আল-কোরআন

আল-কোরআন গুনাহ করতে করতে যদি তুমি ক্লান্ত হয়ে যাও, তবে রবের কাছে ফিরে এসো, আল্লাহর ক্ষমার কলম এখনো ক্লান্ত হয়নি।’

সুবহানাল্লাহ!

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

আল্লাহপাক হলো পরম পরিপূর্ণ ও চূড়ান্ত এক অস্তিত্বমান সত্তা। তিনি সীমাহীন, অপরিমাণযোগ্য, অভাব ও সর্বপ্রকার দুর্বলতা মুক্ত। তিনি কোনো কিছুর মুখাপেক্ষী নন, তাঁর অস্তিত্ব অসীম, স্বাধীন ও বাধা-বন্ধনহীন। তিনি এক, অদ্বিতীয়।

যদি একাধিক আল্লাহ থাকত, তাহলে তাদের প্রত্যেকের বৈশিষ্ট্যের বিভিন্নতা থাকত। যার অর্থ প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু ত্রুটি ও দুর্বলতা থাকা ছিল স্বাভাবিক। কাজেই

যে আল্লাহর মধ্যে ত্রুটি ও দুর্বলতা থাকবে তিনি কী করে আল্লাহ হতে পারেন?

১. ধরুন, যদি একাধিক আল্লাহ থাকত তাহলে প্রত্যেকেরই ক্ষমতা থাকত একটা নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে। অর্থাৎ প্রত্যেক আল্লাহই বিশেষ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের অধিকারী হতেন। আল্লাহ হয়ে যেতেন সীমিত ও সীমাবদ্ধ। কেউই সর্বশক্তিমান, পরিপূর্ণ ও পূর্ণাঙ্গ হতেন না। আল্লাহপাকের প্রতি আমরা যে সকল বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলী আরোপ করি। অর্থাৎ তিনি সর্বস্থানে বিরাজমান, সর্বশক্তিমান ও নিজ হতে অস্তিত্বমান। বহু আল্লাহর অস্তিত্ব এর সম্পূর্ণ বিপরীত।

২. যদি স্বাধীনভাবে এ বিশ্বকে দুই আল্লাহ পরিচালনা করার চেষ্টা করতেন, আর দুই আল্লাহ সমান ক্ষমতার অধিকারী হতেন তাহলে নিশ্চয়ই তাদের দুই হুকুম ও দুই ইচ্ছার ফল হয়ে দাঁড়াতো নৈরাজ্য ও বিশৃংখলা।

আল্লাহপাক বলেন: যদি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে আল্লাহ ছাড়া অন্যান্য উপাস্য থাকত, তবে উভয়ই ধ্বংস হয়ে যেত। অতএব, তারা যা বলে তা থেকে আরশের অধিপতি আল্লাহ পবিত্র। (সূরা আম্বিয়া-২২)।

অর্থাৎ নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে দুই আল্লাহ থাকলে উভয়ই সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী হবেন। এমতাবস্থায়, উভয়ের নির্দেশাবলী পৃথিবী ও আকাশে পূর্ণরূপে কার্যকর হওয়া উচিত। অভ্যাসগতভাবে এটা অসম্ভব যে, একজন যে নির্দেশ দেবে অন্যজনও সে নির্দেশ দেবে। একজন যা পছন্দ করবে অন্যজনও তাই পছন্দ করবে, এটা সম্ভব নয়। উভয়ের মধ্যে মাঝে মাঝে মতবিরোধ হওয়া অবশ্যম্ভাবী। আর যখনই দুই আল্লাহর নির্দেশাবলী বিভিন্নরূপ হবে, তখন এর ফলে এই পৃথিবী ও আকাশ ধ্বংস হওয়া ছাড়া গত্যন্তর ছিল না। কারণ, এক আল্লাহ চাইবেন এখন দিন হোক, অপর আল্লাহ চাইবেন এখন রাত্রি হোক। একজন চাইবেন বৃষ্টি হোক অন্যজন চাইবেন বৃষ্টি না হোক। এমতাবস্থায়, উভয়ের পরস্পর বিরোধী নির্দেশ কীভাবে কার্যকর হতো? একজন যদি পরাভূত হয়ে যায় তাহলে তো তিনি আর সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী থাকলেন না।

