REAL VIEWS

REAL VIEWS আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্যকে পছন্দ করেন।

🟩 🌿 রুবূবিয়্যাহ ও নেতৃত্ব: আমরা কার উপর ভরসা করছি?"রব" মানে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা, মৃত্যুদাতা—সব কিছ...
06/07/2025

🟩 🌿 রুবূবিয়্যাহ ও নেতৃত্ব: আমরা কার উপর ভরসা করছি?

"রব" মানে একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, পালনকর্তা, রিজিকদাতা, মৃত্যুদাতা—সব কিছুর মালিক ও পরিচালক।
তাঁর নাম আল্লাহ।

আমরা বলি, "আমার রব আল্লাহ"।
তবে প্রশ্ন হলো—আমাদের ভরসা কোথায়?
ব্যবসায় ক্ষতির সময়, চাকরির দরকার হলে, অসুস্থ হলে বা সমাজে পরিবর্তন আনতে চাইলে—আমরা কি সত্যিই আল্লাহর উপর নির্ভর করি? নাকি তদবির, ঘুষ, দল বা শক্তিধর কারো কাছে ছুটে যাই?

📌 মক্কার কাফেররাও বলতো, আসমান-জমিনের স্রষ্টা আল্লাহ।
তবুও তারা ধ্বংস হয়েছে, কেননা তারা আল্লাহর সাথে অংশীদার বানিয়েছিল।

আজকের অনেক মুসলমান রুবূবিয়্যাহর ঈমান মুখে বলে, কিন্তু কাজে বাস্তবতা ভিন্ন:

তাবিজ-কবচে ভরসা,

অসুস্থ হলে দরগাহে মানত,

রিজিকের জন্য হারাম পথে দৌড়,

নেতৃত্ব পেতে কুফরি মতবাদে বিশ্বাস,

সমাজ পরিবর্তনের জন্য আল্লাহর বিধানের বাইরে সমাধান খোঁজা।

🟥 অথচ আল্লাহ বলেছেন:

> وَمَا يُؤۡمِنُ أَكۡثَرُهُم بِٱللَّهِ إِلَّا وَهُم مُّشۡرِكُونَ
“তাদের অধিকাংশই আল্লাহর উপর ঈমান আনে, কিন্তু শিরকসহ।”
📖 সূরা ইউসুফ: ১০৬
---

🕌 রাজনীতি ও নেতৃত্ব: কার আদর্শ?

🔹 আমরা যদি সমাজ, রাষ্ট্র বা নেতৃত্বে পরিবর্তন চাই—
তবে রাস্তা একটাই:
👉 আল্লাহর বিধান অনুসরণ + রাসূল ﷺ-এর পদ্ধতি অনুসরণ।

📌 অন্য কোনো মতবাদ—হোক সেটা গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র বা জাতীয়তাবাদ—আল্লাহর রুবূবিয়্যাহর বিরোধিতা করে, যদি তা আল্লাহর বিধানের বিপরীত হয়।

🔺 আজ যারা "ইসলামী নেতৃত্ব" চাই বলে দাবি করে, কিন্তু সেই নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় আল্লাহর পথ বাদ দিয়ে পাশ্চাত্যের পদ্ধতি বেছে নেয়—তারা মুখে তাওহীদ বলে, কিন্তু কাজে শিরকে নিমজ্জিত।
---
✨ আমাদের করণীয়:

1. রব মানে বুঝে ঈমান আনা — শুধু নাম ধরে নয়, কর্মে বিশ্বাস করা।

2. সমাজ ও রাষ্ট্রে নেতৃত্ব ও আইন–সবকিছুতে আল্লাহকেই রব হিসেবে মানা।

3. রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও তাওহীদ বজায় রাখা—শুধু ইসলামই যথেষ্ট বিশ্বাস করা।
---
🕋 রাসূল ﷺ মক্কায় একাই দাঁড়িয়েছিলেন—কোনো জোট নয়, কোনো আপস নয়
শুধু এক কথাই বলতেন:
"قُولُوا لَا إِلَٰهَ إِلَّا اللَّهُ تُفْلِحُوا"
— “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলো, সফল হবে।”
---
🤲 দোয়া:
হে আল্লাহ!
আমাদের অন্তরে, সমাজে ও রাজনীতিতে আপনার রুবূবিয়্যাহ ও একক কর্তৃত্বের ঈমান দৃঢ় করে দিন।
রাসূল ﷺ-এর মত সোজা পথে চলার তাওফিক দিন।
কোনো শিরক, বিকৃতি, আপস বা ভ্রান্ত মতবাদ থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
আমিন।
---
📢 #রুবূবিয়্যাহ #আল্লাহর_ঈমান #ইসলামী_রাজনীতি #রাসূলের_পথ

03/07/2025

ইসলামী ছাত্রশিবির
এমন যোগ্য লোকদের
গড়ে তোলে।
(লিংকে বিস্তারিত)

03/07/2025

গুম, খুন, নির্যাতন, ফাঁসি, আয়নাঘরের মাধ্যমে দেশের সকল সম্ভাবনা শেষ করে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বিসর্জন দেয়ার চুড়ান্ত মূহুর্তে আল্লাহর সাহায্য হচ্ছে...
"জুলাই বিপ্লব"

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)অধ্যায়ঃ ১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان)হাদিস নম্বরঃ ৩৮৯باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأ...
01/07/2025

গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ১। ঈমান [বিশ্বাস] (كتاب الإيمان)
হাদিস নম্বরঃ ৩৮৯
باب فِي قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ} حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَمَّا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏ وَأَنْذِرْ عَشِيرَتَكَ الأَقْرَبِينَ‏)‏ دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قُرَيْشًا فَاجْتَمَعُوا فَعَمَّ وَخَصَّ فَقَالَ ‏"‏ يَا بَنِي كَعْبِ بْنِ لُؤَىٍّ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا بَنِي مُرَّةَ بْنِ كَعْبٍ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا بَنِي عَبْدِ شَمْسٍ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا بَنِي عَبْدِ مَنَافٍ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا بَنِي هَاشِمٍ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا بَنِي عَبْدِ الْمُطَّلِبِ أَنْقِذُوا أَنْفُسَكُمْ مِنَ النَّارِ يَا فَاطِمَةُ أَنْقِذِي نَفْسَكِ مِنَ النَّارِ فَإِنِّي لاَ أَمْلِكُ لَكُمْ مِنَ اللَّهِ شَيْئًا غَيْرَ أَنَّ لَكُمْ رَحِمًا سَأَبُلُّهَا بِبَلاَلِهَا ‏"‏ ‏.‏

