04/11/2022
SEO
Google, Bing, Yahoo, Baidu, Yandex, Ask এসব সম্পর্কে আমরা সকলে জানি। এগুলো হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। এগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন হলো Google. যেকোন বিষয় জানার জন্য সার্চ ইঞ্জিনবারে সার্চ করলে সে অনুযায়ী যেসব তথ্যবহুল সাইট প্রথম পেইজে সবার উপরে আসে , এবং এখান থেকে কাঙ্ক্ষিত তথ্য পাওয়া যায়।
এসব সাইটকে গুগলে কাজ করে টপে বা সবার উপরে নিয়ে আসা হয়, তাকে এসইও বা (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) বলে।
এসইও বিভিন্ন প্রকার হয়ে থাকে।
☑️ টেকনিক্যাল এসইও
☑️ অন পেইজ এসইও
☑️ অফ পেইজ এসইও
☑️ হোয়াইট হ্যাট এসইও
☑️ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও
✴️ টেকনিক্যাল এসইও: গুগল রোবট যেন আপনার ওয়েবসাইট টি সঠিকভাবে ক্রল করতে পারে,সে কারণে এটাকে টেকনিক্যাল এসইও বলে। সাইট ম্যাপ সাবমিট, প্লাগিন ইনস্টল, গুগল সার্চ কাউন্সিল এধরণের কাজ গুলো টেকনিক্যাল এসইও একটি অংশ। টেকনিক্যাল এসইও এ টার্মটা ব্যবহার করি, আমরা একটি ওয়েবসাইটের এবং/ অথবা সার্ভার যেটায় আপনার পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে তাকে বুঝাই। এটার উপর সার্চ ইঞ্জিন ক্রওলিং, ইনডেক্স করা এবং অবশেষে, সার্চ র্যাংকিং, টেকনিক্যাল এসইও যার মধ্যে পেজ টাইটেল, টাইটেল ট্যাগ, HTTP হেডার রেসপন্স, XML সাইটম্যাপ, 301 রিডির্যাক্ট এবং মেটাডেটার মতো উপাদানগুলো অন্তর্ভুক্ত সেগুলোর প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে প্রভাব ফেলে।
টেকনিক্যাল এসইও এর ক্ষেত্রে অ্যানালিটিক্স, কিওয়ার্ড রিসার্চ, ব্যাকলিঙ্ক প্রোফাইল ডেভেলপমেন্ট বা সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্র্যাটিজি নেই।
✴️ অন পেইজ এসইও:
অন পেইজ এসইও -তে সব অন-সাইট টেকনিক থাকে যা আপনি একটি ওয়েবপেইজকে সার্প (SERP)-এ রেংক করে ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনাকে পেজ কীভাবে ভালভাবে র্যাংক করতে পারবেন সেটা জানতেও সাহায্য করবে। এটা পেজের কোয়ালিটি উন্নত করতে কনটেন্ট এবং টেকনিক্যাল উপাদান দুটোই ব্যবহার করে, তাই আপনি যত বেশি অন-পেইজ এস ই ও করতে পারবেন, ততবেশি ট্র্যাফিক (কাস্টমার) আপনার ওয়েবসাইটে পাবেন এবং ট্র্যাফিকও ততবেশি প্রাসঙ্গিক হবে। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো যেমন জরুরী, তেমনি অন-পেইজ এসইও এর সবচেয়ে দরকারি উপাদান হল কনটেন্ট কারণ এটাই আপনার সাইটে ট্র্যাফিক নিয়ে আসে।
একটি ওয়েবপেজে বিভিন্ন ধরণের দিক রয়েছে যেগুলো অন-পেইজ এস ই ও দ্বারা অপটিমাইজ করা হয়। যেমন:-
🔺টাইটেল ট্যাগ
🔺হেডিং
🔺সাইট স্পীড
🔺ইউআরএল স্ট্র্যাকচার
🔺মেটা ডেসক্রিপশন
🔺অন্তর্নিহিত লিঙ্কসমূহ (Internal links)
🔺ছবির জন্য অল টেক্সট
🔺রেসপন্সিবনেস
✴️ অফ পেইজ এসইও :
ওয়েবসাইটের বাইরে কিছু কাজ আছে যা অফপেইজ এসইও নামে পরিচিত। অফপেজ এসইও করার মূল উদ্দশ্য ওয়েবসাইটের Backlink তৈরি করা। আরেকটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যাকলিংকগুলি অফ-পেজ এসইও-র সাথে অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসাবে জড়িয়ে থাকে।
