Gias Bhai

Gias Bhai Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Gias Bhai, Video Creator, Chittagong.
(70)

📖 গল্পকার | গল্পের জাদুকর 🎙️
গল্প লিখি, গল্প শোনাই, গল্পে বাঁচি।
📚 রহস্য | রোমান্স | জীবনঘনিষ্ঠ গল্প
🎧 স্টোরি শোনার আমন্ত্রণ!
👇 নতুন গল্পের জন্য ফলো করুন।
My Official Shop https://www.facebook.com/profile.php?id=100092560022472

শারিটা খুলে লাল টুক টুকে ব্লা /উ /জ আর শা / য়াটা পরে শুয়ে আছি  খদ্দেরে জন্যে!--ঠিক একটু পরে সুন্দর  একটি ছেলে আমার রুমে ...
04/08/2025

শারিটা খুলে লাল টুক টুকে ব্লা /উ /জ আর শা / য়াটা পরে শুয়ে আছি খদ্দেরে জন্যে!

--ঠিক একটু পরে সুন্দর একটি ছেলে আমার রুমে আসে। জিঙ্গেস করলাম তোর বয়স কতো।

--আমার বয়স যতোই হোক সেটা বলাটা প্রোয়োজন মনে করি না।

--ওহ কিন্তু আমি যে আমার বয়সে ছোট ছেলেদের সাথে শারী-রিক সম্পর্কে যাইনা।

--কেনো টাকা কম হয়েছে নাকি!

--না টাকা কম হয়নি। কিন্তু তুই তো এখনো ছোট্ট কতো আর বয়স হবে এই ২১ বছর? আমার বয়স জানিস কতো ২৫ বছর!

--সমস‍্যা নেই। কাজ শেষে আরো টাকা দিবো?

--কথাটি বলেই আমার উপরে ঝাপিয়ে পরে। পাগলের মতো কিস করতে থাকে। আমার শারা শরীরে। ওর এমন পাগলামি দেখে ভালো লাগেছিলো। তাই আর বাধা দিলাম না।

--প্রায় সময়ের থেকে অধিক সময় নিয়ে আমার সাথে শারী-রিক সম্পর্ক করলো আমি বাধা দিলাম না। কাজ শেষে ২ হাজার টাকা উপহার দিয়ে বলে গেলো।

--তোরে আমার খুব ভালো লাগছে আবার আসবো রেডি থাকিস কিন্তু তুই।

--ওর কথায় শুধুমাত্র আমি একটু হাসলাম। আর কিচ্ছুটি বলিনাই।

(যাই হোক এখন একট পরিচয় দেই ছেলেটির নাম হলো কাব‍্য আর যার সাথে শারী-রিক মেলা মেশা করলো তার নাম হলো পরি? বতর্মান এই টুকুই জানুন শুধুমাত্র গল্পে সব খুলে বলবো )

--তো কাব‍্য পতিতালয় থেকে সোজা বাসায় গিয়ে ফ্রেশ হয়ে শুয়ে আছে ঠিক সেই সময় তার মা রুমে উপস্থিত হয়।

কাব‍্য : মা কিছু বলবা!

মা : হুম বলার জন্যে এসেছি। আজ তোর বিয়ে সেটাও আবার একটু পরে।

কাব‍্য : What? কি বলছো এই সব তুমি ।

মা : হুম যা বলছি তাই। এই সব হঠাৎ করেই হয়ে গেছে। মেয়ের বাবা কাল বিদেশ যাবে তাই আজকেই বিয়েটা হবে।

কাব‍্য : এটা আবার কেমন বিয়ে মা?

মা : আরে বাবা সব তোকে পরে বুজিয়ে বলবো আমি ।

কাব‍্য : এখনি বলো।

মা : আমরা চাইতেছি আজ তোদের বিয়েটা কোন রকমে হোক। সামনের মাসে ধুম ধাম করে আবার অনুষ্ঠান করে বিয়ে দিবো।

কাব‍্য : ওহ আচ্ছা । কিন্তু মে দেখতে কেমন।

মা : হুম মেয়ে মাশ আল্লাহ্ অনেক সুন্দর আছে। তুই এখন রেডি হয়ে নে।

কাব‍্য : আচ্ছা ঠিক আছে মা।

--এর পরে কাব‍্য মায়ের কথা মতো রেডি হয়ে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে রহনা হয় মেয়ের বাড়িতে।

--তো মেয়ের বাড়িতে এসে দেখে তেমন কোন লোক নেই। যার সাথে বলতে যে মেয়েটার সাথে বিয়ে হবে ও বিশাল একটি ঘোমটা মুখে দিয়ে বসে আছে। এর পরে কাব‍্যকে সেখান বসিয়ে। কাজি তারা হুরা করেই বিয়েটা সম্পুর্ণ হয়।

--বিয়ে শেষে বউকে নিয়ে কাব‍্য সব ওর বাবা মা বাড়িতে নিয়ে আসে।

--কাব‍্য ভাবতেই পারতেছে না এই ২/৩ ঘন্টার মাঝে কি থেকে কি হয়ে গেলো। সব জেনো মাথার উপর দিয়ে চলে গেলো।

--তো বাসায় আসার পরে বউকে কাব‍্যের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়।

--বেশ কিচ্ছুক্ষন পরে!

মা: কিরে কাব‍্য তুই এখনো বাহিরে কি করিশ? ভিতরে যা বউ মা অপেক্ষায় আছে।

কাব‍্য : হু যাচ্ছি মা।

--এটা বলেই কাব‍্য রুমের ভিতরে চলে আসে। কাব‍্যের মনে শুধুমাত্র একটাই প্রশ্ন আল্লাহ্ বউ যানি কেমন।

--রুমের ভিতরে আসার সাথে সাথেই কাব‍্যের বউ এসে কাব‍্যের পায়ে সালাম করে? এতে কাব‍্য ও খুশি হয়।

--এর পরে যখন কাব‍্য বউয়ের ঘোমটা টা তুলার সাথে সাথেই কাব‍্য খুব বড় একটি শর্ট খায়।

কাব‍্য : এইইইইই এইইই তুমি এখানে। তুমি তো দেহ ব‍্যবসা করো।

--এটা বলেই কাব‍্য ওর মা বাবা কে ডাকতে থাকে। বাবা মা ওর ডক শুনে তৎখানাত সেখানে চলে আসে।

মা : কি হয়েছে এমন চিৎকার করছিস কেনো?

কাব‍্য : মা এই মেয়ে তো.......????

""এর পরে কি হলো যানতে হলে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ?
গল্পের মতো কিছু সুন্দর জিনিস আপনার জন্য অপেক্ষা আছে 👉 রঙের ঝুলি
#অপরূপা
#সহিত্য_ডাইরি
#পর্ব --১
⭕ ২য় পর্ব লিংক কমেন্ট বক্সের দেওয়া আছে

 #গল্প_নারীর #পর্ব_২ (শেষ) #সাহিত্য_ডাইরি  #রাইসার_আব্বু।- বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। তাহলে রাইসা এইসব নোংরামীই দেখেছে। ...
01/08/2025

#গল্প_নারীর
#পর্ব_২ (শেষ)
#সাহিত্য_ডাইরি
#রাইসার_আব্বু।

- বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। তাহলে রাইসা এইসব নোংরামীই দেখেছে। কিছু ভাবতে পারছি না আমি চোখের পানি মুছে হোটেল থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম।

- বাসায় আসার প্রায় দু'ঘন্টা পর কথা বাসায় এসে আমাকে দেখে ক্ষানিকটা ঘাবড়ে যায়। কোথায় গিয়েছিলে? বান্ধবীর বাসায়।

- তাহলে আমাকে যে বললে কিচেনে?

- সরি, অর্পণাদের বাসায় গিয়েছিলাম। তুমি যদি রাগ কর তাই বলছি কিচেনে। আর আজ তুমি সকাল সকাল এসে পড়েছো কে জানে?

- হুম তাই তো সকাল সকাল না আসলে জানতে পারতাম না এবারশন করতে তুমি হসপিটালে যাও। অন্য ছেলেকে নিয়ে হোটেলে যাও! ছিঃ কথা তোমার লজ্জা করে না মিথ্যা বলতে আমায়?বল তোমার কিসের অভাব? কেন করলে বিশ্বাস নেয়ে খেলা।

- কথা কোন কথা বলছে না। চোখের পানি টপটপ করে পড়ছে।

- কি হলো দাঁড়িয়ে আছ কেন? আমার চোখের সামনে থেকে চলে যাও। তোমাকে দেখতে মন চাচ্ছে না।

- বললেই চলে যাবো। আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবো না। আমাকে তুমি ভুল বুঝতেছো। আমার হৃদয়ে শুধু তুমিই আছো রাজ। আর এই দেহটা তুমি ছাড়া অন্য কেউ স্পর্শ করেনি। আর যেন কেউ করার আগে আমার মৃত্যু হয়।

- তাহলে হসপিটালে এবারর্শন করতে কেন গিয়েছিলে? নিজের পাপ ঢাকতে।

- রাজ প্লিজ চুপ কর। আমি আর নিতে পারছি না।

- হুমম সত্যি কথা গায়ে লাগবেই। জানো কথা তোমাকে ভালবেসে বিয়ে করেছিলাম। আর তার প্রতিদান স্বরূপ এভাবে কষ্ট দিবে?

