27/08/2025
আরও এক করুণ ট্র্যাজেডি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কে!
লাগেজের পাশে রক্তাক্ত পোশাকে পড়ে আছেন এক সুপ্রিম কোর্টের তরুণ আইনজীবী, ব্যারিস্টার!
আর মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরেই ছিল সেই স্বপ্নের কক্সবাজার। সারা দেশের মানুষ জীবনে অন্তত একবার যেখানে ঘুরতে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।
কিন্তু যাওয়া হলো না।
চোখের সামনে নিভে গেল তাঁর একমাত্র মেয়ের প্রাণ।
স্ত্রী এখনো আইসিইউতে লড়ছেন মৃত্যুর সঙ্গে।
প্রশ্ন জাগে-
দোষ কার?
গাড়ির? ড্রাইভারের? রাস্তার?
নাকি সেই সরকারের, যারা বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও এই সড়ককে আধুনিক রূপ দিতে পারেনি?
এই সড়ক দিয়েই ৬৩ জেলা থেকে গাড়ি ছুটে আসে প্রতিদিন।
এই রাস্তায় পরিবাহিত হয় দেশের ৯০% লবণ।
আমি নিজেও দু'বার বিনা কারনে গাড়ি নিয়ে স্লিপ করে রাস্তা থেকে নেমে যেতে যেতে বেঁচে গেছি, কারণ খুঁজে পাইনি তখন পরে শুনেছি লবন এবং তার চুয়ে পরা পানি নাকি ভয়ংকর হতে পারে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সমান ট্রাফিক লোড থাকা সত্ত্বেও, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক আজও পড়ে আছে অবহেলায়। হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায়ে মেঘা রেল প্রজেক্ট হলেও রাস্তা যেনো তেমন ফায়দাময়ান্দ প্রজেক্ট নয়! আর দেশের জনসংখ্যা কি দু'চারশো মরলেও এমন কী'ইবা কমবে! এটা নিয়ে তাই এত ভাবার কি আছে! লাখ লাখ লোকের আগমন আর হাজার হাজার লোকের রিযিক যেই কক্সবাজারের সাথে জড়িত তা যেনো আজ জীবন্ত মৃত্যু ফাঁদ!
প্রতিদিন বাড়ছে দুর্ঘটনার সংখ্যা, প্রতিদিন ঝরছে প্রাণ।
কিন্তু কর্ণপাত করছে কে?
🔘আর কত রক্ত ঝরতে হবে?
🔘আর কত সন্তানকে হারাতে হবে?
🔘আর কত মৃত্যুর মিছিল যোগ হলে এই সড়ক হবে নিরাপদ, যুগোপযোগী ৬ লেন মহাসড়ক?
আর মার্সা পরিবহন এবং তার বাস স্টাফদের বিষয়ে বহু যাত্রীদের নানান অভিযোগ আছে, কে শোনে কার কথা, কার কাছে কোথায় অভিযোগ দিলে কাজ হবে স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরেও দেশের যাত্রীরা সে গন্তব্য আজও খুঁজে পায়নি।