25/10/2024
হাদীসের আলােকে হাসান ও হােসাইনের ফযিলত:
হুযুর (ﷺ) এর বাণী শ্রবন করি:
"যে এই দু’জনকেই ভালবাসলাে, মূলত সে আমাকেই ভালবাসলাে এবং যে এই দু’জনের সাথে শত্রুতা পােষণ করলাে, মূলত সে আমার সাথেই শত্রুতা পােষণ করলাে।”
(ইবনে মাজাহ্, কিতাবুস সুন্নাহ্, বাবু ফি ফাযায়ীলে আসহাবে রাসূলুল্লাহ্, ১/৯৬, হাদীস- ১৪৩)
"হাসান ও হােসাইন (রাঃ) দুনিয়ায় আমার দু’টি ফুল।”
(সহীহ বুখারী, কিতাবু ফাযায়ীলে আসহাবে নবী, বাব মানাকিবে হাসান ওয়া হােসাইন, ২য় খন্ড, ৫৪৭ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৭৫৩)
আশিকে সাহাবা ও আহলে বাইত, ইমামে আহলে সুন্নাত, সায়্যিদী আ’লা হযরত (রহঃ) রাসুল (ﷺ) দরবারে আবেদন করেছেন:
উন দো কা সদকা জিন কো কাহা মেরে ফুল হে,
কিজিয়ে ওয়া কো হাশর মে খান্দা মিছালে গুল। (হাদায়িকে বখশিশ)
"হাসান ও হােসাইন (আঃ) জান্নাতি যুবকদের সর্দার।”
(তিরমিযী, ৫ম খন্ড, ৪২৬ পৃষ্ঠা, হাদীস- ৩৭৯৩)
ইমাম হাসান ও ইমাম হােসাইন (আঃ) কে ভালবাসা ওয়াজিব: হযরত সায়্যিদুনা আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বর্ণনা করেন: যখন এই আয়াতে মােবারকা নাজিল হয়:
"আপনি বলুন, আমি আমার দ্বীন প্রচারের বিনিময়ে তােমাদের নিকট থেকে কোন পারিশ্রমিক চাই না,
কিন্তু নিকটাত্মীয়ের প্রতি ভালবাসা। (সূরা শুরা ২৩)
তখন সাহাবায়ে কিরামগণ এ আবেদন করলাে: ইয়া রাসূলাল্লাহ্ (ﷺ)! আপনার ঐ নিকটাত্মীয়রা কারা, যাদেরকে ভালবাসা আমাদের জন্য ওয়াজিব? হুযুর পুরনূর (ﷺ) ইরশাদ করলেন: “আলীউল মুরতাদ্বা, ফাতেমাতুয যাহারা এবং তাঁদের দুই ছেলে (অর্থাৎ হযরত সায়্যিদুনা হাসান ও ইমাম হােসাইন।”
(মু'জামুর কবির, বাবুল হা, হাসান বিন আলী বিন আবি তালিব, ৩/৪৭, হাদীস- ২৬৪১)
বুলালাে হাম গরীবোঁ কো বুলালাে ইয়া রাসূলাল্লাহ! পায়ে শাব্বির ও শাব্বার ফাতেমা হায়দার মদীনে মে। (ওয়াসায়িলে বখশিশ)।
প্রিয় ইসলামী ভাইয়েরা! জানা গেল যে, আহলে বাইতের ভালবাসা ওয়াজিব এবং প্রয়ােজন।
নবীয়ে রহমত, শফিয়ে উম্মত (ﷺ) ইরশাদ করেছেন: "কোন বান্দা পরিপূর্ণ মু'মিন হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে তার প্রাণের চেয়ে বেশি ভালবাসবে না।এবং আমি তার নিজ সত্ত্বর চেয়ে বেশি প্রিয় হবাে না। এবং আমার সন্তান তার নিজের সন্তান থেকে বেশি প্রিয় হবে না। এবং আমার আহলে বাইত তার আপন পরিবারের চেয়ে বেশি প্রিয় ও ভালবাসার পাত্র হবে না।”
(শুয়াবুল ঈমান, বাবু ফি হক্কুন নবী, ২/১৭৯, হাদীস