Health & Beauty Care

Health & Beauty Care The Best Health & Beauty Care Tips

It was amazing nature...
29/10/2024

It was amazing nature...

অতঃপর তুমি আমি!!পর্ব ২ওয়ামিয়ার এখনো জ্ঞান ফেরিনি।ডাক্তার বলেছে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে,শরীর ভীষণ দুর্বল।কিন্তু এখন আউট অফ ড...
21/10/2024

অতঃপর তুমি আমি!!
পর্ব ২

ওয়ামিয়ার এখনো জ্ঞান ফেরিনি।ডাক্তার বলেছে অনেক রক্তক্ষরণ হয়েছে,শরীর ভীষণ দুর্বল।কিন্তু এখন আউট অফ ডেঞ্জার।হুমায়ন শেখ মেয়ের হাত ধরে বসে আছে।মায়া বেগম কেভিনে থাকা সোফায় বসে ঝিমাচ্ছেন।গভীর রাতে জ্ঞান ফিরে ওয়ামিয়ার।জ্ঞান ফিরে নিজেকে হাসপাতালে আবিষ্কার করে।ওয়ামিয়া নিজের অবস্থা দেখে ঠোঁট টিপে হাসে।

হাত কাটলেও সে রগ কাটেনি।রগের দুই ইঞ্চি উপরে কেটেছে।ওয়ামিয়া জানতো এভাবে কাটলে সে মরবে না।শেহজাদের কাছ থেকে মনের কথা জানার জন্য সে এর থেকেও বড় পাগলামি করতে পারে।এটা তো সামান্য কিছু।ওয়ামিয়া জানে এই খবর শেহজাদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে অনেক আগেই।আবার হাসে ওয়ামিয়া।ঘাড় কাত করে পাশে বসে থাকা হুমায়ন শেখ আর মায়া বেগমের দিকে তাকায়।

ওয়ামিয়া অদ্ভুত ভাবে হাসে তাদের দিকে।হুমায়ন শেখ ওয়ামিয়ার হাত ধরেই ঘুমিয়ে আছেন।ওয়ামিয়ার চোখে ঘুম নেই।ঘুম পরিরা আর দেখা দিবে না তার আঁখিতে।নিশ্চুপ হয়ে শেহজাদের কথা ভাবতে থাকে।শেহজাদের কথা ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পরে ওয়ামিয়া।কেউ একজন কেবিনের বাইরে থেকে গভীর দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে ওয়ামিয়ার পানে।লোকটা চলে যায় এক সময়।সকালে এক ফালি রোদ চোখে পরতেই ঘুম ভাঙে ওয়ামিয়ার।

“মেহেনাজ আম্মা উঠো পরেছো,চলো তোমাকে ফ্রেশ করিয়ে দেই”

মায়া বেগম মেয়েকে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে গিয়ে ফ্রেশ করিয়ে দেয়।হুমায়ন শেখ গিয়েছেন সকালের নাস্তা আনতে।মায়া বেগম বা হুমায়ন শেখ কেউই ওয়ামিয়াকে এখন এইসব বিষয় নিয়ে কথা বাড়াবে না।বাড়িতে গিয়ে সুন্দরভাবে বোঝাবে মেয়েকে।কেনো করেছে এমন পাগলামি জানতে চাইবে।এমন করার কারণটা কি!তারা কি তাকে খুব কষ্টে রেখেছে যে এই পথ বেঁচে নিলো সে।তার যদি কিছু হয়ে যেতো তাহলে কি করতো তারা দুজন।

“মেহেনাজ আম্মা সকালের নাস্তা নিয়ে এসেছি তোমার প্রিয় পরোটা।খেয়ে নাও আম্মাজান”

ওয়ামিয়া মৃদু হাসে।মায়া বেগম মেয়েকে যত্ন করে খাইয়ে দেন।হুমায়ন শেখ বসে আছেন কেভিনে থাকা সোফায়।মেয়ের দিকে পলকহীন ভাবে চেয়ে আছেন।ভেবে পাচ্ছেন না কেনো করলো মেয়েটা এমন।মাহিম যদি জানতে পারে তাহলে আরেক হুলস্থুল কান্ড বাঁধিয়ে ফেলবে।মাহিমকে না জানানোই শ্রেয়।ছেলেটা যেই কাজে গিয়েছে সেই কাজটা শান্তিতে,কোনো ঝামেলা ছাড়াই করে আসুক।

