REAL VIEWS

REAL VIEWS আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন।

13/09/2025

১৯৯৪, ১৬ আগস্ট। শিবিরকর্মী কামরুল ইসলাম, ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভাইভা দিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে যান।

সাথে নিয়ে গিয়েছিলেন শিবিরের ডায়েরি। কেবল এই অপরাধেই ছাত্রদল সেই ছোট্ট কামরুলকে পে'টাতে পেটা'তে মে'রে'ই ফেলেছিল!

আজ সেই ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবির জাকসু জিততে যাচ্ছে!

পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এর জন্য কামরুল তার একজন নিকটত্মীয়ের নিকট মওলানা ভাসানী হলে ১৪৫ নং কক্ষে ওঠেন। জাবি তখনও ধার্মিক শিক্ষার্থীদের জন্য এক ভয়াল হিংস্র জনপদ। কামরুল সেসব জানতেন না।

১৬ আগস্ট যখন মাগরিবের নামাজ হলের মসজিদে পড়েন তখনি ছাত্রদলের সন্দেহের নজরে পড়েন। তাদের সহায়তা করে ছাত্রফ্রন্ট ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা।

সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কামরুল ইসলামকে ১৪৫ নং কক্ষ থেকে ছাত্রদল নেতা দীপুর ৩৩২নং কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। সে কক্ষে রাতভর নি'র্যা'তন চালানো হয়।

প্রথমে কামরুল ইসলামকে শিবির কর্মী সন্দেহে কি'ল ঘু'ষি ও লা'থি দিয়ে মেঝেতে ফেলে দেয়া হয়। পরে তার পকেটে শিবিরের ডায়েরি দেখে নিশ্চিত হয়ে নির্মম নি'র্যা'তনে জর্জরিত করে। লাঠি, বড় পেপসির বোতল ও অন্যান্য ধা'রাল অ'স্ত্রে উপর্যুপরি আঘাতে তার মাথা ও শরীরে ক্ষ'ত বি'ক্ষ'ত করে দেয়া হয়।

কামরুল ইসলামের আর্ত'চিৎ'কার যেন বাইরে থেকে না শোনা যায়, এজন্য তার মুখে কাপড় গুঁজে দেয় খু'নি'রা। সারারাত ধরে পালাক্রমে পা'শ'বিক নির্যা'তন চালিয়ে কামরুলের হাত ও চোয়াল ভে'ঙে দেয়া হয়।

কামরুলের গো'ঙানির শব্দ আর আর্তনাদ শোনা অনেকেই সেই বিভৎ'সতার বর্ণনা দিয়েছেন। এরপর তাকে নি'র্যাতন করা হয়নি এই বলে মুচলেকা দিতে বাধ্য করে ছাত্রদল নেতারা।

সারারাত নির্যাতনের পর ১৭ই আগস্ট ১৯৯৪ সকালে মওলানা ভাসানী হলের দুজন কর্মচারী শফিক ও বাবুলকে দিয়ে মুমূর্ষু কামরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার তার অবস্থা মারাত্মক দেখে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

কিন্তু ছাত্রদল তাকে এম্বুলেন্সে তুলতে দেয়নি। ফলে বেবিটেক্সিযোগে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর সাভার লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নিকট পৌঁছালে, কামরুল ইসলাম মহান আল্লাহর দরবারে সাড়া দিয়ে জান্নাতের পথে পাড়ি জমান।

(সংগৃহীত)

অবস্থা বেগতিক দেখে সংশ্লিষ্টরা নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের পূর্বে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে তার লা'শ ফেলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। পরে সাভার থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে ঢাকা মহানগরীর শিবিরনেতারা লাশ গ্রহণ করেন।

আমাদের মুরুব্বিরা আমাদেরকে বলতেন, যে জমিনে রক্ত ঝরে সে জমিন উর্বর হয়। শহীদের রক্ত কথা বলবেই।

১৯৭৭-২০২৫, হে শিবির, ইতিহাস জানাও নতুন প্রজন্মকে! একইসাথে এমন ক্যাম্পাস গড়ো, যেখানে আর কোনো মালেক, সনি, কামরুল, নোমানী, মুজাহিদ, আবু বকর, আবরার ফাহাদ, সাম্যদের পড়তে এসে জীবন দিতে হবেনা।

জাতীয় নির্বাচনের আগে ট্রায়াল চলছে....
03/09/2025

জাতীয় নির্বাচনের আগে ট্রায়াল চলছে....

