Our Voice

Our Voice আমরা সত্যের পথে চলি, সর্বদা সত্যের পক্ষে থাকার চেষ্টা করি, আর অন্যদের নিকট সত্যের কথা পৌঁছে দিন ❤️

 #শিক্ষনীয়পোষ্ট ১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে।একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো। মালকিন:- ...
15/06/2023

#শিক্ষনীয়পোষ্ট
১০ বছরের বাচ্চাটি বাড়ি বাড়ি খবরের কাগজ বিক্রি করে।
একদিন একটা বাড়ির সামনে গিয়ে কলিং বেল বাজালো।

মালকিন:- বাইরে এসে,,, কি ব্যাপার?

বালক:- বলছিলাম আন্টি,আপনার বাগানটি কি পরিস্কার করে দেবো?

মালকিন:- না না কোন দরকার নেই, আর আজ সকালে তুই খবরের কাগজ দিয়ে যাসনি কেন?

বালক:- 🙏হাত জোর করে করুন স্বরে প্লিজ আন্টি করিয়ে নিন না,,খুব ভালো করে বাগানটা সাফ করে দেবো,, আর আজকে কাগজ ছাপা হয়নি, কাল স্বাধীনতা দিবসের ছুটি ছিল।

মালকিন :- একটু নরম সুরে,, আচ্ছা ঠিক আছে,কতো টাকা নিবি?

বালক:-টাকা লাগবে না আন্টি, শুধু খাবার দিলেই হবে।

মালকিন:- ওহ, ঠিক আছে যা, খুব ভালো করে পরিস্কার করবি কিন্তু ।(মনে হচ্ছে বেচারা আজ কিছু খাইনি,আগে ওকে কিছু খাওয়ানো দরকার...মালকিন চিন্তা করল)

মালকিন:-এই ছেলে..এদিকে আই,আগে তুই খেয়ে নে,তারপর কাজ করিস।

বালক:-না আন্টি আগে কাজ করে নিই তারপর খাবো।

মালকিন :-আচ্ছা বেশ,,এই বলে নিজের রুমে ঢুকলেন।

বালক: ২ ঘন্টা পর "আন্টি, ও আন্টি, দেখুন
না ঠিকঠাক সাফাই হয়েছে কিনা?

মালকিন :- আরে বাঃ!তুই তো বাগানের আশপাশগুলোও ভালো করে সাফ করে দিয়েছিস।এখানে এসে বস,আমি তোর জন্য খাবার নিয়ে আসছি।

মালকিন খাবার দিতেই বালকটি পকেট থেকে একটা পলিথিন বের করে তার মধ্যে খাবারগুলো ঢোকাতে শুরু করল।

মালকিন :- পেটে প্রচুর খিদে নিয়ে কাজ করলি, খাবারটা তো এখানেই খা,, লাগলে আরও দেবো।

বালক:- না আন্টি, বাড়িতে মা আছে, খুব অসুস্থ,
সরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ফ্রিতে ওষুধ পাওয়া গেছে কিন্তু ডাক্তারবাবু খালি পেট ওষুধ খেতে বারন করেছেন।

একথা শুনে মালকিনের চোখ ভিজে গেল।নিজের হাতে মাসুম বাচ্চাটিকে মায়ের মতো করে খাইয়ে দিলেন।তারপর বাচ্চাটির হাতে মায়ের জন্য খাবার তুলে দিয়ে নিজেও সঙ্গে গেলেন এবং বাচ্চাটির মায়ের সাথে দেখা করলেন।

মালকিন :-বোন তুমি সবার চেয়ে ধনী আর ভাগ্যবান.... যে সংস্কার, যে শিক্ষা,যে দৌলত তুমি তোমার সন্তানকে দিয়েছো,, সেই সংস্কার আমি সেই দৌলত আমি আমার সন্তানদের দিতে পারিনি।
অসুস্থ_মা_ছেলের পানে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল....ছেলে মায়ের গলা জড়িয়ে ধরল.....

(ছবি এবং লেখা সংগৃহীত)

12/06/2023

এই সমাজে দাড়িওয়ালা ব্যাংকারকে সালাম দেয়া লোকের অভাব হয় না, সম্মান দেয়া হয়, বিশেষ অতিথি হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় দাওয়াত করা হয়।

অপরদিকে ছোটখাটো হালাল ব্যবসায়িকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা হয়, সে নিজ থেকে সালাম দিলে জবাবটাও দিতে কষ্ট হয়।

সমাজব্যবস্থা যখন এমন তখন একজন মুসলিম একাগ্রচিত্তে ক্যারিয়ারের পেছনে, সম্মানের পেছনে ছুটতে গেলে দ্বীন ছেড়ে দিতে হবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।

যেখানে মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত ছিলো হালাল যেকোনো পেশাকে হারাম পেশার উপরে স্থান দেয়া সেখানে দ্বীনি কমিউনিটিতেও আমরা ভাইদেরকে “আতর বেচো, মধু বেচো” বলে কথায় কথায় খাটো করি, এগুলোকে ছোট কাজ হিসেবে দেখি, সেক্যুলারদের মতো আমাদের সফলতার মানদণ্ড টাকা দিয়ে সেট করি।

গ্রহণযোগ্য অবস্থানের আশায় হারামের সাথে আপস করি, সার্টিফিকেটের জন্য ঈমানকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলি। দুনিয়াকে ধোঁকার সামগ্রী বলা হলেও আমরা দুনিয়ার পেছনে ছুটে চলি, সাথে মানুষকে আহ্বান করি।

দ্বীন কখনো পুরোপুরিভাবে সম্পদশালী মানুষদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এই জামানায় যার সম্পদ যত বেশি তার ভয় তত বেশি, যার পরিবার যত নিরাপদ তার পিছুটান তত বেশি। দ্বীনের জন্য প্রয়োজন এমন মানুষ যারা দুনিয়ার কথা ভেবে পিছু হটবে না, যাদের ঈমান তাদেরকে সামনে ঠেলে নিয়ে যাবে।


ক্যারিয়ারে সফল, মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার চেয়ে জরুরি হলো নিজেকে একজন মুমিন ব্যক্তি হিসেবে গড়ে তোলা। জামাআহ বড় করার চেয়ে জরুরি হলো তাকওয়াবান হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলা কেননা আল্লাহ্ তা’আলা বলেন,
“তোমরা মুমিন হও; তবেই তোমরা বিজয়ী হবে।”
-(সুরা আল-ইমরান : আয়াত ১৩৯)।

