21/10/2024
তীতাস নদীর পারে,ফসলের জমীতে,মাদ্রাসার এবং গ্রামের সাথে নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই অবৈধ ভাবে চলছে মিতালী ইটের ভাটা।
📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌📌
বাঞ্চারামপুর উপজেলার তিলুকনগরে নিয়মের তোয়াক্কা না করেই বিগত অনেক বছর যাবত চলছে মিতালী ব্রিকস।
ফসলি জমির মাটি কেটে চলছে ইট পোড়ানোর কাজ। এতে ভয়াবহ দূষণের শিকার হচ্ছে পরিবেশ, বাড়ছে রোগ-বালাই। পাশাপাশি বিনষ্ট হচ্ছে সরকারি রাস্তা, উর্বরতা হারাচ্ছে কৃষি জমি। বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন। তবে প্লাস্টিক জাতীয় দ্রব্যের আগুন থেকে নির্গত ধোঁয়ায় ক্ষতির পরিমাণ অধিক। ইটের ভাটা থেকে উত্পন্ন কালো ধোঁয়া শিশু এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের ফুসফুসের জন্য অনেক বড় হুমকি। ইটের ভাটার কালোধোঁয়া থেকে ব্যাপক কার্বণ নিঃসরণ হওয়ার ফলে বায়ুমণ্ডলে এক ধরনের গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে।তীতাসের পার হওয়ায় নদীর ওপারে হোমনা উপজেলার কয়েকটি গ্রামের ফল ফলাদি গাছে প্রায় মৃত।ক্ষতি হচ্ছে সুনামধন্য মাদ্রাসার ছোট বাচ্চাদের জীবন।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষোভ থাকলেও রহস্যজনক কারণে নির্বিকার সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সংশ্নিষ্ট সূত্র জানায়, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অথবা কৃষী জমির ৩ কিলোমিটার দূরে তৈরি করার নিয়ম।সরকারি সড়ক দিয়ে নয়, বরং ইটভাটার নিজস্ব রাস্তা দিয়ে চলবে মাটি বহনকারী ট্রাক্টর। সে সঙ্গে ইটভাটায় খনন করতে হবে পুকুর। অথচ বাস্তবতা এর কোনো কিছুই মানছেন না ভাটা মালিকরা।ইট ভাটার বজ্র পর্দার্থ পরছে তিতাস নদীর সচ্ছ পানিতে।ভাটার ময়লা-আবর্জনায় নষ্ট হচ্ছে তীতাসের মাছ বৃদ্ধি। মাটি বহনের ট্রাক্টরগুলো প্রধান সড়ক গুলো দিয়েও চলাচল করে। এতে জনসাধারণসহ যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হচ্ছে প্রতিবন্ধকতা।বেশিরভাগ কৃষি জমি নষ্ট করে গড়ে উঠছে ইট-ভাটা। এর মূলে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তিবর্গের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পৃষ্ঠপোষকতা।।
তবে মাত্রাতিরিক্ত ও নিয়ম বহির্ভূত ইট-ভাটা স্থাপন দিন দিন পরিবেশের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছেএদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাটা মালিকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ও আবাসিক এলাকায়ও ইটভাটা স্থাপন করেছেন। এসব ভাটায় ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। ফলে ভাটা থেকে নির্গত ধোঁয়ায় শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ শ্বাসকষ্টসহ নানা সমস্যায় ভুগছে। তারা রাস্তার পাশের ও বনের গাছ কেটে ইটভাটায় বিক্রি করছেন, যা জেলার সার্বিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। তাছাড়া ভাটা মালিকরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৈরীকৃত ইটের ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। ফলে পরিবেশের তো ক্ষতি হচ্ছেই, ইটের দামে ঠকছেন গ্রাহকরাও। দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চললেও প্রশাসন তেমন কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আর এ সুযোগে দিন দিন গড়ে উঠছে একের পর এক অবৈধ ইটভাটা।তারা আরো বলেন, সারা দেশেই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ অভিযান চলমান রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ঠাকুরগাঁও। এ জেলায় ইটভাটা মালিকরা কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশের দূষণ করে ইট তৈরি ও বিক্রি করলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না।