23/11/2023
কয়েকদিন আগে জোরে কাশতে গিয়ে হঠাৎ কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভূত হয়। খানিক আগেও আমি ছিলাম একেবারে ঠনঠনে শরীরের লোক, কিন্তু মুহূর্তের এই ঘটনা আমার জীবনকে এতো আচমকা ধাক্কা দেয় যে—কোমর সোজা করে দাঁড়াতেও আমি হিমশিম খাচ্ছি। বাইরের কাজকর্ম সেরে, কতো সুন্দরভাবে ইশার সালাত আদায় করে ঘরে ফিরেছি, কিন্তু এই ঘটনার পরে আমি পিট বাঁকা করে কোনোভাবে রুকুতে যেতে পারছি না, সিজদাহতে যাওয়া তো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ালো—কোমরজুড়ে এমন অকল্পনীয় ব্যথা!
সুস্থতা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার কতো বড় নিয়ামত তা আমি সে রাত্রে ভীষণভাবে উপলব্ধি করেছি। আমার বারবার মনে হচ্ছিলো—ইয়া আল্লাহ, আমি কি আর স্বাভাবিকভাবে সালাত আদায় করতে পারবো না? রুকুতে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ তাসবীহ পাঠ করা, সিজদাহতে গিয়ে লম্বা সময় ধরে আল্লাহর সাথে কথা বলা—এই নিয়ামতগুলো থেকে আমি কি বঞ্চিত হয়ে গেলাম?
চারপাশে আজকাল ডায়াবেটিসের রোগি গিজগিজ করে। তাদের ওপর কতো ডাক্তারি পরোয়ানা—এটা খাওয়া যাবে না, ওটা খাওয়া যাবে না। আমার এক আত্মীয় মিষ্টি খেতে ভীষণ ভালোবাসতেন। কিন্তু ডায়াবেটিসের কারণে বেচারা আর মিষ্টি মুখে নিতে পারেন না।
এমন হাজারো মানুষ আমাদের চারপাশে আছেন যারা বিভিন্ন রোগের কারণে স্বাভাবিক অনেককিছু খেতে পারে না, স্বাভাবিক অনেক কাজ করতে পারে না। তবে—তারা যদি তাদের সুস্থতার সময়গুলোর যত্ন নিতো, খাওয়ার ব্যাপারে, কাজের ব্যাপারে সচেতন হতো, হয়তো আজকের রোগ-শোকের এই কষ্ট তাদের ভোগ করতে হতো না। ডাক্তারি নিষেধাজ্ঞার খড়গও ঝুলতো না মাথার ওপরে।
নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই উপদেশটাই আমাদের দিয়েছেন—‘অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে প্রাধান্য দেওয়া।’
সুস্থ থাকাবস্থায় যদি আমরা নিজের প্রতি, নিজের শরীরের প্রতি যত্নবান হতে পারি, তাহলে অসুস্থতার অনেক ঝঞ্চাট থেকে জীবনে মুক্ত থাকা যায়।
প্রাত্যহিক জীবনে আমরা অনেক কাজ জমিয়ে রাখি আগামীকাল করবো বলে। কিন্তু—সেই আগামীকাল যখন সমাগত হবে, কাজটা করার জন্যে যে আমি সুস্থ থাকবো সেই নিশ্চয়তা দুনিয়ার কে দিবে আপনাকে? আগামীকাল যে আপনি রোড অ্যাকসিডেন্ট করবেন না, আগামীকাল যে আপনার হঠাৎ কোনো দূর্ঘটনা হবে না, কোনো রোগ ধরা পড়বে না সে ব্যাপারে কীভাবে নিশ্চিত হতে পারেন?
নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে অসুস্থতার আগে সুস্থতাকে প্রাধান্য দিতে বলেছেন তার একটা কারণ এটাও যে—সুস্থ অবস্থার সময়গুলোকে আমরা যেন অবহেলায় পার না করি। যে কাজগুলোক