13/08/2025
রূপপুর: বাংলাদেশের সু'ই'সা'ইড নোট!
⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️⚠️
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পদের প্রধান কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত রুশ প্রতিষ্ঠান ভীষণ উষ্মা প্রকাশ করেছে : চাকুরীর শর্তানুসারে, উক্ত পদে নিয়োগ পেতে নিউক্লিয়ার ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পদে কমপক্ষে দুই বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু, নিয়োগপ্রাপ্ত মহিলার না আছে নিউক্লিয়ার ফিজিক্সে ডিগ্রী, না আছে ওই ফিল্ডে কাজের একদিনেরও অভিজ্ঞতা। মীরপুরের বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানে ভদ্রমহিলা আগে কাজ করতেন। প্রভাব খাটিয়ে চাকুরীটি পেয়েছেন।
পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র অত্যন্ত স্পর্শকাতর প্রকল্প। পৃথিবীর সবদেশেই এসব প্রকল্প সর্বোচ্চ নিরাপত্তার চাদরে রাখা হয়। ফিজিক্যাল সেইফটি শুধু নয়—সর্বোচ্চ দক্ষতা ও রিলেটেড কাজের অভিজ্ঞতা ছাড়া কাউকে কাজ দেয়ার কল্পনাও করা হয় না। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম হতে পারে না। শুধু ভাবুন একবার, অদক্ষ লোকের কারণে নিউক্লিয়ার লিকেজ হলে—বাঁচবে কেউ? তাও আবার বাংলাদেশের মতো ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চলে?
সমস্যা হচ্ছে, নুন্যতম দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকবল তৈরী ছাড়াই চারগুন বেশী অর্থ ব্যায় করে ফুটানি মারানোর এই শ্বেতহস্তীর প্রজেক্ট হাতে নেয়া হয়েছিল। চুল্লি বানানোর দায়িত্ব দেয়া হয় রুশ কোম্পানী আর ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব পায় ভারতীয় প্রতিষ্ঠান!। রুশ কোম্পানিতে ট্রেনিং-এর জন্যে হাসিনা সরকার যে ২৪ জন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তার তালিকা পাঠায়, তারা প্রত্যেকে ছিল ভারতীয়! অজুহাত দেয়া হয় যে, বাংলাদেশে পারমাণবিক বিষয়ে জানাশোনা আছে অমন কর্মকর্তা নেই।
অথচ, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র জাতীয় নিরাপত্তার অংশ।
ইউনুস সরকারের উচিৎ হবে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং আইন করে যাওয়া—গুরুত্বপূর্ন সকল বৈজ্ঞানিক ও সেইফটি কন্ট্রোল পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে যেন ইউরোপ-আমেরিকার সমমানের যোগ্যতা চাকুরীর শর্ত করা হয়। প্রতিষ্ঠানের সকল গুরুত্বপূর্ন পদে চাকুরী দেবে এই ফিল্ডে কাজ করে আন্তর্জাতিক খ্যতি সম্পন্ন বিদেশী এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সী। আবেদনকারীর যোগ্যতা ও দক্ষা যাচাই করার সক্ষমতা বাংলাদেশ সরকারের নেই। সুযোগ নেই বলেই বিদেশী প্রতিষ্ঠানকে হায়ারিং ও ফায়ারিং-এর দায়িত্ব দিতে হবে।
সোজা কথায়, এসব পদে আপাতত, বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে। বিদেশী এক্সপার্টের অধীনে অন্তত দশ-বার বছর কাজ করে বাংলাদেশীরা নিজ যোগ্যতায় উপরোক্ত পদে বাসার যোগ্যতা লাভ করবে। তখন বাংলাদেশীদের পদায়ন করা যাবে। তার আগে কোন স্থানীয় বাংলাদেশীকে নিয়োগ দেয়া যাবে না। ইউনুস সরকারের উচিৎ হবে রূপপুর প্রকল্পের সকল দেশীয় অফিসারের চাকুরীর নিয়োগ সংক্রান্ত ফাইল ও কাগজ পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করে অমন বিদেশী কোন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত জনবলের যোগ্যতা আদৌ আছে কিনা, সেটা যাচাই করে নেয়া।
ফাইনালী, পরিবর্তীত রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে রূপপুর কেন্দ্রের ম্যানেজমেন্ট ভারতীয়ের হাতে থাকাও জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকী। ইউনুস প্রশাসনের উচিৎ, অতি সত্বর অন্য দেশের এক বা একাধিক ফার্মকে রূপপুরের ব্যবস্থাপনা পরিচালনার দায়িত্ব হস্তান্তরে পদক্ষেপ নেয়া। নইলে, বাংলাদেশ কিন্তু নিউক্লিয়ার ব্ল্যাক মেইলের শিকার হতে পারে।