23/07/2025
চট্টগ্রাম কক্সবাজার যেনো এক মৃত্যু ফাঁদ। প্রায়ই মর্মান্তিক সড়ক দর্ঘটনার ফলে তাঁজা প্রাণ ঝড়ে এই পড়ে এই সড়কে। ফলে কক্সবাজার ভ্রমণ প্রেমী পর্যটকরা ট্রেনে ভ্রমণ করতেই বেশী আগ্রহী। এখানে কক্সবাজার গামী সকল ট্রেনের সিডিউল, ভাড়া এবং কোন কোন স্টেশনে হল্ড করবে এবং কতক্ষণ অবস্থান করবে তার সবই বিস্তারিত আলোচনা করবো।
প্রথমেই বলছি ঢাকা থেকে কক্সবাজার অভিমূখে ট্রেন নিয়েঃ-
“পর্যটক এক্সপ্রেস(৮১৬)” এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে সকাল ৬:১৫মিনিটে । ২৩মিনিট যাত্রা করে পরবর্তী স্টপেজ ঢাকা বিমানবন্দর ৫মিনিটের জন্য থামবে তারপর সকাল ৬:৪৩ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। ৪ ঘন্টা ৩০ মিনিট যাত্রা করে চট্টগ্রাম এস পৌছবে সকাল ১১:২০ মিনিটে। এখানে ২০মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে সকাল ১১:৪০ মিনিটে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে। তিন ঘন্টা যাত্রা করে বিকাল ২:৩০মিনিটে কক্স বাজার এসে পৌছবে। ঢাকা থেকে মোট জার্নি হয় ৮ ঘন্টা ২৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে বুধবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে।
“কক্সবাজার এক্সপ্রেস(৮১৪)” এই ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছেড়ে আসে রাত ১১ টায় । ২৩মিনিট যাত্রা করে পরবর্তী স্টপেজ ঢাকা বিমানবন্দর ৫মিনিটের জন্য অবস্থান করবে এবং রাত ১১:২৮ মিনিটে ঢাকা বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। একটানা ৪ ঘন্টা ১২ মিনিট যাত্রা করে চট্টগ্রাম এস পৌছবে পরের দিন ভোর ০৩:৪০ মিনিটে। এখানে ৪০মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে ভোর ৪:২০ মিনিটে চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে। তিন ঘন্টা যাত্রা করে সকাল ৭:২০মিনিটে কক্সবাজার এসে পৌছবে। ঢাকা থেকে মোট জার্নি হয় ৮ ঘন্টা ২০ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে।
“পর্যটক এক্সপ্রেস” এবং “কক্সবাজার এক্সপ্রেস” ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীরাও কক্সবাজার যেতে পারে।
“সৈকত এক্সপ্রেস(৮২১) ” এই ট্রেনটি চট্টগ্রাম বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় সকাল ৬:১৫মিনিটে । চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর ও জানআলী হাট স্টেশনে ০২মিনিট করে স্টপিস আছে। এরপর পটিয়া, দোহাজারি, সাতকানিয়া, চকরিয়া, দুলাহাজারা, রামু, এই স্টেশন গুলিতে দুই মিনিট করে থামবে। এরপর সকাল ৯ টা ৫০মিনিটে কক্সবাজার এসে পৌছবে। চট্টগ্রাম থেকে মোট জার্নি হয় ৩ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে ।
“প্রবাল এক্সপ্রেস(৮২৩) ” এই ট্রেনটি চট্টগ্রাম বটতলী স্টেশন থেকে ছেড়ে যায় বিকাল ৩:১০মিনিটে । চট্টগ্রাম শহরের ষোলশহর স্টেশনে ০২মিনিট অবস্থান করে বিকাল ৩টা ২৩ মিনিটে ষোলশহর স্টেশন ছেড়ে যায়। এরপর গুমডন্ডি, পটিয়া, দোহাজারি, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, হারবাং, চকরিয়া, দুলাহাজারা, ইসলামবাদ, রামু, এই স্টেশন গুলিতে দুই মিনিট করে থামবে। এরপর সন্ধ্যা ৭ টায় কক্সবাজার এসে পৌছবে। চট্টগ্রাম থেকে মোট জার্নি হয় ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে ।
