Prisha

Prisha Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Prisha, Chittagong.
(2)

23/04/2025

ব্যবসা কেবল পণ্য বা সেবা বেচাকেনার একটি প্রক্রিয়া নয়; এটি সৃজনশীলতা, কৌশল, এবং মানবিক সংযোগের এক অনন্য শিল্প। যেমন একজন শিল্পী রঙতুলির ছোঁয়ায় ক্যানভাসে প্রাণ এনে দেন, তেমনি একজন উদ্যোক্তা তাঁর চিন্তা, পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম দিয়ে একটি স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেন।

নান্দনিকতা বলতে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য বোঝায় না—এটি একটি কাজের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য, অর্থপূর্ণতা এবং প্রভাবকে বোঝায়। একটি ভালো ব্যবসা তখনই নান্দনিক হয়, যখন তা সমাজের উপকারে আসে, মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনে, এবং এক নতুন ভাবনার দিগন্ত খুলে দেয়।

একটি সফল ব্যবসা যেমন পরিকল্পিত ডিজাইন, সৃজনশীল মার্কেটিং ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয়, তেমনি এটি একটি গল্প—যা প্রতিদিন তৈরি হয়, পরিপূর্ণ হয় এবং মানুষকে ছুঁয়ে যায়।

তাই বলা যায়, ব্যবসা এক ধরনের শিল্প, আর সেই শিল্পের রঙ হচ্ছে দূরদর্শিতা, কৌশল, সেবা, এবং মানুষের প্রতি ভালোবাসা।

19/04/2025

ঈর্ষা মানুষের এক স্বাভাবিক কিন্তু ধ্বংসাত্মক আবেগ। এটি তখনই জন্ম নেয়, যখন কেউ অন্যের সুখ, সাফল্য বা গুণ দেখে নিজের জীবনের প্রতি অখুশি হয়ে পড়ে। শুরুটা হয় নীরবে, মনে মনে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই ঈর্ষা ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এমনকি আত্মসম্মানকেও গ্রাস করে নেয়।

ঈর্ষা কখনোই কোনো কিছু গড়ে তোলে না—বরং যা আছে, তাকেই নষ্ট করে দেয়। একটা সুন্দর সম্পর্ক মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে শুধু সন্দেহ আর ঈর্ষার কারণে। বন্ধুদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়, আত্মীয়তার মাঝে গড়ে ওঠে দেয়াল। ভালোবাসার সম্পর্কেও আসে ফাটল, কারণ ঈর্ষার চোখে সবকিছু নেতিবাচকভাবে ধরা দেয়।

এই আবেগ শুধু অন্যকে কষ্ট দেয় না, নিজের মনকেও বিষাক্ত করে তোলে। ঈর্ষাকাতর মানুষ নিজের শান্তিও হারিয়ে ফেলে, সর্বদা এক রকম অশান্তি আর হতাশায় ভোগে।

তাই আমাদের উচিত নিজের অনুভূতির প্রতি সচেতন হওয়া। অন্যের সুখে ঈর্ষা না করে অনুপ্রেরণা খোঁজা উচিত। ঈর্ষার বদলে যদি আমরা ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর সহমর্মিতা লালন করি, তাহলে সম্পর্কগুলো আরও দৃঢ় হবে, জীবনও হবে অনেক শান্তিময়।

11/04/2025

মানুষ শুধু সৌন্দর্যকেই আঘাত করতে জানে||

প্রকৃতি আমাদের চারপাশে যে সৌন্দর্য বিস্তার করে রেখেছে, তা সত্যিই অভাবনীয়। ফুলের সৌন্দর্য, পাখির কণ্ঠস্বর, শিশুর নিঃস্বার্থ হাসি—সবই আমাদের হৃদয়কে ছুঁয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, মানুষ প্রায়শই এই সৌন্দর্যকে ধরে রাখতে না পেরে সেটিকে নষ্ট করে ফেলে।

মানুষের একটি অদ্ভুত স্বভাব হলো, যা কিছু সুন্দর, যা কিছু পবিত্র—তা তারা হিংসা করে, ভয় পায় বা সন্দেহ করে। ফলে সেই সৌন্দর্যের ওপর পড়ে নিষ্ঠুর আঘাত। সুন্দর ফুল তুলে নেয়া হয়, বন উজাড় করা হয়, সুরেলা পাখিকে খাঁচায় বন্দি করা হয়। এমনকি মানুষের মনুষ্যত্ব, ভালোবাসা, সরলতা—এই সৌন্দর্যগুলোও নির্দয়ভাবে পদদলিত হয়।

সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে, কিন্তু মুগ্ধতার পর মানুষ যেন চায় সেটিকে অধিকার করতে, নিয়ন্ত্রণে আনতে, আর না পারলে ধ্বংস করে দিতে। তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিল্পী, কবি, চিন্তাবিদরাও বহুবার আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন সমাজের হাত ধরে। কারণ তাদের ভাবনা ও সৃষ্টির সৌন্দর্য সমাজের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছিল।

তবে সৌন্দর্যকে আঘাত করেও মানুষ চিরকাল শান্তি পায়নি। কারণ, সৌন্দর্য ধ্বংস করে নয়, সৌন্দর্যকে রক্ষা করেই পৃথিবী বাসযোগ্য হয়। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো, সুন্দরকে ভালোবাসা, তাকে সম্মান করা এবং আগলে রাখা।

11/04/2025

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। বুদ্ধি, বিবেক, এবং মনুষ্যত্ব দিয়ে অন্য প্রাণীদের থেকে তারা আলাদা। কিন্তু এই মানুষের মধ্যেই লুকিয়ে আছে তার সবচেয়ে বড় বিপদের কারণ। অনেক সময় মানুষই অন্য মানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু হয়ে ওঠে।

ইতিহাসে আমরা অসংখ্য যুদ্ধ, রক্তপাত, দাসত্ব, শোষণ, এবং নির্যাতনের চিত্র দেখতে পাই — সবই মানুষের হাতে। মানুষের লোভ, হিংসা, হানাহানি, এবং ক্ষমতার লালসা পৃথিবীকে করেছে অশান্ত। পরমাণু বোমা আবিষ্কার হোক বা সন্ত্রাসবাদ, এসব সবই মানুষের তৈরি এবং এর শিকারও মানুষই।

মানুষ যখন নিজের স্বার্থে অন্যকে কষ্ট দেয়, প্রতারণা করে, বিশ্বাসঘাতকতা করে — তখন সে নিজের মানবতাকেও হারিয়ে ফেলে। সমাজে ধর্ষণ, খুন, দুর্নীতি, জালিয়াতি — এসব কিছুই প্রমাণ করে যে, মানুষই মানুষের সবচেয়ে বড় শত্রু।

তবে এই অন্ধকারের মধ্যেও আশার আলো আছে। ভালোবাসা, সহানুভূতি, এবং সহযোগিতা — এ গুণগুলিও মানুষের মধ্যেই থাকে। তাই আমাদের উচিত, নিজের ভেতরের পশুটাকে দমন করে মানুষের মতো মানুষ হওয়া, যাতে আমরা পরস্পরের শত্রু নয়, বন্ধু হতে পারি।

06/02/2025

জীবন যাত্রা কখনও সহজ নয়, কিন্তু এটি উপভোগ করার উপায় আমাদের চারপাশেই ছড়িয়ে আছে। আসলে, জীবনের সঠিক অর্থ খুঁজে পাওয়া অনেকটা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ওপর নির্ভর করে। প্রায়ই আমরা ভবিষ্যতের চিন্তা কিংবা অতীতের ভুলের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখি, কিন্তু জীবনের আসল সৌন্দর্য আমাদের এখন, এই মুহূর্তে—এটাই অনুভব করতে শিখলে, জীবন সত্যিই উপভোগযোগ্য হয়ে ওঠে।

প্রথমত, প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো জীবনের একটি বড় অংশ হতে পারে। একটি শান্তিপূর্ণ সকালে হেঁটে যাওয়া, রৌদ্রোজ্জ্বল দুপুরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া কিংবা এক কাপ চায়ের সঙ্গে কিছুটা সময় নেয়া—এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলোই জীবনের আনন্দ।

দ্বিতীয়ত, আপনার শখের প্রতি সময় দেওয়া জীবনের আনন্দের একটি অপরিহার্য অংশ। যেমন বই পড়া, গান শোনা, অথবা যে কোনো সৃজনশীল কাজ—এসব আমাদের আত্মার শান্তি দেয়। আপনি যা ভালোবাসেন তা করতে সময় কাটানো, এক প্রকার আত্মানন্দের সৃষ্টি করে।