সংখ্যাধিক্যের কারণে আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্ট হয়ে আসমানে বিজয়ের ফয়সালা করেছেন এমন কোনো নজির কোথাও নেই।

Today's the best Photo 🌿🥰💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚.... beautiful       
03/06/2023

Today's the best Photo 🌿🥰
💚💚💚💚💚💚💚💚💚💚.... beautiful











বৃটেনের মাটির তলায় গোপন মাদ্রাসা===============================লন্ডনে মাটির নিচের গোপন মাদ্রাসার কথা অনেকেরই জানা। আবার ...
01/06/2023

বৃটেনের মাটির তলায় গোপন মাদ্রাসা
===============================
লন্ডনে মাটির নিচের গোপন মাদ্রাসার কথা অনেকেরই জানা। আবার অনেকেই জানেন না, যা গভীর অরণ্যের ভেতর পাহাড়ের নিচে অবস্থিত। প্রায় আড়াই শ' বছর পূর্বে ইংরেজ পেগানরা এটি প্রতিষ্ঠা করে।

এটি একটি উন্নত মানের ইসলামি মাদ্রাসা। যেখানে কুরআন, হাদিস, ইসলামের ইতিহাস, আরবি সাহিত্য, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব, বক্তৃতা, বিতর্ক ইত্যাদি বিষয় গুলো অত্যন্ত যত্ন সহকারে শিক্ষা দেয়া হয়।

ইসলামি এমন কোনো বিষয় নেই, যা এখানে শিক্ষা দেয়া হয় না। মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিষয়ে সুদক্ষ পারদর্শী এবং স্কলার হিসেবে গড়ে তোলা হয়। তবে মজার বিষয় হলো, ওখানকার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা কেউই মুসলিম নয়। সবাই পেগান।

তবে দেখতে বুযুর্গ আলেমদের মত তাদের চেহারা। সুন্নতি লেবাস, মাথায় পাগড়ি, হাতে তাসবীহ এবং
ললাটে ঝলমল করে সেজদার চিহ্ন।তারা পড়ালেখা শেষ করে ওখান থেকে বড় আল্লামা ও আকর্ষণীয় সাবলীল ভাষার আধিকারী হয়ে বের হয়।

প্রশ্ন হচ্ছে পেগানরা এই ইসলামি মাদ্রাসা কেন পরিচালনা করে ?ট্রিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, কেন এর পেছনে কোটি কোটি ডলার ব্যয় করে ? একথা জিজ্ঞেস করেছিলেন
ইংরেজদের পরীক্ষিত পরম বন্ধু আলীগড়ের নবাব ছাতারী সাহেব।

নওয়াব ছাতারী আলিগড়ের জমিদার ছিলেন। তিনি মুসলিম লীগ ও কংগ্রেসের বিরোধী এবং ভারতে ব্রিটিশ প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠায় ইংরেজদের সার্বিক সহযোগী ছিলেন।

আনুগত্যের স্বীকৃতিস্বরূপ ইংরেজ সরকার কর্তৃক নওয়াব ছাতারী উত্তর প্রদেশের গভর্নর নিযুক্ত হন। (মতবাদের মিল থাকার কারণে) যে সব ইংরেজ কালেক্টর পোস্টিং নিয়ে আলীগড়ে আসতেন নবাবের সাথে তাদের মধুর ও গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠতো।

একবার ব্রিটিশ সরকার ভারতের সকল গভর্নরকে বৃটেনে ডাকেন। নওয়াব ছাতারীও তখন বৃটেনে যান। ঐ সময় বৃটেনে অবস্থানকারী পুরাতন বন্ধু এবং অনেক অবসরপ্রাপ্ত কালেক্টর ও কমিশনার গভর্নর ছাতারীর সাথে সাক্ষাত করেন।

কালেক্টরদের মধ্যে একজন ছিলেন নবাব সাহেবের ব্যক্তিগতভাবে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনার অনেক কাছের ব্যক্তি।
তিনি নবাবকে লন্ডনের যাদুঘর ও হাজার বছরের পুরাতন অত্যাশ্চর্য দর্শনীয় বস্তু যা নওয়াব কখনো দেখেননি , তা দেখাতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করেন।

নবাব সাহেব বলেন ‘ঐগুলো আমি আগে দেখেছি, তাই আপনি আমাকে এমন কিছু দেখান যা কোন ভিনদেশী আগে দেখেনি’। কালেক্টর সাহেব বললেন ‘ এমন কি হতে পারে যা কোন ভিনদেশী আগে দেখেনি? ঠিক আছে আমি ভেবে-চিন্তে জানাবো’।

তার দু’দিন পরেই কালেক্টর সাহেব এসে নবাবকে বললেন ‘ আমি ইতোমধ্যে খোঁজ-খবর নিয়েছি। আপনাকে এমন জিনিস দেখাবো যা কোন ভিনদেশী কখনো দেখেনি’।
কয়েক দিন পর কালেক্টর সাহেব সরকারের লিখিত অনুমতি সমেত নবাব সাহেবের অতিথিশালায় পৌঁছে গেলেন। অত্যাশ্চর্য বস্তু দেখার কর্মসুচী তৈরি করলেন।

কালেক্টর সাহেব বললেন ‘আমার ব্যক্তিগত গাড়িতে যেতে হবে। এই ভ্রমণে সরকারী গাড়ি ব্যবহার করা যাবে না’।পর দিন তারা দু’জন অত্যাশ্চর্য বস্তু দেখতে বের হয়ে গেলেন। লন্ডনের সীমানা পেরিয়ে ছোট্ট একটি সড়ক ধরে গাড়ি যতই এগোতে থাকলো ততো গভীর অরণ্য। কোন যাত্রী বা পথিক চোখে পড়ে না। এভাবে দীর্ঘক্ষণ চলার পর গাড়িটি একটি বিশাল গেটের সামনে গিয়ে থামলো।

