01/09/2025
এই যে মানসিক ভারসাম্যহীন ভদ্র মহিলাকে দেখছেন উনি আমার ম্যাডাম।আমার আম্মুর পরে উনার কাছে আমার হাতেখড়ি।উনি আমার জীবনের প্রথম স্কুল চৌধুরী কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষিকা ছিলেন এবং আমাদের প্রতিবেশীও।উনি একসময় অনেক ফ্যাশন মেইনটেইন করতেন।থ্রী-পিস,শাড়ির সাথে ম্যাচিং জুয়েলারি পড়তেন।অনেক সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলতেন।তখন উনার রুপ,গুণের কাছে নায়িকা ফেইল করতো।যারা উনাকে দেখেছে তারা জানে।
অথচ আজকে উনি কি বলে,কি করে,কিভাবে থাকে নিজেই জানে না। একটা বিয়ে উনার জীবনটা এভাবে উলটপালট করে দিয়েছেন।উনার রুপে মুগ্ধ হয়ে এক মুখোশধারী ভদ্রলোক উনার বাবা-মাকে ধরে উনাকে বিয়ে করেন।উনি তখন বিয়েতে রাজি ছিলেন না।বিয়ের পরে দেখে ওই লোক নেশাগ্রস্ত।উনাকে প্রায় সময় মা/র/ধ/র করতো।উনি চাকরি করে বাবা-মার খরচ এবং সংসার চালাতেন।একটা সময় অ/ত্যা/চা/র সহ্য করতে না পেরে ডি/ভো/র্স নিয়ে নেন।এরপর থেকেই কিছুদিন পর পর উনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলতেন।আগে কিছুদিন অসুস্থ থাকত আবার সুস্থ হয়ে যেত কিন্তু কয়েক বছর যাবত উনি পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে গেছে।এখন উনাকে নরসিংদী স্টেশনসহ আরো বিভিন্ন জায়গায় এভাবে দেখা যায়।অনেক সময় দেখি অন্যরা উনাকে পা/গ/ল বলে ডাকে,উত্যক্ত করে।ওরা তো আর উনার অতীত জানে না।আমি উনাকে যখনি দেখি সালাম দেই কিন্তু উনার কাছ থেকে কোন উত্তর আসে না তখন আমার চোখের কোণে পানি আসে।এখনো পর্যন্ত উনি আমার পছন্দের ম্যাডামদের মধ্যে একজন এবং সারাজীবন পছন্দের একজন মানুষ হিসেবে থাকবে ইনশাআল্লাহ।এমনকি উনার ফ্যাশন আমি অনেকটা ফলো করি।
উনাকে দেখলে আমি বুঝি বিয়ে একটা মেয়ের জীবনকে কিভাবে পরিবর্তন করে দিতে পারে।মেয়েদের কপালে ভালো স্বামী জুটলে তারা দুনিয়াতে এক টুকরো জান্নাত পায় আর খারাপ স্বামী জুটলে জীবনটা জাহান্নাম হয়ে যায়।💔
— সাজেদা আক্তার রিমা
আসলেই কথাটা সত্যি বিয়ে একটা মেয়ের জীবন পুরোপুরি চেন্জ করে দেই। যারা এখনো বিয়ে করেন নি তারা ভালো আছেন।