তৃতীয়ত, বন্ধু-বান্ধব এবং পরিবার—এরা আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় সহায়। ভালো সময়ে, খারাপ সময়ে—তাদের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো আমাদের জীবনের অমূল্য রত্ন। হাসি-ঠাট্টা, একে অপরকে সমর্থন করা এবং একসঙ্গে ভ্রমণ করা—এগুলো সবকিছুই আমাদের জীবনকে সমৃদ্ধ করে।

অবশেষে, আন্তরিকভাবে নিজেকে ভালোবাসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি নিজেকে গ্রহণ করেন, আপনার দুর্বলতাগুলোকেও ভালোবাসতে শিখেন, তখনই আপনি জীবনের প্রকৃত আনন্দ অনুভব করতে পারবেন।

জীবন উপভোগ করা মানে শুধু আনন্দে ডুবে থাকা নয়, বরং সবার সঙ্গে সম্পর্কের গভীরতা অনুভব করা, প্রতিদিনের ছোট ছোট সুখ খুঁজে পাওয়া, এবং নিজের প্রতি সত্যি ভালোবাসা অনুভব করা।

06/02/2025

"অদম্য ইচ্ছাশক্তি"

কিছুদিন আগে এক ছোট্ট গ্রামে একটি অনুপ্রেরণাদায়ক ঘটনা ঘটেছিল। গ্রামের নাম ছিল তিতুমীরপুর, আর গ্রামের এক তরুণ ছেলে, সোহেল, ছিল সকলের কাছে পরিচিত। সোহেলের পরিবার ছিল দারিদ্র্য সীমার নিচে, এবং তার বাবা-মা চাষবাস করে কোনো রকমে সংসার চালাতেন। সোহেলকে ছোটবেলা থেকেই শিখানো হয়েছিল, "জীবনে কিছু হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়।"

সোহেলের সবচেয়ে বড় স্বপ্ন ছিল ভালো শিক্ষক হওয়া। কিন্তু তার জন্য সঠিক শিক্ষা পাওয়া ছিল এক বিশাল চ্যালেঞ্জ। গ্রামের স্কুলে তেমন ভালো শিক্ষক ছিল না, আর তার বাবা-মায়ের সামর্থ্যও ছিল না শহরে পাঠানোর জন্য। তবুও সোহেল হাল ছাড়েনি। প্রতিদিন সকালে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে, সোহেল গ্রামে এক প্রাক্তন শিক্ষক, মিঃ হাসান সাহেবের কাছে গিয়ে কিছু বই পড়ত।

মিঃ হাসান তাকে শুধু পড়াশোনা শেখাতেন না, শিখিয়ে দিতেন জীবনের মূল্যবান পাঠ। একদিন মিঃ হাসান বললেন, "সোহেল, জীবনে কিছু পেতে হলে শুধু কঠোর পরিশ্রমই যথেষ্ট নয়, তোমার মধ্যে এক অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে। বিশ্বাস রাখো, একদিন তোমার স্বপ্ন পূর্ণ হবে।"

সোহেল সেই কথা মনে রেখে কঠোর পরিশ্রম করতে থাকল। তার একমাত্র লক্ষ্য ছিল, শহরের বড় বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া এবং সেখানে পড়াশোনা করে শিক্ষক হওয়া। অনেক বাধা আসল, অনেক সময় হতাশা আসছিল, কিন্তু সোহেল কখনোই থামল না।

একদিন, তার কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ, সোহেল একটি স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে সক্ষম হল। সেখানে তার শিক্ষার মাধ্যমে শুধু নিজের জীবনই বদলে গেল না, বরং সে নিজের গ্রামের শিশুদের জন্যও একটি আলোর পথ হয়ে দাঁড়াল। আজ, সোহেল একজন সফল শিক্ষক, এবং তার গল্প গ্রামে প্রতিটি শিশুকে স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করছে।

সোহেলের জীবন আমাদের শেখায় যে, কঠোর পরিশ্রম, অদম্য ইচ্ছাশক্তি এবং বিশ্বাসের মাধ্যমে যে কেউ তার স্বপ্নকে সত্যি করতে পারে।