এখানে এতটুকুই বলতে পারি যে, যদি উভয়ই পরামর্শের অধীন হয় এবং একজন অন্যজনের পরামর্শ ছাড়া কোনো কাজ করতে না পারে তবে এতে প্রমাণিত হয়ে যায় যে, তাদের কেউ সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী নয় এবং কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। আর স্বয়ংসম্পূর্ণ না হয়ে আল্লাহ হওয়া যায় না।

৩. এই কাল্পনিক আল্লাহগণ চুক্তিবদ্ধ হতো, একে অন্যের সাথে পরামর্শ ও সহযোগিতার মুখাপেক্ষী হয়ে পড়ত। যা না হলে তারা অসহায় ও অক্ষম হয়ে পড়ত। অর্থাৎ তারা হতো দুর্বল, অক্ষম সত্তা এবং সাহায্য ও সহযোগীর মুখাপেক্ষী, অথচ আল্লাহকে অবশ্যই অসীম ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে নতুবা তাদের পক্ষে বিশ্বসৃষ্টি ও পরিচালনা সম্ভব হবে না।

৪. এবার লক্ষ করুন সৃষ্টিজগতের দিকে। দেখতে পাবেন, এই সৃষ্টির মধ্যে কী বিস্ময়কর শৃংখলাবিন্যাস, ঐক্য ও সামঞ্জস্য। ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরমাণু থেকে ছায়াপথ পর্যন্ত প্রতিটি সৃষ্টি একের সাথে অন্যটি সংযুক্ত হয়ে কী সুন্দরভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। শত শত কোটি তারকা নিজ নিজ কক্ষপথে চলমান হওয়া সত্ত্বেও তাদের যাত্রাপথ এক ও অভিন্ন। একটি মাত্র মৌলনীতিতে তারা এক।

সুতরাং উপরোল্লিখিত ঘটনাগুলো কি প্রমাণ করে না যে, এই অতুলনীয় বিশ্ব একজন মাত্র আল্লাহরই সৃষ্টি। একটি একক ক্ষমতার উৎস হতে এর উৎপত্তি এবং সৃষ্টি জগতে এক ও একক আল্লাহর আদেশ ছাড়া আর কারো আদেশই প্রতিপালিত ও বাস্তবায়িত হয় না।
এবারে আল্লাহপাককে জানবার ও চিনবার জন্যে পবিত্র কুরআনে যে আয়াতগুলো অবতীর্ণ হয়েছে সেগুলো নিয়ে কিছু আলোচনা করা যাক। পবিত্র কুরআনের শিক্ষাসমূহের সবচাইতে বুনিয়াদী তত্ত্ব হচ্ছে একত্ববাদ।

আল্লাহপাক কতকগুলো আয়াতে মানুষ ও তার প্রকৃতির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে আল্লাহর অস্তিত্বকে নিশ্চিত করেন। যেমন- আল্লাহপাক বলেন: আর যদি তুমি তাদেরকে জিজ্ঞাসা কর আসমান ও জমিনের স্রষ্টা কে? চন্দ্র ও সূর্যকে কে কর্মে নিয়োজিত করেছে? তবে তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। তাহলে তারা কোথায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। (সূরা আনকাবুত-৬১)।
যদি আপনি তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন, কে আকাশ থেকে বারিবর্ষণ করেন, অতঃপর তা দ্বারা মৃত্তিকাকে তার মতো হওয়ার পর সঞ্জীবিত করেন, তবে তারা অবশ্যই বলবে ‘আল্লাহ’। বলুন সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই। কিন্তু তাদের অধিকাংশই তা বোঝে না। (সূরা আনকাবুত-৬৩)।