“আম্মাজান তৈরি হয়ে নাও বাড়ি ফিরতে হবে”

“হ্যাঁ আপনি বাইরে গিয়ে সব কিছু ঠিক করুন আমি মেহেনাজকে তৈরি করে বের হচ্ছি”

মায়া বেগম মেহেনাজকে একটা জামা পরিয়ে দেন।এখন ঠিক আছে ওয়ামিয়া।হুমায়ন শেখ চাইছেন না হাসপাতালে রেখে মেয়ের চিকিৎসা করাতে।না হলে সারা গ্রামে ছড়িয়ে পরবে মাস্টারমশাইয়ের মেয়ে আত্নহত্যা করতে চেয়েছিলো।তার থেকে বড় কথা রাতে মাহিম ফিরবে,সে এই কান্ড দেখলে কি করবে কে জানে!সেজন্যই তাড়াহুড়ো করে বাড়ি ফেরা।হাসপাতালের সব কাজ শেষ করে বের হয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।
বাড়িতে ফিরেছে অনেক সময় হলো।উপন্যাসের বই নিয়ে বসেছে ওয়ামিয়া।বাড়িতে ফেরার পথে খুঁজে তার শখের পুরুষকে।কিন্তু তার দেখা পায়নি ওয়ামিয়া।ভাগ্য খারাপ ছিলো।সে বেশ কয়েকদিন বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না।ভাইজানও বাড়িতে ফিরছে।দেখা পাবে না বেশ কয়েকদিন ওয়ামিয়া তার শখের পুরুষের।ওয়ামিয়া মৌরি মরিয়মের প্রেমাতাল উপন্যাস পরতে বসেছে।

কয়েকপৃষ্ঠা পড়ার পরে রুমে ঢোকেন মায়া বেগম।হাতে ফলের প্লেট।বিভিন্ন রকম ফল নিয়ে এসেছেন।ওয়ামিয়ার সামনে রেখে ওর পাশে বসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।নরম কন্ঠে মেয়েকে বলেন,,,
“মেহেনাজ মা এগুলো খেয়ে নাও।দুর্বল তুমি অনেক।খেয়ে সুস্থ হও।ভাইজান আসলে তার সাথে দুষ্টমি করবে না!”

“আম্মু আমার এগুলো খেতে ইচ্ছে করছে না তুমি নিয়ে যাও।তুমি তো জানো আমার ফল পছন্দ না”

“তোমার শরীর থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে আম্মাজান খেয়ে নাও।আব্বু এসে যদি তুমি খাওনি তাহলে তো আম্মুকে বকবে তুমি কি চাও বলো?”

“আচ্ছা রেখে যাও খেয়ে নিবো”

মায়া বেগম মিহি হেসে ওয়ামিয়ার কপালে আলতো করে অধর ছুঁইয়ে দিয়ে উঠে পরেন,রুম থেকে বের হওয়ার জন্য।কিছু একটা ভেবে ফিরে আসে আবার ওয়ামিয়ার কাছে।ওয়ামিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে আদুরে গলায় জিজ্ঞেস করেন,,

“আম্মাজান তুমি এমন কেনো করেছিলে”

ওয়ামিয়া নিশ্চুপ।চোখ নিচু করে এক দৃষ্টিতে উপন্যাসের বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে।মায়া বেগম বোঝেন মেয়ে বলতে চাইছে না।তাই তিনিও আর জোর করলেন না।নিঃশ্বব্দে বের হয়ে যান রুম থেকে।ওয়ামিয়া মায়া বেগমের যাওয়ার পানে তাকিয়ে ফোস করে শ্বাস ফেলে।সত্যি সে জীবনেও বলবে না।এখন শুধু দেখা করার পালা তার শখের পুরুষের সাথে,তার শেহজাদ ভাইয়ের সাথে।কতগুলো দিন লাগবে সুস্থ হতে কে জানে!

“ভাই ওয়ামিয়া মেহেনাজকে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।মাহিম ভাই আজই ফিরবেন তাই হয়তো”
‘ওয়ামিয়া এখন কেমন আছে ইফাজ?বাড়িতে এসেছে কখন!’