06/02/2025

বর্তমানে ফ্যান কালচার একটি গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক আন্দোলন হয়ে উঠেছে, যা শুধু সেলিব্রিটির প্রতি ভালোবাসা বা তারকাদের অনুসরণ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি একটি বৃহত্তর সমাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা হিসেবে পরিণত হয়েছে। ফ্যান কালচার মূলত একটি গ্রুপ বা সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃজনশীলতা, আলোচনা, এবং বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, যেখানে সদস্যরা তাদের প্রিয় তারকাদের, সিনেমা, গান, বা বইয়ের প্রতি এক অদম্য ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।

বাংলাদেশে ফ্যান কালচারের শুরু হয়েছে মূলত টেলিভিশন শো, সিনেমা, এবং ক্রিকেট খেলোয়াড়দের মাধ্যমে। তবে, গত দশকে সোশ্যাল মিডিয়ার উত্থান ফ্যান কালচারকে এক নতুন মাত্রা দিয়েছে। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন সেলিব্রিটি বা সিনেমা নিয়ে গঠিত গ্রুপ ও পেজগুলো হয়ে উঠেছে ভক্তদের মিলনমেলা, যেখানে তারা নিজেদের ভালোবাসা, রাগ, অনুরোধ, বা নানা ধরনের সৃজনশীল কাজ শেয়ার করে।

ফ্যান কালচার শুধু সেলিব্রিটিদের প্রতি ভালোবাসা নয়, এটি একটি সাংস্কৃতিক চর্চা যা ভক্তদের একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করে, তাদের একসাথে কাজ করতে, একে অপরকে সমর্থন দিতে এবং নিজেদের রুচি ও অনুভূতি প্রকাশ করতে উৎসাহিত করে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলা সিনেমা ও টেলিভিশন শোগুলোর ভক্তরা প্রায়ই নতুন পর্ব বা সিনেমা মুক্তির সময় একে অপরের সঙ্গে উত্তেজনা ভাগ করে নেন, এবং প্রিয় অভিনেতাদের জন্য নানা ধরনের ফ্যান সৃষ্টির কাজ যেমন মেমে, ভিডিও বা পোস্ট তৈরি করেন।

তবে, ফ্যান কালচার কখনও কখনও অতি আবেগপ্রবণ হয়ে ওঠে, যার ফলে কিছু বিতর্কও সৃষ্টি হয়। যেমন, কোনো সেলিব্রিটির প্রতি অন্ধ ভক্তি বা তারকা বা শোয়ের প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসা কিছু সময়ে সীমা লঙ্ঘন করতে পারে। তবে, সঠিকভাবে পরিচালিত হলে, ফ্যান কালচার এক ধরনের ইতিবাচক শক্তি হতে পারে, যা নতুন সৃষ্টির পথ খুলে দেয় এবং সামাজিক বন্ধন শক্তিশালী করে।

বাংলাদেশের ফ্যান কালচার এখন আরও সমৃদ্ধ এবং গতিশীল হচ্ছে, যা বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠছে।

06/02/2025

"স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা"

গ্রামের নাম ছিল ভরতপুর। এখানে এক যুবক থাকতেন, যার নাম ছিল রাহুল। রাহুল ছিল এক সাধারণ ছেলে, কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল বিশাল। তার স্বপ্ন ছিল একজন বড় লেখক হওয়া, কিন্তু তার পরিবার ছিল সাধারণ কৃষক পরিবার। তাদের কাছে লেখালেখির কোন মূল্য ছিল না। তারা চেয়েছিল রাহুল ভালো করে পড়াশোনা শেষ করে কিছু একটা কাজ করুক, যেন তাদের জীবনযাত্রা একটু ভালো হয়।

রাহুলের প্রতিদিনের দিন কাটতো ক্ষেতের কাজের মাঝে, কিন্তু তার মনে সব সময় একটা ইচ্ছা ছিল—যে দিন সে বড় লেখক হবে, সেই দিন নিজের গ্রাম, নিজের পরিবারকে সম্মানিত করবে। কিন্তু গ্রামের পরিবেশে তার স্বপ্নকে বিশ্বাস করার মতো কেউ ছিল না। সবাই তাকে বলত, “এত কষ্ট করে পড়াশোনা করে কী হবে? জীবন তো আর সহজ নয়।”