- তুমি বললেই হতো যে, আমার সাথে তুমি হ্যাপি নও।

- রাজ তুমি যা ভাবছো সব ভুল ভাবছো।

- হ্যাঁ আমি ভুল ভাবছি। তাহলে বল হসপিটালে কেন গিয়েছিলে? আবার হসপিটাল থেকে বের হয়ে অন্য একটা ছেলেকে নিয়ে শপিং করে হোটেলে কেন গিয়েছিলে?

- বল এসবকিছু মিথ্যা?

- না রাজ সবকিছুই সত্যি। কিন্তু তুমি যা ভাবছ তা সত্যি নয়।

- আমি হসপিটালে গিয়েছিলাম ডক্টর দেখানোর জন্য। আমার একটা রোগ আছে। সেই জন্য জরায়ু দিয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিদিন পিরিয়ড হয়। ডাক্তার সানজিদাকে দেখিয়েছি। তিনি রির্পোট দেখে বলেছেন, জরায়ুতে টিউমার হয়েছে। আর সেটা অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে। আর অপারেশন করলে, বেশিভাগ সম্ভাবনা, আমি আর কোনদিন মা হতে পারব না। পৃথিবীতে সবাই চাই বংশের বাতি হিসেবে একটা ছেলে। কিন্তু আল্লাহ এখনো আমাদের কোন ছেলে দেয়নি। জানো রাজ আমি সন্ধ্যাবেলা গোসল করতাম এ রোগের জন্যই। রাতে খুব করে মন চাইত তোমার বুকে মাথা রেখে নিজেকে সর্পে দিতে। কিন্তু যখন জরায়ু থেকে ব্ল্যাড নির্গত হতো খুব কষ্ট হতো। আর তোমাকে এ বিষয়টা জানায়নি। তুমি যদি কষ্ট পাও, তাহলে আমি যে এখনকার ব্যথা সহ্য করতে পারছি হয়ত তোমার তখনকার ব্যথা সহ্য করতে পারতাম না। কিন্তু আজ আমাকে সতী প্রমাণ করতে বলতেই হলো। ক্ষমা করে দাও না আমায়।

**নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"**

-আরেকটা কথা হসপিটাল থেকে বের হয়ে। হুট করেই রাফি ফোন দিয়ে বলে তার বিয়ে। আর আমাকে যেতে হবে। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে এতিমখানায় বড় হয়। এতিমখানা থেকে পড়ালেখা করে চান্স পায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এক রক্তদান কর্মসূচিতে পরিচয়। সেখান থেকেই ভাই-বোনের সম্পর্ক। তাই আর না করতে পারিনি । হোটেলে গিয়ে দেখি বউ সেজে যে মেয়েটা বসে আছে সেটা রিত্ত! রাফি রিত্তের সামনে নিয়ে বলে পরিচয় হয়ে নেও এটা আমার আপু । আমার একমাএ অভিভাবক। আমি বুঝতে পারছিলাম না কি হচ্ছে।রিত্ত যে তোমাকে ছাড়া কিছুই বুঝত না সে রিত্তই তোমাকে ছাড়া বিয়ে করছে না জানিয়ে। সবার সামনে রিত্তের গালে চড় বসিয়ে দেয়। রিত্ত আমার পা ঝাপটে ধরে বলে ভাবী আমায় ক্ষমা করে দাও ভাইয়াকে কিছু বলো না। তারপর রিত্ত সব খুলে বলে আমায়।

- মানে? কি বলছ এসব?

- হ্যাঁ ঠিকই বলছি, আজ আমার বলতে কোন বাঁধা নেই বলতেই হবে আমার।(কথা)

-আমার বোন এমন না। আমি এসব কিছু বিশ্বাস করি না।

- হুম আমিও করিনি। কিন্তু এটাই সত্যি। কলেজের একটা ছেলেকে ভালবাসত রিত্ত। নাম, রাফি । ছেলেটাও রিত্তকে প্রচণ্ড ভালবাসত। তাদের ভালবাসার বন্ধনটা ছিল পবিএ। কিন্তু একদিন কলেজ ফাংশনে যোগ দেওয়ায় রিত্তের মেসে ফিরতে ফিরতে সন্ধ্যা লেগে যায়। আর এই সুযোগে একদল নরপশু রিত্তের শরীরে ধর্ষিতার ছাপ বসিয়ে দেয়। জানো রাজ আমাদের সমাজে ধর্ষকের জায়গা হলেও, হয় না ধর্ষিতার জায়গা। এদিকে রিত্ত ধর্ষিতা হওয়ার কথা কাউকে জানায়নি। কিন্তু কয়েকদিন পর রিত্ত স্থির করল রাফিকে সব বলে দিবে। তাই রাফিকে নিয়ে কলেজের পাশ দিয়েই নদী বয়ে গেছে। সেখানে নিয়ে যায়। এটা রিত্ত আর রাফির প্রিয় জায়গা। রিত্ত ভণিতা করা বাদ দিয়ে বলতে লাগে ' রাফি আমাকে ভুলে যাও।'

কথাটা রিত্তকে যতটা আঘাত করে তারচেয়ে আঘাত করে রিত্তর পাশে বসে থাকা রাফির বুকে। রাফি স্তব্ধ হয়ে যায়।

- রাফি তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। আমি চাই না কোন ধর্ষিতার জন্য তোমার জীবনটা নষ্ট হোক। জানো আমি ভাইয়াকেও বলতে পারিনি। আমি চাই না আমার ভাইয়ার দিকে কেউ আঙ্গুল তুলে বলুক 'ওই যে ধর্ষিতার ' ভাই যাচ্ছে। তোমার দিকে কেউ আঙ্গল তুলে বলুক যে ধর্ষিতার স্বামী যাচ্ছে। তাই এই নষ্ট জীবন নিয়ে আর বেঁচে থাকতে চায় না

- রাফি রিত্তের গালে কষে চড় বসিয়ে দিল। কি মরতে চাও তবে আমায় সঙ্গে নিয়ে মরো। **নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: "নিঃস্বার্থ ভালোবাসা"**

একা কেন মরবে? আজ তোমার ধর্ষিতা হওয়ার পিছনে দেশের কিছু জারজ সন্তানই দায়ী। আমাদের মতো পুরুষের ব্যর্থতা নারীদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। নারীরা প্রতিটা পদে পদে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। আমি তোমার দেহটাকে নয় আমি তোমার বুকের বা'পাশে লুকিয়ে থাকা মনটাকে ভালবেসেছি। যে জায়গা শুধু আমারই। আর আমি তোমাকে এ সপ্তাহেই বিয়ে করব। পরে একটা সময় সবাইকে জানালেই হবে। হয়ত তোমার ভাইয়া রাগ করবে পরে ঠিকই মেনে নিবে। আর তোমার বিয়েতে এক আপুর সাথে পরিচয় করিয়ে দিব। দুনিয়ার আপন বলতে সে আপুটায়।

- রিত্ত আর রাফি কই? তাদের শাস্তি আছে ভাইকে রেখে বিয়ে করে নিল?

- আর তোমার সাথে কোন কথা নেই!

- কেন আমি কি করলাম?

- কি করছো জানো না?

- না,তো।

- কেন এতদিন বলোনি তুমি অসুস্থ। জানো আমার খুব কষ্ট হয়েছে। শোন আমি চাই তুমি অপারেশনটা করো। আমার বংশের প্রদীপ লাগবে না। আমার তুমিটাকে চাই যার কাছে বিশ্বাসটুকু জমা রাখা যায়। আজ যদি আমার বড়কোন সমস্যা হতো পারতে আমাকে দূরে সরিয়ে দিতে?

- ওই পাগলী কাঁদছ কেন? বুকে আস।

- কথাটা বলার আগেই বুকে কারো অস্তিত্ব অনুভব করলাম। শার্টটা কারো চোখের পানিতে ভিজে যাচ্ছে। বুঝতে পারলাম আজ বৃষ্টিপাত ভালোভাবেই হবে। এ বৃষ্টিযে ভালবাসার, ভূমিকে নতুনরূপে সাজাতে ঝরছে।

-হঠাৎ রাইসার কথা মনে পড়ল'

'আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই?

- হঠাৎ মনে হল ' রাইসা কারো কাছে যৌনহয়রানির স্বীকার হচ্ছে না'তো?

- কথাকে বিষয়টা জানাতেই বলল' চল রাইসাকে সুন্দরভাবে জিজ্ঞেস করি। যে ভাবা সেই কাজ ' রাইসাকে যেয়ে বললাম মামনি তুমি, সেদিন ওই কথা বলছ কেন?

- বাবাই কোন কথা?

- 'আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই? এই কথা।

- ও এই কথা? যাবো বাবাই আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে দাদু থাকে না। ব্যাংকে চাকরি করে। সে দাদু আমাকে উলঙ্গ হতে বলেছিল। আমাকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল। খুব মজা লাগবে না। আমাকে মোবাইলে দেখাইছে একটা মেয়ে, আরেকটা ছেলে উলঙ্গ হয়ে কি যেন করছে। আমাকে বলছে আমি যেন তোমাকে না বলি। বললে তুমি নাকি আমাকে বকা দিবে?

- আমি জানি আমার বাবাই অনেক ভালো আমাকে বকা দিবে না। তাই সেদিন তোমাকে বলেছি। ঠিক করেছিনা বাবাই?