৮৯. মহান আল্লাহর বাণী : “তোমার নিকটাত্বীয়দেরকে সতর্ক করে দাও” (সূরাহ আশ শুআরা ২৬ : ২১৪)।

৩৮৯-(৩৪৮/২০৪) কুতাইবাহ ইবনু সাঈদ ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ..... আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়: “তোমার নিকটাত্মীয়বর্গকে সতর্ক করে দাও" (সূরাহ আশ শু'আরা ২৬ - ২১৪)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরায়শদের ডাকলেন। তারা একত্রিত হলো। তারপর তিনি তাদের সাধারণ ও বিশেষ সকলকে সম্বোধন করে বললেন, হে কাব ইবনু লুওয়াই-এর বংশধর। জাহান্নাম থেকে তোমরা আত্মরক্ষা কর। ওহে মুররাহ ইবনু কাব এর বংশধর। জাহান্নাম থেকে তোমরা আত্মরক্ষা কর। ওহে আবদ শামস এর বংশধর! জাহান্নাম থেকে তোমরা আত্মরক্ষা কর। ওহে আবদ মানাফ এর বংশধর! জাহান্নাম থেকে তোমরা নিজেদের বাঁচাও। ওহে হাশিমের বংশধর। জাহান্নাম থেকে তোমরা আত্মরক্ষা কর। ওহে আবদুল মুত্তালিব এর বংশধর! জাহান্নাম থেকে তোমরা নিজেদের বাঁচাও। ওহে ফাতিমা! জাহান্নাম থেকে তুমি নিজেকে বাঁচাও। কারণ, আল্লাহর (আযাব) থেকে রক্ষা করার ব্যাপারে আমার কোন ক্ষমতা নেই। অবশ্য আমি তোমাদের সঙ্গে আমার আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করব। (ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৯৫, ইসলামিক সেন্টারঃ ৪০৮)

Chapter: Regarding the saying of Allah, the most High: "And warn your tribe of near kindred." Abu Huraira reported: When this verse was revealed:" And warn thy nearest kindred (al-Qur'an, xxvi. 214), the Messenger of Allah (ﷺ) called the Quraish; so they gathered and he gave them a general warning. Then he made a particular (reference to certain tribes) and said: O sons of Ka'b b. Luwayy, rescue yourselves from the Fire; O sons of Murra b. Ka'b, rescue yourselves from the Fire: O sons of Abd Shams, rescue yourselves from the Fire; 0 sons of Abd Manaf rescue yourselves from the Fire; O sons of Hashim, rescue yourselves from the Fire; 0 sons of Abd al-Muttalib, rescue yourselves from the Fire; O Fatimah, rescue thyself from the Fire, for I have no power (to protect you) from Allah in anything except this that I would sustain relationship with you.

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ থাকেনা।
30/06/2025

পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে স্বৈরাচার হওয়ার সুযোগ থাকেনা।

17/06/2025

📜 ২৩শে জুন: জাতীয় বিপর্যয়ের প্রতীক

পলাশীর পরাজয় থেকে আওয়ামী লীগের জন্ম — ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতা?

🔍 ভূমিকা

২৩শে জুন — একটি দিন, যা আমাদের জাতীয় ইতিহাসে পরাজয় ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৭৫৭ সালের এই দিনে পলাশীর প্রান্তরে বাংলা, বিহার ও উড়িষ্যার স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে পরাজিত হন। এর ঠিক ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন গোপনে গঠিত হয় “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ”—পরে যা রূপান্তরিত হয় ‘আওয়ামী লীগ’ নামে।

এই দুটি ঘটনার সময় ব্যবধান প্রায় ২০০ বছর হলেও, ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে দুটি ঘটনা গভীরভাবে সংযুক্ত। একটি পরাধীনতার সূচনা, অপরটি পরাধীনতার প্রাতিষ্ঠানিক রূপদানে সহযোগিতা।
---

🏰 পলাশীর যুদ্ধ: ইতিহাসের কালো দিন

১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন ইংরেজদের সাথে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পলাশীর যুদ্ধে পরাজয় বাংলা তথা পুরো উপমহাদেশে বিদেশী উপনিবেশের সূচনা করে।
এই যুদ্ধ ছিল সরাসরি যুদ্ধের চেয়ে বড় ষড়যন্ত্রের ফল, যেখানে মীর জাফর, যগৎ শেঠ, রাজবল্লভ, ওমানচাঁদসহ বাংলা অভিজাত শ্রেণির বিশ্বাসঘাতকরা ব্রিটিশদের সাথে আঁতাত করে নিজেদের স্বার্থে জাতিকে বিক্রি করে দেয়।

📌 পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল:

মুসলিম শাসনের অবসান শুরু।

ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা।

জাতীয় পরিচয়, ঐতিহ্য ও ইসলামি মূল্যবোধ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
---

🧬 আওয়ামী লীগের জন্ম: এক গভীর রাজনৈতিক প্রকল্প?

