনো অনুশীলন নেই, তাই এটি বাইরের উদ্দীপনাগুলির কাছে আত্মসমর্পণ করে, ফলে ব্যক্তি শান্তি ও স্থিরতা হারিয়ে ফেলে। এই দুর্বলতা মানুষকে দুঃখ এবং অস্থিরতার চক্রে আবদ্ধ রাখে।
অন্যদিকে, উক্তিটি একটি সুপ্রশিক্ষিত বা সাধনাসিদ্ধ মনের শক্তিকে 'সুচ্ছন্দ গৃহ' বা সুরক্ষিত ছাদের সাথে তুলনা করে। "সুচ্ছন্দ গৃহ যেমন বৃষ্টিধারা প্রতিরোধ করতে পারে, সেরূপ সাধনাসিদ্ধ চিত্ত কামনায় বিচলিত হয় না।" - একটি শক্তিশালী এবং সুনির্মিত ছাদ যেমন সফলভাবে বৃষ্টিকে আটকে রাখে, তেমনি নিয়মিত অনুশীলন, ধ্যান এবং আত্মসংযমের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত মন জাগতিক কামনার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে। এই 'সাধনাসিদ্ধ চিত্ত' অভ্যন্তরীণ শান্তি এবং স্থিরতা অর্জন করে। এটি বাহ্যিক প্রলোভন বা অস্থির আবেগ দ্বারা সহজে বিচলিত হয় না, কারণ মন তার ভেতরের শক্তি ও ভারসাম্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে শিখেছে। এই ধরনের মন আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং প্রজ্ঞার দ্বারা পরিচালিত হয়, যা ব্যক্তিকে প্রকৃত মুক্তি ও নির্বাণ লাভে সাহায্য করে।
সংক্ষেপে, এই উক্তিটি আমাদের শেখায় যে, মনের প্রশিক্ষণ এবং অনুশীলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি অপ্রশিক্ষিত মন কামনার স্রোতে ভেসে যায়, কিন্তু একটি প্রশিক্ষিত মন সেই কামনাগুলিকে প্রতিরোধ করে শান্তি ও স্থিরতা অর্জন করতে পারে।

প্রথমত, যারা মলপূর্ণ দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেহকে মনোজ্ঞরূপে দর্শন করে, তাদের জীবনের এক করুণ চিত্র এখানে তুলে...
12/10/2025

প্রথমত, যারা মলপূর্ণ দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে দেহকে মনোজ্ঞরূপে দর্শন করে, তাদের জীবনের এক করুণ চিত্র এখানে তুলে ধরা হয়েছে। এরা অসংযতেন্দ্রিয়, অর্থাৎ ইন্দ্রিয়গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাদের ভোজন অপরিমিত (অমিতাহারী), তারা অলস এবং তাদের মধ্যে কোনো প্রকার আধ্যাত্মিক বা মানসিক উৎসাহ নেই (হীনবীর্য)। এই ধরনের মানুষেরা জীবনের ক্ষণস্থায়ী এবং আপেক্ষিক সৌন্দর্যের মোহে ডুবে থাকে। তারা দেহের ভেতরের ক্ষণভঙ্গুরতা এবং অপবিত্রতাকে উপেক্ষা করে। ফলস্বরূপ, তারা 'মার' অর্থাৎ প্রলোভন, দুঃখ এবং মৃত্যুশক্তির দ্বারা সহজেই পরাভূত হয়, ঠিক যেমন একটি দুর্বল বৃক্ষ প্রবল বাতাসের মুখে ভেঙে পড়ে। তাদের এই দুর্বলতা তাদের মানসিক শান্তি ও আধ্যাত্মিক উন্নতির পথে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় প্রকারের মানুষেরা সম্পূর্ণ ভিন্ন পথ অবলম্বন করে। এরাও দেহের বাহ্যিক সৌন্দর্যে প্রলুব্ধ হয় বটে, কিন্তু তারা দেহকে তার প্রকৃত রূপেই দর্শন করে – অর্থাৎ এটি মলপূর্ণ এবং ক্ষণস্থায়ী। এই উপলব্ধি তাদের ইন্দ্রিয়গুলিকে সংযত রাখতে সাহায্য করে (সংযতেইন্দ্রিয়)। তারা মিতাহারী, অর্থাৎ পরিমিত আহার গ্রহণ করে এবং তাদের মধ্যে গভীর শ্রদ্ধা ও বিশ্বাস (শ্রদ্ধাসম্পন্ন) থাকে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তারা সম্যক উৎসাহী – তাদের মধ্যে সঠিক পথে চলার জন্য অবিচল উদ্দীপনা থাকে। এই ধরনের মানুষরা জাগতিক মোহ থেকে মুক্ত থাকতে পারে, কারণ তারা নিজেদের ভেতরের শক্তি ও সত্যকে উপলব্ধি করেছে। তারা 'মারের' প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে, ঠিক যেমন বায়ুর সম্মুখে একটি শৈলময় পর্বত অচল ও অটল থাকে। তাদের দৃঢ়তা, সংযম এবং সঠিক বোঝাপড়া তাদের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও মুক্তি এনে দেয়।

