Sohrab's-শব্দতরী Bookshop

Sohrab's-শব্দতরী Bookshop Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Sohrab's-শব্দতরী Bookshop, Chittagong.

📚Sohrab’s-শব্দতরী Bookshop
বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্যের উপন্যাস, ইসলামিক বই, ইতিহাস, জীবনী, ও শিশু-কিশোর উপযোগী বই—সব কিছু একসাথে, ঘরে বসেই!

✅ অনলাইন ভিত্তিক বুকশপ
🚚 হোম ডেলিভারি সারা বাংলাদেশে
📦 বিশ্বস্ততা ও সময়মতো ডেলিভারির অঙ্গীকার (ইনশাআল্লাহ)

📚  #বুকরিভিউ বই : নেক্সাসলেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন সংক্ষিপ্ত কাহিনিবাস্টার্ড সিরিজের তৃতীয় বই “নেক্সাস” শুরু হয় এক রহ...
07/09/2025

📚 #বুকরিভিউ

বই : নেক্সাস
লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন

সংক্ষিপ্ত কাহিনি
বাস্টার্ড সিরিজের তৃতীয় বই “নেক্সাস” শুরু হয় এক রহস্যময় খুনের মধ্য দিয়ে। সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের টয়লেটে জুনিয়র ক্লার্ক হাসানের লাশ উদ্ধারের তদন্তে নামে হোমিসাইড বিভাগের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। প্রথম থেকেই তার মনে হয় ঘটনাটি কোনো সাধারণ হত্যা নয়, বরং এর পেছনে কাজ করছে কোনো পেশাদার খুনি।

তদন্তের অগ্রগতির সাথে সাথে সামনে আসে একের পর এক চমকপ্রদ টুইস্ট। হাসানের ডায়েরি থেকে জানা যায় তার সম্পর্ক ছিল হোমমিনিস্টারের ছেলে তুর্য-এর সঙ্গে, আর সেই সূত্রেই খুনের ঘটনাটি ঘনীভূত হয়।

এদিকে তুর্যের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া নতুন এক রহস্য তৈরি করে। অন্যদিকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্ল্যাক রঞ্জু আবারও অন্ধকার জগতের খেলায় নেমে পড়ে। তার লক্ষ্য হয়ে ওঠে বাস্টার্ড। কিন্তু বাস্টার্ডের চালাকিতে উল্টো ফাঁদে পড়ে যায় রঞ্জুই।

সবশেষে, জেফরির নেতৃত্বে তদন্ত দল এক লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে তুর্য, আনিকা ও বাস্টার্ডের প্রেমিকা উমাকে—যেখানে মিলেমিশে যায় ষড়যন্ত্র, খুন, অপহরণ আর প্রতিশোধের গল্প।

লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন তাঁর স্বকীয় ভঙ্গিতে এখানে আবারও দেখিয়েছেন চরিত্র নির্মাণের দক্ষতা। জেফরি বেগ, ব্ল্যাক রঞ্জু, বাস্টার্ড কিংবা উমা—প্রতিটি চরিত্রই নিজের মতো করে প্রভাব ফেলেছে কাহিনিতে। বিশেষ করে রঞ্জু ও বাস্টার্ডের দ্বন্দ্ব বইটিকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।

সিরিজের আগের বই “কন্ট্রাক্ট” পড়ার পর “নেক্সাস”-এ ঢুকলে বোঝা যায় লেখক ধীরে ধীরে গল্পকে আরও বড় ষড়যন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

সার্বিকভাবে
“নেক্সাস” শুধু একটি থ্রিলার নয়, বরং এটি একটি অন্ধকার জগতের সংযোগসূত্র (nexus) উন্মোচনের গল্প। টানটান উত্তেজনা, চমকপ্রদ টুইস্ট আর শক্তিশালী চরিত্র বিন্যাসের কারণে এটি নিঃসন্দেহে বাস্টার্ড সিরিজের অন্যতম সেরা সংযোজন।

থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।

📚  #বুকরিভিউ বইয়ের নামঃ কেউ কেউ কথা রাখেলেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনধরনঃ রোম্যান্টিক থ্রিলার সংক্ষিপ্ত কাহিনিঅস্থির সময়ের...
06/09/2025

📚 #বুকরিভিউ

বইয়ের নামঃ কেউ কেউ কথা রাখে
লেখকঃ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন
ধরনঃ রোম্যান্টিক থ্রিলার

সংক্ষিপ্ত কাহিনি

অস্থির সময়ের প্রেক্ষাপটে ঘটে যাওয়া এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘিরেই গল্পের শুরু। সদ্য বিবাহিত মিলিকে রাতের অন্ধকারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। স্বামী মিনহাজ আহমেদ ছিলেন একজন ব্যাংকার, যিনি স্বাভাবিক জীবন শুরু করেছিলেন মিলির সঙ্গে। কিন্তু মিলির মৃত্যু সবকিছু ওলটপালট করে দেয়।

