
15/10/2025
রিপন ভিডিওর রিপন মিয়া সাংবাদিকদের কাছে তার বিবাহিত জীবন সম্পর্কে সত্য বলল কি বলল না এতে কিছুই যায় আসে না।
রিপন মিয়ার কোনো দায় নাই পত্রিকাগুলির কাছে যে জেরার মুখে তার পারিবারিক জীবনের ফিরিস্তি সাংবাদিককে দিতে হবে।
ধরেন যেই সাংবাদিক জিজ্ঞেস করতেছে তার স্ত্রীর কথা রিপন মিয়া যদি সেই সাংবাদিককে তার স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করে সেইটা কেমন লাগবে?
২.
রিপন মিয়া ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে মধ্যবিত্ত গরিব লোকদেরকে ছাড়াইয়া বড়লোক হইছিলেন। মধ্যবিত্তরা তাকে আবারো ছোটলোক বা গরিব বানাইতে পাইরা বেজায় খুশি হইছে, হা হা।
বাপ-মায়ের ভরণপোষণের আলাপ তোলার আগে দেখতে হবে যে বাপ-মায়ের সহায় সম্পত্তি কী কী আছে? তারা কি নিজেদের আয়েই দুপুরে ভাত, সকালে নাস্তা ও রাতে প্রয়োজনীয় খাবার খাইতে পারতেছে কিনা।
যদি যথেষ্টই খাবার তাদের থাকে, তাইলে তাদের গরিব বেশভূষা ও পুত্র সম্পর্কে অভিযোগের তালিকা দেইখাই লাফাইয়া উঠতে হবে না যে রিপন মিয়া তাদেরকে ভরণপোষণ দেয় না!
তাদের মধ্যে যদি কলহ বর্তমান থাকে তবে সেইটারে পাশ কাটাইয়া কীভাবে ভরণপোষণ দিবে?
৩.
আমার ধারণা রিপন মিয়া আরো জনপ্রিয় হবেন সামনে। তিনি তার বাপ-মাকে নতুন জামাকাপড় পরাইয়া নতুন একটা ভিডিও আপলোড করবেন দ্রুতই। করবেনই।
বাপ-মাও বলবে যে সবই ভুলবোঝাবুঝি এবং তাদের ছেলে যে আসলে ভিতরে ভিতরে কত ভাল! এবং বাংলার গরীব মধ্যবিত্তরা আনন্দের সায়রে ভাসতে থাকবে তখন।
৪.
সবচেয়ে দুঃখের ব্যাপার হইল রিপন মিয়া একটা সিঙ্গেল ভার্চুয়াল লাইফ লিড করতে চাইছিল, সাংবাদিকের গুষ্টি সেইটার গোয়া মাইরা দিছে!
পোড়া বাংলাদেশে লিবিডোর কোনো ফাঁকফোকরই রাখতে দেয় না এরা!
রিপন মিয়া বিবাহের ব্যাপারে মিথ্যা বলছেন কিন্তু স্ত্রীকে অস্বীকার করেন নাই।
অস্বীকার হবে তখনই যখন তার স্ত্রীকে তিনি বলবেন যে তিনি তার স্বামী নন।
স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও সাংবাদিকের কাছে নাই বলাটা অস্বীকার নয়, জাস্ট মিথ্যা; এইটা এইখানকার কম বুদ্ধির পাঠক ও পাঠিকারা কবে বুঝবেন!
৫.
সাংবাদিকরা যে গিয়া খবর সংগ্রহ করছেন, তাতে আমি দোষ দেখি না। সেলিব্রিটিদের কাছে তারা যাইতে পারেন। তাতে প্রাইভেসির লংঘন ঘটছে কি? আমার মতে না। রিপন মিয়ার মায়ের সঙ্গেই সাংবাদিক তাদের ঘরে ঢুকছেন। এইটা কেন সমস্যার?
১৪/১০/২০২৫
©ব্রাত্য রাইসু ভাই এর টাইমলাইন থেকে কপি করা।