‘ভাই অনেক আগেই এসেছে সকালের দিকে হয়তো।আমি সব বিষয় খেয়াল রেখেছি ভাই’
‘এখন যাও তুমি ইফাজ একা থাকতে চাই।ক্লান্ত লাগছে’

ইফাজ বেরিয়ে যায় রুম থেকে।শেহজাদ ক্লান্ত ভীষণ।সোফায় শরীর এলিয়ে দেয়।মাহিম এবার নির্বাচনে দাঁড়াবে।মাহিম রাজনীতিতে কেনো ঢুকছে বুঝতে পারছে না শেহজাদ।রাজনীতি নিয়ে দুই পরিবারের ঝামেলা।তাহলে এখন মাহিম কেনো!শেহজাদ এতো বছর এইসব নিয়েই চিন্তা করে আসছে।কিভাবে এগুলোর সমাপ্তি ঘটাবে।দুই পরিবারকে আবার এক করবে।তবে কিছুতেই তা সম্ভব হচ্ছে না।শেহজাদ এর জন্য নিজের শখটাও,নিজের পেশাটাকেও সরিয়ে রেখেছে।
‘কবে মিটবে এসব,এর শেষ কোথায়!আমি কি তবে পাবো না তাকে।কি করলে শেষ হবে এসব।এগুলো দেখতে দেখতে ভীষণ ক্লান্ত আমি।”

শেহজাদ উঠে দাঁড়ায়।নিজের রুম থেকে বের হয়ে তার আব্বুর রুমের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।শেহজাদ দরজায় টোকা দিয়ে বলে,

‘আসবো আব্বুজান’

মুনতাসিব খান স্ত্রীর ছবি হাতে বসে ছিলেন।ছেলের আওয়াজ পেয়ে চোখ মুছে চশমা পরে নিজেকে স্বাভাবিক করলেন।ছবিটা জায়গা মতো রেখে দিলেন।আগের ন্যায় কঠোর,শক্ত কন্ঠে বললেন,

‘ভেতরে আসো শেহজাদ’

শেহজাদ রুমে প্রবেশ করলো।মুনতাসিব খানকে দেখলো।আজ যেনো নিজের আব্বুজানকে কঠোর,শক্ত লাগছে না।নরম,শান্ত একজন মানুষ মনে হচ্ছে তার কাছে।শেহজাদকে এক দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে থাকতে দেকে কিছুটা অস্বস্তি অনুভব করেন মুনতাসিব খান।সে গলা ঝেড়ে বলে উঠেন,
‘বসো শেহজাদ।এই সময়ে আমার কাছে যে’

‘আব্বু তুমি তো জানো এবার তোমার বিপক্ষে মাহিম দাঁড়াচ্ছে নির্বাচনে।নমিনেশন ও আনতে গিয়েছে।তুমি এতো নিশ্চিতে কিভাবে আছো’

‘শেহজাদ তোমার এখন উচিত নিজের ক্যারিয়ারে ফোকাস দেওয়া।তুমি ডিগ্রি আনতে চাইলে বিদেশে যেতে পারো এবং যদি না চাও তবে গ্রামের হাসপাতালে রোগী দেখা শুরু করো।জানো কত গরীব মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছে।তুমি জয়েন হও।কম টাকায় গরিব মানুষের চিকিৎসা করো।গ্রামে তেমন ভালো ডক্তার ও নেই।তুমি জয়েন করলে ভালো হবে গরিব দুঃখী মানুষের জন্য।আর নির্বাচন,রাজনীতি আমি সামলে নিবো সেগুলো।তোমার এদিকে আসার দরকার নেই”

‘আমি বুঝতে পেরেছি আব্বু।আমি সামনের মাস থেকেই জয়েন করতে চাইছি’

‘যা ভালো মনে করো।রাজনীতি থেকে দূরে থাকবা শেহজাদ।তুমি আমার একমাত্র ছেলে তোমার মাকে হারিয়েছি এখন তোমাকে হারাতে পারবো না!’