আপনি জিজ্ঞেস করুন। আসমান ও জমিন থেকে কে তোমাদেরকে রুজি দান করেন? কে তোমাদের চোখ ও কানের মালিক? কে জীবিতকে মৃতের ভিতর থেকে বের করেন? আর কেইবা মৃতকে জীবিতের মধ্য থেকে বের করেন? কে করেন কর্ম সম্পাদনের ব্যবস্থাপনা? তখন তারা বলে উঠবে ‘আল্লাহ’। তখন আপনি বলবেন তারপরও ভয় করছ না? অতএব, আল্লাহই তোমাদের প্রকৃত পালনকর্তা। আর সত্য প্রকাশের পরে কি রয়েছে গোমরাহী ছাড়া সুতরাং কোথায় ঘুরছ? (সূরা ইউনুছ ৩১-৩২)।

উপরোক্ত প্রশ্নগুলো কিন্তু সবই মুশরিকদের পক্ষ থেকে, অর্থাৎ আল্লাহপাকের অস্তিত্বে যাদের দৃঢ়প্রত্যয় নেই।

মানুষ যদি তার আত্মা ও বিবেকের মাধ্যমে আল্লাহপাককে বুঝতে না পারে, তাহলে যুক্তি-তর্ক দিয়ে তার মুখ বন্ধ করে দেয়া যেতে পারে। কিন্তু ঈমান আনার জন্যে তাকে তার বিবেকের নিকট প্রশ্ন করতে হবে। কুরআন পাক শুধু মানুষকে আমন্ত্রণ জানায় প্রকৃতির নিদের্শনাদির উপর গবেষণা করতে এবং গভীরভাবে অধ্যয়ন করতে এবং নিজের বিবেকের নিকট প্রশ্ন করতে যে, কে চন্দ্র, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্রসহ এই বিশাল আসমান এত উচ্চতায় স্থাপন করেছেন? কে চন্দ্র-সূর্যকে বশীভূত করে নির্দিষ্ট কক্ষপথে গতিশীল করে দিয়েছেন? সাগরের পানিকে কে দু’ভাগে ভাগ করে রেখেছেন? মিঠা পানি এবং লবণাক্ত পানি কখনও একত্র হয়ে যায় না। আবার লবণাক্ত পানি থেকে বাষ্পাকারে যা উত্থিত হয় তার মধ্যেও লবণ থাকে না। আল্লাহপাক বলেন: তোমরা যে পানি পান কর সে সম্পর্কে কি ভেবে দেখেছ? তোমরা তা মেঘ থেকে নামিয়ে আন, না আমি বর্ষণ করি? আমি ইচ্ছা করলে তাকে লবণাক্ত করে দিতে পারি ও অতঃপর কেন তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর না। (সূরা ওয়াকেয়া ৬৮-৭৯)।

পাখি বাতাসের ভিতর দিয়ে উচ্চাকাশে উড়ে বেড়ায়। বায়ুকে এমনভাবে সে ব্যবহার করে এবং তার মধ্যে গতির সঞ্চার করে, যার ফলে পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণ শক্তি তাকে মাটিতে টেনে ফেলে দিতে পারে না। বর্তমানে এই বাতাসকে ব্যবহার করে একটি প্লেন বিপুলসংখ্যক মানুষ নিয়ে একদেশ থেকে অন্য দেশে মুহূর্তের মধ্যে চলে যায়। বিজ্ঞান মানুষকে কত বিস্ময়কর ও আধুনিক সুবিধা প্রদান করেছে। এ সকল অদ্ভুত বিস্ময়কর কার্যকলাপ দেখে এবং নিজে এক প্রকৃতির অধিকারী হয়েও এসবের পিছে আল্লাহপাকের শক্তিশালী হাতকে চিনতে না পারা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সত্য কথা হল, কেউ যদি এই বাস্তবতাকে মৌখিক স্বীকার নাও করে, নিঃসন্দেহে তার বিবেক আন্তরিকভাবে স্বীকার করতে বাধ্য। কুরআন যে সকল পন্থায় মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তার দুটি দৃষ্টান্ত পেশ করা হচ্ছে।