"আমরা নিত্য মৃত্যুসমীপে উপস্থিত হইতেছি" – এই শাশ্বত সত্যটি মানব জীবনের এক গভীর বাস্তবতা, যা কলহপরায়ণ মূর্খ ব্যক্তিগণ প্র...
12/10/2025

"আমরা নিত্য মৃত্যুসমীপে উপস্থিত হইতেছি" – এই শাশ্বত সত্যটি মানব জীবনের এক গভীর বাস্তবতা, যা কলহপরায়ণ মূর্খ ব্যক্তিগণ প্রায়শই উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। এই উক্তিটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে, প্রতিটি মুহূর্তই আমাদের মৃত্যুর দিকে ধাবিত করছে। এই চরম সত্যকে যারা অনুধাবন করতে পারে না, তারা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কলহ, বিবাদ এবং হিংসায় লিপ্ত থাকে। তাদের জীবন ক্ষুদ্র স্বার্থপরতা এবং ক্ষণস্থায়ী কামনা-বাসনার দ্বারা পরিচালিত হয়।
কলহপরায়ণ মূর্খ ব্যক্তিরা মনে করে যে তাদের জীবন অসীম, তাই তারা অন্যকে আঘাত করতে, ক্ষতি করতে এবং তাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দ্বিধা বোধ করে না। তারা উপলব্ধি করে না যে, এই পার্থিব কলহ এবং শত্রুতা সবই অনর্থক, কারণ শেষ পর্যন্ত সবকিছুই মৃত্যুর কাছে বিলীন হয়ে যাবে। তাদের এই সংকীর্ণ মানসিকতা কেবল নিজেদেরই নয়, সমাজের শান্তিও বিঘ্নিত করে।
তবে, যাঁদের মনশ্চক্ষুতে এই সত্য পরিস্ফুট হয় – অর্থাৎ যারা মৃত্যুর অনিবার্যতাকে হৃদয়ের গভীরে উপলব্ধি করতে পারে – তাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমূল পরিবর্তিত হয়। তারা বুঝতে পারে যে জীবন ক্ষণস্থায়ী এবং এই স্বল্প সময়ে কলহ-বিগ্রহে লিপ্ত থাকা অর্থহীন। মৃত্যুর এই সচেতনতা তাদের অহংকার, ক্রোধ এবং বিদ্বেষকে সমূলে উপড়ে ফেলে। তারা বুঝতে পারে যে, প্রেম, সহানুভূতি এবং শান্তিই জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য।
এই গভীর উপলব্ধি মানুষকে ক্ষমাশীল করে তোলে, অপরের প্রতি সহনশীলতা বাড়ায় এবং ক্ষুদ্র স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে বৃহত্তর মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করতে উৎসাহিত করে। যখন মানুষ বুঝতে পারে যে তাদের সময় সীমিত, তখন তারা প্রতিটি মুহূর্তকে সার্থকভাবে কাজে লাগাতে চায়, ভালোবাসতে চায় এবং শান্তি স্থাপন করতে চায়। এভাবেই মৃত্যুর এই চরম সত্য উপলব্ধি কলহ-বিগ্রহকে সমূলে ধ্বংস করে এবং জীবনে এক নতুন অর্থ ও গভীরতা এনে দেয়।