উভয় পাশে সশস্ত্র সৈন্যের সতর্ক প্রহরা দেখা গেল। কালেক্টর গাড়ি থেকে নেমে পাসপোর্ট ও সরকারি অনুমতিপত্র গেটে জমা দিয়ে ভিতরে যাওয়ার অনুমতি লাভ করলেন।
কর্মকর্তারা বলে দিলেন নিজেদের গাড়ি বাইরে রেখে ভেতরে তাদের গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। সুড়ঙ্গের ন্যায় দু’দেয়ালের মধ্যদিয়ে গাড়ি চলতে লাগলো। সুনিবিড় জঙ্গল আর বৃক্ষলতা ভিন্ন আর কিছুই দেখা যায় না। এভাবে কিছুক্ষণ চলার পর সামনে একটি প্রাসাদ দেখা গেল।

কালেক্টর সাহেব নবাবকে বললেন, ‘প্রাসাদে প্রবেশের পর থেকে ফিরে না আসা পর্যন্ত আপনি আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না। একেবারে চুপচাপ থাকবেন। আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে অতিথিশালায় ফিরে উত্তর দেব’। নবাব রাজি হলেন।প্রাসাদের কিছু দূরে গাড়ি রেখে তারা পায়ে হেঁটে চললেন এবং দেখতে থাকলেন বিপুল সংখ্যক কক্ষ সম্পন্ন প্রাসাদটি গগনচুম্বী ও অতিকায়।

ভেতরে প্রবেশ করে তারা একটি কক্ষের সামনে দাড়ালেন। যেখানে আরবী পোশাক পরিহিত অসংখ্য ছাত্র মাটিতে বিছানো দস্তানায় বসে সবক নিচ্ছে। যেমন আমাদের দেশের মাদ্রাসা ছাত্ররা নেয়। ছাত্ররা আরবী ও ইংরেজী ভাষায় উস্তাদের নিকট প্রশ্ন করছে। আর উস্তাদ সুন্দর ও সাবলীল ভঙ্গিতে ঐ প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।

কালেক্টর সাহেব এভাবে নবাব সাহেবকে প্রতিটি কক্ষ এবং সেখানে যে সকল বিষয়ে শিক্ষা ও বাস্তব ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে তা ঘুরে ঘুরে দেখাচ্ছেন।

নবাব সাহেব অবাক বিস্ময়ে প্রত্যক্ষ করেন -

কোন কক্ষে কিরায়াত শিখানো হচ্ছে, কোথাও কুরআনুল কারীমের অর্থ ও তাফসীর শিখানো হচ্ছে, কোথাও বুখারী ও মুসলিম শরীফের সবক চলছে, কোথাও মাসয়ালা নিয়ে বিশদ আলোচনা চলছে, কোথাও হচ্ছে ইসলামী পরিভাষার উপর বিশেষ অনুশীলন।

একটি কক্ষে দেখা গেলো ধর্মীয়তত্ব নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে রীতিমত আনুষ্ঠানিক বিতর্ক চলছে।

নবাব সাহেব এসব দেখে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে গেলেন এবং একজন ছাত্রের সংগে কথা বলতে চাইলেন। কিন্তু কালেক্টর সাহেব তাকে ইশারা করে চুপ থাকতে বললেন।

অতিথিশালায় ফিরে নবাব সাহেব বললেন, এতবড় দ্বীনি মাদ্রাসা যেখানে দ্বীনের প্রতিটি বিষয় উন্নত পদ্ধতিতে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে এবং ইসলামের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিষয় নিয়ে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা হচ্ছে, দেখে ভালো লেগেছে।

কিন্তু এসব মুসলিম ছাত্রকে এই দূরবর্তী জায়গায় বন্দী করে কেন রাখা হয়েছে?

কালেক্টর সাহেব উত্তর দিলেন, ‘এসব ছাত্রদের একজনও মুসলিম নয়।
নবাব সাহেব আরও আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘এর কারণ কি?’

কালেক্টর সাহেব উত্তর দিলেন, ‘সুড়ঙ্গ পথে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান থেকে লিখাপড়া শেষ করে ছাত্রদের মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয়। (গোয়েন্দা আলিমদের বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানোর কারণ হলো- মধ্যপ্রাচ্য হলো ইসলামের উৎস। তাই মধ্যপ্রাচ্য থেকে কোন বিশেষজ্ঞ ইসলামের কোন কথা বললে তা সারা মুসলিম বিশ্বে সহজে গ্রহণযোগ্য হয়ে যায়)।

সেখানে তারা নানান ছলে বলে কৌশলে মসজিদের ইমাম, মুয়াজ্জিন, ছোট বাচ্চাদের কুরআনের গৃহ শিক্ষক, মাদ্রাসার মুহাদ্দীস বা মুফতি হিসেবে ঢুকে পড়ে।

যেহেতু তারা আরবী সাহিত্য ও ইসলামী বিষয়ে পারদর্শী তাই তাদের নিয়োগ পেতে অসুবিধা হয় না।

অনেক সময় ধোঁকা দেয়ার জন্য তারা বলে, আমরা ইংরেজ এবং ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত আলিম। আমাদের অনেকে আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করা। নিজ দেশে দ্বীনি পরিবেশ, বড় মাদ্রাসা এবং পর্যাপ্ত মসজিদ না থাকায় আমরা এখানে এসেছি। শুধু দু’মুঠো ভাত ও মাথা গোঁজার একটি ঠাঁই পেলেই চলবে। আমরা আল্লাহর দ্বীনের জন্য সবকিছু কোরবান করতে প্রস্তুত।’

এভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঢুকে গিয়ে তারা ষড়যন্ত্র শুরু করে দেয়। বিভিন্ন পদ্ধতিতে (বিশেষ করে ইসলামের জ্ঞানের মধ্যে ভুল ঢুকিয়ে) বিভেদ এবং অনৈক্য সৃষ্টির জন্য তারা অত্যন্ত তৎপর থাকে।

একবার বিভেদের বীজ বপন করতে পারলে, ইন্ধন যুগিয়ে তারা মুসলমানদের বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত করে রক্তপাতও ঘটায়। সামান্য একটি ইসলামী বিষয়কে কেন্দ্র করে সৃষ্টি করে দেয় দাঙ্গা হাঙ্গামার।

[সূত্রঃ প্রতিবেদনটি ভারতের উর্দু পাক্ষিক সাময়িকী ‘তামির-ই-হায়াত’ এ প্রকাশিত প্রতিবেদনের অনুবাদ। প্রতিবেদনটির বিষয়বস্তু হলো - ভারতের নওয়াব ছাতারীর দেখা এক স্থাপনা এবং তার কার্যক্রম। প্রতিবেদনটি মূল বক্তব্য গুছিয়ে দৈনিক ইনকিলাবে ০২.০৪.৯৮ ইং তারিখে ‘বৃটেনের মাটির তলায় গোপন মাদ্রাসা’ শিরোনামে প্রকাশ হয়।]