‘আব্বু আমি হাসপাতালে জয়েন করলেও এদিকটাও সামলাবো।আমি তোমাকে একা কিছুতেই ছাড়বো না।এইসব ভাবনা মাথা থেকে বের করে দাও’

‘তুমি বুঝতেছো না শেহজাদ সবাইকে যেমন দেখো সবাই তেমন নয়।রাজনীতি বড় ভয়ংকর জিনিস শেহজাদ,এটা মানুষকে শেষ করে দেয়।তোমার মাকে কেঁড়ে নিলো আমার থেকে’

মুনতাসিব খানের চোখ টলমল করছে।পুরুষ মানুষের সহজে কাঁদতে নেই।সে নিজে ও কাউকে তার চোখের পানি দেখাতে চায় না।ছেলেটাও বুঝতে চাইছে না।হুমায়ন শেখের সাথেও সম্পর্কটা খারাপ হয়েছে কতো বছর হলো।শেহজাদের জেদ,গম্ভীরতা সব সম্পর্কেই অবগত মুনতাসিব।ছেলেকে আর বাঁধা দিতে পারবে না সে বুঝতে পেরেছেন।

‘শেহজাদ এর ভেতরে ঢুকো না সব কেঁড়ে নিবে’

শেহজাদ কিছু বলল না।কিছুক্ষণ আব্বুর দিকে তাকিয়ে বের হয়ে গেলো রুম থেকে।বারান্দায় এসে হাত পা ছড়িয়ে বসে পরলো।সামনের বাড়ির দিকে চোখ পড়লো।আহ কতো স্মৃতি।কিশোর বয়সটা সেখানেই কেটেছে তার।চোখের সামনে এখনো স্মৃতিগুলো জ্যান্ত হয়ে উঠে মাঝে মাঝে।

‘তোমাকে পাওয়ার জন্য কতো লড়াই প্রেয়সী! আমি কি শেষ অবদি পাবো তোমায় আদেও’

Collected..

অতঃপর তুমি আমি (Romantic Story)(পর্ব ১)“আমি আপনাকে ভালোবাসি শেহজাদ ভাই।প্লিজ এবার আমায় ফিরাবেন না।বড্ড ভালোবাসি আপনাকে।আ...
20/10/2024

অতঃপর তুমি আমি (Romantic Story)
(পর্ব ১)

“আমি আপনাকে ভালোবাসি শেহজাদ ভাই।প্লিজ এবার আমায় ফিরাবেন না।বড্ড ভালোবাসি আপনাকে।আপনি ব্যতিত অন্য পুরুষের সান্নিধ্য কল্পনাও করতে পারি না আমি”

শেহজাদ নড়েচড়ে বসলো।তার সামনে থাকা নিষ্পাপ মুখের অধিকারীনি রমনীর পানে এক পলক তাকিয়ে চোখ সরিয়ে নিলো।বেশিক্ষণ চেয়ে থাকলে হয়তো চোখ সরাতে পারবে না।তার যে সাধ্য নেই সামনে থাকা রমনীর দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকার।

“কি হলো শেহজাদ ভাই কথা বলছেন না কেনো?আমি ভালোবাসি আপনায়”

“এটা আবেগ ওয়ামিয়া এই বয়সে এমন একটু আধটু হয়ে থাকে।ইনশাআল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে ভেবো না।পড়াশোনায় মনোযোগী হও।”

ওয়ামিয়া রেগে গেলো।চোখে অশ্রুকণা টইটম্বুর হয়ে আছে।হয়তো বৃষ্টির মতো যখন তখন ঝপ করে নেমে পরবে।ওয়ামিয়া রাগলো বটে কিন্তু নিজেকে শান্ত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে গেলো।

“আপনি এমন কেনো শেহজাদ ভাই।একটু ভালোবাসলে কি হয়।আমি কি এতোটাই দেখতে খারাপ?”