- রাইসাকে কুলে তুলে নিয়ে দু'গালে মুখে চুমু দিয়ে বললাম' আমার মামনিটা কি ভুল করতে পারে? এইপর সব আমাকে বলবে। তার আগে আমার পাপ্পি আমাকে ফেরত দাও। রাইসা পাপ্পি দিয়ে বলল' আমার লক্ষী বাবাই।

- মামনি আর ওই দাদুর কাছে যাবে না কেমন?

-আচ্ছা বাবাই।

- রাইসা টম এন্ড জেরী দেখতে চলে গেল। আমি আর কথা দু'জন দু'জনের দিকে চেয়ে আছি। কথার চোখে পানি। কথা চোখের পানি মুছে বলল' লোকটাকে বাবার মতো মনে করেছিলাম, আর সেই কিনা, তার নাতীর বয়সি মেয়ের সাথে ছিঃ! রাজ তুমি অন্য বাসা দেখ।

- পরের সপ্তাহেই অন্য একটা বাসা ঠিক করলাম অফিসের পাশেই।

- যাওয়ার আগে মনে মনে ঠিক করে নিলাম, নাইম চাচাকে কিছু কথা বলা দরকার। চাচার বাসায় নর্ক করতেই চাচা দরজা খুলে দিল।

- আসসালামু আলাইকুম চাচা। এমন সময় দেখলাম চাচার বড় মেয়ের সাতবছর বয়সি নাতনী টা নানু -ভাই বলে দৌড়ে এসে কুলে উঠল।আচ্ছা চাচা বেয়াদবি না নিলে একটা কথা বলি, হুম বাবা বলো।

-চাচা আপনার নাতনীটা না খুব সুন্দর। একদম পরীর মতো। আচ্ছা চাচা আপনার নাতীকে কেউ যদি এ সময় পর্ণগ্রাফী দেখায়। বলে উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরলে মজা লাগবে? তখন আপনার কেমন লাগবে। জানেন পৃথিবীতে প্রতিটা মানুষই কারো না কারো আপনজন। ছোট্ট বাচ্চারা আমাদের কাছেই শিখবে তাদের যদি আমরাই হয়রানি করি কেমন হবে। বয়সে আপনার চেয়ে অনেক ছোট আমরা চলে যাচ্ছি । কখনো কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিয়েন।

এই বলে যখনি পা বাড়াবো তখনি লোকটা বলে উঠল বাবা ক্ষমা করে দাও আমায়। আমি অন্যায় করেছি ।

- মুচকি হেসে বললাম ' চাচা আপনার ভুল বুঝতে পারাটাই আপনার জন্য ক্ষমা!

- রুম থেকে বের হতেই দেখি রিত্ত আর একটা ছেলে কথার সাথে দাঁড়িয়ে আছে। কাছে যেতেই পা ছুঁয়ে সালাম করেই রিত্ত কান্না করে দিল।

আমরা চলে যাচ্ছি। যদি কখনো কোন অন্যায় করে থাকি

রিত্তকে বুকে জড়িয়ে নিলাম। বুকের বামপাশটায় রাফিকে জড়িয়ে নিলাম।

সমাপ্ত।

#বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সবার কাছে অনুরোধ, কোন নারীর দুর্বলতার সুযোগ না নিয়ে দায়িত্বের সুযোগ নিবেন। কোমলমতি শিশুরা আছে যারা যৌনতা কি বুঝে না তার আগেই যৌনহয়রানির শিকার হয়। একটা বার কি আমরা বিবেককে প্রশ্ন করি না? একটা নারী আমার 'মা '। যে দশমাস দশদিন গর্ভে ধারণ করেছে। একটা নারী আমার বোন। একটা নারী আমার স্ত্রী। একটা নারী আমার সন্তান। তারপরও কেন এত ধর্ষণ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ধন্যবাদ।

আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই? -বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইল...
30/07/2025

আচ্ছা বাবাই উলঙ্গ হয়ে জড়িয়ে ধরে মুখে পাপ্পি দিলে কী হয় ? মজা লাগে বাবাই?
-বসে বসে ল্যাপটপে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একটা ফাইলের কাজ করছিলাম। হঠাৎ রাইসার মুখে এমন কথা শুনে চমকে উঠলাম।
- রাইসা কথাটা বলে, ছবি আকাঁয় মন দিল।
-রাইসার কথাটা মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। ছোট্ট একটা মেয়ে বয়স সাত ছুঁইছুঁই। কিন্তু হঠাৎ এমন কথা কেন বললো?
- এদিকে কথাকে দেখলাম শাওয়ার নিয়ে বের হচ্ছে।
- বুঝলাম না ইদানিং কথা প্রায়ই সন্ধ্যার পর কথা গোসল করে। আমি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত অফিসে থাকি। সারাদিন কথা আর রাইসায় বাসায় থাকে। তাহলে কি কথা?না আমি এসব কি ভাবছি। মাথাটা কেমন যেন ঘুরছে।
-ভাবলাম রাইসাকে একবার জিজ্ঞেস করে দেখি কেন বলল এমন কথা। পরক্ষণে মনে হল না, রাইসাকে বলা ঠিক হবে না!

- রাত্রে শুয়ে শুয়ে ভাবছি, রাইসা হঠাৎ এমন কেন বললো। আমি আর কথা স্বামী-স্ত্রীর মাঝে হালাল কাজগুলো রাইসার আড়ালে করি। হঠাৎ কথা রাইসাকে ঘুম পাড়িয়ে দিয়ে এসে আমার পাশে শুয়ে পড়ল। আমি ঘুরে কথার কাছে চলে গেলাম। কথাকে কাছে টানছি। কথা আমাকে ছাড়িয়ে বলল' আমার শরীরটা ভাললাগছে না। আজকে না অন্যদিন। আমি কিছু না বলে ঘুরে গেলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম কথা কো আগে এমন ছিল না। আমাকে বুকে না নিলে তো কথা ঘুমাতে পারতো না। পাগলীটা বিদ্যুৎ চমকালেও ভয় পেত।

-পরের দিন অফিসে যাওয়ার পর সারাক্ষণ শুধু রাইসার কথায় মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল। অফিসের কাজে মন বসাতে পারছি না। নাজমুল সাহেব বলল' রাজ ভাইয়া শরীর খারাপ লাগছে কি আপনার? আজ অফিসে আসছেন থেকে দেখছি, আপনি মনমরা হয়ে আছেন। মনে হচ্ছে কোন বিষয় নিয়ে চিন্তিত। কোন সমস্যা থাকলে বলতে পারেন।
- নাহ্ নাজমুল সাহেব কোন সমস্যা নেই। এমনি ভাললাগছে না ।
- লাঞ্চ টাইমে লাঞ্চ করে অফিসে বসে বসে পেপার পড়ছি, হঠাৎ পেপারে একটা হেডলাইন দেখে চোখটা আকটে যায়। ২ বছরের সন্তান রেখে পুরনো প্রেমিকের সাথে অশালীন কাজ করতে গিয়ে হোটেল এ ধরা পড়লেন মহিলা। নাজমুল সাহেবকে বললাম' দেশটা একদম রসাতলে যাচ্ছে! মানুষের মাঝে ইসলামের আলো না থাকায় কত রকম অশ্লীল কাজে পা বাড়াচ্ছে। ২ বছরের একটা বাচ্চা রেখে এমন কাজ করতে বিবেকেও বাধে না?
- কি করবেন ভাই? মানুষ আল্লাহকে ভুলে গেলে কতরকমের কাজই না করতে পারে।

- পেপার টা রেখে অফিস থেকে ২ ঘন্টা আগেই বের হয়ে পড়লাম। আজ কথার বার্থডে তাই 'বার্থডে কেক, আইসক্রীম এবং নীল একটা শাড়ি সাথে কথার পছন্দের বকুলের মালা নিয়ে বাসায় আসতেই দেখলাম কথা কিচেনে, রাইসা উজ্জলের সাথে বসে ফোনে গেমস খেলছে। উজ্জল আমাকে দেখেই বলল' দুলাভাই কেমন আছেন?
- জ্বি আলহামদুলিল্লাহ! তা তোমার পড়ালেখা কেমন চলছে।
- জ্বি দুলাভাই ভালো।
- উজ্জল কথার কাজিন। প্রায়ই আমাদের বাসায় আসে। ছেলেটা ভালোই।
- যাই হোক সন্ধ্যায় কেককাটার সময় আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে নাইম চাচা এবং তাদের পরিবারের সবাইকে আসতে বললাম। নাইম চাচা একটা ব্যাংকে জব করে। অনেক ভালো মানুষ রাইসা, প্রায় দিনের বেশিভাগ সময় তাদের ফ্ল্যাটেই থাকে।
- রাত আটটায় কথার বার্থডে কেক কাটার পর। অনেক মজা হলো। রাত্রি বেলা কথা আমার মাথায় হাত ভুলিয়ে দিচ্ছে। আমি কথার বুকে নিজেকে আড়াল করে রেখেছি।
- এদিকে আমার মাথা থেকে রাইসার কথাটা এখনো যায়নি।
-মনে মনে ভাবছি কথা কি আমাকে ঠকাচ্ছে? আর কথা কেন আমাকে ঠকাবে আমি তো কথাকে নিজের থেকেও বেশি ভালবাসি। একে -অপরকে ভালবেসে বিয়ে করেছি। না কথা আমার বিশ্বাসের অমর্যাদা করতে পারে না।