আজ থেকে শত শত বছর আগে তারা তাদের কার্যক্রম মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসা স্থাপন করে বিভেদ সৃষ্টির মিশন শুরু করলেও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে মাটির উপরেই অনুরুপ মাদ্রাসা স্থাপন করে কার্যক্রম চালানোর সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেয়া যায় না।

কাজেই দ্বীন চর্চায় যার কাছ থেকে ইলম অর্জন করবেন সর্বোচ্চ সাবধানতা ছাড়া কেবল ক্বুরআ'ন ও হাদিসের আলোচনা বলেই গ্রহন করা উচিত হবে না।

★ সর্বশেষ ২টি প্যারা আমার ব্যাক্তিগত মতামত

01/06/2023

যোহরের নামাজের পরে একজন পরিচিত সাংবাদিকের সাথে দেখা হলো। তিনি কিছুক্ষণ আগে একটা ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করে এসেছেন।

ঘটনাটা শহর থেকে একটু দূরে, একটা হাইস্কুলের। সেখানে অষ্টম শ্রেণীর একটা মেয়েকে স্কুলের মধ্যেই ধ [র্ষ] ণ করে পিতার সমতুল্য (কথিত) একজন শিক্ষক। মেয়েকে খুব সম্ভবত অজ্ঞান অবস্থায় পরবর্তীতে উদ্ধার করা হয়।

এগুলো আজকাল খুব স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে তাই না? কেমন একটা অভ্যস্ত হয়ে গেছি আমরা। যাই হোক, স্কুলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না দেখে আশেপাশের ছাত্ররা এসে স্কুল ভাঙচুর করে।
‌প্রধান শিক্ষক বয়স্ক, মুরব্বি। তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন?

তিনি বলেন যারা ভাঙচুর করছে তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শিক্ষককে বহিস্কার করবো। খুবই স্বাভাবিকভাবে কথাগুলো বলছিলো। অথচ তার স্কুলের ক্যাম্পাসেই এমন একটা জঘন্য ঘটনা ঘটলো সে বহিষ্কার করতেই কত গড়িমসি করছে!

সেই সাংবাদিক বললেন, আমি সব প্রমাণ রেখে দিলাম কারণ প্রধান শিক্ষক দায়িত্বহীনের মতো আচরণ করেছে। প্রধান শিক্ষক সেই অভিযুক্তকে বহিষ্কার করতো না, করতে হচ্ছে কারণ যেই মেয়ে ভুক্তভোগী সে সাধারণ ঘরের মেয়ে না, তার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব আছে। যদি না থাকতো তাহলে শিক্ষক পার পেয়ে যেত।
‌‌
অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, আপনার কলিজার টুকরা সন্তানকে কার কাছে রেখে আসছেন? আপনার মেয়ের সাথে এমন হলে আপনি কি তা প্রতিহত করার ক্ষমতা রাখেন?
ক্ষমতা না থাকলে বিচারও নেই! করণীয় কী?
যারা বলবে শিক্ষক পিতৃতুল্য সেসব মানুষরূপী প [শু]দের চিহ্নিত করে রাখবেন।

এরাই আপনার সন্তানের ক্ষতি করার জন্য ওঁত পেতে আছে। সবার আগে আপনার মেয়ের নিরাপত্তার বিষয়কে প্রাধান্য দিন। মেয়েকে মাহরাম-গায়রে মাহরামের কনসেপ্ট সম্পর্কে ধারণা দিন, অনিরাপদ জায়গা থেকে দূরে রাখুন। আপনার মেয়ে অনিরাপদবোধ করলে সেই জায়গায় পড়াশোনা, সার্টিফিকেটের দোহাই দিয়ে রাখবেন না। অন্যত্র পড়ালেখার ব্যবস্থা করুন, প্রয়োজনে একবছর গ্যাপ যাক। তবুও আপনার মেয়েটার ইজ্জত বাঁচুক।

©️Mayraj Hossain ভাইয়া

31/05/2023

একটা জিনিস চিন্তা করেন। মেয়েটা যে ঘটনার বর্ণনা দিলো সেই ঘটনা ঘটার সময় সাকিব বিন রশিদ হয়তো ঘুমাচ্ছিলো।
এই ঘটনা সম্পর্কে হয়তো সে এখনো অবগত না। কিন্তু এই কথিত জাস্টফ্রেন্ডদের সাথে রাত কাটানোর কালচার প্রসার করার পেছনে তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে।

বাংলার জমিনে যতদিন এই কীট থাকবে, ততদিন যখনই এসব ঘটনা ঘটবে সবাই ঘৃণাভরে তাকে স্মরণ করবে, তাকে নিয়ে হাসি-ঠাট্টা করবে, তাকে বদদুআ দিবে।

“যারা পছন্দ করে যে, বিশ্বাসীদের মধ্যে অশ্লীলতার বিস্তৃতি ঘটুক তাদের জন্য আছে ভয়াবহ শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাতে। আল্লাহ জানেন আর তোমরা জান না।”
-(সূরা নূর, আয়াত: ১৯)

সুবহানাল্লাহ, আয়াতটার কোনো তাৎপর্য কি দেখতে পাচ্ছেন? অশ্লীলতার প্রসারকারীরা সাবধান হয়ে যাও! বিজাতীয় সংস্কৃতির অনুকরণে মেয়েদেরকে যারা ফ্রি-মিক্সিংয়ের দিকে ঠেলে দাও তারাও প্রস্তুত থাকো লাঞ্ছিত হওয়ার জন্য। অ|যাব থেকে বাঁচার জন্য তওবা করে ফিরে আসো।

এই যে, মেয়েটা যে হিন্দুর সাথে যিনা করাকে নেকীর কাজ মনে করলো, এ ধরণের চিন্তা কিন্তু এ মেয়ে বা চারিত্রিকভাবে প্রব্লেম্যাটি...
31/05/2023

এই যে, মেয়েটা যে হিন্দুর সাথে যিনা করাকে নেকীর কাজ মনে করলো, এ ধরণের চিন্তা কিন্তু এ মেয়ে বা চারিত্রিকভাবে প্রব্লেম্যাটিক মেয়েদের জন্য ইউনিক না। দীর্ঘদিন থেকে আমাদের সমাজে ইসলামে নিজের মত ব্যাখ্যা করার যে চর্চা তার একটা উদাহরণ এটা।

"এতো কম বয়সে দাঁড়ি কেন রাখতে হবে?"
"পর্দা নিয়ে এতো বাড়াবাড়ির কী আছে? এখন নবীদের যুগ আছে নাকি?"
"মামী তো মায়ের মত!"
"এতো কম বয়সে এসব! সব কিছুর একটা বয়স আছে না? জONগি হয়ে যাস নাই তো!"