আল্লাহপাক বলেন: আল্লাহ, যিনি ঊর্ধ্বাকাশে স্থাপন করেছেন, আকাশমণ্ডলীকে স্তম্ভ ব্যতীত। তোমরা সেগুলো দেখ। অতঃপর তিনি আরশের উপর অধিষ্ঠিত হয়েছেন এবং সূর্য ও চন্দ্রকে কর্মে নিয়োজিত করেছেন, প্রত্যেকে নির্দিষ্ট সময় মোতাবেক আবর্তন করে। তিনি সকল বিষয় পরিচালনা করেন, নির্দেশনাসমূহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা স্বীয় পালনকর্তার সাথে সাক্ষাত সম্বন্ধে নিশ্চিত বিশ্বাসী হও। (সূরা রা’দ-২)।
তোমরা কি দেখতে পাও না যে, আল্লাহ রাত্রিকে দিনের মধ্যে এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান। তিনিই চন্দ্র ও সূর্যকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন। এরা প্রত্যেকে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত নিজ নিজ গতিপথ অনুসরণ করে। আর তোমরা যা কিছুই কর না কেন আল্লাহ তার খবর রাখেন। (সূরা লুকমান-২৯)।

11/07/2025

📌 **আল্লাহর নামে কসম খাওয়া — যত সহজ, ততই ভয়ংকর!**

🧕 আমাদের সমাজে অনেকে সামান্য বিষয়ে "আল্লাহর কসম" খেয়ে ফেলে, মিথ্যা বলেও আল্লাহর নাম নিয়ে ফেলে! কিন্তু এটা শুধু গোনাহ নয় — এটা আল্লাহর নামে অপমান।

📖 **আল্লাহ বলেন:**
"তোমরা আল্লাহর নামকে ব্যবহার করো না নিজেদের মধ্যে ছলচাতুরির অজুহাত হিসেবে।"
— [সূরা আন-নাহল: ৯৪]

📚 **রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন:**
"যে ব্যক্তি মিথ্যা বলে আল্লাহর নামে কসম খায়, সে জান্নাত হারাবে।"
— [সহীহ বুখারী: ২৬৬৪]

😰 *মিথ্যা শপথ কেবল দুনিয়াতেই নয়, আখিরাতে বড় শাস্তির কারণ হতে পারে।*

🔒 তাই সচেতন হোন—
✅ কসম খেতে হলে সত্য বলেই খাও
✅ আল্লাহর নামকে খেলাচ্ছলে ব্যবহার করো না
✅ মিথ্যা শপথ করা মানেই গুনাহে কাবীরা (মহা গোনাহ)