📘 স্ট্যাটাস অব উইমেন ইন ইসলাম✍️ ড. ইউসুফ আল কারযাভী✍️ অনুবাদ : আলী আহমাদ মাবরুরবইটিতে ইসলামে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও দায়...
03/09/2025

📘 স্ট্যাটাস অব উইমেন ইন ইসলাম
✍️ ড. ইউসুফ আল কারযাভী
✍️ অনুবাদ : আলী আহমাদ মাবরুর

বইটিতে ইসলামে নারীর মর্যাদা, অধিকার ও দায়িত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখক প্রথমেই প্রাচীন সমাজে নারীর অবস্থা (আরব, হিন্দু, ইহুদি, খ্রিস্টান ইত্যাদি সমাজে) তুলনা করে দেখিয়েছেন যে ইসলাম আগমনের আগে নারী ছিল উপেক্ষিত, অবমূল্যায়িত ও শোষিত। ইসলাম এসে নারীদের মানবিক মর্যাদা দিয়েছে এবং তাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে।

আলোচিত মূল বিষয়সমূহ:

- নারীর সামাজিক মর্যাদা
-- ইসলাম নারীদের স্বাধীন ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
-- কন্যাসন্তানকে বোঝা নয়, বরং রহমত হিসেবে গণ্য করেছে।

- নারীর শিক্ষা ও জ্ঞান অর্জনের অধিকার
-- ইসলামে পুরুষের মতো নারীকেও শিক্ষা অর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
-- নারীরা প্রাথমিক ইসলামি যুগে জ্ঞানচর্চা ও হাদিস প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।

- অর্থনৈতিক অধিকার
-- নারীরা সম্পত্তির মালিক হতে পারে, নিজের উপার্জন ভোগ করতে পারে।
-- মোহরানা, উত্তরাধিকার, দান-সদকা ইত্যাদির মাধ্যমে তাদের আর্থিক অধিকার সংরক্ষিত।

- বৈবাহিক অধিকার
-- নারীর ইচ্ছা ছাড়া বিয়ে বৈধ নয়।
-- তারা তালাকের আবেদন করার অধিকার রাখে (খুলা)।
-- স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দায়িত্ব ও কর্তব্য ন্যায্যভাবে ভাগ করা হয়েছে।

- নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক অংশগ্রহণ
-- প্রাথমিক যুগে নারীরা যুদ্ধ, চিকিৎসা, শিক্ষাদান, রাজনৈতিক পরামর্শসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশ নিয়েছেন।

- আধুনিক যুগের চ্যালেঞ্জ
-- পাশ্চাত্য সভ্যতা নারীকে ভোগ্যপণ্য বানিয়েছে।
-- ইসলাম নারীকে সম্মানজনক, মর্যাদাপূর্ণ ও সুরক্ষিত অবস্থান দিয়েছে।

সংক্ষেপে, বইটি প্রমাণ করে যে ইসলাম নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা দিয়েছে, যা অন্য কোনো ধর্ম বা সমাজ এত পরিস্কারভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি।

বইটির লিংক :

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন স্তরের কর্মীদের জন্য সিলেবাসের বই সম্বলিত তথ্যমূলক ওয়েবসাইট

03/09/2025

সত্য এভাবেই বেরিয়ে আসে!!