শেহজাদ তাকালো ওয়ামিয়ার দিকে।ওয়ামিয়া আগুন সুন্দরী এক কথায়।যেমন ফর্সা তার তেমনি গঠন।এই মেয়েকে একবার কেউ দেখলে আর চোখ ফেরাতে পারবে না।কিন্তু শেহজাদ নিরুপায়।সামনে রমনী তাকে ভালোবাসলে ও সে নিজের কাছে বন্ধী করে রাখতে পারবে না।ওয়ামিয়া রূপেও যেমন আগুন সুন্দরী গুনেও সে অন্যন্যা।

“তুমি বুঝছো না ওয়ামিয়া।এই পরিস্থিতির মাঝে তোমায় বিয়ে করা আমার পক্ষে সম্ভব না।তোমার আব্বু কখনো মানবে না।আর না আমার।তোমার ভাইয়া জানতে পারলে সমস্যা হবে ওয়ামিয়া”

শেহজাদের থেকে আশাহত বানী পেয়ে ওয়ামিয়ার চোখ থেকে টুপটাপ পানি গড়িয়ে পরলো।ওয়ামিয়া দু’হাতে দ্রুত মুছে নিলো।শেহজাদকে সে নিজের চোখের অশ্রু দেখাতে চায় না।তাই তো তাড়াহুড়ো করে মুছে ফেললো চোখের অশ্রুকনা গুলো।শেহজাদ দেখলেও এমন ভান করলো সে যেনো কিছুই দেখেনি।

“শেহজাদ ভাই আব্বু আর ফুপার এই রেশারেশির জন্যই আপনি আমায় গ্রহন করছেন না তাই না।আমি একটু শান্তি চাই শেহজাদ ভাই।আর কত!আপনার বুকে মাথা ঠেকিয়ে শান্তিতে সারা জীবন থাকতে চাই”

ওয়ামিয়ার কন্ঠে অসহায়ত্বের চাপ।কিন্তু তবুও শেহজাদের মন গললো না।শেহজাদ নিশ্চুপ নিরুত্তর।দৃষ্টি তার অন্য দিকে।ওয়ামিয়ার নিষ্পাপ মায়াবী মুখের দিকে তাকাতে চায় না শেহজাদ।সে আর মায়ায় জড়াতে চায় না।মায়া বড্ড খারাপ জিনিস।ওয়ামিয়াকে কিছু বলতে না দেখে তাড়া দিয়ে বলে,,, “তুমি চলে যাও ওয়ামিয়া এখান থেকে।কেউ দেখলে ব্যাপারটা বিশ্রি হয়ে যাবে।আমি চাইছি না তুমি আর আমার সাথে এভাবে দেখা করো।গ্রামের লোকজন উল্টাপাল্টা ভাবে বিষয়টা রটিয়ে দেবে।তোমার ভাই জানলে ব্যাপারটা আরো বিশ্রি হয়ে পরবে ”

“শেহজাদ ভাই ভালোবাসায় এতো যন্ত্রনা কেনো বলতে পারেন।আমি কেনো এই যন্ত্রনায় ভুগছি।ভালোবাসা কি তবে ভুল শেহজাদ ভাই”

আপনার প্রিয়জনের জন্য সেরা উপহার “ভালোবাসা ভুল নয় ওয়ামিয়া তবে ভুল মানুষকে ভালোবাসাটা ভুল।তুমি ভালো মেয়ে জীবনে অনেক ভালো কাউকে ডিজার্ব করো।এই সব পাগলামি ছাড়ো” ওয়ামিয়া কিছুক্ষণ শেহজাদের র্নিলিপ্ত কঠোর শক্ত মুখের দিকে চেয়ে রইলো।বেশ কিছুক্ষণ তাকিয়ে কিছু একটা ভাবলো।ভয়ংকর ভাবনা তার মাথায় এসে হানা দিলো।যা করার পর হয়তো শেহজাদ তাকে ভুল বুঝবে কিন্তু তার কিছু করার নেই।ভালোবাসার মানুষকে পাওয়ার জন্য না হয় কিছুটা সময় খারাপ হলো ভালোবাসার মানুষের চোখে।

“এরপর যা হবে খুব ভয়ংকর হবে শেহজাদ ভাই।আপনি আমাকেই বিয়ে করবেন শেহজাদ ভাই।আমার জীবনে আপনি ব্যতিত অন্য কোনো পুরুষের আগমন আমি হতে দিবো না।আপনিই প্রথম এবং আপনিই শেষ” ওয়ামিয়া নিকাব নামিয়ে দৌড়ে সেখান থেকে চলে যায়।শেহজাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।ওয়ামিয়া নামক রমনীকে যে পছন্দ করে না তা না।ওয়ামিয়া এমন একটা মেয়ে যাকে কেউ ভালো না বেসে থাকতে পারবে না।সেও এর ব্যতিক্রম নয়।কিন্তু পরিস্থিতি এখন অনেক ভিন্ন।শেহজাদ হতাশার নিঃশ্বাস ফেলে উঠে দাঁড়ায়।খালের কিনারা ঘেষে এলোমেলো পায়ে পাড়ি দেয় নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে।