খুনের রহস্য উদঘাটনে নামে দুই ভিন্ন স্বভাবের পুলিশ অফিসার। প্রথমে সন্দেহের তীর যায় এক পরিচিত মুখের দিকে, কিন্তু ঘটনাগুলো একের পর এক মোড় নিতে থাকে। কেসের কোনো সঠিক মীমাংসা হয় না, বরং উল্টোদিকে জড়িয়ে যায় অফিসার হায়দার সাহেব ও লেখক নিজে।

রহস্যের জট ছাড়াতে গিয়েই মৃত্যুর শিকার হন হায়দার সাহেব। কে তাকে খুন করলো? মিলির আসল হত্যাকারীই বা কে? কেন এত কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েও খুনিকে ধরা গেল না?

দীর্ঘ দুই যুগ পর লেখক আবার ফিরে আসেন এই অসমাপ্ত ঘটনার রহস্য উন্মোচনে। স্মৃতিভরাক্রান্ত হয়ে খুঁজতে থাকেন সত্য। শেষমেশ এমন এক চমকপ্রদ সত্যের সামনে দাঁড়াতে হয়, যা তার ব্যক্তিগত জীবনকেও তছনছ করে দেয়। নিজের জীবনের ভালোবাসার মানুষটিকেও হারাতে হয় তাকে।

খুনের আসল রহস্য জানতে আর লেখকের যাত্রা কিভাবে শেষ হয় সেটা জানতে হলে বইটা অবশ্যই পড়তে হবে।

বইছবি সংগ্রহীত।

📚  #বুকরিভিউ বইয়ের নাম: কসমোজাহিলেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন ধরন: ক্রাইম থ্রিলার কাহিনি সংক্ষেপ:গরীবে নেওয়াজ— এক পুলিশ অফ...
05/09/2025

📚 #বুকরিভিউ

বইয়ের নাম: কসমোজাহি
লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন
ধরন: ক্রাইম থ্রিলার

কাহিনি সংক্ষেপ:
গরীবে নেওয়াজ— এক পুলিশ অফিসার। ঢাকা শহরে দায়িত্ব পালনের সময় এক মামলায় সামান্য ভুলের কারণে তাকে ট্রান্সফার করে পাঠানো হয় কক্সবাজারে। সেখানে গিয়ে শুরু হয় আরও ভয়ংকর রহস্যময় সব ঘটনা।

একজন মার্কিন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। কিন্তু এখানেই শেষ নয়— ঘটে জোড়া খুনের ঘটনা। উপর মহলের প্রচণ্ড চাপের মাঝে নেওয়াজকে বের করতে হয় আসল খুনিকে। কিন্তু তদন্ত যত এগোয়, সামনে আসতে থাকে অদ্ভুত সব প্রশ্ন।

যেমন—
একজন বিদেশি নাগরিককে হত্যা করার পেছনে আসল উদ্দেশ্য কী ছিল?
আর বিচে পাওয়া আরেকজনের লাশ, যার কাছে পিস্তল ছিলো— সে কিভাবে খুন হলো, অথচ শরীরে একটিও আঘাতের দাগ নেই?

এই প্রশ্নগুলোর জট খুলতে গিয়ে নেওয়াজকে প্রবেশ করতে হয় এক অন্ধকার জগতে, যেখানে মাদক, নারী, ছিনতাই ও ইয়াবা ব্যবসার মতো ভয়ংকর বাস্তবতা জড়িয়ে আছে।

পাঠ প্রতিক্রিয়া:
কসমোজাহি শুধু একটি ক্রাইম থ্রিলার নয়, বরং নেশার চক্র কতটা ভয়াবহ হতে পারে তারও নির্মম প্রতিচ্ছবি। লেখক তুলে ধরেছেন—

কীভাবে স্বাভাবিক পরিবারের সন্তানরাও মাদক আর খারাপ সঙ্গের কারণে ধীরে ধীরে অপরাধ জগতে পা বাড়ায়।

বন্ধুত্বের নামে গড়ে ওঠা পাঁচজন ছেলের দল কীভাবে নেশা, নারী আর অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।

এই অন্ধকার দুনিয়া থেকে মুক্তি পাওয়া কতটা কঠিন, আর শেষ পরিণতিটা কতটা ভয়াবহ।

গল্পে যেমন রয়েছে টানটান উত্তেজনা আর রহস্য, তেমনি আছে বাস্তব জীবনের কড়া সত্যের প্রতিচ্ছবি। পাঠককে বারবার ভাবাবে— "শেষে এই ছেলেদের ভাগ্যে কী ঘটলো? তারা কি বাঁচতে পারবে, নাকি ভয়ংকর পরিণতির মুখোমুখি হবে?"

