05/05/2025
আন্দোলনরত ছাত্রসেনা, যুবসেনা ও অন্যান্য সুন্নী ভাইদের প্রতি পরামর্শমূলক কিছু দিক নির্দেশনা :
১/ যেদিন আন্দোলনে বের হবেন সেদিন বের হওয়ার আগে কষ্ট করে দুই রাকাত হাজতের নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে হাত উঠিয়ে সার্বিক মঙ্গলের জন্য দোয়া করে নিবেন।
২/ সম্ভব হলে দুই দুই রাকাত করে চার রাকাত চাশ্তের নামাজ পড়ে নিবেন, এই নামাজ বান্দাকে সারা দিনের জন্য নিরাপদে রাখে।
৩/ ছাত্রসেনা যুবসেনা ও অন্যান্য সুন্নী ভাইয়েরা আপনারা আন্দোলনে বের হওয়ার সময় পাঞ্জাবি পরিহার করুন। শুধু পায়জামা আর শার্ট বা টিশার্ট পরুন এবং পায়ে স্নিকার বা কেডস জুতা পরিধান করে ময়দানে নামুন। এতে করে গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হবেন না এবং খুব সহজেই মুভমেন্ট করতে পারবেন। স্যান্ডেল পরে দৌড়াদৌড়ি করা যায় না। পায়ে কেডস জুতা থাকলে খুব সহজেই দৌড়াতে পারবেন। আর আত্মরক্ষার জন্য হাতে রড জাতীয় কিছু রাখুন, কারণ পুলিশের সাথে নাপাক জামাত শিবিরের নাপাক লাঠিয়াল বাহিনীও আছে।
৪/ মনে রাখবেন , আন্দোলনের ময়দান এখন আমাদের সুন্নীদের জন্য একটা রণক্ষেত্র। কাজেই রণাঙ্গনে নারায়ে তাকবীর, নারায়ে রিসালাত এর পাশাপাশি নারায়ে হায়দারি এবং নারায়ে গাউসিয়া স্লোগান দুটিও বেশি বেশি দিবেন। মনে রাখবেন, "নারায়ে হায়দারি " স্লোগান টা যুদ্ধক্ষেত্রে মুমিনের ঈমানী শক্তি বৃদ্ধি করে, ঈমানী জযবা বৃদ্ধি করে এবং মনোবল চাঙ্গা করে। এই স্লোগান টা শুনলেই মুমিনের রক্ত নেচে উঠে , হৃদয়ে প্রতিশোধের আগুন জ্বলে ওঠে, ফলে মুমিনের সমস্ত ভয় কেটে যায়। তাই আন্দোলনে নারায়ে হায়দারি স্লোগান টা বেশি বেশি দিবেন।
৫/ আন্দোলনের জন্য বের হওয়ার আগে একটু কষ্ট করে যার যার পীরের শাজরা পাক টা আদবের সাথে একবার পাঠ করে নিবেন, এতে করে পীরের ফায়েজ ও নিগাহ্ কারামে আবদ্ধ থাকবেন।
৬/ আন্দোলনের সময় "ইয়া মুযিল্লু ইয়া মুই'যযূ " আল্লাহ্ পাকের এই গুণবাচক নাম দুটি মনে মনে বেশি বেশি পাঠ করতে থাকবেন।
৭/ "আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ আ'লুকা ফি নুহূ-রিহিম ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরূ-রিহিম"। প্রতি নামাজে এই দোয়াটি করবেন। এটি শত্রুর বিরুদ্ধে খুব শক্তিশালী একটি দোয়া।
৮/ পুলিশের কাছে কট খেলে জেলখানায় ফজরের নামাজের পর আগে পিছে এগারো বার দরুদ শরীফ সহ এক হাজার বার 'ইয়া আঝিঝু ' পাঠ করে আল্লাহর কাছে হাত তুলে কারামুক্তির জন্য এবং মামলা নিষ্পত্তির জন্য দোয়া করবেন, ইনশা আল্লাহ্ খুব দ্রুত মুক্ত হয়ে যাবেন।
৯/ ইয়ারমুকের যুদ্ধে মুসলমানদের গায়েবী সাহায্যের জন্য হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাদি:) যেই স্লোগানটি দিয়েছিলেন , পুলিশ ও খারিজীদের সাথে ধাওয়া - পাল্টা ধাওয়ার সময় আপনারাও সেই স্লোগানটি বেশি বেশি দিবেন। স্লোগানটি হলো - "ইয়া মুহাম্মদ(সা:), ইয়া মানসূর, উম্মাতাক উম্মাতাক" । এই পোস্টের সাথে সংযুক্ত ভিডিওটি দেখে নিন তাহলে আরো ক্লিয়ার হবেন । জয় আমাদেরই হবে ইনশা আল্লাহ্ ✊✊✊
আল্লাহ্ পাক রাব্বুল আলামীন এবং রাসুলুল্লাহ (সা:) আহলে বাইত এ আতহার আ'লাইহিমুস্সালাম এঁর উসিলায় সুন্নী জনগণের সহায় হোন।
🤲🤲🤲আল্লাহুম্মা ইন্না নাজ আ'লুকা ফি নুহূ-রিহিম ওয়া নাউযুবিকা মিন শুরূ-রিহিম।😭😭😭
আমীন আল্লাহুম্মা আমীন সুম্মা আমীন ইয়া রাব্বুল আ'লামীন ।
"আল্লাহুম্মা স্বল্লি আলা স্যায়্যিদিনা মুহাম্মাদিন সাইফুল্লাহিল ক্বাত্বিয়ী ওয়া আ-লিহী ওয়া আস্বহা-বিহী ওয়া বারিক ওয়া সাল্লাম।"
বি: দ্রঃ সুন্নী গ্রুপ গুলোতে এই পোস্ট বেশি বেশি শেয়ার করুন, চাইলে কপি পোস্ট করতে পারেন , কোনো সমস্যা নাই।