- এদিকে প্রায়ই দেখি কথা রাত্রি বেলা গোসল করে। রাতেও আমাকে আগের মতো সময় দেয় না শরীর খারাপ বলে এড়িয়ে যায়। কথার ব্যবহারে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে তো কথা এমন ছিল না। তাহলে কথা কি সত্যিই না আমাকে আসল রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।
- রাইসাকেও কিছু বলা যাবে না। রাইসা যদি কথাকে বলে দেয়।
-তাই যা করতে হবে নিজেকেই।
- এদিকে রাইসাকেও দেখি মনমরা হয়ে থাকে। কথার কাছে কম যায় এখন। বিষয়গুলো ভাবাচ্ছে খুব।
- পরের দিন অফিসের একটা কাজে হসপিটাল রোডে যাওয়ার সময় কথাকে দেখলাম হসপিটালে ঢুকছে।
-আমি বুঝতে পারছি না কথা হসপিটালে কেন আসছে?
- কথার পিছন পিছন আমি হসপিটালে ঢুকলাম।
- কথা একটা মহিলা ডাক্তারের রুমে ঢুকল। কিছুক্ষণ সেখানে থেকে, কথা কিছুক্ষণ ডাক্তারের সাথে কথা বলে রুম থেকে বেরিয়ে আসল।
- আমি তাড়াতাড়ি করে জানালার কাছ থেকে সরে আসলাম। কথা হসপিটাল থেকে বের হতেই সে ডাক্তারের রুমে থেকে একটা নার্স বের হলো। নার্সকে কথার কথা জিজ্ঞেস করতেই বলল ' ওই উনি তো এবারর্শন নিয়েই কথা বলতে এসেছিল মনে হয় ! নার্সের কথা শুনে মুহূর্তের মাঝে বুকের ভেতর চিনচিনে ব্যাথা অনুভব করলাম।
-হসপিটাল থেকে বের হয়ে কথার পিছু নিলাম। কথা একটা শপিং মলের সামনে গিয়ে নামল। কথা কাকে যেন ফোন দিল। কিছুক্ষণের মাঝেই একটা ছেলে আসল! কথা ছেলেটাকে নিয়ে শপিং মলে ঢুকল। কিছুক্ষণ পর, কথা ছেলেটাকে নিয়ে বের হল।
- আমি কি করব কিছু ভাবতে পারছি না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি, বিকেল ৩ টা বাজে। কথা ছেলেটার সাথে রিক্সায় উঠল। আমিও তাদের পিছন পিছন একটা রিক্সা নিয়ে ছুটে চললাম। কিছুক্ষণ পর কথা আর ছেলেটা বড় একটা পাঁচতারকা হোটেলে ঢুকল। আমি কথাকে ফোন দিলাম। দু'বার ফোন রিং হতেই কথা ফোনটা ধরেই ওপাশ থেকে সালাম দিল।
- আমি সালামের জবাব দিয়ে বললাম ' তুমি কোথায়?
- কোথায় আবার কিচেনে রান্না করছি?
- কথা জানে আমি সন্ধ্যার আগে অফিস থেকে বাড়ি ফিরব না।
- আমি কি বলব কিছু ভেবে পারছি না। কথা আমাকে এভাবে ঠকাবে?
- বুকের ভেতরটা ফেঁটে যাচ্ছে। তাহলে রাইসা এইসব নোংরামীই দেখেছে। কিছু ভাবতে পারছি না আমি চোখের পানি মুছে হোটেল থেকে সোজা বাসায় চলে আসলাম।
- বাসায় আসার প্রায় দু'ঘন্টা পর কথা বাসায় এসে আমাকে দেখে ক্ষানিকটা ঘাবড়ে যায়। কোথায় গিয়েছিলে? বান্ধবীর বাসায়।
- তাহলে আমাকে যে বললে কিচেনে?
- সরি, অর্পণাদের বাসায় গিয়েছিলাম। তুমি যদি রাগ কর তাই বলছি কিচেনে। আর আজ তুমি সকাল সকাল এসে পড়েছো কে জানে?
- হুম তাই তো সকাল সকাল না আসলে জানতে পারতাম না এবারশন করতে তুমি হসপিটালে যাও। অন্য ছেলেকে নিয়ে হোটেলে যাও!

চলবে??????

#নারীর
#পর্ব০১
#সাহিত্য_ডাইরি
#রাইসার_আব্বু
📌২য় পর্ব (শেষ) লিংক কমেন্ট বক্সের দেওয়া আছে
বিঃদ্রঃভুলক্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। বির্তকিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন।

 #অন্তরঙ্গ_আত্মরক্ষা  #পর্ব_২(শেষ)  #গিয়াস_উদ্দিন_আহাম্মাদরুদ্র ভাইয়ার কথায় পাখির গা জ্বলে উঠল। সে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে ব...
29/07/2025

#অন্তরঙ্গ_আত্মরক্ষা
#পর্ব_২(শেষ)
#গিয়াস_উদ্দিন_আহাম্মাদ

রুদ্র ভাইয়ার কথায় পাখির গা জ্বলে উঠল। সে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বলল,

*"আপনি যদি আমাকে এতই ঘৃণা করেন, তাহলে আমাকে বাঁচালেন কেন? আমাকে ওই পিশাচের হাতে মরতে দিলেই তো পারতেন!"*

রুদ্রের চোখে একটু নরম ভাব এল। সে পাখির কাঁধে হাত রাখতেই পাখি সজোরে সেটা ঝেড়ে ফেলে দিল।

*"ছোঁয়োনা আমাকে! একটা সৎবাবা নামের ভণ্ড আর আপনি— দুজনেই এক!"*

রুদ্র এবার গম্ভীর হয়ে বলল, *"শোন পাখি, আমি যা বলেছি, তা রাগের মাথায়। তুই জানিস, আমি কখনোই... ওই রকম কিছু চাইনি।"*

পাখির চোখে জল। *"তাহলে এত নিষ্ঠুর কথা কেন?"*

রুদ্র দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল, *"কারণ... আমি ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, তুই হয়তো নিজেই চেয়েছিস... কিন্তু এখন বুঝতে পারছি, কত ভুল ভেবেছি।"*

**◇◆◇**

পরের দিন সকাল। পাখি তার মায়ের ঘরে ঢুকতেই মা বিস্ময়ে বললেন, *"এতো সকাল সকাল? আর চোখগুলো এত লাল কেন?"*

পাখি কেঁদে ফেলল। সব কথা খুলে বলতেই মা হতবাক। *"এটা কি করে সম্ভব? সে তো... তোর বাবা!"*

*"না মা, সে কখনোই আমার বাবা নয়,"* পাখি দৃঢ়ভাবে বলল। *"আমাকে বিচার চাই।"*

**◇◆◇**

রুদ্র ভাইয়া পুলিশে রিপোর্ট করতে চাইল, কিন্তু পাখির মা ভয়ে বললেন, *"সমাজে মুখ দেখাবো কীভাবে?"*

পাখি এবার সাহস করে বলল, *"মা, দোষ আমার নয়। দোষ তার, যে নরপিশাচের মতো ব্যবহার করেছে!"*

রুদ্র সমর্থন দিল, *"পাখি ঠিক বলেছে। আমরা চুপ থাকলে সে আরও অনেককে ক্ষতি করবে।"*

**◇◆◇**

পুলিশ স্টেশনে গিয়ে যখন রিপোর্ট করা হলো, পাখির সৎবাবা চিৎকার করতে লাগল, *"এ সব মিথ্যা অভিযোগ! মেয়েটা নিজেই—"*

কিন্তু রুদ্রের জমা দেওয়া ভয়েস রেকর্ডিং (যে সে পার্টির রুম থেকে আগেই রেকর্ড করেছিল) সব প্রমাণ করে দিল। পাখির সৎবাবা গ্রেফতার হলো।

**◇◆◇**

বাড়ি ফেরার পথে রুদ্র হঠাৎ বলল, *"পাখি, আমি... আমার জন্য ক্ষমা চাই।"*

পাখি হেসে বলল, *"আপনি যদি আমাকে 'তুই' বলা বন্ধ করেন, তাহলে হয়তো ভাবা যাবে!"*

রুদ্র খিলখিল করে হেসে উঠল। *"ঠিক আছে, 'তুমি'ই হবে। কিন্তু একটা শর্তে—"*

*"শর্ত?"*

*"হ্যাঁ। তুমি... না, আপনি এখন থেকে শাড়ি পরবে ঠিকই, কিন্তু শুধু আমার সামনে!"*

পাখি লাল হয়ে গেল। *"রুদ্র ভাইয়া, আপনি এখনও সেই একই—!"*

রুদ্র হাসিমুখে বলল, *"মজা করছি। আসল কথা হলো... তুমি শক্ত হয়েছ। আমি গর্বিত।"*

পাখি মুচকি হাসল। অন্ধকারের পর আসে আলো— সে আজ তা বুঝতে পারল।



পাখির সৎ বাবার গ্রেফতারের পর পুরো পরিবারে এক অদ্ভুত নীরবতা নেমে এল। মা সারাদিন চুপচাপ, রুদ্র ভাইয়া বাড়ির কাজকর্মে ব্যস্ত, আর পাখি নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছে বই আর গানের মধ্যে।