১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র দুই বছর পরেই, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে “পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ” প্রতিষ্ঠিত হয়। নাম শুনলে মনে হয় এটি একটি মুসলিম দল, কিন্তু কৌশলে ধর্মীয় মূল্যবোধ থেকে জনগণকে বিচ্যুত করতে এবং ভারতের কৌশলগত প্রভাব বিস্তারে এক ধরণের ‘সফট এন্ট্রি’ হিসেবে কাজ করে এই দল।

📌 কেন ২৩ জুনেই দলটি প্রতিষ্ঠা করা হলো?
ঐতিহাসিকদের অনেকে বলেন, পলাশীর যুদ্ধে ভারতীয়দের পরাজয়ের দিনটিকে বেছে নিয়ে যেন পরাজয়ের উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠা করা হলো। ঐ দিনটি বেছে নেয়া নিছক কাকতালীয় নয়, বরং এটি ব্রিটিশ ও ভারতীয় কূটনৈতিক নকশার অংশ।

📌 আওয়ামী লীগের আদর্শিক বিবর্তন:

১৯৪৯: “আওয়ামী মুসলিম লীগ” →

১৯৫৫: “আওয়ামী লীগ” →

মুসলিম আইডেন্টিটি সরিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা ও ভারতপ্রীতির দিকে ঝোঁক।

📌 ভারতীয় নীতির প্রতি আনুগত্য:
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের সহায়তা চাওয়া হয়—যা কিছুটা বাধ্যতামূলক হলেও পরবর্তীতে তা "বাংলাদেশ ভারতের সৃষ্টি"র প্রচারে পরিণত হয়। এই দাবি দেশের সার্বভৌমত্বকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে।
---

🧠 বিশ্লেষণ: দুই ২৩শে জুনের মিল কোথায়?

পলাশীর যুদ্ধ (১৭৫৭) আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠা (১৯৪৯)

মুসলিম শাসনের পতন ইসলামী রাজনীতি থেকে সরে যাওয়া
বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রে পরাজয় ভারত ও পশ্চিমা কূটনীতির পৃষ্ঠপোষকতায় গঠন
বিশ্বাসঘাতক মীর জাফরের ভূমিকা ভারতঘেঁষা রাজনৈতিক তাবেদারি দৃশ্যমান
জাতীয় আত্মপরিচয়ের বিপর্যয় ধর্মনিরপেক্ষতা ও ইতিহাস বিকৃতি শুরু।
---

🇧🇩 দেশপ্রেমিকদের জন্য বার্তা

একটি জাতি তার ইতিহাস না জানলে, তাকে বারবার পরাজয়ের মুখোমুখি হতে হয়। পলাশীর যুদ্ধে আমাদের বিশ্বাসঘাতকতা দেখে শিখতে হবে— জাতির শত্রু সব সময় বাইরে নয়, বরং ভেতরেই বাস করে।

তেমনি ২৩শে জুন জন্ম নেয়া একটি দল, যাদের কর্মকাণ্ড বারবার ভারতের স্বার্থে কাজ করেছে, তাদের অতীত ও বর্তমান মূল্যায়নও ইতিহাসের আলোকে করতেই হবে।

📣 সতর্কতা ও দায়িত্ব:

জনগণকে ইতিহাস জানাতে হবে।

স্বাধীনতা ও ইসলামি মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল দলকে সমর্থন দিতে হবে।

ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।

পলাশীর ইতিহাসের মতো আর কোনো বিশ্বাসঘাতকতা যেন না ঘটে—এই সংকল্প নিতে হবে।
---

📚 উপসংহার

২৩শে জুন যেন ইতিহাসের একটি আয়না। একদিকে সরাসরি অস্ত্রের পরাজয়, অন্যদিকে নীতিগত ও আদর্শিক পরাজয়ের সূচনা।
আজ সময় এসেছে এই ২৩শে জুনকে ‘জাতীয় সতর্কতা দিবস’ হিসেবে দেখার—যাতে জাতি বুঝতে পারে কোন দিন তারা পরাজিত হয়েছিল, কোন দিনে পরাজয়ের উত্তরসূরিকে প্রতিষ্ঠা দেওয়া হয়েছিল।

> "ইতিহাস পুনরাবৃত্ত হয় তাদের জন্য, যারা তা থেকে শিক্ষা নেয় না।"
---

✍️ লেখা:
ইতিহাসসচেতন দেশপ্রেমিক নাগরিকদের জন্য।

16/06/2025

বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: জাতির একক প্রত্যাশা

১৯৭১ সালে এক সাগর রক্ত, অগণিত প্রাণ বিসর্জন ও সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছিলাম স্বাধীন বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে জাতি সেই মহান অর্জনের অর্থবহ ফল লাভ করতে পারেনি। একের পর এক অপশাসন, দুঃশাসন ও স্বৈরতন্ত্রে পিষ্ট হয়েছে দেশের জনগণ। সাধারণ মানুষ হয়েছে নিপীড়িত, বঞ্চিত ও শোষিত।

তবে ২৪ জুলাইয়ের গণবিপ্লব নতুন আশার আলো দেখিয়েছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে পতন ঘটেছে দীর্ঘদিনের দুঃশাসনের। স্বৈরশাসক সদলবলে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছে। জাতি মুক্ত হয়েছে এক রাজনৈতিক কারাগার থেকে। কিন্তু মুক্তির এই সূচনা তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন দেশের বিচারব্যবস্থা, আইন, সংসদীয় ধারা ও প্রশাসনিক কাঠামোর আমূল সংস্কার বাস্তবায়িত হবে।

এখনই উপযুক্ত সংস্কারের সময়ঃ-

বর্তমানে যে বাস্তবতা জাতিকে ঘিরে আছে, তাতে সুসংহত ও কার্যকর জাতীয় সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করা ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই। বিচারব্যবস্থায় স্বাধীনতা, প্রশাসনে জবাবদিহিতা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কঠোরতা এবং সংসদে কার্যকর গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা না হলে এই অর্জন দীর্ঘস্থায়ী হবে না। এমন একটি কাঠামো তৈরি করতে হবে, যেখানে ভবিষ্যতের কোনো সরকার যেন আর দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের খেয়াল-খুশি মতো নিতে না পারে।