তবে রাহুল হাল ছাড়েনি। একদিন তিনি ঠিক করলেন, “যতই কষ্ট হোক না কেন, আমি আমার স্বপ্নের পেছনে ছুটে যাব। যদি না পারি, তবে অন্তত একদিন চেষ্টা করতে ভুলব না।”

রাহুল রাতে জমিতে কাজ করার পর, যখন সবাই ঘুমোত, তখন সে ঘরের কোণে বসে লেখা শুরু করেছিল। প্রথম দিকে তার লেখা ছিল খুবই সাধারণ, কিন্তু তার মনোবল এবং প্রচেষ্টা তাকে আরও ভালো লেখক বানানোর দিকে নিয়ে যেতে থাকল।

দীর্ঘ এক বছর পর, রাহুলের প্রথম ছোট গল্প একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হলো। গ্রামের লোকেরা অবাক হয়ে দেখল, এক সাধারণ ছেলে আজ একটি প্রকাশিত লেখক! তাদের কাছে রাহুল হয়ে উঠল এক অনুপ্রেরণা। তার পর, সে বিভিন্ন লেখার জন্য পুরস্কৃত হতে থাকল।

কিন্তু রাহুল কখনও নিজের সফলতাকে নিয়ে বড়াই করেনি। সে জানত, "সত্যিকারের সফলতা হলো, নিজের স্বপ্নের পেছনে ছুটে চলা, এবং কখনও থাম না।"

এখন, রাহুল একজন সফল লেখক, কিন্তু তার জন্য সবচেয়ে বড় গর্বের বিষয় হলো, তার স্বপ্নকে বাস্তব করে তোলা এবং তার গ্রামের মানুষকে শেখানো যে, কোন কিছুই অসম্ভব নয় যদি মনের ইচ্ছা শক্তিশালী হয়।

রাহুলের জীবন আমাদের শেখায় যে, স্বপ্নের পথে কখনোই থেমে না থেকে, কঠোর পরিশ্রম আর বিশ্বাসে এগিয়ে যেতে হবে, কারণ যে কোন জয়ের শুরু হয় প্রথম পদক্ষেপ থেকে।

06/02/2025

গ্রামের নাম ছিল মধুপুর। যেখানে আজও মানুষ জীবনযাপন করে ধীর গতিতে, হেসে খেলে, আর একে অপরের সুখে দুঃখে শামিল হয়। তবে, গ্রামের এক বিশেষ ব্যক্তি ছিল, যার নাম ছিল কিসমত আলী। কিসমত আলী ছিলেন এক অদ্ভুত মানুষ। তার জীবন এক রোমাঞ্চকর কাহিনীর মতো ছিল, কিন্তু আসলে তার কোন গন্তব্য ছিল না।

কিসমত আলী নিজে এক অদ্ভুত স্বভাবের মানুষ ছিলেন। তার একটা বিশেষ গুণ ছিল - সে কখনোই নির্দিষ্ট কিছু কাজ করতে পারত না, তবে তার মধ্যে অনেক অদ্ভুত চিন্তা ছিল। মাঝে মাঝে সে ভাবত, "যদি আমি একদিন আকাশে উড়ে যাই, তাহলে কি হবে?"।

কিন্তু, তার সবচেয়ে মজার কাজ ছিল গল্প বলা। যখনই কিসমত আলী গ্রামে আসতেন, লোকজন তার গল্প শুনতে আসতেন। একদিন তিনি গল্প শুরু করলেন, "একদিন আমি একটা বিরাট মাছ ধরলাম। মাছটা এত বড় ছিল যে, আমি একাই ধরতে পারলাম না। আমি সবার কাছে সাহায্য চাইলাম, কিন্তু কেউ আসেনি। তখন আমি মাছটার সঙ্গে এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে বসে গেলাম।"

লোকজন অবাক হয়ে শুনছিল। "আচ্ছা, কিসমত ভাই, তারপর কী হলো?" একজন বললেন। কিসমত আলী হাসি দিয়ে বললেন, "তারপর আমি মাছটার সঙ্গে এত ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম যে, আর তাকে মাছ হিসেবে ভাবতে পারলাম না।"

গ্রামের সবাই হাসতে হাসতে পাগল হয়ে গেল। তাদের চোখে কিসমত আলী ছিল এক ধরনের রহস্যময় চরিত্র, যার মধ্যে কখনোই কোন আদর্শ ছিল না, কিন্তু তার হাস্যকর এবং অদ্ভুত গল্পগুলো মানুষের মনকে খুশি করে রাখত।