বাংলাদেশে ঘরে ঘরে একটা অনুমোদিত ইসলামের ধারণা আছে। ইসলামের কী কী মানা যাবে, কোনটাকে ইসলাম বলা হবে, কী করলে ভালো মুসলমান হওয়া যাবে তা আল্লাহ-রাসূল ঠিক করবেন না, করবে সমাজ। যদি একটু এদিক ওদিক হয়, তাহলেই শুনবেন, "আমাদের থেকে বেশি ইসলাম বেশি বুঝে গেছিস?"

অর্থাৎ, তারা আল্লাহ ও তার রাসূলদের থেকে বেশি ইসলাম বুঝে গেছেন। যেমন, এ মেয়ে অন্য একটা ছেলে হিন্দুকে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়া, তার সাথে যৌন সম্পর্ক করে হলেও দ্বীনে এনে বিয়ে করাকে নেকীর কাজ মনে করছে। কেন? সে কি কোরআন-সুন্নাহয় জানতে গেছে এটা নেকীর কাজ কিনা? না! বরং তার "মনে হয়েছে" এমনটা। এটাই সমাজের শিক্ষা।

ইসলামকে এভাবে বুঝবেন, তারপর আপনার ছেলেমেয়েরা আপনার মূলনীতি অনুসরণ করেই হিন্দু ছেলের সাথে শারিরীক সম্পর্ক করাকে নেকী হিসেবে দেখবে। 'মন ভাঙা আর মসজিদ ভাঙা এক কথা' বলে পোস্ট লিখবে। বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে 'Blessing from Allah', 'Inshaallah one day' লিখবে। ছাত্রলীগ করে, আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে সুদের বিরুদ্ধে পোস্ট করবে।

হাশরে আল্লাহকে আপনার ইসলাম বুঝিয়ে দেবেন। আল্লাহর দেওয়া দ্বীন বাদে আপনার বানানো দ্বীন দিয়ে সেদিন বিচার হয় কিনা ভেবে দেখবেন।

C
#সহমতভাই #সিরিয়াসভাই

ইসমাঈল। ইন্টার পড়ুয়া ছেলেটা একমাস হলো  কারাগারে আছে। ভিআইপি প্রোটোকল কালচারে একজন নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে ফেইসবুকে আক্ষেপ...
31/05/2023

ইসমাঈল। ইন্টার পড়ুয়া ছেলেটা একমাস হলো কারাগারে আছে। ভিআইপি প্রোটোকল কালচারে একজন নবজাতকের মৃত্যুর বিষয়ে ফেইসবুকে আক্ষেপ জানানোই তার দোষ। তার নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করেছে পুলিশ।

গত ২৬ এপ্রিল নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি গোপালগঞ্জে যান। প্রায় তিন-চার ঘন্টা রাস্তায় অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। এদিকে এক নবজাতক গুরুতর অসুস্থ। তাকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য একটু সুযোগ চাইছিলেন অটোতে থাকা মা। একটু সুযোগ পেলেই তিনি হাসপাতালে পৌঁছতে পারবেন। কিন্তু মায়ের কোলেই নবজাতকের প্রাণ চলে গেলো রাস্তায়, পুলিশের বাঁধায় রাস্তায় আটকে থেকেই। ইতিমধ্যে এলাকাবাসী ক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঠিক তখন ছোট্ট একটা ভিডিও ধারন করে ইসমাঈল। সদ্য মৃত নবজাতকের মাকে প্রশ্ন করে "আপনার বাচ্চা মারা গেছে না? রাষ্টপতি আসছে জন্য মারা গেছে না? ছাড়ে নাই আপনাকে?"। শোকবিহ্বল মা সম্মতিসূচক মাথা নাড়ছেন।

সেই ভিডিও আর ভিআইপি প্রোটোকলের আইন পরিবর্তনে উপর মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফেইসবুকে পোস্ট করে সে। এরপরই তার জীবনে নামে অন্ধকার। একজন নবজাতকের জীবন নিয়ে যার এতো উৎকণ্ঠা, দেশের সাধারণ মানুষের পক্ষে যার অবস্থান, এখন সেই ছেলেটার জীবন কাটছে কারাগারে । ২৬ এপ্রিল নবজাতকের মৃত্যু, ২৭ তারিখে সকাল এগারোটায় গোপালগঞ্জ সদর থানার পুলিশ ইসমাইলকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। গভীর রাতে তার ফেইসবুক থেকে 'সরি' পোস্ট করায়। ২৮ তারিখ তাকে সিআরপিসির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায়। ৩ মে গ্রেফতারের সাত দিন পর ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টে তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ।

এরপর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট, জজ কোর্টে শুনানি হলেও তার জামিন মেলেনি। এ্যাডভোকেটের সাথে আলাপ করতে গিয়ে জানলাম জজ সাহেব ভরা কোর্টে বলেছেন, "যেখানে রাষ্ট্রপতি আমাদের এলাকায় এসেছেন, সেখানে অতিথি কে বরণ না করে এমন উত্তেজনাকর পরিস্থতি সৃষ্টি করা,এই বয়সেই যদি এমন অবস্থা হয় না জানি বড় হলে আরো কত বড় কিছু ঘটিয়ে ফেলে,আর কদিন ভেতরে থাকুক"। বুঝি না বরণ করা মানে কি একজন নবজাতকের জীবন চলে যাওয়া নিয়ে শোকও প্রকাশ করা যাবে না? ভিআইপি প্রোটোকলে জনসাধারণের যে ভোগান্তি হয় সেই বিষয়ে সমাধান চাওয়া যাবে না?