একইসাথে এই বাস্তবতা মনে করিয়ে দেয়—অতীতের স্বৈরাচার গোটা জাতিকে জিম্মি করে রেখেছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা, চিন্তার স্বাধীনতা, ভোটাধিকার এমনকি ধর্মীয় ও সামাজিক স্বাধীনতাও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছিল। গণহত্যা, লুটপাট এবং দেশের সার্বভৌমত্ব বিদেশি তাবেদারিতে বিকিয়ে দেওয়ার মতো অপরাধ করেছে তারা। এইসব অপরাধের জন্য দৃশ্যমান ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করাই এখন সময়ের দাবি। এটি কেবল ন্যায়বিচারের জন্য নয়, ভবিষ্যতে যেন আর কেউ এমন স্বৈরাচারে পরিণত না হয়, সে জন্যও অপরিহার্য।

নির্বাচনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে জাতিকেঃ-

নির্বাচন একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা গত ১৫ বছর ধরে ছিল স্থগিত ও দলীয় কর্তৃত্বের হাতে বন্দী। এখন জাতির একান্ত চাওয়া একটি সুন্দর, সুশৃঙ্খল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন, যেখানে সকল মত ও দলের জন্য সমান সুযোগ থাকবে। এই নির্বাচনী প্রক্রিয়াই জাতিকে নতুন নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার এবং দায়িত্বশীল রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ করে দেবে।

ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রয়াস এবং বিচারভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনঃ-

স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার জন্য এখন প্রয়োজন দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলোর ঐক্য। বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের প্রশ্নে সকল দলের ঐকমত্য জাতির অন্যতম প্রধান প্রত্যাশা। দেশপ্রেমিক, যোগ্য, নীতিবান ব্যক্তিদের রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় প্রতিষ্ঠা করাও একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্রের পূর্বশর্ত।

সুতরাং,
আমরা এমন এক সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে সঠিক সিদ্ধান্ত ও কার্যকর সংস্কার না হলে বর্তমান বিপ্লবের অর্জন হারিয়ে যেতে পারে। বিচার, সংস্কার ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ভিত্তিতে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে—যেখানে ন্যায়, স্বাধীনতা, মানবিকতা এবং গণতন্ত্র হবে জাতীয় জীবনের মূল ভিত্তি।
---

📍 ১৬ জুন ২০২৫
🖊️ ইঞ্জিনিয়ার জমির আলম

14/06/2025

📘 আল্লাহর পথে সংগ্রাম—মুক্তির পথে প্রথম ধাপ
📖 সূরা আলে ইমরান: আয়াত ২১–৩০
🧒 সায়েম: আবরার ভাই, আমি বুঝলাম যে আল্লাহকে ভালোবাসা মানেই তাঁর কথা মানা। কিন্তু যারা আল্লাহর কথা অমান্য করে? যারা অন্যায় করে, ধর্ম নিয়ে ঠাট্টা করে? তাদের কী হবে?
🧑‍🏫 আবরার: সায়েম, এই প্রশ্নটার উত্তর কুরআন আমাদের আজ দিচ্ছে। কিছু মানুষ জেনে বুঝে সত্যকে অস্বীকার করে, তাদের জন্য কুরআনে রয়েছে সতর্কবার্তা।
📖 আয়াত ২১
إِنَّ ٱلَّذِينَ يَكْفُرُونَ بِـَٔايَـٰتِ ٱللَّهِ وَيَقْتُلُونَ ٱلنَّبِيِّـۧنَ...
বাংলা অর্থ:
“যারা আল্লাহর আয়াতকে অস্বীকার করে এবং নবীদের হত্যা করে অন্যায়ভাবে, এবং যারা ন্যায়ের আদেশ দেওয়া লোকদের হত্যা করে—তাদেরকে কঠিন শাস্তির সংবাদ দাও।”
🧑‍🏫 আবরার: আল্লাহ এখানে কেবল অস্বীকারকারীদের নয়, বরং তাদেরও বলছেন যারা সত্য প্রচারকারীদের দমন করে। এই আয়াতে মানুষকে সতর্ক করে বলা হচ্ছে—তুমি চুপ থেকেও অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারো!
📖 আয়াত ২২
أُو۟لَـٰٓئِكَ ٱلَّذِينَ حَبِطَتْ أَعْمَـٰلُهُمْ فِى ٱلدُّنْيَا وَٱلْـَٔاخِرَةِ...
বাংলা অর্থ:
“তাদের সব আমল ধ্বংস হয়ে যাবে দুনিয়াতেও, আখিরাতেও; তাদের কোন সাহায্যকারী থাকবে না।”
🧒 সায়েম: মানে যারা অন্যায় করে, অথবা অন্যায়ের বিরুদ্ধে চুপ থাকে—তাদের ভালো কাজগুলোও শূন্য হয়ে যাবে?
🧑‍🏫 আবরার: হ্যাঁ। আমল তখনই কবুল হয়, যখন তার ভিত্তি হয় ঈমান ও সৎ নিয়্যতের ওপর।
🧠 বিজ্ঞান ও যুক্তি:
নৈতিকতা নিয়ে বহু আধুনিক গবেষণা বলেছে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো না মানে তা পরোক্ষভাবে সমর্থন করা। “Moral Disengagement” নামে একটি মনোবৈজ্ঞানিক টার্ম আছে, যা বোঝায়—মানুষ অন্যায়ের সামনে নীরব থেকে নিজেদের নির্দোষ মনে করে, কিন্তু বাস্তবতা হলো তারা সহায়ক হয়ে ওঠে।
📖 আয়াত ২৩–২৫
আল্লাহ বলেন:
“তোমরা কি ভেবেছ, জান্নাতে প্রবেশ করবে, অথচ এখনো তোমাদের মধ্যে যারা জিহাদ করেছে, এবং ধৈর্য ধরেছে, তাদের পরীক্ষা আল্লাহ নেননি?”
🧑‍🏫 আবরার: এই আয়াতে আল্লাহ বুঝিয়ে দিয়েছেন, জান্নাত এমনিই পাওয়া যাবে না। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো—এটাই ঈমানের পরীক্ষা।
📖 আয়াত ২৬–২৭
আল্লাহ বলেন:
“আল্লাহ অনেক সময় ছোট একটি দলের মাধ্যমে বড় দলের ওপর বিজয় দেন। কারণ সাহায্য আল্লাহর কাছ থেকেই আসে।”
🧒 সায়েম: তাহলে ভাই, সাহস হারানো উচিত না?
🧑‍🏫 আবরার: একদম না! আল্লাহ অনেক সময় দুর্বলদের মাধ্যমেই বড় কিছু ঘটিয়ে দেন—শুধু তাঁকে বিশ্বাস করলে।
📖 আয়াত ২৮–৩০
“তারা বলে: ‘আল্লাহর কোনো সন্তান আছে’... এটা তাদের মুখের কথা মাত্র, তারা মিথ্যা বলে।”
🧑‍🏫 আবরার: এই আয়াতে আল্লাহ বলছেন, যারা ঈসা (আ.) বা অন্য নবীকে আল্লাহর সন্তান বলে—তারা মিথ্যা বলছে। ইসলামে তাওহীদ হচ্ছে মূল ভিত্তি—আল্লাহ একক, কারো মতো নন, তাঁর কোনো সন্তান নেই।
🔍 ঐতিহাসিক প্রসঙ্গ:
ইসলামের শুরুর সময় মক্কার কুরাইশরা রাসূল (ﷺ)-কে অনেক বাধা দিয়েছিল। এমনকি খ্যাতিমান মানুষদের হত্যা করত তারা যাতে সত্য চাপা পড়ে। এই আয়াতগুলো সে ইতিহাসকেও স্পষ্ট করে তোলে।
🧩 গল্পের ছোঁয়া:
একদিন সায়েমের ক্লাসে একজন শিক্ষক ধর্ম নিয়ে মজা করছিল। সবাই হাসলেও, সায়েম দাঁড়িয়ে বলেছিল, “স্যার, এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা না করলেই ভালো।” সেদিন সে ভয় পেয়েছিল, কিন্তু পরে তার বন্ধুরা বলেছিল, “তুই সাহস দেখিয়েছিস ভাই!”
🧑‍🏫 আবরার: এই সাহসই তো আল্লাহর পথে জিহাদ। সায়েম ছোট হলেও, সে বড় কাজ করেছে।
💡 শিক্ষা:
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই প্রকৃত ঈমানের পরীক্ষা।
আমল তখনই কবুল হয়, যখন ঈমান ও তাওহীদের ভিত্তিতে হয়।
সাহস ও দৃঢ়তা—আল্লাহর পক্ষ থেকে বিজয় এনে দিতে পারে।
আল্লাহর পথে যারা কাজ করে, তারাই সত্যিকারের সফল।
🤲 দোআ:
“হে আল্লাহ! আমাদেরকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী করে তুলুন, ঈমানকে দৃঢ় করুন, আর আমাদের আমল যেন তোমার দরবারে কবুল হয়।”