#মিথ্যা_শপথ #আল্লাহর_ভয় #আখিরাত

11/07/2025

🖤 "রবে'র ইবাদতে শির্ক না করা" 🖤
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
[সুরা: কাহফ, ১১০, তফসীর]
----------------------------------------------
মহিমান্বিত আল্লাহ তা'আলা বলেন-
-
'বলুন, ‘আমি তো তোমাদের মত একজন মানুষ, আমার প্রতি ওহী হয় যে, তোমাদের ইলাহ একমাত্র সত্য ইলাহ। কাজেই যে তার রব-এর সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন সৎকাজ করে ও তার রব-এর ‘ইবাদাতে কাউকেও শরীক না করে।"
------------------[সুরা: কাহফ, আয়াত: ১১০]
~~~
আয়াতের সংক্ষিপ্ত তফসীর-
-
এই #আয়াতকে দ্বীনের ভিত্তি বলা হয়ে থাকে,
এখানে এমন দু'টি শর্ত বৰ্ণনা করা হয়েছে যার উপরই সমস্ত দ্বীন নির্ভর করছে।
-
(এক) কার ইবাদত করছে।
(দুই) কিভাবে করছে।
একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে ইখলাসের সাথে। আবার সে ইবাদত হতে হবে নেক আমলের মাধ্যমে। আর নেক আমল হবে,
একমাত্র রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রদর্শিত পথে আমল করলেই।
মোদ্দাকথা, শির্ক ও বিদ“আত থেকে দূরে থাকার ব্যাপারে এ আয়াতে সুস্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে।
-
এখানে উল্লেখিত শির্ক শব্দ দ্বারা যাবতীয় শির্কই বোঝানো হয়েছে। তন্মধ্যে কিছু কিছু শির্ক আছে যেগুলো শির্ক হওয়া অত্যন্ত স্পষ্ট তাই তা থেকে বাঁচা বেশ সহজ হয়ে যায়।
-
এর বিপরীতে কিছু কিছু শির্ক আছে
যেগুলো খুব সুক্ষ্ম বা গোপন। এ সমস্ত গোপন শির্কের উদাহরণের মধ্যে আছে, সামান্য রিয়া তথা সামান্য লোক দেখানো মনোবৃত্তি।
সারমর্ম এই যে,
আয়াতে যাবতীয় শির্ক হতে। তবে বিশেষ করে রিয়াকারীর গোপন শির্ক থেকে বারণ করা হয়েছে।
আমল আল্লাহর উদ্দেশ্যে হলেও যদি তার সাথে কোনরূপ সুখ্যাতি ও প্রভাব-প্রতিপত্তির বাসনা থাকে, তবে তাও এক প্রকার গোপন শির্ক। এর ফলে মানুষের আমল বরবাদ এবং ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়।
-
মাহমুদ ইবনে লবীদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“আমি তোমাদের সম্পর্কে যে বিষয়ে সর্বাধিক আশংকা (ভয়) করি, তা হচ্ছে ছোট শির্ক। সাহাবায়ে কেরাম নিবেদন করলেনঃ
ইয়া রাসূলাল্লাহ! ছোট শির্ক কি?
তিঁনি বললেনঃ রিয়া।" (লোক দেখানো)
(আহমাদঃ ৫/৪২৮, ৪২৯)
-
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,
“কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা যখন বান্দাদের কাজকর্মের প্রতিদান দেবেন, তখন রিয়াকার লোকদেরকে বলবেনঃ
তোমরা তোমাদের কাজের প্রতিদান নেয়ার জন্য তাদের কাছে যাও, যাদেরকে দেখানোর উদ্দেশ্যে তোমরা কাজ করেছিলে।
এরপর দেখ, তাদের কাছে তোমাদের জন্য কোন প্রতিদান আছে কি না? কেননা, আল্লাহ শরীকদের শরীকানার সম্পূর্ণ অমুখাপেক্ষী।
(তিরমিযীঃ ৩১৫৪, ইবনে মাজাহঃ ৪২০৩, আহমাদঃ ৪/৪৬৬, বায়হাকী শু'আবুল ঈমানঃ ৬৮১৭)
-
আল্লাহ তা'আলার রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেন যে,
আল্লাহ্ তাআলা বলেনঃ
আমি শরীকদের সাথে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার উর্ধ্বে। যে ব্যক্তি কোন সৎকর্ম করে এবং তাতে আমার সাথে অন্যকেও শরীক করে,
আমি সেই আমল শরীকের জন্য ছেড়ে দেই।
অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,
আমি সেই আমল থেকে মুক্ত;
সে আমলকে আমি তার জন্যই করে দেই, যাকে সে আমার সাথে শরীক করেছিল।
(মুসলিমঃ ২৯৮৫)
-