যারা ক্রাইম থ্রিলার ভালোবাসেন, আর গল্পের ভেতর দিয়ে সমাজের অন্ধকার বাস্তবতা জানতে চান— তাদের জন্য বইটি হতে পারে এক দারুণ অভিজ্ঞতা।

বইছবি:- সংগ্রহীত।

📖  #বুকরিভিউ বইয়ের নাম: কন্ট্রাক্ট লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীনজনরা: ক্রাইম, থ্রিলার, পলিটিক্যাল ষড়যন্ত্র কাহিনি সংক্ষেপগ...
04/09/2025

📖 #বুকরিভিউ

বইয়ের নাম: কন্ট্রাক্ট
লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন
জনরা: ক্রাইম, থ্রিলার, পলিটিক্যাল ষড়যন্ত্র

কাহিনি সংক্ষেপ

গল্পের শুরু পাঁচ লক্ষ টাকার এক ফোনকল থেকে। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে থাকে ভয়ংকর এক ষড়যন্ত্র—যা দেশের রাজনীতির চালই পাল্টে দিতে পারে! আর পুরো ঘটনার মূলে রয়েছে দেশের অন্যতম ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ ব্ল্যাক রঞ্জু।

রঞ্জুকে খুন করার জন্য ভাড়া করা হয় পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে। সময় দেওয়া হয় মাত্র ২ সপ্তাহ। শুরু হয় এক ভয়াবহ শিকারের খেলা। রঞ্জুর সহযোগীদের (সুলতান, লেডি গিয়াস, মিনা) সূত্র ধরে বাস্টার্ড খুঁজে পায় রঞ্জুর অবস্থান—কলকাতায়।

অন্যদিকে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের প্রধান তদন্তকারী জেফরি বেগ এই খুনের তদন্তে নামে। যতবারই তারা কাছে পৌঁছায়, ততবারই খুনি যেন আগেভাগেই বুঝে পালিয়ে যায়। এতে সন্দেহ হয়—পেছনে হয়তো অন্য কোনো গোয়েন্দা সংস্থার হাত আছে। কিন্তু সত্যটা আরও ভয়াবহ—এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র, আর সেই ষড়যন্ত্রের কেন্দ্রে রঞ্জু।

এদিকে বাস্টার্ডের জীবনে আসে উমা—যার হাতে লেডি গিয়াস ও মিনার রক্ত লেগে আছে। অথচ তাকে ঘিরেই বাস্টার্ডের ভেতরে তৈরি হয় এক অদ্ভুত মমত্ব।

তদন্ত এগোতে গিয়ে জেফরি বেগ আবিষ্কার করে—বাস্টার্ড আসলে সেই কুখ্যাত খুনি, যে লেখক জায়েদ রহমানকে খুন করেছিল। পুরনো প্রতিশোধের আগুনে জ্বলতে থাকা এক ভয়ংকর মানুষ, যে বেঁচে গেছে জেফরির হাত থেকে।

প্ল্যানমাফিক ব্ল্যাক রঞ্জুকে খুন করতে গিয়ে বাস্টার্ড বুঝতে পারে, যাকে সে হত্যা করেছে সে আসল রঞ্জু নয়। আর ঠিক তখনই চূড়ান্ত মুখোমুখি সংঘর্ষে ধরা পড়ে ব্ল্যাক রঞ্জু ও বাস্টার্ড দুজনেই।

তখনই উন্মোচিত হয়—এই হত্যার পেছনে শুধু চাঁদাবাজি নয়, লুকিয়ে আছে অনেক বড়ো ষড়যন্ত্র, যা রাষ্ট্র ও ক্ষমতার খুঁটি নাড়িয়ে দিতে পারে।

আর এই গল্পেই উঠে আসে—কীভাবে এক সাধারণ বাবলু পরিণত হলো নির্মম ভাড়াটে খুনি বাস্টার্ডে।

সার্বিক মূল্যায়ন

“কন্ট্রাক্ট” শুধু ভাড়াটে খুনি আর সন্ত্রাসীর গল্প নয়, বরং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র, প্রতিশোধ আর অন্ধকার জগতের এক রোমহর্ষক চিত্র।

রেটিং: ৪.৪/৫

📖  #বুক_রিভিউ বইয়ের নাম: বাটারফ্লাই ইফেক্টলেখক: আমিনুল ইসলামজনরা: ক্রাইম, মিস্ট্রি, থ্রিলারপৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩০ কাহিনি সংক...
04/09/2025

📖 #বুক_রিভিউ

বইয়ের নাম: বাটারফ্লাই ইফেক্ট
লেখক: আমিনুল ইসলাম
জনরা: ক্রাইম, মিস্ট্রি, থ্রিলার
পৃষ্ঠা সংখ্যা: ২৩০

