28/12/2025
ওসমানী সাম্রাজ্যের ১৩ তম উজীর মাহমুদ পাশার মৃত্যু ...
১৪৬৭ সালের গ্রীষ্মে মুহাম্মাদ ফাতিহ যখন আলবেনিয়া ভেনেটা আক্রমণ করেন এবং ভূমি ধ্বংস করেন তখন মাহমুদ তার সাথে ছিলেন। ১৫ দিন ধরে তিনি সেকেন্দার বেগকে তাড়া করেছিলেন। সেকেন্দার বেগ সেই সময় ভেনিসের মিত্র ছিলেন কিন্তু তাকে খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন। কারণ সেকেন্দার বেগ পাহাড়ে পিছু হটে এবং তারপরে উপকূলে পালিয়ে যায়।[১৯] তুরসুন বেগ এবং ইবনে কামালের মতে, মাহমুদ বুনা সাগরের উপর দিয়ে গিয়ে ভেনিসীয়-নিয়ন্ত্রিত শকোডার আক্রমণ করেছিলেন এবং আশেপাশের অঞ্চল লুণ্ঠন করেছিলেন।[২০]
তার উত্তরসূরি রুম মুহাম্মাদ পাশার ষড়যন্ত্রের কারণে ১৪৬৮ সালে মাহমুদকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।[২১] ১৪৭২ সালে তাকে পুনর্বহাল করা হয় কিন্তু সুলতানের সাথে তার সম্পর্ক তখন তিক্ত হয়ে পড়ে। ১৪৭৪ সালে মাহমুদকে বরখাস্ত করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। কারণ ছিল সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহের প্রিয় পুত্র শাহজাদা মুস্তাফার আকস্মিক মৃত্যুর সাথে তিনি জড়িত ছিলেন বলে সন্দেহ করা হয়েছিল। কথিত আছে যে, শাহজাদা মুস্তাফার সাথে মাহমুদের স্ত্রী সেলজুক হাতুনের (মুহাম্মাদ ফাতিহের কনিষ্ঠ স্ত্রী হেতিজা হাতুনের বোন) সাথে সম্পর্ক ছিল এবং এর জন্য মাহমুদ তাকে বিষ প্রয়োগ করেছিলেন। মাহমুদ তা অস্বীকার করলেও প্রমাণ ছাড়াই মুহাম্মাদ ফাতিহ তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।[২২]