03/09/2025

এবার প্রকাশ্যে এলো ছাত্রলীগের এসএম ফরহাদ, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, তিনি আর শিবির সভাপতি একই ব্যক্তি নন।

02/09/2025
শিবিরের ফরহাদ নামের এই ছেলেকে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ডিবেট ও আলোচনায় লক্ষ্য করলাম। তার যুক্তি উপস্থাপন, প্রশ্নের উত্তর দ...
02/09/2025

শিবিরের ফরহাদ নামের এই ছেলেকে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন ডিবেট ও আলোচনায় লক্ষ্য করলাম। তার যুক্তি উপস্থাপন, প্রশ্নের উত্তর দেওয়া এবং কথা বলার ভঙ্গি অসাধারণ!

আমার ব্যক্তিগত অভিমত, গত ১৭ বছরে অনেক ছাত্র নেতাকে ডিবেটে অংশ নিতে দেখেছি, কিন্তু ফরহাদের মতো এমন পারফরম্যান্স আর কারও মধ্যে গত ১৭ বছরে খুঁজে পাইনি।

নয় দফার প্রতিটি শব্দ, আন্দোলনের প্রতিটি পরিকল্পনা, এবং কৌশল প্রণয়নে ফরহাদের ভূমিকা ছিল অসামান্য। আন্দোলনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, দিন-রাত এক করে ফরহাদ আন্দোলনের জন্য কাজ করেছেন। তার অসীম ধৈর্য, সুদূরপ্রসারী চিন্তা, এবং সুস্পষ্ট কৌশল জুলাই আন্দোলনকে জনমতের কেন্দ্রবিন্দুতে পৌঁছে দিয়েছিল।

প্রতিটি কর্মসূচির নামকরণ থেকে শুরু করে, কোন পদক্ষেপ কখন নিতে হবে এসব বিষয়ে তার দূরদর্শী সিদ্ধান্ত আন্দোলনকে সঠিক পথে পরিচালিত করেছে। আন্দোলনের প্রতিটি সংগঠকের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে তিনি প্রতিটি পদক্ষেপকে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছেন।

তার নেতৃত্বে আন্দোলন বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি; বরং তা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং সাধারণ মানুষের হৃদয়েও স্থান করে নিয়েছিল। ফ্যাসিবাদের বন্দুকের নলকে উপেক্ষা করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত ছুটে বেড়িয়েছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে ছিল তার দৃঢ় আত্মবিশ্বাস, অসীম উদ্যম, এবং আপসহীন মনোভাব।

এই মুক্ত বাতাস, বাকস্বাধীনতা, এবং ফ্যাসিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফরহাদের অবদান অনস্বীকার্য। তার মতো সাহসী যোদ্ধাদের চিন্তা, ত্যাগ, ঘাম, এবং শ্রমের মধ্য দিয়েই আজ আমরা স্বাধীনতার আলোতে দাঁড়িয়ে আছি।

যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে সততার সাথে দক্ষতাও সমানভাবে জরুরি। শুধুমাত্র সততা কিংবা শুধুমাত্র দক্ষতা কাউকেই প্রকৃত জনপ্রতিনিধি করে তোলে না।

এই কারণেই আমার কাছে সাদিক কায়েম ও এস এম ফরহাদের ডাকসু প্যানেল সবথেকে বেশি পছন্দের।
কারণ, লয়াল ভিপি প্রার্থী সাদিক কায়েমের সঙ্গে রয়েছেন একজন দক্ষ সেক্রেটারি প্রার্থী এস এম ফরহাদ। তাদের নেতৃত্বে যেমন সততা আছে, তেমনি আছে অভিজ্ঞতা, যুক্তি আর কার্যকর দক্ষতা।

যদি সাদিক কায়েম ডাকসুর ভিপি হন, তবে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য জিএস পদে এস এম ফরহাদেরও নির্বাচিত হওয়া অপরিহার্য।
কারণ, ডাকসুর ইতিহাসে তারা হতে পারেন সেরা কম্বিনেশন।

একদিকে ঠাণ্ডা মাথার, স্থিতধী ও লয়াল ভিপি সাদিক কায়েম, অন্যদিকে জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির মতো শক্তিশালী ডিবেট-ব্রেকার জিএস এস এম ফরহাদ।
তাদের এই নেতৃত্ব একসাথে ডাকসুর জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে।

সিদ্ধান্ত আপনার, আপনার ক্যাম্পাসের দায়িত্ব আপনি কাদের হাতে তুলে দেবেন? আপনার এক ভোট নির্ধারণ করবে আগামী দিনের নেতৃত্ব, যারা আপনার ক্যাম্পাসের নীতি, সংস্কৃতি, ও শিক্ষার পরিবেশকে প্রভাবিত করবে।

সত্য প্রকাশ হবে তার নিজস্ব গতিতে....
01/09/2025

সত্য প্রকাশ হবে তার নিজস্ব গতিতে....

