26/06/2025
জাস্ট একটু তাকিয়ে দেখুন—আপনার সামনে দাঁড়িয়ে আছে দুই রকমের শরীর।
একদিকে সেই শরীর, যেটি আল্লাহর সৃষ্টি করা প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে গড়া। সেখানে আছে টাটকা ফল, সবুজ শাকসবজি, প্রাকৃতিক ফ্যাট, লিভার, মাছ, ডিম, কলিজা, হাড়ের মাজা। সবকিছুই নিখুঁত ভারসাম্যে। এই দেহে ইনসুলিন শান্ত থাকে, হরমোন সঠিকভাবে কাজ করে, মস্তিষ্ক পরিষ্কার থাকে, ঘুম হয় গভীর, মনের মধ্যে শান্তির স্রোত বয়ে যায়।
অন্যদিকে দাঁড়িয়ে আছে আরেকটি শরীর। এটি গড়া হয়েছে প্রসেসড খাবার দিয়ে। বার্গার, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, সফট ড্রিংক, চিপস, মিষ্টি, প্যাকেটজাত খাবার আর লো-ফ্যাটের নামে বাজারে আসা প্যাকেট ভর্তি কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি। এসব খাবার ইনসুলিনকে বন্যার মতো বাড়িয়ে তোলে, লিভারকে চর্বিতে ভরে দেয়, শরীর ফুলিয়ে তোলে, টেস্টোস্টেরন নামিয়ে আনে, বিষণ্ণতা বাড়ায়, ঘুমের ছন্দ নষ্ট করে, মাথায় স্থায়ী কুয়াশা জমিয়ে রাখে।
আল্লাহ আমাদের শরীর বানিয়েছেন এক অপূর্ব ব্যালেন্স দিয়ে। তার সৃষ্টিতে আছে প্রাকৃতিক চর্বি-প্রোটিনের নিখুঁত সমন্বয়, আছে রঙিন ফল-ফলের দানার ভাণ্ডার, আছে অল্প খাওয়ার আদেশ আর রোজার প্রশিক্ষণ। কিন্তু শয়তান ঠিক এখানেই খেলেছে। সে বলেছে: বেশি খাও, লো-ফ্যাট খাও, বারবার খাও। এভাবে ফুড কোম্পানি আর ফার্মা কোম্পানি ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। আর আমরা পড়েছি রোগ আর ওষুধের দাসত্বে।
অনেকে ভাবে — এতো সব বুঝি শুধুই খাবারের কথা। আসলে এটা তার চেয়েও বড়। এটাই শয়তানের সেই পুরনো ফাঁদ, যার শুরু হয়েছিল জান্নাতে আদম (আ.)-এর সঙ্গে। আজও সেই একই ফাঁদ চলছে। শুধু বদলেছে ভাষা, বিজ্ঞাপন আর আধুনিকতার মুখোশ।
বেঁচে থাকার জন্য আমাদের কোনো জটিল ডায়েটের দরকার নেই। দরকার শুধু আল্লাহর সহজ সিস্টেমে ফিরে যাওয়া। কম খাওয়া, প্রকৃতির খাবার খাওয়া, রোজা রাখা, চলাফেরা করা আর দুনিয়ার লোভ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা। এরপরের কাজ আল্লাহ নিজেই করে দেন।
সংগৃহীত