26/07/2023
গল্পর নাম :
#পর্ব_১ (ফুলসজ্জা)
দরজা খুলে শাওন রুমে ঢুকতেই আমার ভয় লাগতে শুরু হলো। লাগাটাই স্বাভাবিক। কারন কয়েকদিন আগেই আমি আমার বান্ধবীর ফুলসজ্জার গল্প শুনেছিলাম। ওর বিয়ে মাত্র ১০ দিন আগে হয়েছে। ওর বছস ১৫ বছর। আমার চেয়ে ও ১ বছরের ছোটো। ওর নাম তমা। তমা বলেছিল ফুলসজ্জার রাতে নাকি ওর হাসবেন্ড ওকে মেরেছিল। কারন টা অনেক আজীব। ওর হাসবেন্ড নাকি ওর শাড়ি খুলে দিতে চেয়েছিল তখন ও বাধা দিয়েছিল । আর নাকি তমার সাথে অনেক বাজে কাজ করেছে ওর অই হাসবেন্ড যেটা ও বলতেই চাইল না। কিন্তু কি বাজে কাজ? অত শত জানিনা। কিন্তু শাওন দা কি আমাকে মারবে? উনি ত ভাল ছেলে।
হঠাৎ দরজা বন্ধ করার শব্দে আমার ঘোর কাটল। শাওন দা কে দেখে স্বাভাবিক মনে হলোনা যদিও ঘরের ঝাপসা আলোতে কিছুই বুঝতে পারছি না। উনি কি অসুস্থ?। উনি এমনিও অনেক দেরি করে তারপর এসেছেন। এত সময় আমার ২ ঘন্টা ঘুম হত। এখন ১২ টা বাজে।
১০ টার সময় আমাকে শাওনের মা মানে আমার শাশুড়ী আমাকে সাজিয়ে বসিয়ে দিয়ে গেছে। শাওনের কাজিন ভাই দের সব বউ গুলা আমাকে বলে গেছে যে, "ঘুমিয়ে পরো না, শাওনের জন্য অপেক্ষা করবা।" আমি শুধু মাথা নাড়ছিলাম।
বাড়ির বড়রা অর্থাৎ শাওন এর কাকিমা, পিসিমনি আর কে কে যেন বলল, "আজ স্বামী যা চায় তাই ই দিবা।"
স্বামী মানে ত শাওন দাদা। কিন্তু আমার কাছে কি চাইবে?
তাই উল্টো প্রশ্ন করলাম, "কি চাইবে উনি? আমার কাছে ত কিছুই নেই!"
ঘরের সব মেয়েরা জোরে হেসে উঠল। শাওনের পিসি মনি হাসতে হাসতে বললেন, " বউদি এ ত পুরা বাচ্চাদের মত কথা বলছে🤣🤣।" শাওনের মা আমার দিকে শক্ত মুখ করে তাকিয়ে আছে।
"গ্রামের মেয়েরা একটু কম বুঝে maybe" বলে হেসে দিলো শাওনের এক কাজিন।
"আজ ই সব বুঝে যাবে। যাই হোক সবাই বের হও এখন। শাওন কে পাঠাই", বললেন শাওনের কাকিমনি।
সবাই মুচকি হাসছিল।আমিও বুঝতেছিলাম না কি হচ্ছে আমার সাথে।
সবাই যাবার সময় ঘর অন্ধকার করে দিয়ে গিয়েছে। অন্ধকার আমার ভালো লাগে না। তাও বসে আছি। মরিচ বাতি গুলোর হালকা আলো ভালই লাগছে।
যাই হোক বর্তমান সময়ে আসা যাক।
আমি ঘাট থেকে নেমে ওনার কাছে গেলাম। শাওন দা দরজায় হেলান দিয়ে দাড়িয়ে ছিল।
আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি কি ঠিক আছেন? নাকি অসুস্থ?
উনি আমার দিকে নরম চোখে তাকালেন কিন্তু কোনো উওর দিলেন না।
আমি আবার বললাম, কাউকে ডেকে আনব?
এই কথা বলে কোনো উওরের অপেক্ষা না করেই আমি দরজার খুলতে গেলাম। তখন উনি