এভাবে কিসমত আলী চলতে থাকল, একদিন আরেকটি গল্প শোনাতে। সবাই শুনতে শুনতে জানত, তার গল্প কখনও শেষ হবে না, কিন্তু একসাথে থাকা, হাসাহাসি করা, আর একে অপরকে আনন্দ দেওয়া- এটাই ছিল তাদের জীবনের মূল মন্ত্র।

আরও অনেক বছর পর, যখন কিসমত আলী আর গ্রামে থাকতেন না, তখনও তার গল্পগুলো মানুষের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল। গ্রামবাসীরা হাসতে হাসতে বলত, "কিসমত আলী কি আজও গল্প বলছে আকাশে?"

এভাবেই মধুপুর গ্রামের মানুষ একদিন আরও অনেক কিছু শিখেছিল—তবে, কিসমত আলী কীভাবে নিজের অদ্ভুত চিন্তা ও হাস্যকর গল্প দিয়ে জীবনের কঠিন সময়গুলোতে আনন্দ খুঁজে পেয়েছিল, সেটাই ছিল তাদের জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা।

05/02/2025

শ্রীলঙ্কা গত কয়েক বছরে গভীর অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া একটি বড় ঘটনা। তবে, এর পরেও শ্রীলঙ্কা ধীরে ধীরে তার অর্থনীতি পুনর্গঠন এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করতে শুরু করেছে। প্রথমত, আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং ঋণ পুনর্গঠন চুক্তির মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা তার আর্থিক চাপ কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে। বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি দেশকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ প্রদান করেছে। দ্বিতীয়ত, সরকার কিছু কাঠামোগত সংস্কার এবং ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছে, যা দেশের শিল্প, কৃষি এবং পর্যটন খাতকে পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে। তৃতীয়ত, শ্রীলঙ্কার জনগণ নতুন নেতৃত্ব এবং সরকারের প্রতি তাদের আস্থা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে, যার ফলে সামাজিক ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা কিছুটা ফিরে এসেছে। এছাড়া, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের প্রতি আরও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, যা শ্রীলঙ্কাকে তার সাফল্যের পথে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করছে।

05/02/2025

চীন একটি দ্রুত বর্ধনশীল দেশ, এবং এর অগ্রগতির পেছনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে। ১৯৭৮ সালে চীনের নেতা দেং শিয়াওপিংয়ের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক সংস্কারের ফলে দেশটি পুঁজিবাদী নীতি গ্রহণ শুরু করে, যা তাদের শিল্পায়ন এবং বাজারের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। চীন তার উৎপাদন খাতকে শক্তিশালী করে এবং বৈশ্বিক সরবরাহ চেইনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে শুরু করে। কম খরচে শ্রম, উন্নত প্রযুক্তি এবং বিদেশী বিনিয়োগের মাধ্যমে চীন বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়। এছাড়া, চীন ব্যাপকভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন করেছে, যেমন সড়ক, রেলপথ এবং বন্দর, যা ব্যবসায়িক কার্যক্রমকে আরও ত্বরান্বিত করেছে। চীনের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, সৃজনশীলতা, প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গবেষণা এবং উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া, এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নীতির প্রতি খোলামেলা মনোভাব এই দেশটির দ্রুত বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।

05/02/2025

বাঙালি ভাষা দিবস বা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস প্রতি বছর ২১ ফেব্রুয়ারি পালিত হয়। এই দিনটি ১৯৫২ সালে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের সাহসী শহীদদের স্মরণে উদযাপিত হয়, যারা বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে প্রাণ দিয়েছিলেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ঢাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন অনেক ছাত্র-যুবক, যারা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন করছিলেন।

এই দিবসটি ইউনেস্কো ১৯৯৯ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে, এবং এটি সারা বিশ্বে মাতৃভাষার গুরুত্ব তুলে ধরার জন্য উদযাপিত হয়। বাঙালি ভাষা দিবস শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গৌরবময় দিন নয়, এটি বিশ্বব্যাপী ভাষা ও সাংস্কৃতিক বহুমাত্রিকতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্যও এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২১ ফেব্রুয়ারি দিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি পবিত্র দিন, যেখানে তারা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে থাকে।

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Prisha posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share