13/06/2025

জীবনের সার্থকতা ও আমাদের গন্তব্যঃ
------------------------------------------------------

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে অসংখ্য নেয়ামত দিয়ে এই পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। কিন্তু এর উদ্দেশ্য শুধুই খাওয়া, ঘুমানো, চাকরি বা ব্যবসা নয়—বরং এর চেয়ে অনেক বড় ও মহৎ।

সৃষ্টির উদ্দেশ্যঃ

📖 আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন:

> وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
“আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করেছি শুধুমাত্র আমার ইবাদতের জন্য।”
— (সূরা আয্-যারিয়াত, ৫৬)

মানুষের আসল পরিচয়, সে একজন "আব্দ" — আল্লাহর বান্দা। তার জীবন এই দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী লাভে নয়, বরং সেই অনন্ত জীবনের সফলতার জন্য।

খিলাফতের দায়িত্বঃ

📖 আল্লাহ বলেন:

> إِنِّي جَاعِلٌ فِي الْأَرْضِ خَلِيفَةً
“আমি পৃথিবীতে একজন প্রতিনিধি (খলীফা) সৃষ্টি করব।”
— (সূরা আল-বাকারা, ৩০)

আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন খিলাফতের দায়িত্ব দিয়ে—তাকে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করতে হবে, জুলুম ও পাপের বিরোধিতা করতে হবে।

কিন্তু আজ আমাদের অবস্থা কী?

আজ আমরা জীবনের লক্ষ্যকে ভুলে গেছি।
আমরা দুনিয়ার চাকচিক্য, চাকরি, প্রমোশন, বাড়ি, গাড়ি, প্রভাব প্রতিপত্তি—এসবের পেছনে ছুটছি। অথচ এ সবই ক্ষণস্থায়ী।

📖 আল্লাহ বলেন:

> اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ...
“জেনে রাখো! পার্থিব জীবন কেবল খেলা, কৌতুক, শোভা...”
— (সূরা হাদীদ, ২০)

এ দুনিয়ার রংচঙে জীবনের ফাঁদে আমরা আটকে গেছি। অথচ আমরা ভুলে গেছি—এই জীবন এক পরীক্ষার ময়দান।
---

মৃত্যু: অবধারিত বাস্তবতাঃ

আজ আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি যেখানে মৃত্যু যেন নিত্যকার সংবাদ—
কেউ অ্যাকসিডেন্টে, কেউ ক্যান্সারে, কেউ ঘুমের মধ্যেই...
মৃত্যুর কোন স্থির নিয়ম নেই, কিন্তু আমাদের গাফিলতি যেন স্থির হয়ে গেছে।

📖 আল্লাহ বলেন:

> كُلُّ نَفْسٍ ذَائِقَةُ الْمَوْتِ
“প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ আস্বাদন করতে হবে।”
— (সূরা আলে ইমরান, ১৮৫)

রিজিক ও হায়াত নির্ধারিতঃ

আমরা মনে করি বেশি দৌড়ালে বেশি পাবো। অথচ রিজিক, হায়াত, মৃত্যু সবই নির্ধারিত।

📖 রাসূল ﷺ বলেন:

> إِنَّ رُوحَ القُدُسِ نَفَثَ فِي رُوعِي أَنَّهُ لَنْ تَمُوتَ نَفْسٌ حَتَّى تَسْتَكْمِلَ رِزْقَهَا
“জিবরাঈল (আঃ) আমার অন্তরে ফুঁক দিয়ে জানিয়েছেন, কোনো প্রাণ তার নির্ধারিত রিজিক পূর্ণ না করে মারা যাবে না।”
— (মুসনাদে আহমদ: ৩৯৫৮)