03/04/2024

প্রশ্ন হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো এটা আপনাকে কে বলছে❓

উত্তরঃ
১. ড. নীরদ বরণ হাজরা
২. ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার
৩. শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস,
৪. নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
৫. সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ
৬. মোহাম্মদ আবদুল মান্নান

ড. নীরদ বরণ হাজরা,

❝ ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট সমাবেশ করা হয়। তখন কবির বয়স ছিল ৫১ বছর। ঠিক তার দু’দিন পূর্বে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ঢাকায় ইউনিভার্সিটি হতে দেওয়া যাবে না। ঐ গুরুত্বপূর্ণ সভায় হিন্দু নেতারা উপস্থিত ছিল। নতুন রাজ্য পুনর্গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন কিনা? বা শিক্ষা বিষয়ে করণীয় কি? আলোচনার জন্য এক জনপ্রতিনিধিত্বপূর্ণ সভা হয় কলকাতার টাউন হলে। উক্ত উভয় সভার সভাপতি ছিল রবীন্দ্রনাথ। ❞

ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার,

❝ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আশুতোষ মুখার্জীর নেতৃত্বে ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলো যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্রপ করে বলত মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। ❞

শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস,

❝ ১৯১২ সালের মার্চ মাসে কোলকাতার গড়ের মাঠে এক বিশাল মিটিং হয়। যারা কোনদিন কোন মিছিল, সমাবেশে যায় না তারাও গিয়ে মাঠ ভর্তি করে ফেলে। আমাদের মত এত ছোট মিটিং না, বিশাল ডায়াস, বিশাল মিটিং। সেই মিটিং এর সভাপতি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিসের জন্য সেই মিটিং জানেন? ইংরেজ গর্ভমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় একটা ইউনিভার্সিটি হবে তার বিরুদ্ধে। ওই মিটিংয়ে যার সভাপতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সিদ্ধান্ত হল ঢাকায় যেন ইংরেজ গর্ভমেন্ট ইউনিভার্সিটি না করে। কেন বলেন তো? ঢাকায়, পূর্ব বাংলায় তো সব মুসলমানের বাস। মুসলমান লেখাপড়া শিখলে তো কায়েদ বর্ণের মর্যাদা থাকে না, মান থাকে না, সম্মান থাকে না। মুসলমানের ছেলে ডাক্তার আবার ব্রাহ্মণের ছেলেও ডাক্তার। এটা হলে কি ব্রাহ্মণের জাত-মান থাকে? থাকে না। তাই রবীন্দ্রনাথের মত লোক, বিশ্বকবি তিনি তার প্রতিবাদ করলেন। আমি উনার কথা বেশি বলছি কারন তিনি আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়, অন্য কারনে শ্রদ্ধেয়। তবে যখন আমরা এই বিষয়গুলো আলোচনা করি তখন সত্যিকারের ভেতরের ব্যাপারটা পরিস্কার বোঝা যায়। তারা কত বার বলেছিলো জানেন? এই বাবুরা? ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়েছিলো যেন ঢাকাতে ইউনিভার্সিটি না হয়। এই যে মানসিকতা, মুসলমানরা যেন লেখাপড়া না শিখতে পারে, তাদের আমরা নেতা বানাচ্ছি। ❞