ওর আম্মু এই মূহুর্ত সবচেয়ে কষ্টে আছেন। ছেলের আসলেই জামিন হবে কিনা সেই ভয়ে তিনি অস্থির। সুদের উপর ঋণ নিয়ে তিনি পুলিশকে ২০ হাজার টাকাও দিয়েছেন। প্রথমে কথা দিলেও পরে পুলিশ তাঁকে বলেছে,, "এই দেখেন ভিপি নূরের সাথে ছবি, ও বিএনপি করে।" যেন ভিপি নূরের সাথে ছবি থাকাটাই দেশীয় আইনে অপরাধ, যে অপরাধে জেল খাটছে এবার ইন্টার পরীক্ষায় বসতে যাওয়া ইসমাইল।

এখন প্রশ্ন হলোঃ

১. ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের এমন বিধ্বংসী অপব্যবহার থেকে আমরা কবে মুক্ত হবো?
২. ভিআইপি প্রোটোকল কালচারে জনভোগান্তির বিষয়ে আলাপ উঠবে কবে?
৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতার এই বেহাল দশার অবসান হবে কবে?
৪. রাজনৈতিকভাবে সরকার বিরোধীদের নানা ছুতোয় আটকের ক্ষেত্রে পুলিশের দাপট কমবে কবে?
৫. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কি অধরাই রবে?

ভাবমূর্তি রক্ষার জন্য নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়া বা ইসমাঈলদের জেলে পুরে কষ্ট দেয়া: এইসব অন্যায়-অবিচার কবে শেষ হবে? উপর মহলের জন্য সাধারণের ভোগান্তি থামবে কবে?

বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, শেষটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
31/05/2023

বিশ্বাস করেন রাসেল ভাই, শেষটা দেখার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।

31/05/2023

দেওলিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় চিনির কেজি ৮০ টাকা আর আওলিয়ার বাংলাদেশে চিনির কেজি ১৫০ টাকা!!
শাবাস দরবেশের দেশ।

30/05/2023

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে এক ছাত্রী সন্তান প্রসব করেছে। হয়তো এই মেয়েটা জীবনে প্রথমবার মা হয়েছে। মাতৃত্ব নিঃসন্দেহে একটা মেয়ের সর্বোচ্চ অর্জন।

অথচ মেয়েটা নাকি ভর্তি পরীক্ষা দিতে না পেরে কান্না করেছে। এই মেয়ে আদৌ মা হওয়ার যোগ্য কি না সেটা আল্লাহ্ ভালো জানেন কিন্তু আমার মনে হয় এই মেয়ে মেয়ের পর্যায়েই পড়ে না। গর্ভে সন্তান রেখে, প্রসবের সময় নিকটবর্তী জেনেও ঝুঁকি নিয়ে পরীক্ষা দিতে গেল।

বাচ্চার ক্ষতি হতে পারতো, তার নিজের ক্ষতি হতে পারতো এগুলো কিছুর পরোয়া করলো না। হ্যাঁ, কোনো কারণে ডেসপারেট হতেই পারে তবে সুস্থভাবে সন্তান জন্ম দিয়েও যে পরীক্ষায় না বসতে পেরে কান্নাকাটি করে সে কেমন মা সেটা আশা করি বলার অপেক্ষা রাখে না আর!

এই সন্তান আগামীতে যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন মায়ের স্নেহ থেকে বঞ্চিত হবে। মেয়েটা ক্যারিয়ার নিয়ে এত সিরিয়াস থাকলে সন্তানকে লালনপালন করা দূরে থাক, সন্তানের হক আদায় করতে পারবে কি না সন্দেহ আছে।
বাঙালি আবেগে আবেগাপ্লুত হয়ে মেয়েটাকে বাহবা দিচ্ছে।

অথচ নবজাতকের কথা চিন্তা করে হলেও এমন স্টুপিডিটিকে প্রশ্রয় দিত না। মেয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত জানি না তবে মেয়ের স্বামী বোধ হয় বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে হয়তো এসব খবর দেখতে হতো না।

এই ঘটনা থেকে প্রমাণ হয় যে, ক্যারিয়ার এবং মাতৃত্ব দুটো পাশাপাশি চলতে পারে না।

29/05/2023

২বছরের বেশি বন্ধুত্ব আছে এমন একটা বন্ধু দেখান!🌸

29/05/2023

বাবার কাছে সব মেয়েই রাজকন্যা
বিদায়বেলা সব বাবার জন্যই ভীষণ কষ্টের

ভিডিওটি সবাইকে দেখার অনুরোধ 🥺🥺

゚viral

বনশ্রী যাবেন ? বনশ্রী তো চিনিনা , চিনায়া নিয়েন , নতুন জায়গা না গেলে আর চিনমু ক্যামনে !খাটি কথা । টিএসসির মোর থেকে যখন রি...
27/05/2023

বনশ্রী যাবেন ?
বনশ্রী তো চিনিনা , চিনায়া নিয়েন , নতুন জায়গা না গেলে আর চিনমু ক্যামনে !
খাটি কথা ।

টিএসসির মোর থেকে যখন রিকশা ঠিক করি তখন অন্ধকার হয়ে গেছে ঢাকা শহর , বাড়ি ফেরার তাড়া , তাই অচিন রিকশাওয়ালাই সই । প্রত্যেক মোরে ডান বাম বলতে বলতে চলার পথের অবিন্যস্ত আলসেমি , অহেতুক সব চিন্তা ভাবনার বিলাসিতা কেটে যাব , যাক ! রাতের ঢাকা এখন আর খুব নিরাপদ না , চারদেয়ালে ফেরা দরকার । ঘরে ফেরা দরকার ।

শাহজান পুর এসে ভদ্রলোক ঢাকা ইউনিভার্সিটিতে পড়ি কিনা জিজ্ঞেস করলেন ।
বললাম পড়িনা । ডাক্তারি করি ।
দেশেই থাকবেন , না বিদেশ চইলা যাবেন , বিনীত জিজ্ঞাসা তার ।
বললাম দেশেই থাকবো , অর্ধেক জিবন শেষ , নতুন করে আর কৈ যাবো !

দেশের অবস্থা তো ভালো না , মানুষ জন ভালো না , শিক্ষা নাই , সচেতনতা নাই , থাইকা কি করবেন ... তার গলায় আক্ষেপ এইবার !