কাহিনি সংক্ষেপ

গল্পের শুরু ২০০৭ সালে, যখন ডিবি পুলিশের কর্মকর্তা নিজাম সাহেবের মানিব্যাগ চুরির ঘটনায় বিনা দোষে জেলে যেতে হয় তাদের বাড়ির কাজের বুয়াকে। অথচ প্রকৃত অপরাধী ছিল নিজাম সাহেবের ছেলে সাব্বির।

তারপর সময় গড়িয়ে আসে ২০১৯ সালে। অফিসের বস ইকবাল খানের সাথে ঝগড়ার জেরে একসময় সাব্বির জড়িয়ে পড়ে হত্যার মামলায়। এদিকে আরেকটি খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয় হিমেল।

তদন্ত করতে গিয়ে ক্রাইম কনসালটেন্ট অর্ক বুঝতে পারে—এগুলো একক কোনো হত্যাকাণ্ড নয়, বরং একটি সিরিয়াল কিলিংয়ের অংশ। প্রতি তিন মাস অন্তর, রাত ৯টার পর ঘটে যাওয়া এসব খুনের পেছনে লুকিয়ে আছে অতীতের এক ভয়ংকর রহস্য।

সঙ্গে যোগ হয় সিক্রেট সার্ভিসের গোপন মিশন, আন্ডারকভার অপারেশন আর পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে চলতে থাকা এক মাস্টারপ্ল্যান। অর্ক নিজেও একসময় জড়িয়ে পড়ে সেই সিরিয়াল কিলারের খেলায় এবং তাকেও মুখোমুখি হতে হয় জেলের দেয়াল।

কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—

এত বড় পরিকল্পনার নেপথ্যে কে?

কীভাবে একের পর এক খুন ঘটছে পুলিশের চোখের সামনেই?

অতীতের কোন ঘটনার প্রতিশোধ এভাবে চলছে?

পাঠ প্রতিক্রিয়া

আমিনুল ইসলামের "বাটারফ্লাই ইফেক্ট" গডফাদার সিরিজের প্রথম বই। লেখকের প্রথম প্রকাশিত বই হওয়া সত্ত্বেও এর প্লট যথেষ্ট শক্তিশালী ও আকর্ষণীয়।

যা ভালো লেগেছে:

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা।

একের পর এক টুইস্ট, যা পাঠককে ধরে রাখবে।

কাহিনির ভেতরে আন্ডারকভার মিশন এবং সিরিয়াল কিলিংয়ের থ্রেড যোগ হওয়ায় রহস্য আরও গভীর হয়েছে।

লেখনী সাবলীল ও সহজবোধ্য।

যা কিছুটা কমতি লেগেছে:

মাঝে মাঝে লেখায় তাড়াহুড়োর ছাপ চোখে পড়ে।

চরিত্রগুলোর আরও ডিটেইল ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে পাঠক বেশি সংযুক্ত হতে পারতেন।

🎯 সার্বিক মূল্যায়ন

“বাটারফ্লাই ইফেক্ট” নিঃসন্দেহে একটি সফল ক্রাইম থ্রিলার। যারা সিরিয়াল কিলিং, সাসপেন্স আর টুইস্ট পছন্দ করেন তাদের জন্য এই বইটা। লেখকের প্রথম কাজ হয়েও পাঠকের মনে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে।

⭐ রেটিং: ৪.৩/৫

📚 বুক রিভিউবইয়ের নাম: কনফেশনলেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন সংক্ষিপ্ত কাহিনী:গল্পের শুরুতেই তীব্র অ্যাকশন—কাকরাইল মোড়ে ঘটে য...
03/09/2025

📚 বুক রিভিউ

বইয়ের নাম: কনফেশন
লেখক: মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন

সংক্ষিপ্ত কাহিনী:
গল্পের শুরুতেই তীব্র অ্যাকশন—কাকরাইল মোড়ে ঘটে যায় নির্মম খুন, আর এহসান চৌধুরীর ছোট মেয়ে দিহানকে কিডন্যাপ করা হয়। তদন্তে নামে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের ইন্সপেক্টর জেফরি বেগ। কিন্তু দিহানের মা আনিকা বিশ্বাস রাখেন না পুলিশের ওপর, বরং ভরসা রাখেন আরেকজনের ওপর—যে মানুষটিকে সবাই “বাস্টার্ড” নামে ভয় পায়, অথচ সে-ই আনিকার হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষ, বাবলু।