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন,
"যে ব্যক্তি সুখ্যাতি লাভের জন্য সৎকর্ম করে আল্লাহ্ তা'আলাও তার সাথে এমনি ব্যবহার করেন, যার ফলে সে ঘূণিত ও লাঞ্ছিত হয়ে যায়।"
(আহমাদঃ ২/১৬২, ১৯৫, ২১২, ২২৩)
-
অন্য হাদীসে এসেছে,
“পিপড়ার নিঃশব্দ গতির মতই শির্ক তোমাদের মধ্যে গোপনে অনুপ্রবেশ করে।"
(মুসনাদে আবু ইয়ালাঃ ১/৬০, ৬১ নং ৫৪, মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ১০/২২৪)
-------------[তফসীর: আবু বকর জাকারিয়া]

10/07/2025

যে ব্যক্তি রাতে সূরা আল-মুলক পাঠ করে, তাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করা হবে।"

(তিরমিযী, হাদীস: ২৮৯১)

10/07/2025

দোয়া কবুল হওয়ার ২৯টি স্থান, ক্ষেত্র ও সময়ঃ
১)সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়।
(মুসলিম-৮০৬)

২) অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দু'আ, কোন মুসলিমের অগোচরে অন্য মুসলিমের জন্য দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (মুসলিম-৬৮২২)

৩) জালিমের বিরুদ্ধে মাজলুম ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়।
(তিরমীযি-৩৪৪৮)

৪) মা-বাবা তার সন্তানের জন্য দু'আ করলে দোয়া কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৪৪৮)

৫) নেককার সন্তানের দু'আ কবুল হয়। (বাবা-মায়ের জন্য তাদের মৃত্যুর পর)। (আবু দাউদ-২৮৮০)

৬) আরাফাতের ময়দানে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়।
(তিরমীযি-৩৫৮৫)

৭) বিপদগ্রস্ত অসহায় ব্যক্তির দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়।
(সূরা নমল৬২,৫৭ ও সূরা ইসরার ৬৭ নাম্বার আয়াত)

৮) সেজদায় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (নাসায়ী১০৪৫)

৯) হজ্জের স্থানসমূহের দু'আ তাড়াতাড়ি কবুল হয়। যেমন: আরাফাহ, মুজদালিফা, মিনা...।
(ইবনে মাজাহ-২৮৯২)

১০) হজ্জ করা অবস্থায় হাজ্জীর দু'আ কবুল হয়।
(ইবনে মাজাহ-২৮৯৩)

১১) উমরাহ করার সময় উমরাহকারীর দু'আ কবুল হয়।
(নাসায়ী-২৬২৫)

১২) আযানের পর দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২১০)

১৩) ক্বিতাল চলাকালীন সময় দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

১৪) বৃষ্টি বর্ষণকালে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (আবু দাউদ-২৫৪০)

১৫) শেষ রাতের দু'আ, তাহাজ্জুদের সময়কার দু'আ কবুল হয়। বুখারী-১১৪৫)

১৬) জুম্মার দিনে দু'আ কবুল হয়, আসরের শেষ দিকে তালাশ করার জন্য নির্দেশ আছে। (নাসায়ী-১৩৮৯)

১৭) লাইলাতুল ক্বদরের রাত্রির দু'আ কবুল হয়। (বুখারী ও মুসলিম)

১৮) আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময়কার দু'আ কবুল হয়। (আহমাদ-১৪৬৮৯, মুসলিম-৬৬৮)

১৯) ফরয সালাতের শেষ অংশে দু'আ করলে কবুল হয়। (সালাম ফিরানোর আগে)। (রিয়াদুস স্বালেহীন ১৫০৮, তিরমীযি-৩৪৯৯)

২০),মুসাফিরের দু'আ কবুল হয়। (সফর অবস্থায়)। (তিরমীযি-৩৪৪৮)

২১) রোজাদার ব্যক্তির দু'আ কবুল হয়। (রোজা অবস্থায়)। (ইবনে মাজাহ-১৭৫২)

২২) ন্যায়পরায়ণ শাসকের দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-২৫২৬)

২৩) দু'আ ইউনুস পাঠ করে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৫০৫) দোয়া ইউনুস: লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সুবহানাকা ইন্নি কুনতুম মিনাজ জোয়ালিমীন।

২৪) ইসমে আযম পড়ে দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-৩৮৫৬)