আমি এইবার বিষ্মিত হলাম , রিকশাওয়ালার গলায় এই ধরনের সূক্ষ রুচিশীল হাহাকার তো থাকার কথা না , সামথিং ইজ নট রাইট ! সত্যিকার অর্থেই নড়েচড়ে বসলাম । আলো অন্ধকারে কেবল ঘামে ভেজা পিঠটুকু দেখা যাচ্ছে তার । ওঠার সময় চেহারা খেয়ালই করি নি ! সস্তা শার্টে লেপ্টে থাকা পিঠ থেকে কোন এবনর্মাল কিছু উদ্ধার করা গেলো না !

এই দেশের মেইন সমস্যা কি ভাই জানেন ?
আমি জিজ্ঞেস করলাম কি ? ( সমস্যা তো অনেক । ঘুষ, দুই নম্বরি , বিচার না হওয়া, প্রভাবশালী দের যা ইচ্ছা তাই করা , ধর্ম ইউজ করে হাবিজাবি কাজ করা , একে তাকে রাজাকার, একে তাকে নাস্তিক বানানো , বাজে রাজনীতি , তার মতে কোনটা কে জানে ! )

ভদ্রলোকের উত্তর শুনে ভিমরি খেলাম ।
মেইন সমস্যা হচ্ছে কেউ বই পড়ে না ।

তাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনি পড়েন ?
অত না , টুকটাক । আমি আবার কবিতার বই একটু বেশি পড়ি ।
বলেন কি ! বিষ্ময়ে রিকশা থেকে পড়ে যাওয়ার যোগাড় হয় আমার !

কার কবিতার বই পড়েন ?
ভদ্রলোক প্রবল মমতায় জানায় তার পছন্দের কবি শক্তি চট্টপধ্যায় আর ফরাসী কবি আর্তুর র‍্যাবো !

খিলগার গলিতে আকাশ ফুড়ে হঠাত একটা পাহাড় সম উঁচু জ্বিন এসে যদি পথ রোধ করে দাড়াতো তবু এত চমকাতাম না !
আর্তুর র‍্যাবো , শক্তি !
কি বিষ্ময় ! কি বিষ্ময় !

#
ভদ্রলোকের নাম শ্রিপান্থ শফিক । ( শ্রিপান্থ টুক বানানো , আপনার অনুমান ঠিক আছে , বরিশাল এর একেবারে ভীতর থেকে উঠা আসা একটা মানুষ কে ঐটুক মেলোড্রামা করতে দেয়াই যায় ) । ছাত্র খারাপ ছিলেন না । ম্যাট্রিক পরীক্ষার পর কবিতার ভুতে ধরলো । আরজ আলী মাতুব্বর, সক্রেটস , স্টিফেন হকিং , শক্তি, র‍্যাবো , গিয়ম এপোলোনিয়ার, হুমায়ুন আজাদ, পড়ে টরে তার মনে হল জীবন এক আশ্চর্য গিফট ।
স্কুল কলেজে পড়ে সেইটা নষ্ট করার কোন মানে হয় না !
আর পড়েন নি ।

কবিতা লেখেন নিয়মিত । দুইটা বই ও বেরিয়েছে !

যে জীবন তিনি যাপন করেন , তার মতে এটা প্রথা বিরোধী জীবন ।
একটা সেন্স অফ ফ্রিডম তো আছে ! খারাপ কি !

#
বাসার কাছাকাছি এসে ভদ্রলোকের সাথে কফি খেলাম এক কাপ ।
কফি খেতে খেতে মনে হল ,
আহা জীবন ! কেউ কি ভীষণ দুঃসাহস নিয়ে জন্মায় !
আর কেউ কি করুণ ভাবে মাথা নত করে মেনে নেয় জাগতিক সমস্ত হিসাব !

#
ভদ্রলোকের প্রতি এক বুক ভর্তি হিংসা নিয়ে বাড়ি ফিরলাম !
© Imran Kais

মাদ্রাসার ঐ "জাতীয় মাছ পাঙ্গাশ" উত্তর দেওয়া কিউট পিচ্চির ভিডিওটা খুব মজার, সন্দেহ নাই।বাট আমার খুব ইচ্ছা করতেসিলো, ঐ ভ...
27/05/2023

মাদ্রাসার ঐ "জাতীয় মাছ পাঙ্গাশ" উত্তর দেওয়া কিউট পিচ্চির ভিডিওটা খুব মজার, সন্দেহ নাই।

বাট আমার খুব ইচ্ছা করতেসিলো, ঐ ভিডিওটা আমি ইউনিভার্সিটি আর কলেজের কিছু টিচারকে পাঠাইয়া বলি, দেখেন, একটা মাদ্রাসার শিক্ষকের কাছে শেখেন, শিক্ষকতা জিনিসটা কেমন, শিক্ষক কেমনে হতে হয়।

এখানে মজার চেয়েও বড় একটা বিষয় আছে, যেটা মিস করে যাওয়া উচিত না।

পিচ্চিটা তিনটা প্রশ্নেরই ভুল উত্তর দিয়েছে। জাতীয় ফলের নাম বলেছে আঙ্গুর ফল। জাতীয় মাছের নাম বলেছে পাঙ্গাস। আর জাতীয় ফুলের নাম বলেছে গাঙ্গের ফুল।

মজার ব্যাপার হলো, ছেলেটার উল্টাপাল্টা উত্তর শুনে ঐ টিচারটা একবারের জন্যও বকে নাই। একবারের জন্যও তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নাই। একবারের জন্যও বাচ্চাটারে অন্য সবার সামনে ছোট করে নাই। জাস্ট ঠিক উত্তরটা বলে দিয়েছে, দিয়ে আবার প্রশ্ন করেছে।

ভুল উত্তর শুনে একবারের জন্যও শিক্ষকটা বলে নাই, তুই তো কিছুই পারিস নাই। তোরে দিয়ে কিচ্ছু হবে না। ফলে, ঐ পিচ্চিটা এতো এতো ভুল করার পরেও অর হাসি এতোটুকু কমে নাই। কনফিডেন্স এতোটুকু কমে নাই। সে পারুক বা না পারুক, হাসতে হাসতে কথা বলতে পেরেছে শিক্ষকের সাথে।

যে জিনিসটা আমরা, ইউনিভার্সিটির ছেলেমেয়েরা পারি না।

হাসতে হাসতে ভাইবা দেওয়া এইখানে লিটারালি একটা ক্রাইম, ভুল উত্তর তো দূরের কথা, এমনকি ঠিক উত্তর দিলেও অনেক সময় আমাদের শিক্ষকরা উত্তর নেন না, আরো উল্টাপাল্টা প্রশ্ন করে সবার সামনে স্টুডেন্টদের লো ফিল করানোর চেষ্টা বাংলাদেশের কম বেশি সব ইউনিভার্সিটিতেই আছে, বিশ্বাস না হয়, জিগাইয়া দেইখেন।