তদন্তের সূত্রে বেরিয়ে আসে গৃহকর্মী সবুজের জড়িত থাকা, এক পর্যায়ে কিডন্যাপারের আস্তানাও ধরা পড়ে। দিহানকে উদ্ধার করা গেলেও মুখোমুখি হয় জেফরি বেগ ও বাস্টার্ড। এরপর শুরু হয় মূল গল্প—হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টে বসে বাস্টার্ডের ভয়ংকর কনফেশন। বাবলু নামের সহজ-সরল এক তরুণ কীভাবে হয়ে ওঠে কুখ্যাত খুনি ‘বাস্টার্ড’—সেই কাহিনী পাঠককে শিহরিত করে।

শেষের দিকে নাটকীয় মোড়—জেফরির হাত থেকে পালিয়েও যায় বাস্টার্ড, আবার মুহূর্তের মধ্যে ধরা পড়ে এক অপ্রত্যাশিত ফোনকলের সূত্র ধরে।

রিভিউ:

মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন থ্রিলার লেখায় যে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করেন, কনফেশন তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। গল্পের টোন একেবারেই সিনেমাটিক—শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টানটান উত্তেজনা বজায় থাকে। চরিত্রগুলো জীবন্ত, বিশেষ করে জেফরি বেগ আর বাস্টার্ডের টানাপোড়েন পাঠককে গভীরভাবে ছুঁয়ে যায়।

সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক হলো, লেখক শুধু কিডন্যাপ বা পুলিশি তদন্তের গল্প বলেননি, বরং একজন সাধারণ ছেলে কীভাবে সময় আর পরিস্থিতির শিকার হয়ে “ভিন্ন মানুষে” পরিণত হয়, সেটাও নিখুঁতভাবে দেখিয়েছেন। প্লটের প্রতিটি বাঁকে টুইস্ট আছে, যা পাঠককে এক বসাতেই বই শেষ করতে বাধ্য করে।

যা ভালো লেগেছে:

দ্রুত গতির কাহিনী, একদম সময় নষ্টের সুযোগ নেই।

বাস্টার্ড চরিত্রের ব্যাকস্টোরি অসাধারণ।

পুলিশি তদন্ত আর চোর-পুলিশের খেলা পাঠককে দম নিতে দেয় না।

সর্বশেষ কথা:
কনফেশন শুধু একটি থ্রিলার নয়, এটি এক মানুষের অন্ধকার পথে যাত্রার নির্মম দলিল। থ্রিলারপ্রেমী এবং নাজিম উদ্দীনের ভক্তদের জন্য বইটি নিঃসন্দেহে “অবশ্যপাঠ্য”।

⭐ রেটিং: ৪.৫/৫

📖 বুক রিভিউবই: মন্ত্রী বিসর্জনলেখক: আমিনুল ইসলামপ্রকাশনী: বর্ণলিপিপৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬২ কাহিনী সংক্ষেপআকাশ ও অয়ন—দুজন ছেলেবে...
02/09/2025

📖 বুক রিভিউ

বই: মন্ত্রী বিসর্জন

লেখক: আমিনুল ইসলাম

প্রকাশনী: বর্ণলিপি

পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬২

কাহিনী সংক্ষেপ

আকাশ ও অয়ন—দুজন ছেলেবেলার বন্ধু। দুজনেরই মিল আছে দাবার প্রতি অদম্য ভালোবাসায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত দাবা প্রতিযোগিতায় দুজনেই অংশ নেয় এবং সেখানে অয়ন জয়ী হয়। যদিও দাবার পাঠক ছিল আকাশ, তবু ঠাণ্ডা মাথার খেলার কারণে অয়ন এগিয়ে যায়।

খেলাধুলার পর হঠাৎ অয়নের মোবাইলে এক কল আসে, আর তারপরেই সবকিছু ওলটপালট হয়ে যায়। ফোনের ওপাশ থেকে পাওয়া খবরের ঝড় মুহূর্তেই ভেঙে দেয় তাদের বন্ধুত্বের স্বাভাবিক ছন্দ। জানা যায় আকাশের বড় ভাই রিপন অয়নের বোনের উপর ভয়াবহ অত্যাচার করেছে। সকালে খবর আসে রিপন খুন হয়েছে!

পুলিশ তদন্ত শুরু করলে অয়নকেই অভিযুক্ত করা হয়—সে নাকি বোনের উপর হওয়া অন্যায়ের প্রতিশোধ নিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি অয়ন খুনি? নাকি অন্য কোনো অজানা রহস্য লুকিয়ে আছে রিপনের মৃত্যুর আড়ালে? রহস্য উন্মোচনের জন্যই পড়তে হবে মন্ত্রী বিসর্জন।

পাঠ প্রতিক্রিয়া

"মন্ত্রী বিসর্জন" নামটি একেবারেই যথার্থ, কারণ এর প্রতিটি অধ্যায় নামের সাথে সাযুজ্য রেখে এগিয়েছে। কাহিনী ছোট হলেও টানটান উত্তেজনা ধরে রাখে। লেখক আমিনুল ইসলাম খুব সহজ ভাষায় জটিল এক ঘটনা ফুটিয়ে তুলেছেন। পাঠকের মনে প্রশ্ন জাগায়—মানুষ প্রতিশোধ নিতে কতদূর যেতে পারে? আবার কি সবকিছু চোখে দেখা মতোই সরল?