"এমন কতগুলো মানুষরূপী অমানুষ আছে, যারা নিজেই শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।" - এই উক্তিটি সমাজের...
12/10/2025

"এমন কতগুলো মানুষরূপী অমানুষ আছে, যারা নিজেই শান্তিতে থাকতে পারে না, অন্যকেও শান্তিতে থাকতে দেয় না।" - এই উক্তিটি সমাজের এক কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরে। কিছু মানুষ বাহ্যিকভাবে মানুষের রূপ ধারণ করলেও, তাদের মন ও কর্ম অমানবিকতার পরিচয় দেয়। তারা নিজেদের ভেতরের অস্থিরতা ও অতৃপ্তির কারণে কেবল নিজেদেরই নয়, তাদের চারপাশের মানুষদের জীবনকেও বিষিয়ে তোলে।
এই ধরনের মানুষেরা প্রায়শই ঈর্ষা, অহংকার, নিরাপত্তাহীনতা অথবা গভীর কোনো মানসিক যন্ত্রণায় ভোগে। যেহেতু তারা নিজেরা শান্তিতে নেই, তাই তারা অপরের সুখ বা শান্তিও সহ্য করতে পারে না। তাদের প্রধান উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়ায় অন্যদের কষ্ট দেওয়া, সমালোচনা করা, অথবা তাদের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা। তারা পরনিন্দা, পরচর্চা, এবং অপরের ক্ষতি করার মাধ্যমে এক ধরনের বিকৃত আনন্দ লাভ করে।
এদের আচরণ কেবল ব্যক্তিগত জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকে না, বরং পরিবার, কর্মক্ষেত্র এবং বৃহত্তর সমাজেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তারা বিভেদ সৃষ্টি করে, মিথ্যাচার করে এবং অন্যদের মধ্যে অবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে। এর ফলে, একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অশান্তিতে ভরে ওঠে এবং সামগ্রিকভাবে সমাজে স্থিতিশীলতা ব্যাহত হয়।
এই মানুষরূপী অমানুষদের থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য সচেতনতা এবং ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত জরুরি। তাদের নেতিবাচকতাকে নিজেদের জীবনে প্রভাব ফেলতে না দিয়ে, আমাদের উচিত নিজেদের শান্তি ও মূল্যবোধকে আঁকড়ে ধরে রাখা। কারণ, তাদের অশান্ত মন কেবল নিজেদেরই দগ্ধ করে, অন্যদের জীবনেও কালো ছায়া ফেলে। তাই, এই ধরনের মানুষের প্রভাব থেকে নিজেদের দূরে রেখে, নিজেদের শান্তি বজায় রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

"কখনও শত্রুতার দ্বারা শত্রুতা দমন হয় না, প্রেমের দ্বারা শত্রুতা উপসম হয়। এটি সনাতন ধর্ম।" - এই উক্তিটি বুদ্ধের শিক্ষায় ব...
12/10/2025

