28/05/2025
এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হলেও তাসনীম জারা জিততে পারবে না।
কারণ এদেশের মানুষ রাজনীতিতে শিক্ষিত মানুষদের দেখে অভ্যস্ত না।
এদেশের মানুষ ফাইভ পাশ আর চাঁদাবাজি করা নেতাতেই অভ্যস্ত।
নির্বাচনে জিততে হলে এদেশের মানুষকে বিড়ি-সিগারেট খাওয়াতে হয,দেখা হলে হাজার টাকার নোট পকেটে গুঁজে দিতে হয়।
চাঁদাবাজি করা ফাইভ পাশ নেতারা এগুলো বেশ ভালোই পারবে কিন্তু তাসনীম জারা রা পারবে না। তাই নির্বাচনে জিতাটাও তার জন্যে দুস্কর।
ড. তাসনীম জারা পারবে অক্সফোর্ড থেকে অর্জিত জ্ঞান জনগণের কাছে বিলাতে, জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন করতে, শিক্ষিত করতে।
কিন্তু এদেশের মানুষের কাছে জ্ঞানের চেয়ে টাকা বড়। টাকা হলে তাদের পেট ভরে, মন ভরে, এমনকি নিজের ভোটটাও হাসিমুখে বেঁচে দিতে পারে।
এদেশের রাজনীতির মাঠ তাসনীম জারাদের মতো স্কলারদের ডিজার্ভ করে না।
তবুও ড. ইউনূস এবং তাসনীম জারাদের মতো লোকেরা এদেশে একটা আশা নিয়ে আসে।
ভাবে- দেশের জন্যে কিছু একটা করি।
অথচ বিদেশে তাদের লাক্সারি লাইফ ছিল, মোটা অঙ্কের বেতন ছিল।
তাসনীম জারা বাকিদের নিয়ে দিনের পর দিন মানুষের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন, রোদে পুড়ে মানুষের মেন্টালিটি বুঝার চেষ্টা করছেন।
রোদে পুড়ে চেহারার রং এতটাই বদলেছে যে কেউ ঠাহর করতে পারবে "ভ্যাকসিন লুমিনারী" পদক পাওয়া এই সেই তাসনীম জারা!
তাসনীম জারা রা সামান্য টাকা খরচ করে ট্রাকে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে, কিভাবে মানুষের ভালো করা যায় সেই পথ খুঁজে বেড়াচ্ছে।
অথচ এদেশের আপামর মূর্খরা সেটা দেখে ক্যাপশনে "ট্রাকভর্তি গরু" লিখে উপহাস করে।
আর নারায়নগঞ্জের কুখ্যাত সন্ত্রাসী জাকির খানদের মতো লোকেরা পুলিশের প্রটোকল নিয়ে ঘুরে, শোডাউন দেয়। সেসব দেখে লোকজন হাততালি দেয়, বাহবা দেয়।
এটাই মূর্খের দেশের গণতন্ত্র। এখানে ফাইভ পাশ নেতাকে হাতেপায়ে ধরতে হয়, কুর্নিশ করতে হয়।
এদেশের বহু শিক্ষিত মানুষ বিদেশে পড়ে আছে।তাদেরও মাঝেমধ্যে ইচ্ছে করে দেশে এসে মানুষের জন্যে কাজ করতে, রাজনীতিতে নাম লেখাতে।
কিন্তু শেষপর্যন্ত তারা আর আসে না। রাজনীতির নোংরা পরিবেশের জন্যে বোধহয় আসতেও ইচ্ছে করে না।
কেননা তাসনীম জারাদের মতো প্রার্থীদের দিনশেষে হারতে হয় সেই ফাইভ পাশ করা চাঁদাবাজ নেতাদের কাছেই
লেখা - Ibrahim Khalil Shawon