কীওয়ার্ড স্টাফিং একটা সময় পৃষ্ঠার র্যাঙ্ক বাড়ানোর উদ্দেশ্যে ব্যাকলিঙ্কগুলির কেনা বা বাণিজ্য করার অনুশীলনও ছিলো। সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে কিছু সময়ের জন্য এই অনুশীলনগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও পরবর্তীতে অপ্রাসঙ্গিক ব্যাকলিঙ্ক যোগ করার ফলে পেইজের জনপ্রিয়তা কমতে থাকে।
যদিও কোয়ালিটি ব্যাকলিঙ্ক অফ-পেজ এস ই ও স্ট্যাট্যাজির মেরুদন্ড, আরো কিছু টেকনিক রয়েছে যা আপনি সাইট অথোরিটি বাড়াতে এবং আরো বেশি লিঙ্ক যোগান দিয়ে কাজে লাগাতে পারেন।
✴️ হোয়াট হ্যাট এসইও:
হোয়াইট হ্যাট এসইও সার্চ ইঞ্জিনের সকল নিয়ম-কানুন মেনে করা হয়েছে তাই তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হয়।
হোয়াইট হ্যাট এসইও এর মাধ্যমে দীর্ঘ সময় সার্চ ইঞ্জিনে রেংকিং থাকা যায় এবং ভালো ফলাফল দেয় এটি।
হোয়াট হ্যাট এসইও এর মধ্যে পড়ে সুন্দর একটি উপযুক্ত আর্টিকেল লেখা, কি-ওয়ার্ড কে যথার্থ পরিমাণে অপটিমাইজেশন করা, আর্টিকেল এর মধ্যে রিলেটেড ইমেজকে অপটিমাইজেশন করা, উপযুক্ত পরিমাণে হেডার ট্যাগ ব্যবহার করা ইত্যাদি। এগুলি করে যদি আমাদের ওয়েবসাইট কে সার্চ রেজাল্টে আনতে পারি তবে সেই এসইও টি হবে হোয়াইট হ্যাট এসইও।
✴️ ব্ল্যাক হ্যাট এসইও:
সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম না মেনে, অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে রেংক করাকে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বলে।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এমন একটি কৌশল যা সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা অনুমোদিত নয়। কারণ তারা তাদের ব্যবহারকৃত সাধারণ কৌশলগুলি সার্চ ইঞ্জিন নির্দেশিকা অনুসরণ করে না। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও কৌশলগুলির সাহায্যে ব্লগের রেংকিংকে খুব দ্রুত বাড়ানো যায়। কারণ এটি সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম অনুসরণ করে না। এটি শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনকে গুরুত্ব দেয় এবং মানব শ্রোতাদের নয়। ব্ল্যাক হ্যাট এসইও মূলত তারাই ব্যবহার করে যারা খুব দ্রুত ফলাফল চায় এবং যারা তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ করতে চায় না।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও-তে ব্যবহৃত কিছু নিয়ম:-
🔹কীওয়ার্ড স্টাফিং
🔹লিঙ্ক ফার্মিং
🔹হিডেন টেক্সট
🔹লিঙ্ক
এগুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন থেকে ডি-ইনডেক্স করা যেতে পারে এবং আপনার ওয়েবসাইট নিষিদ্ধও করাও যেতে পারে।
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও ব্যবহার করে খুব শীঘ্রই ব্লগকে একটি ভাল র্যাঙ্কে নেওয়া যায় । কিন্তু যদি ধরা পড়েন তাহলে আপনার ব্লগকেও এই ধরনের unethical practices ব্যবহারের জন্য শাস্তির সম্মুখীন ও হতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে?
সার্চ ইঞ্জিন তার নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে কাজ করে থাকে,যেটাকে ক্রাউলার বলা হয়। যা কোন সাইটকে কত বার ক্রওল করতে হবে তা নির্ধারণ করতে একটি অ্যালগরিদম প্রক্রিয়া অনুসরণ করে।
যখনই সার্চ ইঞ্জিনের ক্রওলার আপনার সাইটের মধ্যে চলবে এটা সেসব পেজে কোন প্রকার লিংক পেলে সেটাও চিহ্নিত করে এবং রেকর্ড করে, সাথে তাদেরকে একটি তালিকায় যুক্ত করা হয়, যা পরে ক্রওল করা হবে। এভাবেই নতুন কনটেন্ট তৈরী করা হয়।