"কখনও শত্রুতার দ্বারা শত্রুতা দমন হয় না, প্রেমের দ্বারা শত্রুতা উপসম হয়। এটি সনাতন ধর্ম।" - এই উক্তিটি বুদ্ধের শিক্ষায় বিশেষভাবে পরিস্ফুট হলেও, এটি প্রকৃতপক্ষে মানবজাতির এক শাশ্বত সত্য, যা সনাতন ধর্মেরও অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই নীতিটি বোঝায় যে, হিংসার মোকাবিলা হিংসা দিয়ে করলে তা কেবল আরও হিংসা ও বিদ্বেষের জন্ম দেয়, যা কখনও স্থায়ী সমাধান দিতে পারে না।
সনাতন ধর্ম অনুসারে, ধর্ম অর্থাৎ ন্যায় ও ধার্মিকতা হলো প্রেমের উপর প্রতিষ্ঠিত। যখন আমরা একজন শত্রুর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করি বা প্রতিশোধের পথ বেছে নিই, তখন আমরা কেবল নিজেদের এবং সমাজকে নেতিবাচকতার গভীরে ঠেলে দিই। এই প্রক্রিয়াটি এক অনন্ত চক্র তৈরি করে, যেখানে শত্রুতা ও যন্ত্রণা কেবল বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে, প্রেম, করুণা এবং মৈত্রী—এই গুণগুলি শত্রুতার অবসানের একমাত্র উপায়। বুদ্ধ যেমন তাঁর ধর্মে এই অহিংসার পথ দেখিয়েছেন, তেমনি সনাতন ধর্মের বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ, যেমন মহাভারত বা উপনিষদ, প্রেম ও ক্ষমার মহত্ত্ব প্রচার করে। শ্রী কৃষ্ণ গীতায় বলেছেন, কর্মের ফলস্বরূপ মানুষের জীবনে যা আসে, তার মোকাবিলা অহিংসা ও ধৈর্যের সাথে করা উচিত।
প্রেমের শক্তি এতটাই প্রবল যে তা মানুষের হৃদয়ের অন্ধকার দূর করতে পারে এবং শত্রুতাকেও বন্ধুত্বে পরিণত করতে পারে। যখন আমরা আমাদের শত্রুদের প্রতি সহানুভূতি ও ক্ষমা দেখাই, তখন আমরা তাদের মধ্যে পরিবর্তন আনার একটি সুযোগ তৈরি করি। এটি কেবল ব্যক্তিকেই নয়, সমগ্র সমাজকে এক উন্নত এবং শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের দিকে পরিচালিত করে। এই কারণেই প্রেমকে শত্রুতার উপর বিজয়ের একমাত্র সনাতন পথ হিসাবে গণ্য করা হয়।

রাজনৈতিক মতানৈক্য যাই থাকুক না কেন, সেটি অন্য ব্যাপার। কিন্তু এক জন সম্মাণিত ব্যক্তির সাথে একই  সমআসনে বসা কতটুকু শিষ্টা...
11/10/2025

রাজনৈতিক মতানৈক্য যাই থাকুক না কেন, সেটি অন্য ব্যাপার। কিন্তু এক জন সম্মাণিত ব্যক্তির সাথে একই সমআসনে বসা কতটুকু শিষ্টাচার আমার বোধগম্য নই।

হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে কল্পতরু বৃক্ষ তৈরী প্রায়ই সমাপ্ত
09/10/2025

হিল চাদিগাং বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান উপলক্ষে কল্পতরু বৃক্ষ তৈরী প্রায়ই সমাপ্ত

বিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাঁদের চিত্তকে অত্যন্ত যত্নের সাথে রক্ষা করেন। কারণ এটি অতিশয় দুর্দশ, অতিশয় সূক্ষ্ম এবং যথেচ্ছ সঞ্চরণশীল...
09/10/2025

বিজ্ঞ ব্যক্তিরা তাঁদের চিত্তকে অত্যন্ত যত্নের সাথে রক্ষা করেন। কারণ এটি অতিশয় দুর্দশ, অতিশয় সূক্ষ্ম এবং যথেচ্ছ সঞ্চরণশীল। এই চঞ্চল ও অদম্য মনকে বশ করা অত্যন্ত কঠিন। এর গতিপথ সহজে অনুধাবন করা যায় না এবং এটি মুহূর্তের মধ্যে এক চিন্তা থেকে অন্য চিন্তায় ধাবিত হয়।
যদি একে মুক্তভাবে বিচরণ করতে দেওয়া হয়, তবে তা সহজেই বিপথগামী হয়ে দুঃখ ও অস্থিরতার কারণ হতে পারে। তাই বিজ্ঞজনেরা প্রজ্ঞা ও ধ্যানের মাধ্যমে এর উপর নিয়ন্ত্রণ স্থাপন করেন। চিত্ত সুসংযত হলে অস্থিরতা দূর হয় এবং মন শান্ত হয়, যা কেবল অনাবিল সুখেরই জন্ম দেয়। প্রকৃতপক্ষে, এই আত্মনিয়ন্ত্রণই আমাদের শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং সুখী জীবনের চাবিকাঠি।

Address

Chittagong, Chittagong Division
Chittagong
4100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sadhana24 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sadhana24:

Share