এক বিকেলে রুদ্র পাখির ঘরের দরজায় টোকা দিল।

*"খোলো, আমি... আমি কথা বলতে চাই।"*

দরজা খুলতেই পাখি দেখল, রুদ্রের হাতে দুটি চায়ের কাপ।

*"চা খাবি?"*

পাখি একটু হেসে বলল, *"এত ভদ্রতা? আপনি কি অসুস্থ?"*

রুদ্র গম্ভীর হয়ে বলল, *"না... শুধু ভাবলাম, তুমি হয়তো একা একা ভাবছ... আমি যদি—"*

*"যদি কিছু করতে পারেন?"* পাখি তীক্ষ্ণভাবে বলল, *"আমার সৎ বাবা জেলে আছে, মা আমাকে এড়িয়ে চলেন, আর আপনি এখন চা নিয়ে হাজির? কি চান আসলে?"*

রুদ্রের চোখে একটু ব্যথা ফুটে উঠল। *"আমি চাই... তুমি জানো যে আমি তোমার পাশে আছি।"*

**◇◆◇**

পরের দিন সকালে পাখি দেখল, তার মা রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে কাঁদছেন।

*"মা?"*

মা ফিরে তাকালেন, চোখ লাল। *"মেয়ে, আমাকে ক্ষমা করো... আমি জানতাম না সে এমন—"*

পাখি মাকে জড়িয়ে ধরে বলল, *"দোষ আপনার না, মা। দোষ একমাত্র তার, যে আমাদের বিশ্বাস ভেঙেছে।"*

মা পাখির হাত চেপে ধরে বললেন, *"আমরা দুজনেই শক্ত হবো, ঠিক আছে?"*

**◇◆◇**

কয়েক সপ্তাহ পর আদালতের দিন। পাখি সাক্ষ্য দিতে গিয়ে কাঁপছিল। রুদ্র পিছন থেকে ফিসফিস করে বলল, *"ভয় পেয়ো না। আমি এখানেই আছি।"*

যখন পাখির সৎ বাবা চোখ রাঙিয়ে তাকাল, রুদ্র এক ধাপ এগিয়ে গিয়ে বলল, *"তোমার দিকে তাকিয়ো না। ওই নরপিশাচ তোমার দিকে তাকানোরও অযোগ্য।"*

পাখি গভীর শ্বাস নিয়ে সব বলল। বিচারক রায় দিলেন— ১০ বছর কারাদণ্ড।

**◇◆◇**

বাড়ি ফেরার পথে রুদ্র হঠাৎ বলল, *"পাখি, আমি একটা কথা ভাবছি..."*

*"কি?"*

*"তুমি কি কখনো ভেবেছো... আমরা... মানে..."* রুদ্র অস্বস্তিতে পড়ে গেল।

পাখি চোখ কচলিয়ে বলল, *"ওহ! রুদ্র ভাইয়া লজ্জা পাচ্ছে? এটা নতুন!"*

রুদ্র লাল হয়ে গেল। *"ছি ছি, এমন না! আমি শুধু বলতে চাইছিলাম... তুমি যদি কখনো... আমার সাহায্য চাও..."*

পাখি হাসতে হাসতে বলল, *"জানি, আপনি আমার পাশে আছেন। কিন্তু এখন থেকে 'তুমি'ই বলবেন, ঠিক আছে? 'আপনি' বললে মনে হয় আপনি বুড়ো হয়ে গেছেন!"*

রুদ্র হেসে উঠল। *"তাহলে শোনো পাখি, আজ থেকে আমি তোমার... বন্ধু। সারাজীবনের।"*

পাখি মুচকি হেসে বলল, *"বন্ধুই থাকো। কিন্তু... এক কাপ চা দিতে ভুলো না!"*

**[সমাপ্ত]**

 #পর্ব_৫ #তন্ত্র_যুদ্ধে_রক্ত_বাসর #গিয়াস_উদ্দিন_আহাম্মাদ ঘরের দেয়ালগুলো এখন নীরব।আয়না ভাঙা, ফুলদানি নেই, বিছানায় শুয়ে ডা...
26/07/2025

#পর্ব_৫
#তন্ত্র_যুদ্ধে_রক্ত_বাসর
#গিয়াস_উদ্দিন_আহাম্মাদ

ঘরের দেয়ালগুলো এখন নীরব।

আয়না ভাঙা, ফুলদানি নেই, বিছানায় শুয়ে ডালি—ঘুমিয়ে আছে শান্তভাবে।

তবুও আমার মনটা অশান্ত।

কেন যেন মনে হচ্ছে, **সব কিছু শেষ হয়নি।**

স্বপ্নের রাত...

সেই রাতে আমি ঘুমোতে পারিনি।

ডালির শরীর নিস্তেজ, কিন্তু মুখটা অদ্ভুত ম্লান।

হঠাৎ ঘরের বাতি একবার টিমটিম করে নিভে গেল —

তারপর আবার জ্বলে উঠল...

ঠিক তখনই ডালির মুখে ভেসে উঠল এক ছায়া—চেনা, পরিচিত, ভয়ংকর...

**মঞ্জুরা!**

তার চোখে এবার আগুন নয়—জল।

— “আমি হার মেনেছি।

আমি প্রতিশোধ চেয়েছিলাম, কিন্তু পেয়েছি অভিশাপ।

ভালোবাসা চেয়েছিলাম, পেলাম বিষ।

কিন্তু এক প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে...”

আমি অস্পষ্ট স্বরে জিজ্ঞেস করলাম,

— “কি প্রশ্ন?”

সে বলল,

— “আমি কি সত্যিই খারাপ ছিলাম?

নাকি শুধু ভুল সময়ে ভালোবাসতাম?”

আমি থেমে যাই।

ও বললো আরও একবার…

> “ডালির শরীর আমি ছেড়ে দিচ্ছি।

> কিন্তু এই ভালোবাসার ছায়া আমি রেখে গেলাম...

> আমি ফিরব না। তবে আমি রয়ে যাব।”

---

সকাল...

ডালি ঘুম ভাঙে।

ওর মুখে প্রশান্তি। ঠোঁটে হালকা হাসি।

আমি ওর কপালে চুমু খাই, বলি —

— “সব ঠিক হয়ে গেছে। তুমি ফিরে এসেছো।”

ডালি ধীরে ধীরে বলে,

— “আমি একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম।

আমি এক পুরনো প্রাসাদে দাঁড়িয়ে আছি।

এক মেয়ে আমার পেটের কাছে হাত রাখছে, আর বলছে,

> ‘এইটুকু রেখে গেলাম। ও জানবে আমি শুধু প্রতিশ্রুতি ভাঙতে শিখিনি… জন্ম দিতেও পারি।’”

আমি স্তব্ধ।

— “তোমার পেটের কাছে?”

ডালি বিস্মিত চোখে আমার দিকে তাকায়।

হঠাৎ ওর মুখ বিবর্ণ হয়ে যায়।

আমরা দুজনে নিচে ছুটে যাই পিসিমার কাছে।

---

চিকিৎসকের কাছে…

চিকিৎসক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন:

— “অভিনন্দন! ডালি গর্ভবতী। মাত্র কয়েক সপ্তাহ হয়েছে।”

— “আপনারা জানতেন না?”

আমরা স্তব্ধ। একে অপরের দিকে তাকাই।

তবে প্রশ্ন জেগে থাকে...

**এই সন্তান কার? আমি আর ডালি যে…**

তখনো সেই স্বপ্নের কথা ঘুরছে মাথায়—

> ‘ও জানবে আমি জন্ম দিতেও পারি।’

বছরখানেক পর।

আমি, ডালি, আর আমাদের এক কন্যাসন্তান —

নাম রেখেছি **"মনজিলা"**, মঞ্জুরার নামে নয়, কিন্তু তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে।

মেয়ের চোখে এক অপার্থিব দীপ্তি।

সে মাঝে মাঝে আয়নার দিকে চুপ করে তাকিয়ে থাকে।

একদিন হঠাৎ সে বললো—

— “বাবা, জানো? এক খালা বলেন, তিনি আমায় দেখছেন।

আমি যেন তার ভুল শুধরাই…”

আমি বুকের ভেতর একটা কাঁপুনি অনুভব করি।

> মঞ্জুরা হয়তো পরিত্রাণ পেয়েছে,

> কিন্তু সে তার উত্তরাধিকার রেখে গেছে...

ভালোবাসা কেবলই মধুর না,

কখনো সে অভিশপ্ত হয়, অতৃপ্ত আত্মার রূপ নেয়।

তবে ভালোবাসা যদি সত্য হয়—

সে শেষ হয় না, সে বদলায়।

জন্ম নেয় নতুন রূপে, নতুন শরীরে…

আর রেখে যায় এক **অমোচনীয় ছায়া**।

পাঠকদের উদ্দেশ্যে একটি কথা**

ভালোবাসা শুধু ফুল আর গান নয়।

কখনো তা হয় অপেক্ষা, অন্ধকার, অভিশাপ…

আবার কখনো তা হয় আত্মা হয়ে ফিরে আসা—প্রমাণ দিতে, দাবি জানাতে, অথবা ক্ষমা চাইতে।

**এই গল্পটা ছিল তেমনই এক ভালোবাসার গল্প।**

একটা ফুলসজ্জা, এক নববধূ, আর এক আত্মার মধ্যকার সংঘর্ষ।

কে কার? কে প্রেমিক, আর কে প্রতারক?