নীরদ চন্দ্র চৌধুরী,

❝ ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। ❞

সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ,

❝ ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কারণ তিনি ছিলেন জমিদার। তিনি মুসলমান প্রজাদের মনে করছেন লাইভ স্টক বা গৃহপালিত পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে নবশিক্ষিত মুসলমান সমাজকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের সন্তানদের শিক্ষিত হয়ে বুদ্ধিজীবী হলে চিরকাল সেবাদাস করে রাখা যাবে না। একথা চিন্তা করেই হিন্দু বুদ্ধিজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরা সেদিন আতংকিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী হিন্দুরা কতটা ক্ষিপ্ত হয়েছিল এর প্রমাণ পাওয়া যাবে সেকালের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, বিবৃতি ও পত্রিকার ভাষ্য থেকে।
১৯১২ সালে ১৬ই ফেব্রুয়ারী বড় লাটের সাথে বর্ধমানের স্যার রাসবিহারী ঘােষের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিমন্ডলী সাক্ষাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করার পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তির জাল বিস্তার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে আভ্যন্তরীণ বঙ্গ বিভাগ-এর সমার্থক, তাছাড়া পূর্ববঙ্গের মুসলমান প্রধানত কৃষক; তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার কোন মতেই উপকৃত হবে না।
বিপিনচন্দ্র পাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশিক্ষিত ও কৃষক বহুল পূর্ববঙ্গের শিক্ষাদান কর্মে ব্যাপৃত থাকতে হবে; পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের শিক্ষানীতি ও মেধার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকবে না। ❞

একই ধরনের তথ্য পাবেন "বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ" বইয়ের ২০১ পৃষ্ঠায়।

এর বাইরে আমার সরাসরি শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াৎ আনসারি ক্লাসে বহুবার ব্যাখ্যা করেছেন কেন রবীন্দ্রনাথের ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করাটাই ঠিক ছিল। স্যার রবীন্দ্রনাথের একদম গুনমুগ্ধ ভক্ত।

তিনি বলেছিলেন, ঢাবি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য। এই চিন্তাটা সাম্প্রদায়িক। বিদ্যাচর্চার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।

তবে রবীন্দ্রনাথ এই গ্রাউন্ড থেকে বিরোধিতা করে নাই। এই কথা কেউ কোন দিন বলেও নাই। অতিভক্তি থেকে স্যার রবীন্দ্রনাথের অবস্থানের পক্ষে একটা সাফাই তৈরি করেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে কঠিনভাবে জাত-পাত মেনে চলা হত।

কেউ কেউ দাবি করে সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ মনোব্রত অবলম্বন করেছিলেন৷ কোন কথা বলে নাই। স্বাভাবিক যুক্তি জ্ঞান ব্যবহার করে অনুমান করা যায় এটা ভ্রান্ত দাবি। কোলকাতায় প্রবল ঢাবি বিরোধী সভা-সমাবেশ চলেছ, মাসের পর মাস। কোলকাতার সুশীল সমাজ দিস্তার করে দিস্তা কাগজ নষ্ট করে প্রবন্ধ লিখছে একের পর এক, ইংরেজ সরকারকে স্মারকলিপি দিচ্ছে কয়েকদিন পর পর। এই রকম একটা টালমাটাল অবস্থায় এইসব সুশীলদের প্রধান হোতা রবীন্দ্রনাথ চুপ ছিলেন? এটা রবীন্দ্রনাথের ক্যারেক্টারের সাথে যায়? এরা রবীন্দ্রনাথের জীবনী পড়েছে কোনদিন??

রেফারেন্স:

১। ড. নীরদ বরণ হাজরা, কলকাতা ইতিহাসের দিনলিপি, ২য় খণ্ড, ৪র্থ পর্ব।
২। ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার, জীবনের স্মৃতিদ্বীপে, আবুল আসাদের ১০০ বছরের রাজনীতি থেকে উদ্ধৃত, পৃ. ৭২
৩। শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, ভিডিও বক্তব্য, লিংক কমেন্টে
৪। সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ, ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র- নজরুল চরিত্র, পৃ: ২৩১
৫। আবদুল মান্নান "বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ", ২০১

(সংগৃহীত)

Address

Chittagong
4000

Telephone

+8801741879666

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when REAL VIEWS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to REAL VIEWS:

Share