03/04/2025
🇧🇩ইস্তেগফার"আস্তাগফিরুল্লাহ"ফজিলতঃও নামাযের পর কিছু প্রয়োজনীয় আমল🕋
• ১.গুনাহ মাফ হয়ে যায়
• ২. এর মাধ্যমে বালামুসিবত দূর হয়।
• ৩. রিজিক প্রশস্ত হয়।
• ৪. পরিবারে শান্তি আসে।
• ৫. শরীরে ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি পায়।
• ৬. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়।
• ৭. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
• ৮. চিন্তা-পেরেশানি দূর হয়।
• ৯.রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
• ১০.সুসন্তান লাভ হয়।
• ১১.নদী-নালা প্রবাহিত হয়
• ১২.সম্মানিতদের সম্মান বৃদ্ধি হয়।
• ১৩.আজাব-গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
• ১৪.মুস্তজাবুদ দাওয়ার গুন অর্জন হয়।(অর্থাৎ, ইস্তেগফার পাঠকারী এমন হয়ে যাবেন, যখন তিনি কোনো দোয়া করবেন আল্লাহ তায়ালা তা কবুল করবেন।)
• ১৫.পরকালে জান্নাত লাভ হয়
[ সূরা হুদঃ৫২,সূরা আনফালঃ৩৩,সুনানে আবু দাউদ,সুনানে নাসাই,সূরা নূহঃ১০-১২,সূরা হুদঃ৩ ]
(সুসংবাদ তার জন্য)
আল্লাহ্ সুবহানাহু ও তা’আলা সাধারণত তাওবা ও 🕋‘আস্তাগফিরুল্লাহ' 🕋এর মাধ্যমে ক্ষমা করেন কোরআনে আল্লাহ্ সেই ব্যক্তি সম্পর্কে বলেছেন—
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা সেই সকল
লোকদের ভালোবাসেন যারা তওবা করে।
(সুরাঃ আল বাকারা-২২২)
🕋আস্তাগফিরুল্লাহ
তওবা করে ফিরে আসলে, পূর্বের গুনাহ গুলো আল্লাহ তাআলা নেকি দ্বারা পরিপূর্ন করে দিবেন। সুবহান আল্লাহ
(সুরা ফুরকান:৭০)
🕋আস্তাগফিরুল্লাহ🕋
তোমরা কি কামনা কর না যে, আল্লাহ তোমাদেরকে ক্ষমা করেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম করুণাময়। [সুরা নুর - ২৪:২২]
🕋আলহামদুলিল্লাহ 🕋
কিন্তু যারা অতঃপর তওবা করে নেবে এবং সৎকাজ করবে তারা ব্যতীত, নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল ও পরম দয়ালূ। [সুরা ইমরান - ৩:৮৯]
এবার দেখি চলুন তাওবার ব্যাপারে আমার প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কি বলেছেন জেনে নিই-
‘সুসংবাদ তার জন্য, যার হিসাবের খাতায় বেশি ইস্তিগফার পাওয়া যাবে’
( সুনানু ইবনি মাজাহ: ৩৮১৮)
সেদিন সেই ব্যক্তি নির্ভয়ে খুশি হয়ে বলবে, যার ব্যাপারে মহান আল্লাহ্ই বলেছেন।
অতঃপর যার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হবে, সে বলবেঃ নাও, তোমরাও আমলনামা পড়ে দেখ। [সুরা হাক্বকাহ - ৬৯:১৯]
হৃদয়কে ব্যাকুল করে রবের নৈকট্য অর্জনে একবার বলি 🕋‘আস্তাগফিরুল্লাহ'🕋
🇧🇩নামাযের পর কিছু প্রয়োজনীয় আমল🕋
১)রাসূলুল্লাহ সাঃ প্রত্যেক ফরয নামায শেষে ৩ বার আস্তাগফিরুল্লাহ বলতেন।
[মুসলিম, ১২২২]
২) তারপর “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – এটি পরতেন ।[মুসলিম, ১২২১]
৩)সুবহান আল্লাহ (৩৩ বার) । আলহামদুলিল্লাহ (৩৩ বার) ।
আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) ।
(লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”) (১ বার) ।এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।)
[মুসলিম, ১২৪০]
4) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া।
ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোন দূরত্ব থাকেনা।
[নাসাঈ]
(৫) ﺃﻟﻠﻬﻢ ﺃﺟﺮﻧﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ "আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার" ৭
বার, ফজর ও মাগরিবের পর। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে
আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
(৬) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার
করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল-
সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।
(৭) দূরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। কেয়ামতের
দিন রাসূলের শাফা'আত লাভ করবে।
(৮) ﺭﺿﻴﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺭﺑﺎ ﻭﺑﺎﻹﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻭﺑﻤﺤﻤﺪ ﻧﺒﻴﺎ ("রাদ্বীতু বিল্লাহি
রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা") ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.)
হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।
(৯)রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলে,
«سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।
আল্লাহ্ সুবহানাহু তাআলা আমাদের আমল করার তৌফিক দিন।আমিন।
বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১.