পারসোনাল রেটিং

⭐ ৯/১০

📚  #বইরিভিউ  📚ব‌ইয়ের নাম   :- দ্য নেম অব দ্য গেম ইজ অ্যা কিডন্যাপিংলেখক          :- কেইগো হিগাশিনোঅনুবাদ         :- বিম...
02/09/2025

📚 #বইরিভিউ 📚

ব‌ইয়ের নাম :- দ্য নেম অব দ্য গেম ইজ অ্যা কিডন্যাপিং
লেখক :- কেইগো হিগাশিনো
অনুবাদ :- বিমুগ্ধ সরকার রক্তিম
ধরন :- ক্রাইম থ্রিলার
প্রকাশনী :- ভূমি প্রকাশ
পৃষ্ঠা সংখ্যা :- ৩৪০

বই রিভিউ

কেইগো হিগাশিনোর লেখা মানেই সাসপেন্স আর মনস্তাত্ত্বিক খেলার এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। এই বইটিও তার ব্যতিক্রম নয়।

প্রধান চরিত্র সাকুমা একজন দক্ষ অ্যাড এজেন্ট। কর্মক্ষেত্রে হোক বা প্রেমে—সে সবকিছুকেই খেলা মনে করে, আর সেই খেলায় হার তার অভিধানেই নেই। কিন্তু নিসেই কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট কাতসুরাগির কাছে অপমানিত হওয়ার পর তার জীবনে শুরু হয় নতুন খেলা—কিডন্যাপিং।

ঘটনাচক্রে কাতসুরাগির কন্যা জুরি’র সাথে সাকুমার এক হওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। এখানেই গল্পে আসে নতুন মোড়। প্রেম, প্রতিশোধ আর কৌশলের মিশ্রণে কিডন্যাপিংয়ের এই খেলা হয়ে ওঠে আরও বেশি জটিল।

বইটা শুরুতে ধীর গতিতে এগোয়, কিন্তু কয়েক পৃষ্ঠা পরেই টানটান উত্তেজনা আর সাসপেন্স তৈরি হয়। গল্পের মোড় নেওয়া আর টুইস্টগুলো একেবারেই অপ্রত্যাশিত। বিশেষ করে শেষের দিকের টুইস্টগুলো মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো, যা পাঠককে হতবাক করে দেবে।

কিডন্যাপিংয়ের গল্প হলেও এখানে আসল খেলা হলো কৌশল, ক্ষমতা আর প্রতিশোধের লড়াই।

বইয়ের নামের মতোই, আসল খেলার নিয়ন্ত্রণ কার হাতে—তা জানতে হলে পড়তে হবে একদম শেষ পর্যন্ত।

চূড়ান্ত মতামত

“দ্য নেম অব দ্য গেম ইজ অ্যা কিডন্যাপিং” সাধারণ ক্রাইম থ্রিলার নয়। এখানে কাহিনির সাথে সাথে মানুষের অহংকার, প্রতিশোধ, প্রেম আর মানসিক লড়াইও দারুণভাবে উঠে এসেছে। শেষ পৃষ্ঠায় গিয়ে বোঝা যায়—আসল খেলা হলো বিশ্বাস আর বিশ্বাসঘাতকতা।

রেটিং : (৪.৫/৫)

01/09/2025

কবর'ই তো তোমার ঠিকানা গালিব! অন্তত কিছু ইবাদত করো প্রবাদ আছে যে, কারো বাড়িতে খালি হাতে যেতে নেই!😔
~মির্জা গালিব🌼💙

📖  #বইরিভিউ  : নাওকোলেখক: কেইগো হিগাশিনোঅনুবাদ: মাইসা ইসলামপ্রকাশনী: উৎকর্ষ প্রকাশনাকেইগো হিগাশিনো সাধারণত রহস্য, হত্যা,...
01/09/2025

📖 #বইরিভিউ : নাওকো

লেখক: কেইগো হিগাশিনো
অনুবাদ: মাইসা ইসলাম
প্রকাশনী: উৎকর্ষ প্রকাশনা

কেইগো হিগাশিনো সাধারণত রহস্য, হত্যা, গোয়েন্দাগিরি আর টুইস্টে ভরা কাহিনির জন্য বিশ্বজোড়া জনপ্রিয়। কিন্তু “নাওকো” তাঁর অন্যরকম একটি সৃষ্টি। এখানে নেই কোনো ক্লাসিক মার্ডার মিস্ট্রি বা গোয়েন্দা চরিত্র। আছে এক অদ্ভুত দুর্ঘটনা, এক অস্বাভাবিক মানসিক টানাপোড়েন, আর সম্পর্কের ভেতরে ঢুকে থাকা অমোঘ প্রশ্ন।