এই জিজ্ঞাসা নিয়েই শুরু হয়েছিল “তুমি আমার ছিলে”।

ধীরে ধীরে আবিষ্কার করলাম,

ভালোবাসা শুধু দেহে হয় না—**ভালোবাসা আত্মায় জন্ম নেয়**।

আর একবার সেখানে বাসা বাঁধলে, সে হয় অমর। হয়তো রক্তে, হয়তো সন্তানরূপে।

---

❤️ **এই গল্প পড়ে যদি একটুও কাঁটা দেয় শিরায়, বা চোখে জমে অদৃশ্য জল,**

তবে বুঝে নিও—ভালোবাসা এখনও বেঁচে আছে তোমার ভিতরেও।

🔔 **আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?**

কমেন্টে লিখে জানাবেন, কাহিনির কোন পর্ব বা দৃশ্য আপনাকে সবচেয়ে বেশি ছুঁয়ে গেছে?

আপনার প্রতিক্রিয়া আমাকে আরও লেখার অনুপ্রেরণা দেবে।

---

**আরও এমন গল্প পেতে পেজে লাইক দিন / ব্লগে চোখ রাখুন।**

আগামী গল্পে দেখা হবে… হয়তো আবার কোনো অলৌকিক ভালোবাসায়।

----------------------------সমাপ্ত-------------------------------

 #ডাইরি #সাহিত্য_ডাইরি  #তৃতীয়_পর্ববাসর ঘরে বধু সেজে বসে আছে ঈশিতা। বিয়েটা শুধু পরিবারের কয়েকজন সদস্য কে নিয়ে সম্পন্...
25/07/2025

#ডাইরি
#সাহিত্য_ডাইরি
#তৃতীয়_পর্ব

বাসর ঘরে বধু সেজে বসে আছে ঈশিতা। বিয়েটা শুধু পরিবারের কয়েকজন সদস্য কে নিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। আরিফ দরজা ঠেলে ভিতরে প্রবেশ করে। ঈশিতা জড়োসড়ো হয়ে বসে আছে খাটের মাঝ বরাবর। কাঁচা ফুলের বাসরে আরিফ আকর্ষিত না ‌। তার একটাই উদ্দেশ্য এই মৃত্যুর খেলা তাকে বন্ধ করতেই হবে।

"_ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে নাকি সারা রাত?
ঈশিতার মিষ্টি কথাও আজ আরিফের কানে বিষ হয়ে ঢুকছে। ধীর পায়ে বিছানার এক পাশে বসে পড়ে সে। আতংকিত চাহনি তে বার কয়েক ঈশিতাকে দেখে। বেশ সুন্দর লাগছে আজ ঈশিতা কে। এক মূহুর্তে ঈশিতার প্রেম সাগরে ডুব দিতে মন চাচ্ছে আরিফের। চোখ যেনো আর সরছে না। এত সুন্দর মেয়ে কিভাবে এতটা ভয়ংকর হতে পারে। চোখ যেনো আরিফের সরছেই না। এভাবে কোনো দিনও ঈশিতা কে দেখে নি সে। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে দু নয়ন ভরে দেখতে।
"_কী হলো এইভাবে তাকিয়ে আছো কেনো?
লাজুক কন্ঠে ঈশিতা বলে আঁচলে মুখ লুকায়।
"_ তুমি সত্যিই অনেক সুন্দরী । চাঁদ যেনো আজ লজ্জা পাচ্ছে তোমায় দেখে।
ঈশিতা আরিফের কাঁধ ধরে টেনে তার মুখের কাছে আরিফের মুখ নিয়ে আসে। এক অজনা সুখে ভাসতে থাকে দুজনে। ঘোর কাটতেই আরিফ নড়েচড়ে বসে।
"_আরে কী করতে যাচ্ছিলাম আমি? আমায় ভুলে গেলে চলবে না যে ঈশিতা কোনো সাধারণ মানুষ নয়।
বিড়বিড় করে বলতে বলতে শরীর ছাড়িয়ে নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরে ।
"_কী হলো তোমার? আজ আমাদের বাসর রাত। আজ আমাদের মিলনের রাত। আজ তো তুমি আমায় আদর করবে, আর তা না করে ঘুমাচ্ছো ? উঠো বলছি!
গায়ে ধাক্কা দিতে দিতে বলছে ঈশিতা।
"_উফ ভাবী আমি এসব করতে পারবো না এখন ‌। একটু সময় লাগবে বুঝে উঠতে।
রাগান্বিত কন্ঠে ঈশিতা আরিফের কলার চেপে ধরে।
"_তুই ভাবী কারে বললি? আমি তোর বিয়ে করা বউ! আগের হিসেব বাদদে এখন।
ঈশিতার রাগী কন্ঠে আরিফ ঘাবড়ে যায়। এই বুঝি তার ভিতরে লুকিয়ে থাকা পিচাশ রূপ ধারন করে। আরিফ ভয়ে ভয়ে উঠে বসে।
ঈশিতা পুনরায় আরিফের ঠোঁটে তার ঠোঁট জোড়া মিলিয়ে দেয়। একহাত দিয়ে ড্রিম লাইটটা অফ করে দেয়। "বাকিটা শুনতে চাইলে ইনবক্সে আসেন"।
সকালে ঘুম ভেঙ্গে আরিফ নিজেকে একটা পরিত্যক্ত ভুমিতে আবিষ্কার করে।"_ এটা কীভাবে সম্ভব আমি তো বাড়িতে নিজের ঘরে ছিলাম।
ভাবতেই ঘাবড়ে গেছে আরিফ। বিন্দু বিন্দু ঘামের ফোঁটা শরীর ভিজিয়ে দিচ্ছে। "_ঈশিতা কোথায়, আমার বাবা মাই বা কোথায়? তাদের কোনো ক্ষতি হলো না তো।

ভয়ের শ্রোতে ভেসে বেড়াচ্ছে আরিফের দেহ। ভয়ের শিহরণে কেঁপে কেঁপে উঠছে শরীরটা। দিশাহারা হয়ে দিক বেদিক ঘুরছে। ধু ধু প্রান্তরে কাউকে দেখছে পাচ্ছে না সে। এটা তো শহর হতেই পারে না । গ্রাম হলেও তো ঘর বাড়ি থাকবে ‌। কিন্তু আরিফ আশে পাশে কোনো বাড়ি ঘর দেখতে পাচ্ছে না। ছুটে চলেছে এক হারানো পথিকের ন্যায় । বেশ খানিকটা দূরে এসে একটা অদ্ভুত বাড়ি দেখে থমকে দাঁড়ায় সে। দুতলা বিশিষ্ট বাড়ি । সদর দরজার কাছে উপস্থিত হতেই আপনা আপনি দরজা খুলে যায়। আরিফ বেশ ভালোই বুঝতে পারছে যা হচ্ছে সব অস্বাভাবিক।
ধীর পায়ে বাড়িটার মধ্যে প্রবেশ করতেই কারো কথার আওয়াজে চমকে যায়। একটা কক্ষ থেকে কয়েক জন মানুষের কথার আওয়াজ কানে ভেসে আসছে। কক্ষের বাইরের জানালার ছোট ছিদ্র দিয়ে উঁকি মারতেই দেখে কয়েকজন লোক অস্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের মধ্যে থাকা লম্বা মত একটা লোক বন্দুক তাক করে আছে একটা মধ্য বয়স্ক লোকের দিকে । হয়তো পারিবারিক শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতে এসেছে লোকগুলো। তাদের কথা শুনে আরিফের এমনটাই মনে হচ্ছে। ফ্লোরে পড়ে থাকা লোকটার পাশে রক্ত মাখা একটা মহিলার লাশ ‌। হতে পারে লোকটার স্ত্রী। লম্বা মত লোকটা বিকট হাসি দিয়ে বন্দুকের নল দিয়ে পড়ে থাকা লোকটাকে আঘাত করে।
আরিফ লুকিয়ে সব দেখছে কিন্তু কাছে যাবার সাহস হচ্ছিল না। হঠাৎ বন্দুকের শব্দে আরিফের হৃদস্পন্দন কেঁপে উঠে। পড়ে থাকা লোকটার বুক এফোঁড়ওফোঁড় হয়ে গেছে। মুখ থুবড়ে পড়ে গেছে তার স্ত্রীর লাশের পাশে। একটু পরেই একটা সাদা ফ্রক পড়া মেয়ে কান্না করতে সেখানে আসে। মেয়েটার মুখটা বড্ড চেনা চেনা লাগছে। বয়স আনুমানিক ১০ - ১২ বছর। মেয়েটা সম্ভবত খুন হওয়া দম্পতির মেয়ে । খুনি গুলো মেয়েটার আর্তনাদ শুনে ভিষন আনন্দ পাচ্ছিলো।
বন্দুক হাতে থাকা লোকটা মেয়েটার ছোট খোঁপা ধরে টেনে উঠায় । হঠাৎ বন্দুক তাক করে মেয়েটার দিকে। আরিফ নিজেকে আর আটকাতে পারে না।
এই অন্যায় সহ্য করার মতো নয়। দৌড়ে ভিতরে ঢুকতে যাবে তার আগেই বন্দুকের বিকট আওয়াজ ।
চিৎকার করে দিয়ে উঠে আরিফ।