সুতরাং, দুনিয়ার জন্য অস্থির হওয়ার কিছু নেই। বরং আমাদের উচিত — পরকালের জন্য প্রস্তুতি।
---

আসুন জীবনের উদ্দেশ্যে ফিরিঃ

📖 আল্লাহ বলেন:

> فَمَن زُحْزِحَ عَنِ النَّارِ وَأُدْخِلَ الْجَنَّةَ فَقَدْ فَازَ
“যাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে—সে-ই সফল।”
— (সূরা আলে ইমরান, ১৮৫)

সফলতা মানে:
- বড় চাকরি না,
- বেশি ফলোয়ার না,
- বড় প্রাসাদ না।

সফলতা মানে — আল্লাহ সন্তুষ্টি, জাহান্নাম থেকে মুক্তি, জান্নাত লাভ।
---

আজকের বাস্তবতা ও চ্যালেঞ্জঃ

আমাদের চারপাশে এমন এক সিস্টেম তৈরি হয়েছে যেখানে:

* হারাম ইনকাম সহজ,

* দ্বীন পালন কঠিন,

* সামাজিক চাপ অনেক।

তবে আল্লাহর পথে চলা কখনোই সহজ ছিল না। নবী ﷺ-কে তায়েফে পাথর মারা হয়েছে, সাহাবাদের উপর নির্যাতন হয়েছে, কিন্তু তারা দুনিয়া হারিয়ে আখিরাত পেয়েছেন।
---

তাওবা ও দোয়া: এখনই সময়

আসুন, গাফেলতা ছেড়ে জীবনকে নতুনভাবে সাজাই। আল্লাহর কাছে ফিরে আসি।

📖 রাসূল ﷺ দোয়া করতেন:

> اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مَوْتِ الْفَجْأَةِ، وَمِنْ جَهَنَّمَ
“হে আল্লাহ! আমি হঠাৎ মৃত্যু এবং জাহান্নাম থেকে তোমার আশ্রয় চাই।”
— (আল-মুজামুল আউসাত)
---

উপসংহার

> জীবন সংক্ষিপ্ত। সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

সঠিক পথেই সার্থকতা, তাওবার দ্বার সব সময় খোলা।

আসুন, আমরা দুনিয়া ও আখিরাতে সফলদের অন্তর্ভুক্ত হই —
ইবাদত, খিলাফত, তাকওয়া, দাওয়াহ, দায়িত্বশীলতা ও আল্লাহর সন্তুষ্টিকে জীবনভর অগ্রাধিকার দিয়ে।
---

একটি দোয়া

> اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ، فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ
“হে আল্লাহ! আমাদের তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন, যারা কথা শোনে এবং উত্তমটিকে অনুসরণ করে।

10/06/2025

📖 গল্পের নাম: "সন্ধানী মন – একটি সত্য সন্ধানীর গল্প"

রচনায়: ইঞ্জিনিয়ার জমির আলম
---

🧔 অধ্যায় ১: প্রশ্নে ভরা মন

ঢাকার এক ক্যাফেতে বসে ছিলেন ইলিয়াস ভাই, একজন চিন্তাশীল মুসলিম। হঠাৎ একজন তরুণ এসে তার টেবিলে বসল—সায়েম, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র, কিন্তু মনটা যেন অস্থিরতায় ভরা।

— সায়েম: “আপনার মুখে অদ্ভুত শান্তি। আমি খুঁজছি… কিন্তু পাই না। আপনি বিশ্বাস করেন, এমন এক সত্তায়, যাকে কখনো দেখা যায়নি?”

— ইলিয়াস ভাই: “হ্যাঁ, তিনি হচ্ছেন আল্লাহ। তুমি কি জানতে, আল্লাহ আমাদের জন্য এক চিঠি পাঠিয়েছেন?”

— “চিঠি?”

📖 আয়াত 1:
الٓمّٓ
“আলিফ-লাম-মীম।”

> (আল্লাহর এই রহস্যময় হরফগুলো মানুষকে আহ্বান জানায়—এমন এক কিতাবের দিকে মনোযোগ দিতে, যা মানুষের সীমিত জ্ঞানের বাইরে।)

📖 আয়াত 2:
ذَٰلِكَ ٱلۡكِتَٰبُ لَا رَيۡبَۖ فِيهِۛ هُدٗى لِّلۡمُتَّقِينَ
“এই কিতাব—এতে কোনো সন্দেহ নেই। এটি মুত্তাকীদের জন্য পথনির্দেশ।”

— ইলিয়াস ভাই: “এই কিতাবের নাম কুরআন। এতে কোনো সন্দেহ নেই, কারণ এটি কোনো মানুষের লেখা নয়।”
---

🧠 অধ্যায় ২: যুক্তি বনাম ঈমান

— সায়েম: “কিন্তু আমি তো কোনো কিছু অন্ধভাবে মানতে চাই না। আমি বিজ্ঞান নিয়ে পড়ি, যুক্তি চাই।”

— ইলিয়াস ভাই: “খুব ভালো কথা। ইসলামও তোমাকে অন্ধভাবে কিছু মানতে বলে না। বরং কুরআন বলে—তুমি দেখো, ভাবো, অনুসন্ধান করো।”

📖 আয়াত 3:
ٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِٱلۡغَيۡبِ وَيُقِيمُونَ ٱلصَّلَوٰةَ وَمِمَّا رَزَقۡنَٰهُمۡ يُنفِقُونَ
“যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সালাত কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে ব্যয় করে।”

— ইলিয়াস ভাই: “বাতাস, অনুভূতি, ভালোবাসা—এসবও তো অদৃশ্য, কিন্তু সত্য। ঠিক তেমনি, আল্লাহ, আখিরাত—সব সত্য, যদিও চোখে দেখা যায় না।”
---

💡 অধ্যায় ৩: প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা

— সায়েম: “কিন্তু কুরআন কি সত্য প্রমাণিত হতে পারে? এটা তো প্রাচীন বই!”