গল্পের সংক্ষেপ

হেইসুকে—একজন সাধারণ কর্মজীবী মানুষ, যে স্ত্রী নাওকো আর একমাত্র মেয়ে মোনামিকে নিয়েই সুখী। কিন্তু হঠাৎ এক ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা তার সবকিছু ওলট-পালট করে দেয়।

দুর্ঘটনায় স্ত্রী নাওকো মারা যায়, আর মেয়ে মোনামি কোমায় চলে যায়। কোমা থেকে জেগে ওঠার পর মোনামি দাবি করতে থাকে—সে আসলে মোনামি নয়, বরং নাওকো! অদ্ভুত ব্যাপার হলো, মেয়েটির কাছে নাওকোর সমস্ত স্মৃতি, অভ্যাস, আচরণ এমনকি ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও অক্ষত অবস্থায় উপস্থিত।

ফলে হেইসুকের জীবন আটকে যায় এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বে—সে কি এই মানুষটিকে নিজের মেয়ের মতো দেখবে, নাকি স্ত্রীর মতো? ভালোবাসা, দায়িত্ব আর সম্পর্কের সীমারেখা কোথায় গিয়ে মিলেমিশে যায়, আর কোথায় আলাদা হয়ে যায়, সেটিই মূল দ্বন্দ্ব।

ভালো লাগার দিক

গল্পে গভীর আবেগ আছে, যা পাঠককে নাড়া দেয়।

হিগাশিনোর লেখনী সহজ, অথচ মানসিক টানাপোড়েন ভীষণ বাস্তব মনে হয়।

সাধারণ পারিবারিক জীবনের ভেতর থেকেও তিনি এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তুলে এনেছেন, যা পাঠককে ভাবতে বাধ্য করে।

সীমাবদ্ধতা

যারা শুধুই থ্রিলার বা খুন-খারাবির রহস্য চান, তাদের কাছে এটি ধীরগতি ও বেশি আবেগপ্রবণ লাগতে পারে। গল্পের মূল ফোকাস মনের ভেতরের দ্বন্দ্ব, কোনো রোমাঞ্চকর তদন্ত নয়।

⭐ রেটিং — ৪.৫/৫

📚  #বইরিভিউ নাম: এ ডেথ ইন টোকিওলেখক: কেইগো হিগাশিনোঅনুবাদক: সালমান হক, ইশরাক অর্ণবপ্রকাশক: শিরোনাম প্রকাশনধরণ: রহস্য, থ্...
31/08/2025

📚 #বইরিভিউ

নাম: এ ডেথ ইন টোকিও

লেখক: কেইগো হিগাশিনো

অনুবাদক: সালমান হক, ইশরাক অর্ণব

প্রকাশক: শিরোনাম প্রকাশন

ধরণ: রহস্য, থ্রিলার

সংক্ষিপ্ত কাহিনি

টোকিওর প্রাণকেন্দ্রে, নিহোনবাশি ব্রিজের নিচে বিখ্যাত কিরিন ভাস্কর্যের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির দেহ। শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ স্পষ্ট নয়।

কিছুক্ষণ আগে টহল পুলিশ তাকে টলতে টলতে হাঁটতে দেখেছিল। কিন্তু ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু ঘটল?

অন্যদিকে, পুলিশের কাছ থেকে পালানোর সময় ইয়াশিমা নামের এক যুবক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। আশ্চর্যজনকভাবে তার পকেট থেকে পাওয়া যায় মৃত ব্যক্তির মানিব্যাগ। স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহের তীর যায় তার দিকে। কিন্তু তদন্ত যত এগোয়, রহস্যও তত গভীর হয়। ইয়াশিমা কি সত্যিই খুনি, নাকি অন্য কোনো অজানা ষড়যন্ত্রের শিকার?

ডিটেকটিভ কিয়োচিরো কাগা মামলাটি হাতে নিয়ে একে একে খুঁজে বের করতে থাকেন সত্যের টুকরো টুকরো সূত্র। প্রতিটি উত্তরই আবার নতুন প্রশ্নের জন্ম দেয়—মৃত্যুর আসল কারণ কী? নিহত ব্যক্তি ওই জায়গায় এসেছিলেন কেন? আর এই কেসের সঙ্গে ইয়াশিমার প্রকৃত সম্পর্ক কতটুকু?