এবার কক্সবাজার থেকে ফিরতি ট্রেনের বর্ণনা দিবো।
“কক্সবাজার এক্সপ্রেস(৮১৩)” এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায় দুপুর ১২ টা ৩০ মিনিটে । ৩ঘন্টা ১০মিনিট যাত্রা করে বিকাল ৩টা ৪০মিনিটে চট্টগ্রাম এসে পৌছে। এখানে ২০মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে বিকাল ৪:০০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। ৫ঘন্টা জার্নি করে রাত ৯টায় ঢাকা এসে পৌছায়। কক্সবাজার থেকে ঢাকা মোট জার্নি হয় ৮ ঘন্টা ৩০ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে বুধবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে।
“পর্যটক এক্সপ্রেস(৮১৫)” এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায় রাত ৮ টা ৪৫ মিনিটে । ৩ঘন্টা যাত্রা করে রাত ১০টা ৪৫মিনিটে চট্টগ্রাম এসে পৌছে। এখানে ৩০মিনিট যাত্রা বিরতি দিয়ে রাত ১১টা ১৫মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ছেড়ে যায়। ৫ঘন্টা ০৫মিনিট জার্নি করে পরের দিন ভোর ৪টা ২০ মিনিটে ঢাকা এসে পৌছায়। কক্সবাজার থেকে ঢাকা মোট জার্নি হয় ৮ ঘন্টা ৩৫ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে বুধবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে।
“পর্যটক এক্সপ্রেস” এবং “কক্সবাজার এক্সপ্রেস” ট্রেনে চট্টগ্রামের যাত্রীরাও কক্সবাজার থেকে আসতে পারে বা ঢাকার উদ্দেশ্যে যেতে পারে।
“প্রবাল এক্সপ্রেস(৮২২) ” এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায় সকাল ১০:২০মিনিটে । এরপর রামু, ইসলামবাদ, দুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, দোহাজারি, পটিয়া, গুমডন্ডি, এই স্টেশন গুলিতে দুই মিনিট করে থামবে। কালুরঘাট ব্রিজ পার হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে ষোলশহর স্টেশনে ২ মিনিট দাড়াবে তার বটতলী স্টেশনে পৌছবে ২টা ১০ মিনিটে । কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম মোট জার্নি হয় ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে ।
“সৈকত এক্সপ্রেস(৮২৪) ” এই ট্রেনটি কক্সবাজার থেকে ছেড়ে যায় রাত ০৮:০০মিনিটে । এরপর রামু, দুলাহাজারা, চকরিয়া, সাতকানিয়া, দোহাজারি, পটিয়া, এই স্টেশন গুলিতে দুই মিনিট করে থামবে। কালুরঘাট ব্রিজ পার হওয়ার পর চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে জানআলী স্টেশনে ২ মিনিট দাড়াবে তার বটতলী স্টেশনে পৌছবে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে । কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম মোট জার্নি হয় ৩ ঘন্টা ৫০ মিনিট। প্রতি সপ্তাহে সোমবার এই ট্রেন বন্ধ থাকে ।
ট্রেন ভাড়া সর্বনিম্ন থেকে সর্বোচ্চ ভিবিন্ন রেইটের আছে আপনার সামর্থ অনুযায়ী অনলাইন বা অফলাইনে দুইভাবেই কাটতে পারেন।
কোন কারণে কোন বিলম্ব হলে TR স্পেস ট্রেন নম্বর লিখে 16318 নাম্বারে এসএমএস করলে ফিরতি মেসেজের মাধ্যমে ট্রেনের লোকেশন জানতে পারবেন। অবশ্য এজন্য এমএমএস চার্জ প্রযোজ্য হবে।