****

ওয়ামিয়া এলেমেলো পায়ে বাড়িতে এসেই নিজের রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে বসে আছে।ওয়ামিয়ার মা মায়া বেগম এসে ডেকে গিয়েছেন অনেকবার।বেশ চিন্তিত সে।মেয়েটার হুট করে কি হলো কে জানে।বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফিরেই এমন করছে।ছেলেটাও নেই যে কিছু করবে।এর মাঝেই বাড়িতে প্রবেশ করেন হুমায়ন শেখ।মায়া বেগম স্বামীকে বাড়িতে ঢুকতে দেখেই তাড়াহুড়ো করে রান্না ঘরে চলে যান।শরবত বানিয়ে এনে হুমায়ন শেখের হাতে দিয়ে বলে,,,

“আসসালামু আলাইকুম।আপনি এতো তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে এলেন যে” হুমায়ন শেখ শরবত টুকু শেষ করে স্ত্রীর হাতে দিয়ে মৃদু হেসে বলে,,,

“ওয়ালাইকুম আসসালাম।আজকে কাজ শেষ বুঝলে মায়া তাই তো এতো দ্রুত আসতে পেরেছি।তা আমার আম্মা জান কোথায়?” “আর বলবেন না সেই যে বান্ধবীর বাড়ি থেকে এসে সেই রুমে ঢুকেছে এখনও বের হয়নি” “আচ্ছা তুমি নিজের কাজে যাও আমি দেখছি কি করা যায়”

মায়া বেগম নিজের কাজে চলে যান।হুমায়ন শেখ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে মেয়ের রুমের সামনে আসেন।দরজায় অনেকবার কড়াঘাত করার পরে ও ওয়ামিয়া দরজা খোলে না।হুমায়ন শেখ চিন্তায় পরে যান।মেয়েটা কিছু উল্টা পাল্টা করলো না নাতো।আগে তো এমন করেনি।হুমায়ন শেখ হাঁক ছেড়ে স্ত্রীকে ডাকেন।মায়া বেগম ও দ্রুত চলে আসে।
“কি হয়েছে আপনি এমন চিল্লাচ্ছেন কেনো মাস্টারমশাই”

“মায়া আমার মেয়েটা দরজা কেনো খুলছে না।ও তো আমার গলা শোনার সাথে সাথেই দরজা খুলে দেয়।তাহলে আজ কেনো এমন করছে”

“আপনি দয়া করে দরজাটা ভেঙে ফেলুন মাস্টারমশাই।আমার ভীষণ ভয় করছে।মাহিমকে ফোন করবো?”
“না দরকার নেই ছেলেটা একটা কাজে গিয়েছে।এখন ফোন করে বিরক্ত করার প্রয়োজন নেই।জানো তো বোনের কিছু হলে সে সব কাজ ফেলে আসতে রাজি”

মায়া বেগম মাথা নাড়ান।হুমায়ন শেখ স্ত্রীর কথায় দরজা ভাঙার চেষ্টা করতে থাকেন।অনেক সময় যাবত চেষ্টা করার পরে সে দরজা ভাঙতে সক্ষম হয়।এক প্রকার দৌড়ে রুমে ভেতরে ঢোকে মায়া বেগম।রুমের ভেতরে আসতেই হতভম্ব হয়ে দু’জনে তাকিয়ে থাকেন।
ওয়ামিয়ার হাত থেকে রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।হুমায়ন শেখ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।তার আদরের একমাত্র কন্যা যে এমন কাজ করবে কখনো ভাবতে পারিনি হুমায়ন শেখ।ঘোর কাটতেই দ্রুত মেয়ের কাছে ছুটে যায়।এলোমেলো ভাবে পরে আছে ওয়ামিয়া মেঝেতে।হুমায়ন শেখের পাগলের মতো অবস্থা।পাশেই ছোট একটা ব্লেড পরে আছে।

“শেহজাদ ভাই মাস্টারমশাইের মেয়ে ওয়ামিয়া মেহেনাজ নাকি আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছে!”
শেহজাদ স্তব্ধ।এমন খবর শুনবে সে কল্পনা ও করতে পারিনি।তাহলে কি সেই সময়ে ওয়ামিয়া ভয়ংকর কিছুর মানে এটার কথাই বলেছিলো।শেহজাদের নিজেকে অসহায় লাগছে ভীষণ।ওয়ামিয়ার সম্পর্কে এমন খবর শুনে শেহজাদের আশেপাশের সব কিছু ফাঁকা ফাঁকা লাগছে।

“শেহজাদ ভাই কোথায় হারালেন?”

