01/08/2025
♦ গল্পের নাম: "চা'লাক মা, তা'লাক কন্যা"
♦ একটা ছোট শহরে রোজিনা বেগম নামে এক মহিলা থাকতেন। তিনি ছিলেন খুবই বুদ্ধিমতী, কথায় পাকা, আর সামান্য বিষয়েও নিজের মত চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতেন। তার একমাত্র মেয়ে ছিল সানজিদা। মেয়েটি দেখতে সুন্দর, শিক্ষিত, তবে মা'র প্র'ভাবে একটু বেশি আত্মবিশ্বাসী আর অহং'কারী হয়ে উঠেছিল।
♦ রোজিনা বেগম সবসময় মেয়েকে বলতেন,
– "তোর শ্ব'শুরবাড়ির কেউ যদি তোকে একটু ক'ষ্ট দেয়, সঙ্গে সঙ্গে প্রতি'বাদ করবি! কোনোরকম ছা'ড় দিবি না। আমরা কি কেউ ক'ম নাকি? মনে রাখিস তো'র মা তোর পাশে সবসময় আছে।
♦ সানজিদা বিয়ের পর শ্বশু'রবাড়িতে যায়। স্বামী রাশেদ ছিল সহজ-সরল, ভালো মানুষ, কিন্তু খুব বেশি কথা বলতো না। শ্বশুর-শাশুড়িও ছিলেন শান্ত স্বভা'বের। কিন্তু সানজিদা সেখানে একটু কিছু হলেই মায়ের শেখানো পথে প্রতি'ক্রিয়া দিতো।
♦ একদিন শুধু ডাল পাতলা হয়েছে বলে সে রা'গ করে নিজে রান্নাঘরে গিয়ে ডাল ফেলেই দিল। আরেকদিন স্বামী অফিস থেকে দেরি করে আসায় রে'গে গিয়ে দরজা খুলতে দেয়নি। দিনদিন তার আচরণ এমন হয়ে উঠছিল যেন সবাই তার দা'স।
♦ রাশেদ অনেক চেষ্টা করেও শান্তি আ'নতে পারলো না। কথা বললে ঝগ'ড়া, চুপ থাকলে অপ'মান। এককথায় ডমি'ন্যান্ট যাকে বলে।
♦ কয়েক মাস না যেতেই তা'লাক হয়ে গেল।
♦ রোজিনা বেগম বললেন, – "ওরা তো'কে বুঝতে পারেনি, তু'ই তো ঠিকই ছিলি।"
♦ তারপর দ্বিতীয় বিয়ে হলো। নতুন শ্বশু'রবাড়ি, নতুন স্বামী। কিন্তু একই আচরণ, একই চিন্তা'ধারা। আবারও তা'লাক।
♦ এভাবে একে একে তিনবার বি'য়ে হলো সানজিদার। কিন্তু মায়ের শেখানো চা'লাকি, ত'র্ক, অহং'কার, একচে'টিয়া মনোভাব – সব কিছুই সম্পর্ক ভে'ঙে দিতে লাগলো।
♦ নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য যখন বাসা থেকে দূ'রে চলে গেলো, তখন সানজিদা এ'কা হয়ে গেল, একদিন আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ভাবল,– "সব দো'ষ কি শুধু তাদেরই ছিল? না কি মা’র চা'লাকির চেয়ে একটু ভালোবাসা, ধৈর্য আর ন'ম্রতা শিখলেই জীবনটা অন্যরকম হতো........?
♦ গল্পের শেষে বলা যায়—
চা'লাকি দিয়ে স'ম্পর্ক টেকে? সহনশীলতা, শ্রদ্ধা আর এডজাস্টমেন্ট থাকা উচিত। যদি মায়ের চা'তুর্যের ছায়া জীবনে অ'হংকার হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রেমের জায়গা করে নেয়, তালাকের নোটিশ।