— ইলিয়াস ভাই: “তাহলে এই বই ১৪০০ বছর আগেই কীভাবে বলেছে মহাবিশ্ব প্রসারণশীল, পানি থেকে জীবনের উৎপত্তি, মানব ভ্রূণের স্তরবিন্যাস?”

📖 আয়াত 4:
وَٱلَّذِينَ يُؤۡمِنُونَ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡكَ وَمَآ أُنزِلَ مِن قَبۡلِكَ وَبِٱلۡأٓخِرَةِ هُمۡ يُوقِنُونَ
“আর তারা বিশ্বাস করে তোমার প্রতি যা নাজিল হয়েছে এবং তোমার পূর্বে যা নাজিল হয়েছে; আর তারা আখিরাতের প্রতি নিশ্চিত বিশ্বাস রাখে।”

— “যারা সত্য খোঁজে, তারা কুরআন খুঁজে পায়। এটা শুধুই প্রাচীন নয়—এটি চিরন্তন।”
---

🌙 অধ্যায় ৪: সত্যের দিগন্ত

সায়েম এবার চুপচাপ। যেন ভেতরটা নড়েচড়ে বসেছে।

📖 আয়াত 5:
أُوْلَٰٓئِكَ عَلَىٰ هُدٗى مِّن رَّبِّهِمۡۖ وَأُوْلَٰٓئِكَ هُمُ ٱلۡمُفۡلِحُونَ
“এরাই তাদের রবের পক্ষ থেকে হিদায়তের ওপর রয়েছে; এবং এরাই সফলকাম।”

— ইলিয়াস ভাই: “সায়েম, আমি তোমাকে শুধু একটি কথা বলব—যদি তুমি সত্য চাও, সত্য তোমাকে খুঁজে নেবে। তুমি শুধু খোলা মনে কুরআনটা পড়ো।”

সেদিনের পর, সায়েম এক নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করে—যেখানে যুক্তি ও হৃদয় একত্রে এগোয় হিদায়তের পথে।
---

📚 গল্পের শিক্ষা:

1. কুরআন সন্দেহমুক্ত একটি গ্রন্থ, যা শুধুমাত্র বিশ্বাস নয়—যুক্তিও উপস্থাপন করে।

2. গায়েব বা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস মানব চেতনার গভীর অংশ।

3. হিদায়াতের জন্য চাই আন্তরিক অনুসন্ধান—আল্লাহ তা দিতে প্রস্তুত।

4. ঈমান মানে অন্ধবিশ্বাস নয়, বরং জ্ঞান, হৃদয় ও আত্মার সমন্বিত আহ্বান।

---

🤲 দোআ:

"হে আল্লাহ! আমাদের অন্তর খুলে দাও সত্যের জন্য, ঈমানের জন্য, হিদায়তের জন্য। আমাদেরকেও করো সফল সেই দলের অন্তর্ভুক্ত, যাদের তুমি পথ দেখাও। আমিন।"

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉
22/05/2025

Celebrating my 2nd year on Facebook. Thank you for your continuing support. I could never have made it without you. 🙏🤗🎉

03/04/2024

প্রশ্ন হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করেছিলো এটা আপনাকে কে বলছে❓

উত্তরঃ
১. ড. নীরদ বরণ হাজরা
২. ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার
৩. শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস,
৪. নীরদ চন্দ্র চৌধুরী
৫. সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ
৬. মোহাম্মদ আবদুল মান্নান

ড. নীরদ বরণ হাজরা,

❝ ১৯১২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ মার্চ কলিকাতার গড়ের মাঠে এক বিরাট সমাবেশ করা হয়। তখন কবির বয়স ছিল ৫১ বছর। ঠিক তার দু’দিন পূর্বে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং হয়েছিল। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে, ঢাকায় ইউনিভার্সিটি হতে দেওয়া যাবে না। ঐ গুরুত্বপূর্ণ সভায় হিন্দু নেতারা উপস্থিত ছিল। নতুন রাজ্য পুনর্গঠনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন কিনা? বা শিক্ষা বিষয়ে করণীয় কি? আলোচনার জন্য এক জনপ্রতিনিধিত্বপূর্ণ সভা হয় কলকাতার টাউন হলে। উক্ত উভয় সভার সভাপতি ছিল রবীন্দ্রনাথ। ❞

ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার,

❝ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আশুতোষ মুখার্জীর নেতৃত্বে ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জকে ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়ে চাপ সৃষ্টি করেছিলো যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় না হয়। তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদ্রপ করে বলত মক্কা বিশ্ববিদ্যালয়। ❞

শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস,

❝ ১৯১২ সালের মার্চ মাসে কোলকাতার গড়ের মাঠে এক বিশাল মিটিং হয়। যারা কোনদিন কোন মিছিল, সমাবেশে যায় না তারাও গিয়ে মাঠ ভর্তি করে ফেলে। আমাদের মত এত ছোট মিটিং না, বিশাল ডায়াস, বিশাল মিটিং। সেই মিটিং এর সভাপতি হলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কিসের জন্য সেই মিটিং জানেন? ইংরেজ গর্ভমেন্ট সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকায় একটা ইউনিভার্সিটি হবে তার বিরুদ্ধে। ওই মিটিংয়ে যার সভাপতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সিদ্ধান্ত হল ঢাকায় যেন ইংরেজ গর্ভমেন্ট ইউনিভার্সিটি না করে। কেন বলেন তো? ঢাকায়, পূর্ব বাংলায় তো সব মুসলমানের বাস। মুসলমান লেখাপড়া শিখলে তো কায়েদ বর্ণের মর্যাদা থাকে না, মান থাকে না, সম্মান থাকে না। মুসলমানের ছেলে ডাক্তার আবার ব্রাহ্মণের ছেলেও ডাক্তার। এটা হলে কি ব্রাহ্মণের জাত-মান থাকে? থাকে না। তাই রবীন্দ্রনাথের মত লোক, বিশ্বকবি তিনি তার প্রতিবাদ করলেন। আমি উনার কথা বেশি বলছি কারন তিনি আমাদের কাছে শ্রদ্ধেয়, অন্য কারনে শ্রদ্ধেয়। তবে যখন আমরা এই বিষয়গুলো আলোচনা করি তখন সত্যিকারের ভেতরের ব্যাপারটা পরিস্কার বোঝা যায়। তারা কত বার বলেছিলো জানেন? এই বাবুরা? ১৮ বার স্মারকলিপি দিয়েছিলো যেন ঢাকাতে ইউনিভার্সিটি না হয়। এই যে মানসিকতা, মুসলমানরা যেন লেখাপড়া না শিখতে পারে, তাদের আমরা নেতা বানাচ্ছি। ❞

