25/11/2023
ফুরোমন পাহাড়, রাঙামাটি।
ফুরোমন অর্থ মাটি ফুড়ে উঠা পাহাড়।এই পাহাড় মাটি ফুড়ে উঠছে বলে বিশ্বাস করে স্থানীয় আদিবাসী চাকমারা।
রাঙামাটি শহরের অদূরে ফুরোমোন পাহাড় এর অবস্থান। এই পাহাড় এক হাজার ৫১৮ ফুট উঁচু।
ফুরোমন এর চূড়ায় দেখা মেলে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের। পুরো রাস্তাটা ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ি বাঁক, খাড়া পাহাড়। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে আনুমানিক ২/৩ হাজার ফিট উঁচুতে, প্রায় ৪০০ ধাপ খাড়া সিঁড়ি বেয়ে আপনি পেয়ে যাবেন এক সমুদ্র নির্জনতা এই পাহাড়ের চূড়ায়। নির্জন পরিবেশ আর কাপ্তাই হ্রদের বিশাল জলরাশির দেখা মেলে এ পাহাড় থেকে।এই পাহাড়ের পূর্বে কাপ্তাই হ্রদের বিশাল নীল জলরাশি। ফুরোমনের চূড়া থেকে পাখির চোখে দেখা যায় এই লেকের বিস্তৃত জলরাশি। নীল জলরাশির কাপ্তাই লেক, স্বচ্ছ নীলাভ জল আর বিস্তৃত আকাশ দেখে আপনার মনে হতে পারে পাহাড়ের মধ্যে সমুদ্রের তীরে পৌঁছে গেছেন। শীতল বাতাস ছুঁয়ে থাকে লেকের নীল জল, পাহাড় পেরিয়ে কাছে-দূরে কেবল নীল জলরাশি। জলরাশির মধ্যভাগে জেগে থাকে ছোট ছোট সবুজ দ্বীপ। ছোট ছোট ডিঙি নৌকা ছুটে চলছে জলের বুকে। আর দূরে যাত্রী বোঝাই করা দোতলা কাঠের লঞ্চ। এই পুরো সৌন্দর্যটাই এক লহমায় দেখে নিতে পারবেন ফুরোমন এর চূড়া থেকে।
এই পাহাড়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে চট্টগ্রাম শহর, বন্দরে ভাসমান জাহাজের মাস্তুল। তার সঙ্গে দেখে নিতে পারবেন সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত এর অপার্থিব সৌন্দর্য। নৈসর্গিক এই সৌন্দর্যের সবটুকুরই দেখা মিলবে ফুরোমন পাহাড়ের চূড়ায়।
সবুজ পাহাড় আর নীল আকাশে মেঘের মিতালি ঘটে ফুরোমোন পাহাড়ে। চারিদিকে ঝিঁঝি পোকার ডাক, প্রজাপতির স্বাধীন আস্ফালন, বুনোপোকাদের ব্যস্ততা, হাজার বছরের পাতাঝরা গাছের উত্তলিত আহবান। অপার সৌন্দর্যে হারাতে আর কি লাগে! সামনে পুরো রাঙ্গামাটি জেলা, নানিয়ারচর, লোগাং। এখানে বাতাস আর নীরবতার খেলা চলে সর্বক্ষণ।
এই পাহাড় চূড়ায় আছে একটি বৌদ্ধ মন্দির। ঠিক যেন মনে হয় এই মেঘের দেশে প্রকৃতির মায়ায় গৌতম বুদ্ধ নীরব হয়ে বসে থাকেন।
https://fb.watch/owjiKKwBdU/?mibextid=Nif5oz