07/04/2023
কিয়ামতের দিনক্ষণ নিয়ে কাফের-মুশরিকদের খুব আগ্রহ আর তাড়াহুড়ো ছিল। রাসূলুল্লাহ (স.) কে তারা বারবার প্রশ্ন করতো, কবে আসবে সেই ক্ষণ ? কবে হবে কিয়ামত?
আর এই যুগে মুসলিমরা এসব নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। বিশেষ করে কিছু স্বনামধন্য আলেমগণ এটা নিয়ে খুব বিশ্লেষণ করছেন। তাঁরা না পারেন ঘন্টা-মিনিট সহ বলে দিতে। অথচ উম্মাহ হাজারটা জটিল সমস্যায় জর্জরিত। গভীর এক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছে প্রতিটি ক্ষণ। সেসব নিয়ে আরও অনেক কাজ করার আছে। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৯০% ছাত্র কুরআন পড়তে জানে না। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূলকে (স.) তাঁদের সত্তা ও গুণাবলীতে তাঁদের সাথে পরিচিত নয়, এমন তরুণদের সংখ্যাও নেহায়েত কম না। প্রগতিবাদের নামে যাচ্ছেতাই সাহিত্য পড়ে ঈমানকে সন্দহযুক্ত করে রেখেছে যুবসমাজের একটা বড় অংশ। অথচ এসব নিয়ে কোনো কর্মসূচি নেই। নেই প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা।
অথচ আমরা পড়ে আছি, কিয়ামত কবে হবে, কিভাবে হবে, ফেইসবুকে লাইভ দেখা যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। হ্যাঁ, কিয়ামত তো অবশ্যি হবে। তার পূর্বে দাজ্জালের ফিৎনার ব্যাপারটিও রয়েছে বটে। এই ব্যাপারে স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (স) তাঁর উম্মতকে সতর্ক করেছেন। আমাদের উচিত সেই সীমার মধ্যেই অবস্থান করা। আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (স.) এই ব্যাপারে যতটুকু সতর্ক করেছেন, যতটুকু প্রস্তুতি নিতে বলেছেন, আমরা তার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকি। যেহেতু এটা গায়েবের বিষয়, আগ বাড়িয়ে গবেষণা করার সুযোগ কোথায় আর প্রয়োজনটাই বা কি ?
আসুন উম্মাহর প্রকৃত সমস্যা সমাধানের দিকে দৃষ্টি দিই। উম্মাহর সদস্যদের ঈমান রক্ষা ও মজবুতির জন্য কাজ করি। আমাদের যুবসমাজকে অধঃপতন থেকে রক্ষা করি। অযথা বিষয় নিয়ে পড়ে থেকে সময় নষ্ট না করি। এখনও অনেক কাজ বাকি। মঞ্জিল অনেক দূরে। পথিকদের রসদ কম, আরোহীরা দূর্বল। এখানে ফোকাস করা প্রয়োজন।
আল্লাহ আমাদের সকল ধরনের ফিৎনা থেকে হেফাজত করুন। নিজেদেরকে উম্মাহর সম্পদ হিসেবে তৈরি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
-মাছুম বিল্লাহ বিন নূর
০৭-০৪-২০২৩ খ্রি.