নীরদ চন্দ্র চৌধুরী,

❝ ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। ❞

সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ,

❝ ১৯১২ সালের ২৮ মার্চ কলকাতার গড়ের মাঠে ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে হিন্দুরা প্রতিবাদ সভা ডাকে। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কারণ তিনি ছিলেন জমিদার। তিনি মুসলমান প্রজাদের মনে করছেন লাইভ স্টক বা গৃহপালিত পশু। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে নবশিক্ষিত মুসলমান সমাজকে আর দাবিয়ে রাখা যাবে না। কৃষিজীবী সম্প্রদায়ের সন্তানদের শিক্ষিত হয়ে বুদ্ধিজীবী হলে চিরকাল সেবাদাস করে রাখা যাবে না। একথা চিন্তা করেই হিন্দু বুদ্ধিজীবী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরা সেদিন আতংকিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে উগ্রবাদী হিন্দুরা কতটা ক্ষিপ্ত হয়েছিল এর প্রমাণ পাওয়া যাবে সেকালের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, বিবৃতি ও পত্রিকার ভাষ্য থেকে।
১৯১২ সালে ১৬ই ফেব্রুয়ারী বড় লাটের সাথে বর্ধমানের স্যার রাসবিহারী ঘােষের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিমন্ডলী সাক্ষাৎ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা না করার পক্ষে নিম্নোক্ত যুক্তির জাল বিস্তার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হলে আভ্যন্তরীণ বঙ্গ বিভাগ-এর সমার্থক, তাছাড়া পূর্ববঙ্গের মুসলমান প্রধানত কৃষক; তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার কোন মতেই উপকৃত হবে না।
বিপিনচন্দ্র পাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অশিক্ষিত ও কৃষক বহুল পূর্ববঙ্গের শিক্ষাদান কর্মে ব্যাপৃত থাকতে হবে; পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের শিক্ষানীতি ও মেধার মধ্যে সামঞ্জস্য থাকবে না। ❞

একই ধরনের তথ্য পাবেন "বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ" বইয়ের ২০১ পৃষ্ঠায়।

এর বাইরে আমার সরাসরি শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাখাওয়াৎ আনসারি ক্লাসে বহুবার ব্যাখ্যা করেছেন কেন রবীন্দ্রনাথের ঢাবি প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করাটাই ঠিক ছিল। স্যার রবীন্দ্রনাথের একদম গুনমুগ্ধ ভক্ত।

তিনি বলেছিলেন, ঢাবি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো পূর্ব বাংলার মুসলমানদের মধ্যে উচ্চশিক্ষা বিস্তারের জন্য। এই চিন্তাটা সাম্প্রদায়িক। বিদ্যাচর্চার উদ্দেশ্য সাম্প্রদায়িক হতে পারে না।

তবে রবীন্দ্রনাথ এই গ্রাউন্ড থেকে বিরোধিতা করে নাই। এই কথা কেউ কোন দিন বলেও নাই। অতিভক্তি থেকে স্যার রবীন্দ্রনাথের অবস্থানের পক্ষে একটা সাফাই তৈরি করেছেন। রবীন্দ্রনাথের প্রতিষ্ঠিত শান্তিনিকেতনে কঠিনভাবে জাত-পাত মেনে চলা হত।

কেউ কেউ দাবি করে সে সময়ে রবীন্দ্রনাথ মনোব্রত অবলম্বন করেছিলেন৷ কোন কথা বলে নাই। স্বাভাবিক যুক্তি জ্ঞান ব্যবহার করে অনুমান করা যায় এটা ভ্রান্ত দাবি। কোলকাতায় প্রবল ঢাবি বিরোধী সভা-সমাবেশ চলেছ, মাসের পর মাস। কোলকাতার সুশীল সমাজ দিস্তার করে দিস্তা কাগজ নষ্ট করে প্রবন্ধ লিখছে একের পর এক, ইংরেজ সরকারকে স্মারকলিপি দিচ্ছে কয়েকদিন পর পর। এই রকম একটা টালমাটাল অবস্থায় এইসব সুশীলদের প্রধান হোতা রবীন্দ্রনাথ চুপ ছিলেন? এটা রবীন্দ্রনাথের ক্যারেক্টারের সাথে যায়? এরা রবীন্দ্রনাথের জীবনী পড়েছে কোনদিন??

রেফারেন্স:

১। ড. নীরদ বরণ হাজরা, কলকাতা ইতিহাসের দিনলিপি, ২য় খণ্ড, ৪র্থ পর্ব।
২। ডক্টর রমেশচন্দ্র মজুমদার, জীবনের স্মৃতিদ্বীপে, আবুল আসাদের ১০০ বছরের রাজনীতি থেকে উদ্ধৃত, পৃ. ৭২
৩। শ্রী সুকৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, ভিডিও বক্তব্য, লিংক কমেন্টে
৪। সরকার শাহাবুদ্দীন আহমদ, ইতিহাসের নিরিখে রবীন্দ্র- নজরুল চরিত্র, পৃ: ২৩১
৫। আবদুল মান্নান "বঙ্গভঙ্গ থেকে বাংলাদেশ", ২০১

(সংগৃহীত)

Address

Chittagong

Telephone

+8801741879666

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when REAL VIEWS posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to REAL VIEWS:

Share