"_কী হলো ঘুমের মধ্যে চিৎকার করছো কেন?
ঈশিতার কন্ঠ শুনে আরিফ হতভম্ব হয়ে যায়। নিজেকে সামলিয়ে নেয় আরিফ। "_ না একটা খারাপ স্বপ্ন দেখছিলাম।
ঈশিতা মুচকি হাসি দিয়ে বলে "_ এই স্বপ্ন আমি প্রতিদিন দেখি , আর মেয়েটার সাথে আমার অনেক মিল ।
বলেই ওয়াশরুমের দিকে অগ্রসর হয় ঈশিতা।
আরিফ ঈশিতার কথা শুনে চমকে উঠে ‌। এতক্ষণে যে স্বপ্ন দেখছিলো ঈশিতা এই স্বপ্ন সম্পর্কে জানলো কেমন করে?
আর ওই মেয়েটার সাথে ওর কী সম্পর্ক থাকতে পারে? ঘামতে শুরু করেছে আরিফ। কী এই গোলক ধাঁধা?
নাস্তার টেবিলে বসে আছে আরিফ । মুখোমুখি বসে লাজুক ভঙ্গিতে হাসছে ঈশিতা । আরিফ বেশ লজ্জা পাচ্ছে, গত রাতে ঘোরের বসে ঈশিতার সাথে যা করেছে সে সব ভাবছে।
"_আরিফ কী হইছে খাচ্ছিস না কেনো ?
মায়ের কথায় খেতে শুরু করে সে। "_ আম্মা আপনার ছেলে তো সারা রাত খেয়েছে তাই এখন হয়তো খিদে নেই ‌।
ঈশিতার কথা শুনে আরিফ লজ্জায় ভ্রু কুঁচকে তাকায় ঈশিতার দিকে। "_ না মানে মা ঈশিতা বলতে চাচ্ছে আমি স্বপ্নে অনেক খাবার খেয়েছি সেই সব আর কী।
ঈশিতা লাজুক হাসি দেয় আরিফের দিকে তাকিয়ে। আরিফ যেনো হাফ ছেড়ে বাঁচে। "_ এ কেমন মেয়েরে বাবা, কোন জায়গায় কী বলতে হয় জানেও না।
বিড় বিড় করে আরিফ অল্প অল্প রুটি মুখে পুরে। ঈশিতা আরিফের কান্ড দেখে ভিষন মজা পাচ্ছে। একটু পরেই সেখানে মির্জা হারুন সাহেব আসেন।"_ কী হলো তোমরা কী নিয়ে হাসা হাসি করছো?
"_তোমার ছেলে আজ কাল স্বপ্নে ভুল ভাল জিনিস খাচ্ছে তাই নিয়ে হাসছি।
মির্জা বাড়িতে শোকের ছায়া উঠে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। শুধু অশান্তি মনে আছে আরিফ। সারাক্ষন ভয়ে ভয়ে কাটায়। ঈশিতা কে চোখে চোখে রাখে কখন কোথায় যায়।
কিছুদিন স্বাভাবিক ভাবে কাটার পর হঠাৎ একদিনের ঘটনা।
আরিফ প্রতিদিনের ন্যায় সেদিনও বেলকুনিতে দাড়িয়ে সিগারেট ফুকছিলো । হঠাৎ কারো স্পর্শে চমকে উঠে। বাবা মা‌ জানে না আরিফ ধুমপান করে। তাই এই সতর্কতা। পেছনে তাকিয়ে দেখে তার বন্ধু সোহেল দাঁড়িয়ে আছে। শহর থেকে এসেছে।
"_কী ভাই বউ পাইয়া আমাদের ভুইলা গেসোস?
সোহেলের কথায় আরিফ মুখে হাসি ফুটিয়ে বলে"_ না ভাই ভুলবো কেনো। তুই কখন এলি?
"_ এই তো আজ সকালেই বাড়িতে আসছি। শুনলাম তুই নাকি বিয়ে করছিস তাই বউ দেখতে চলে আসলাম।
সোহেল চৌধুরী আরিফ মির্জার ছোট বেলার বন্ধু। দুজনে একই এলাকায় থাকে পাশাপাশি। সোহেল চৌধুরী বাড়িতে আর আরিফ মির্জা বাড়িতে। পুরোনো বন্ধুকে পেয়ে আরিফ বেশ খুশি হয়। নিজের ঘরে গিয়ে বসে আড্ডা দিতে দিতে বলে"_ বন্ধু ভাবী কে তো আগে থেকেই চিনি ‌। যায় হোক শুভ কামনা তোদের জন্য।
বলে সোহেল রাতের খাবারের দাওয়াত গ্রহণ করে সেখান থেকে চলে যায়।
দিন ফুরিয়ে রাত নেমে আসে। সোহেল কে আরিফ কল করে নিজের বাড়িতে ডাকে। "_ সোহেল তারাতাড়ি আয়। না হলে মা রাগ করবে, তোর জন্য রান্না করেছে মা।
সোহেল কল কেটে দিয়ে মির্জা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়। গেটের সামনে যেতেই দেখে একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে। অন্ধকারে মুখটা ভালো মত দেখা যাচ্ছে না। তবে মনে হচ্ছে মেয়েটা বেশ সুন্দরী। দেহের গঠন মন্দ নয়। "_এই শুনশান জায়গায় এত সুন্দর রমনি কোথা থেকে এলো?
ভাবতে ভাবতে এগিয়ে যাচ্ছে সোহেল চৌধুরী।
বেশ খানিকটা কাছে যেতে দেখে ___

চলবে __

উৎসাহ দিয়ে যাবেন 😊🥀
⭕৪র্থ পর্ব লিংক কমেন্ট বক্সের দেওয়া আছে

বাবা অ ন্ত র ঙ্গ হওয়ার জন্য যখন আমার গায়ের শাড়ী টেনে খুলে ফেলে তখন আমার মধ্যে ভয়, লজ্জা, ঘৃনা সবটা একত্রে করছিলো। যে মান...
23/07/2025

বাবা অ ন্ত র ঙ্গ হওয়ার জন্য যখন আমার গায়ের শাড়ী টেনে খুলে ফেলে তখন আমার মধ্যে ভয়, লজ্জা, ঘৃনা সবটা একত্রে করছিলো। যে মানুষটিকে আমি আমার সবচেয়ে ভালোবাসার জায়গা, আমার বাবার জায়গা দিয়েছি। সেই মানুষটি কি-না আমাকে এভাবে ভোগের নজরে দেখলো। আমার ভাবতেও লজ্জা করছে। বাবা আমার শাড়ী খুলে ফেলে আমার ব্লাউজে হাত দেয়। আমি ভয়ে চিৎকার করে উঠে। সম্মান বাঁচানোর জন্য সবার সাহায্য চাচ্ছি। কিন্তু না। কেউ শুনছে না। বাড়িতে পার্টি হচ্ছে। সাউন বক্সে গান বাজছে। সেই গানের শব্দ পার করে আমার চিৎকার কারো কান অব্দি যাচ্ছে না। আমি বাবাকে অনুনয় করে বললাম,'প্লীজ বাবা আমাকে ছেড়ে দাও। আমার সঙ্গে এমনটা করো না। আমি তোমার মেয়ে হই।'

'কিসের মেয়ে? তুই আমার সৎ মেয়ে। তুই জানিস আমি তোর মাকে কেন বিয়ে করেছি?'
বাবার মুখে এই কথা শুনে আমি তার দিকে অসহয় চোখে তাকিয়ে রইলাম। বাবা নিজ থেকে বলে,'আমি তোর মাকে বিয়ে করেছি। কারণ আমার তোকে পছন্দ হয়েছিলো। কিন্তু তোর মাকে তো এসব কথা বলা যায় না। সহজে রাজি হবে না বুঝতে পেরেই তাকেই পটাই। লাভ অবশ্য আমার। তোর মাকে পেলাম, আজ তোকেও পাবো।'

'বাবা এমন করো না। প্লীজ। আমাকে ছেড়ে দাও। তুমি আমাকে সৎ মেয়ে ভাবলেও আমি তোমাকে সৎ বাবা কখনো ভাবিনি। আমি তোমাকে সবসময় নিজের বাবার মতো ভেবেছি।'

'আর আমি তোকে আমার ভোগবস্তু হিসাবে দেখেছি। চল এবার নখরা না করে সুন্দরমতো কাছে আয়। তুইও মজা নে, আমাকেও মজা নিতে দে।'
এই কথা বলে বাবা আমার ব্লাউজ টেনে খুলে ফেলে। এখন আমি সায়া এবং ইনার পড়ে বাবার সামনে দাঁড়ানো। লজ্জায় বাবার দিকে চোখ তুলে তাকাতে পারছি না। বাবা যখন হাত বাড়িয়ে আমার বুকে হাত দিতে নিবে সেই সময়ে দরজা ভেঙে রুদ্র ভাইয়া ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। সে আমাকে এবং বাবাকে এমন অবস্থায় দেখে প্রচন্ড রেগে যায়। রাগান্বিত হয়ে সে বাবাকে একটি লাথি বসিয়ে দেয়। চিৎকার দিয়ে বলে,'তোর এতবড় সাহস কিভাবে হলো। এত বড় বুকের পাটা যে আমার রুদ্ধানীর গায়ে হাত দিলি তুই?'
এটা বলে রুদ্র ভাইয়া আরও একটি লাথি বসিয়ে দেয়। বাবা মার খেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। রুদ্র ভাইয়া তার পিছনে যেতে নিলে আমি তাকে পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে আটকাই। আমি বলি,‘না ভাইয়া। আপনি আর কিছু করবেন না প্লীজ।’