ইফাজের কথায় শেহজাদের ঘোর কাটে।শেহজাদ নড়েচড়ে বসে।চেয়ারম্যানের ছেলে হওয়ায় গ্রামের অল্প বয়সী ছেলেরা বেশ সম্মান করে শেহজাদকে।হয়তো ইফাজ তাদের কাছ থেকেই শুনেছে।শেহজাদও তাদের বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে।অস্থির লাগছে ভীষণ।বারবার মন বলছে ছুটে ওয়ামিয়ার কাছে যেতে।কিন্তু পরিস্থিতি এতোটাই খারাপ যে যাওয়ার কোনো পথ নেই।

“এই খবর কি পুরো গ্রামবাসী জানে ইফাজ”

ইফাজ চমকায়।শেহেজাদকে সে খুব সম্মান করে।এমন শান্ত র্নিলিপ্ত কিভাবে আছে বুঝতে পারছে না ইফাজ।প্রেয়সীর গভীর ক্ষতও কি তাকে কাবু করতে পারিনি।এতোটাই কঠোর,পাথর মনের অধিকারী এই লোক।সে হলে তো শত বাঁধা বিপত্তি না মেনে ছুটে যেতো।হয়তো এর জন্যই সে শেহজাদ ইমতিয়াজ খান আর সে ইফাজ আবরার।

“না ভাই কেউই জানে না আমাকে তো অর্নব বলেছে।সবাই জানে অসুস্থ হয়ে পরেছে মাস্টার মশাইের মেয়ে তাই শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাকে”

“ওহ” কথাটা বলেই সে ছাদে থাকা চেয়ারে বসে গা এলিয়ে দিলো।ইফাজ হতাশ হলো।ইফাজ শেহজাদকে দেখে চলেছে।এতোটা কঠিন মানুষও হয়।

ওয়ামিয়া শেহজাদকে যে কতটা ভালোবাসে তার প্রমান ইফাজ আগেও পেয়েছে।এগুলো কেউ না জানলেও সে জানে।খুব ভালো করেই জানে সে।ইফাজ শেহজাদের ফুফাতো ভাই।এই গ্রামেই থাকে।ইফাজ নিঃশব্দে স্থান ছাড়ে।ইফাজ যেতেই শেহজাদের চোখ থেকে টুপ করে কয়েক ফোঁটা পানি পরে।দ্রুত মুছে নেয় শেহজাদ।চাঁদ তারা ভর্তি আকাশের দিকে তাকিয়ে বিড়বিড় করে বলে,,

❝তুমি আমার সেই শূন্যতা প্রেয়সী,

যা পুরো পৃথিবী দিলেও পূরন হবে না❞

লেখিকা: ইশা আহমেদ

Collected....

13/07/2024

কর্মজীবী সকাল🙏

Process development discussion with key people in garments factory
31/05/2023

Process development discussion with key people in garments factory

My two Dreams 🥰🥰
14/05/2023

My two Dreams 🥰🥰

Performed product risk assessment meeting with supplier..
13/03/2023

Performed product risk assessment meeting with supplier..

To have meaningful work is a tremendous happiness.
04/03/2023

To have meaningful work is a tremendous happiness.

25/02/2023

দুষ্টুমির চলে রেকর্ড বন্দী 🤪

কেউ শুনে হোঁচট খায়েন না😃

21/02/2023

Automated Seam Sharing Machine....

The past is always sweeter⏰⏰
19/02/2023

The past is always sweeter⏰⏰

19/02/2023

"Alone we can do so little; together we can do so much." – Helen Keller

Address

Chittagong
4386

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Health & Beauty Care posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Health & Beauty Care:

Share