07/09/2025
📚 #বুকরিভিউ
বই : নেক্সাস
লেখক : মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন
সংক্ষিপ্ত কাহিনি
বাস্টার্ড সিরিজের তৃতীয় বই “নেক্সাস” শুরু হয় এক রহস্যময় খুনের মধ্য দিয়ে। সেন্ট অগাস্টিন স্কুলের টয়লেটে জুনিয়র ক্লার্ক হাসানের লাশ উদ্ধারের তদন্তে নামে হোমিসাইড বিভাগের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। প্রথম থেকেই তার মনে হয় ঘটনাটি কোনো সাধারণ হত্যা নয়, বরং এর পেছনে কাজ করছে কোনো পেশাদার খুনি।
তদন্তের অগ্রগতির সাথে সাথে সামনে আসে একের পর এক চমকপ্রদ টুইস্ট। হাসানের ডায়েরি থেকে জানা যায় তার সম্পর্ক ছিল হোমমিনিস্টারের ছেলে তুর্য-এর সঙ্গে, আর সেই সূত্রেই খুনের ঘটনাটি ঘনীভূত হয়।
এদিকে তুর্যের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া নতুন এক রহস্য তৈরি করে। অন্যদিকে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাওয়া ব্ল্যাক রঞ্জু আবারও অন্ধকার জগতের খেলায় নেমে পড়ে। তার লক্ষ্য হয়ে ওঠে বাস্টার্ড। কিন্তু বাস্টার্ডের চালাকিতে উল্টো ফাঁদে পড়ে যায় রঞ্জুই।
সবশেষে, জেফরির নেতৃত্বে তদন্ত দল এক লঞ্চ থেকে উদ্ধার করে তুর্য, আনিকা ও বাস্টার্ডের প্রেমিকা উমাকে—যেখানে মিলেমিশে যায় ষড়যন্ত্র, খুন, অপহরণ আর প্রতিশোধের গল্প।
লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন তাঁর স্বকীয় ভঙ্গিতে এখানে আবারও দেখিয়েছেন চরিত্র নির্মাণের দক্ষতা। জেফরি বেগ, ব্ল্যাক রঞ্জু, বাস্টার্ড কিংবা উমা—প্রতিটি চরিত্রই নিজের মতো করে প্রভাব ফেলেছে কাহিনিতে। বিশেষ করে রঞ্জু ও বাস্টার্ডের দ্বন্দ্ব বইটিকে দিয়েছে এক ভিন্ন মাত্রা।
সিরিজের আগের বই “কন্ট্রাক্ট” পড়ার পর “নেক্সাস”-এ ঢুকলে বোঝা যায় লেখক ধীরে ধীরে গল্পকে আরও বড় ষড়যন্ত্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।
সার্বিকভাবে
“নেক্সাস” শুধু একটি থ্রিলার নয়, বরং এটি একটি অন্ধকার জগতের সংযোগসূত্র (nexus) উন্মোচনের গল্প। টানটান উত্তেজনা, চমকপ্রদ টুইস্ট আর শক্তিশালী চরিত্র বিন্যাসের কারণে এটি নিঃসন্দেহে বাস্টার্ড সিরিজের অন্যতম সেরা সংযোজন।
থ্রিলারপ্রেমী পাঠকদের জন্য বইটি অবশ্যপাঠ্য।