ইউনিভার্সিটিতে আপনার সবকিছুর অধিকার আছে, খালি ভুল করার অধিকারটা নাই। এইখানে পান থেকে চুন খসলে আপনাকে বকাবকি করা হবে, আপনাকে অপমান করা হবে, এমনকি আপনাকে দেখে নেওয়ার হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হবে।

এবার বুঝতেসেন, ইউনিভার্সিটির পোলাপাইনের কনফিডেন্স কেন এতো লো থাকে? কেন একটু কিছু হলেই এরা ঝুলে পড়ে? এইটা একদিনে হয় না। বরং দিনে দিনে আয়োজন করে, সবাই মিলে এখানে পোলাপাইনের কনফিডেন্স ধ্বংস করে দেওয়া হয়, মাথায় ঢুকাইয়া দেওয়া হয়, তুমি আসলে কিচ্ছু পারো না।

ভিডিওর ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক যে শুরুতে বললেন, কেমন আছেন? সকালে খাইছেননি?
এই যে ভিডিও, এইটা দেখে আপনাদের মজা লাগসে, আর আমার লাগসে কষ্ট। এই বাচ্চা ছেলেটা যে ভুল উত্তর দিয়েও হাসতে পারতেসে, ঐ হাসিটা আমি বা আমরা এমনকি ঠিক উত্তর দিয়েও কোনদিন হাসতে পারি না, জানেন? বিরাট বিরাট ডিগ্রি, বিরাট বিরাট গবেষক, বিরাট বিরাট টিচার, অথচ এরা আপনাকে কোনদিন জিগাইতে জানে না, আপনি সকালে খেয়ে ভাইবা দিতে আসছেন কি না?

আমি ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানাই, ভালোবাসা জানাই, অভিবাদন জানাই। স্বপ্ন দেখি, একদিন বাংলাদেশের প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা ভুল উত্তর দিয়েও শিক্ষকদের সামনে এমন করে হাসার কম্ফোর্ট আর সাহসটুকু পাবে।

আর স্টুডেন্টদেরকে ভয় আর ইনসাল্ট না কইরাও যে শেখানো যায়, পড়ানো যায়, পিচ্চি একটা বাচ্চাকেও যে আপনি করে ডাকা যায়, প্রশ্ন করার আগে সে সকালে খাইছে কি না, ভালো আছে কি না, এই প্রশ্নগুলো যে করা যায়, এই ব্যাপারগুলো একজন সাধারন মাদ্রাসা শিক্ষক জানেন, অথচ আমাদের বিদেশি ডিগ্রিধারী হাই প্রোফাইল শিক্ষকরা জানেন না, এই দুঃখটা আমরা কোথায় রাখি?

-সাদিকুর রহমান খান

26/05/2023

মুসলিম মেয়েদেরকে টার্গেট করে, সতিত্ব হরণ করে, গর্ভে সন্তান দিয়ে ফেলে চলে যাচ্ছে। আপনি সতর্ক হন, আপনার মা বোনদেরকে সতর্ক করেন, আশেপাশের সকলকে সতর্ক করেন। ইন্টারফেইথ রিলেশনশিপ দেখলে প্রতিহত করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।

হে বোন, আপনার ইজ্জতের দাম কতটা, আপনি কি সেটা অনুধাবন করতে পারেন না?

25/05/2023

ইনি যদি বাংলাদেশের প্রগতিশীল মুসলমান হতেন তাহলে বলতেন, “মা, ডাক্তার হয়ে মুসলিমদের প্রচুর খেদমতের সুযোগ পাবা। বোরকা না পরতে দিলে আপাতত থাকুক, ভার্সিটি থেকে বের হয়ে বোরকা পরবা, যেখানে যা মানায়।”

তিনি আলহামদুলিল্লাহ প্রগতিশীল মুসলিম না। যার মধ্যে দ্বীনের বুঝ আছে সে কখনো ফরজের উপর কথিত ফরজে কেফায়ার দোহাই দিবে না। নিজের সন্তানকে আমৃত্যু ঘরে রেখে দিবেন, তবুও বেপর্দা করবেন না। আমাদের মধ্যে এরকম গাইরত আছে তো?

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন! প্রকাশ্যে এতদূর চলে এসেছে এসব?! আমরা যখন বলি বাংলাদেশে মুসলিম নারীদেরকে ঘিরে ষড়যন্...
22/05/2023

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন!
প্রকাশ্যে এতদূর চলে এসেছে এসব?!
আমরা যখন বলি বাংলাদেশে মুসলিম নারীদেরকে ঘিরে ষড়যন্ত্র চলছে, Bhagwa love trap এর মতো ঘৃণ্য জিনিস বাংলাদেশেও চলে এসেছে তখন অনেকেই ভাবেন এগুলো আদৌ সম্ভব?

সুজিত দেব রায় নামক এক হিন্দু লেখক “হিজাব রাঙা কন্যা নামক এক বিকৃত বই বের করেছে যেখানে মুসলিম মেয়েদেরকে ঘিরে তার বিভিন্ন নোংরা ফ্যান্টাসি ফুটে উঠেছে।
মুসলিম নারীদের পর্দার বিধানের সাথে সরাসরি জড়িত বোরকা এবং হিজাবকে যুক্ত করে অশ্লীল “ফ্যান্টাসি” তুলে ধরেছে যার মাধ্যমে হিন্দু পাঠকরা এসব ফ্যান্টাসিতে মত্ত হবে, মুসলিম মেয়েদের ইজ্জত তখন তাদের কাছে খেলনায় পরিণত হবে।

রকমারি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আপনারা অনতিবিলম্বে এই বই ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে দিন। এই বই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক! অন্যথায় প্রকাশনীর বিরুদ্ধে, লেখকের বিরুদ্ধে মুসলিমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে।
আমাদের মেয়েদের ইজ্জত এত ফেলনা না!

আল্লাহর ওয়াস্তে বিষয়টা নিয়ে সবাই কথা বলুন, রকমারি কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টা পৌঁছে দিন। এই বই বন্ধের জন্য পদক্ষেপ নিন।


Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Our Voice posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share