‘কি? তোর সঙ্গে এতবড় কাজ করতে চাইলো লোকটা তাও তুই বলছিস আমি তাকে ছেড়ে দিতাম?’
রুদ্ধ ভাইয়ার কথার জবাবে আমি হ্যা বললে সে আমাকে ছাড়িয়ে একটি থাপ্পড় বসিয়ে দেয়। রুদ্র ভাইয়ার থাপ্পড় খেয়ে আমি ছিটকে দূরে পড়ে যাই। রুদ্র ভাইয়া চিৎকার দিয়ে বলে,‘লোকটা তোকে স্পর্শ করছিলো সেটা তোর মজা লাগছিলো। খুব মজা লাগছিলো না? তাই আমাকে বাধা দিলি? খুব মজা? নিজের বাপ গায়ে হাত দিচ্ছে ওমনি তোর নিচ থেকে রস পড়া শুরু করেছে। তাই না?’

রুদ্র ভাইয়ার থাপ্পড় খেয়ে যতটা না কষ্ট পেলাম তার মুখের কথাগুলো শুনে আরও কষ্ট পেলাম। আমার চোখ দিয়ে টপটপ করে পানি পড়তে শুরু করলো। এটা দেখে রুদ্র ভাইয়া চিৎকার দিয়ে বলে,‘একদম ন্যাকা কান্না কাদবি না। কুত্তা*র বাচ্চা। বাপের ছোয়ায় মজা নিচ্ছিলি। আমি এসে ভুল করলাম না?’

এটা বলে রুদ্র ভাইয়া আমার বাহু চেপে ধরে। আমি ব্যথায় চিৎকার দিয়ে উঠে। কোনমতে বলি,‘এসব লোক জানাজানি হলে আমারই সম্মান যাবে। অন্যকারো কিছু হবে না।’

এই কথা বলে আমি কান্নায় ভেঙে পড়লাম। আমার কথা শুনে রুদ্র ভাইয়া বুঝতে পারলো আমি কেন তাকে বাধা দিয়েছিলাম। এটা বুঝতে পেরে রুদ্র ভাইয়া আমার গলা জড়িয়ে ধরে বলে,‘পাখি এজন্য বাধা দিচ্ছিলি? তার মানে তোর ওসবে মজা লাগেনি? খুব কষ্ট লাগছিলো, তাই না?’
আমি মাথা নাড়াতে রুদ্র ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে। আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে রুদ্র ভাইয়া বলে,‘পাখি আমি যদি না আসতাম তাহলে কি হতো? ও তো তোকে খেয়ে দিতো। ছি। যে লোকটাকে তুই বাবা ডাকিস সে এমন কাজ করলো? যাকে আমি চাচা হিসাবে এত সম্মান করতাম সে এতবড় কান্ড ঘটাতে যাচ্ছিলো? আমার তো ভাবতেও খারাপ লাগছে।’

রুদ্র ভাইয়া ব্যস্ত হয়ে পড়লো। আমার গালে কয়েকটা চুমু বসিয়ে দিয়ে বলে,‘তোর লাগেনি তো পাখি? একদম লাগেনি?’

আমি মাথা নাড়িয়ে না বুঝালাম। রুদ্র ভাইয়া আমার গায়ে যেখানে সেখানে হাত দিচ্ছিলো। সে হাত দিয়ে জিজ্ঞেস করে,‘সত্যি লাগেনি পাখি? ঐ লোকটা যখন তোকে ছুলো তখন তোর খুব কষ্ট হচ্ছিলো। তাই না পাখি?’

‘আমার কষ্ট হয়েছে জেনে আপনার এত কষ্ট হচ্ছে কেন রুদ্র ভাইয়া? আপনি কি আমাকে পছন্দ করেন?’
আমার এই কথা শুনে রুদ্ধ ভাইয়া থ মেরে যায়। সে একদম চুপ হয়ে যায়। তারপর কিছু একটা মনে হতে কঠিন গলায় বলে,‘না।‘

‘তাহলে এত ব্যস্ত হয়ে পড়লেন কেন?’
আমার এই কথার জবাবে রুদ্র ভাইয়া বলে,‘রাস্তার কু*ত্তার সাথেও যদি এমন আচরণ হতো তাহলেও আমি ব্যস্ত হয়ে পড়তো। বিশেষত যদি জানতাম আমার বাড়ির সদস্য আমার চাচা এই ঘটনায় জড়িত। তারমানে এটা নয় যে আমি তোকে পছন্দ করি। তোর মতো একটা ফালতু মেয়েকে আমি পছন্দ করবো কেন?’

‘আপনি আমাকে রাস্তার কু*ত্তার সাথে তুলনা করলেন রুদ্র ভাইয়া?’

‘হ্যা করলাম। তোর আর তার মাঝে পার্থক্য।'
এটা বলে রুদ্র ভাইয়া মুখ ঘুরিয়ে নেয়। তারপর বলে,‘পোশাক পড়ে নে। আর হ্যা শাড়ী পড়িস না। দেখা যাবে আবার শাড়ী পড়বি, আবার ছেলেদের সাথে ঢলাঢলি করবি যা দেখে তাদের লোভ হবে। চাচার দোষ দিয়ে কি লাভ? তুই যদি নিজেকে মেলে ধরিস তাহলে সে নিজেকে কন্ট্রোল কিভাবে করবে?’

রুদ্র ভাইয়ার এই কথায় অপমান, লজ্জায় আমার মাথানত হয়ে গেল। আমি কষ্টভরা দুই চোখ নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে। সেই সময়ে রুদ্র ভাইয়া বলে,‘পোশাক পড়বি নাকি ইনার পড়েই দাড়িয়ে থাকবি? ওগুলো কত বড় হয়েছে এটা দেখাতে বুঝি ভালো লাগে?’

‘ছি। রুদ্র ভাইয়া আপনি এত জঘন্য। অসভ্য।’
এটা বলে আমি কাপড় তুলে বুকে ধরলাম। রুদ্র ভাইয়া আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে ঘর থেকে বের হলেন। দরজার কাছে গিয়ে বললেন,‘দ্রুত জামা-কাপড় পড়ে বাহিরে আয়। এখন থেকে প্রতি সেকেন্ড আমার চোখের সামনে থাকবি।’

রুদ্র ভাইয়া আর না দাড়িয়ে চলে গেল। আমিও জামা, কাপড় পড়ে বাহিরে এলাম। বাহিরে আসতেই বাবাকে দেখলাম একটু সামনে ড্রিংকস করছে। তাকে দেখে ঘৃনায় চোখ সরিয়ে নিলাম। সেই মূহুর্তে রুদ্র ভাইয়া আমার পাশে এসে দাড়ায়। তারপর বলে,‘কি রে বাপকে দেখছিস? তার ছোয়া মজা লাগছিলো বেশি যে এখন তাকে দেখছিস ড্যাবড্যাব করে?’

‘রুদ্ধ ভাইয়া আপনি কি আমার সাথে ভদ্রভাবে কথা বলতে পারেন না?’

‘তুই রুদ্ধ খানের ভদ্র ভাষার যোগ্য নস।’

‘তাহলে আমার সাথে কথা না বলে থাকুন প্লীজ।’

‘কতবড় অকৃতজ্ঞ তুই? এতবড় বিপদ থেকে বাঁচালাম কই ধন্যবাদ জানাবি তা না করে তর্ক করছিস?’

এই কথা শুনে আমি চুপ হয়ে গেলাম। সত্যি তাই। আজ রুদ্র ভাইয়া না আসলে যে কি হতো। বাবা তো আমার সম্মানটা নিয়েই নিতো। ছি। ঐ লোককে এখনো বাবা বলছি। সে আদৌ বাবা হওয়ার যোগ্য। কখনো না। এসব ভাবনার মাঝে রুদ্র ভাইয়া ডাক দিতে আমার হুশ ফিরলো। আমিও ম্লান হেসে বললাম,‘ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যি আপনি আজ আমার অনেক বড় উপকার করলেন। আমি আপনার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবো।’

‘তুই চাইলে ঋন শোধ করতে পারিস।’

‘মানে? কিভাবে?’
আমার এই কথার জবাবে রুদ্ধ ভাইয়া যা বললো সেটা শুনে আমি বিরক্ত হলাম। রুদ্র ভাইয়া বললো,‘তোর ওগুলো অনেক সুন্দর। তুই চাইলে আমি আরও সুন্দর করতে পারি। সেই ব্যবস্থা করে দিয়ে তুই ঋনশোধ করতে পারিস।’
|
চলবে,
#অন্তরঙ্গ_আত্মরক্ষা
#পর্ব_১
#সাহিত্য_ডাইরি
⭕২য় (শেষ)পর্ব লিংক কমেন্ট বক্সের দেওয়া আছে

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gias Bhai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Gias Bhai:

Share

Category