পাঠপ্রতিক্রিয়া

এ ডেথ ইন টোকিও হলো ডিটেকটিভ কাগা সিরিজের চতুর্থ বই। এখানে হিগাশিনো রহস্য, মনস্তত্ত্ব ও মানবিক সম্পর্ককে দারুণভাবে মিলিয়ে দিয়েছেন।

ডিটেকটিভ কাগা অসাধারণ চরিত্র। তার সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা ও যুক্তি নির্ভর চিন্তাভাবনা পাঠককে মুগ্ধ করে। গল্প যত এগোয়, তার ধৈর্য ও বুদ্ধিমত্তা গল্পকে এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়।

ইয়াশিমার চরিত্র বইয়ের অন্যতম শক্তি। সে কি অপরাধী, নাকি নির্দোষ? এই প্রশ্নটি পাঠকের মনে বারবার ফিরে আসে, যা পুরো বই জুড়েই কৌতূহল ধরে রাখে।
,

কারা পড়বেন

রহস্যপ্রেমী ও গোয়েন্দা গল্পের পাঠকরা।
যারা আগে The Devotion of Suspect X বা Malice পড়েছেন এবং পছন্দ করেছেন।
টোকিও শহর ও জাপানি সংস্কৃতির প্রতি আগ্রহ আছে যাদের, তাদেরও ভালো লাগবে।

বিবেচ্য বিষয়

বইটি বিশ্লেষণধর্মী। তাই খুব দ্রুতগতির থ্রিলার চাইলে হয়তো কারও কাছে ধীর মনে হতে পারে।

রেটিং (৪.৫/৫)

এক লাইনে বললে:
👉 রহস্য ভালোবাসেন? তবে এ ডেথ ইন টোকিও আপনাকে টেনে নেবে টোকিওর ব্যস্ত রাস্তায়, এক জটিল হত্যারহস্যের গভীরে।

📖  #বইরিভিউবইয়ের নাম: দ্য রেড ফিঙ্গারলেখক: কেইগো হিগাশিনোরূপান্তর: সালমান হকপ্রকাশনী: শিরোনাম প্রকাশনধরন: মার্ডার মিস্ট্...
31/08/2025

📖 #বইরিভিউ

বইয়ের নাম: দ্য রেড ফিঙ্গার
লেখক: কেইগো হিগাশিনো
রূপান্তর: সালমান হক
প্রকাশনী: শিরোনাম প্রকাশন
ধরন: মার্ডার মিস্ট্রি

রিভিউ

কেইগো হিগাশিনোর লেখার বিশেষত্বই হলো তিনি শুধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখেন না, তিনি লেখেন মানব মনের অন্ধকারতম দিকগুলো নিয়ে। দ্য রেড ফিঙ্গার তার এক অসাধারণ উদাহরণ।

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র আকিও। এক সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষ, যার জীবন স্ত্রী, সন্তান ও বৃদ্ধা মাকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছিল। কিন্তু একদিন অফিস থেকে ফিরে এসে সবকিছু ওলট-পালট হয়ে যায়—বাড়ির উঠোনে পড়ে আছে এক কিশোরীর মৃতদেহ। আরও ভয়ঙ্কর সত্য অপেক্ষা করছে সামনে—হত্যাকারী আর কেউ নয়, আকিওর চৌদ্দ বছরের ছেলে!

এখানেই শুরু হয় মানসিক টানাপোড়েন। স্ত্রী চান ছেলেকে বাঁচাতে, আর আকিওর বিবেক চায় সত্য প্রকাশ করতে। এই দ্বন্দ্বের মাঝেই মঞ্চে প্রবেশ করেন ডিটেকটিভ কিয়োচিরো কাগা—যার সূক্ষ্ম দৃষ্টি আর ঠাণ্ডা মাথার বিশ্লেষণ এড়ানো প্রায় অসম্ভব। তদন্ত যত এগোতে থাকে, পাঠক বুঝতে পারেন এই উপন্যাস শুধু খুনের রহস্য নয়, বরং পরিবার, দায়িত্ব, ভালোবাসা ও নৈতিকতার গভীর প্রশ্নও তুলে ধরে।

কেন পড়বেন?

কাগা সিরিজের অন্যতম শক্তিশালী কাহিনি।

পরিবার ও সমাজের ভেতরের গোপন অন্ধকার দিক উন্মোচন করে।

টানটান উত্তেজনা, কিন্তু শেষে পাওয়া যায় গভীর মানবিক বার্তা।

সারসংক্ষেপ

দ্য রেড ফিঙ্গার নিছক একটি মার্ডার মিস্ট্রি নয়। এটি এমন এক গল্প, যা পাঠককে রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি নিজের ভেতরেও প্রশ্ন খুঁজে নিতে বাধ্য করবে। কেইগো হিগাশিনোর অনবদ্য গল্প বলার কৌশল আর সালমান হকের সাবলীল রূপান্তর বইটিকে করে তুলেছে পাঠ-অবশ্যক।

⭐ রেটিং: ৪.৫/৫

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sohrab's-শব্দতরী Bookshop posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share