ইসমে আযম: আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস-আলুকা বি-আন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আন্তা ওয়াহ'দাকা লা-শারীকা লাকাল মান্না-ন। ইয়া বাদীআস সামা-ওয়াতি ওয়াল - আরদ্বি ইয়া জাল জালালি ওয়াল ইকরাম। ইয়া হা'ইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম। (নাসাঈ-১৩০০)

[হাদিস শরীফে মোট তিনটি ইসমে আযম এসেছে, যে কোন একটি পড়লেই হবে, তবে এটিই বেশি প্রচলিত]

২৫) বিপদে পতিত হলে যে দু'আ পড়া হয় (ইন্না লিল্লা-হি... রাজিউন) এবং (আল্লা-হুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া ওয়াখলিফলী খইরাম মিনহা...) তখন দু'আ কবুল হয়। (মিশকাতুল মাসীবাহ-১৬১৮, মুসলিম -৯১৮)

২৬) জমজমের পানি পান করার পর দু'আ করলে কবুল হয়। (ইবনে মাজাহ-৩০৬২, আহমদ৩/৩৫৭)

২৭) নির্যাতীত ব্যাক্তি দু'আ করলে দু'আ কবুল হয়। (তিরমীযি-৩৪৪৮) ২৮) যখন তোমরা মোরগের ডাক শুনবে, তখন তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ চাইবে (দোয়া করবে), কেননা সে একটি ফেরেশতা দেখেছে। (বুখারী (ফাতহুল বারীসহ), ৬/৩৫০, নং ৩৩০৩; মুসলিম, ৪/,২০৯২, নং ২৭২৯)

২৯) দু'হাত তুলে দোয়া করা, কারণ আল্লাহ বান্দার খালি হাত ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবোধ করেন। (আবু দাউদ-১৪৮৮)
সুবহানআল্লাহ 💚 আলহামদুলিল্লাহ 🖤

হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে বেশি বেশি দোয়া করার তাওফিক দিন। আমিন🤲💚

10/07/2025

এই হাদীসটা আকাশ পরিমাণ স্বস্তি দেয়,
"যাকে দোয়া করার তৌফিক দেওয়া হয়েছে, কবুল হওয়ার নেয়ামত থেকে তাকে বঞ্চিত করা হয় না "। 🖤
-[ শুআবুল ঈমান হাদীস :৪৫২৮]

10/07/2025

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক স্থাপনকারীকে ক্ষমা করেননা এবং এতদ্ব্যতীত তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে থাকেন; এবং যে আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন করে সে নিশ্চয়ই সুদুর বিপদে বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা তাঁকে পরিত্যাগ করে তৎপরিবর্তে নারী মূর্তিদেরকেই আহ্বান করে এবং তারা বিদ্রোহী শয়তানকে ব্যতীত আহ্বান করেনা। আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেছেন; এবং শয়তান বলেছিল, আমি অবশ্যই তোমার সেবকবৃন্দ হতে এক নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।

এবং নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে পথভ্রান্ত করব, তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিব এবং তাদেরকে আদেশ করব যেন তারা পশুর কর্ণ ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করব আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করতে। যে আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শয়তানকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে, নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শয়তান তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় ও আশ্বাস দান করে, কিন্তু শয়তান প্রতারণা ব্যতীত তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেনা। তাদেরই বাসস্থান জাহান্নাম এবং সেখান হতে তারা পালানোর কোন জায়গা পাবেনা।

এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎ কাজ করে, আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করাব যার নিম্নে স্রোতস্বিনীসমুহ প্রবাহিতা, তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; এবং কে আল্লাহ অপেক্ষা অধিকতর সত্যপরায়ণ?।

সূরা- আন নিসা (নারী), আয়াত-১১৬ হতে ১২৩]

09/07/2025

নিশ্চয়ই আমি তোমার প্রতি সত্যসহ গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছি, যেন তুমি তদনুযায়ি মানবদেরকে আদেশ প্রদান কর, যা আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দান করেছেন এবং তুমি বিশ্বাসঘাতকদের পক্ষে বিতর্ককারী হয়োনা।

এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থণা কর; নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল করুণাময়। এবং যারা নিজ জীবনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করে, তুমি তাদের পক্ষে বিতর্ক করনা; নিশ্চয়ইা আল্লাহ বিশ্বাসঘাতক পাপীকে ভালবাসেননা। তারা মানব হতে গোপন করতে চায়, কিন্তু আল্লাহ হতে গোপন করতে পারেনা;

এবং তিনি তাদের সাথে রয়েছেন যখন তারা রাতে এমন বিষয়ে পরামর্শ করে যাতে তিনি সম্মত নন; এবং তারা যা করছে আল্লাহ তার পরিবেষ্টনকারী। সাবধান! তোমরাই ঐ লোক যারা ওদের পক্ষ হতে পার্থিব জীবন সমন্ধে বিতর্ক করছ;

কিন্তু কিয়ামাত দিবসে তাদের পক্ষ হতে কে আল্লাহর সাথে বিতর্ক করবে এবং কে তাদের কার্যসম্পাদনকারী হবে? এবং যে কেহ দুস্কর্ম করে অথবা নিজ জীবনের প্রতি অত্যাচার করে, অতঃপর আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থী হয়, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় দেখতে পাবে। এবং যে কেহ পাপ অর্জন করে, বস্তুতঃ সে নিজ আত্নার প্রতিই এর প্রতিক্রিয়া পৌঁছিয়ে থাকে এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী, বিজ্ঞানময়।

আর যে কেহ অপরাধ অথবা পাপ অর্জন করে, অতঃপর ওটা নিরপরাধীর প্রতি আরোপ করে, তাহলে সে নিজেই সেই অপরাধ ও প্রকাশ্য পাপ বহন করবে। আর যদি তোমার উপর আল্লাহর অনুগ্রহ ও করুণা না থাকত তাহলে তাদের এক দল তোমাকে পথভ্রষ্ট করতে ইচ্ছুক হয়েছিল, এবং তারা নিজেদেরকে ছাড়া বিপদগামী করেনি ও তারা তোমাকে কোন বিষয়ে ক্লেশ দিতে পারবেনা; এবং আল্লাহ তোমার প্রতি গ্রন্থ ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং তুমি যা জানতেনা তা তোমাকে শিক্ষা দিয়েছেন; এবং তোমার প্রতি আল্লাহর অসীম করুণা রয়েছে।

সাধারণ লোকের অধিকাংশ গোপন পরামর্শে কোন মঙ্গল নিহিত থাকেনা, তবে হ্যাঁ যে ব্যক্তি দান খাইরাত করে অথবা কোন সৎ কাজ করে কিংবা লোকের মধ্যে পরস্পর সন্ধি স্থাপন করে দেয়ার উদ্দেশে তা করে তাহলে তা স্বতন্ত্র এবং যে আল্লাহর প্রসন্নতা সন্ধানের জন্য ঐ রুপ করে, আমি তাকে মহান বিনিময় প্রদান করব। আর সুপথ প্রকাশিত হওয়ার পর যে রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং বিশ্বাসীগণের বিপরীত পথের অনুগামী হয়, তাহলে সে যাতে অভিনিবিষ্ট আমি তাকে তাতেই প্রত্যাবর্তিত করাব এবং তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব; এবং ওটা নিকৃষ্টতর প্রত্যাবর্তন স্থল।

নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক স্থাপনকারীকে ক্ষমা করেননা এবং এতদ্ব্যতীত তিনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করে থাকেন; এবং যে আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন করে সে নিশ্চয়ই সুদুর বিপদে বিভ্রান্ত হয়েছে। তারা তাঁকে পরিত্যাগ করে তৎপরিবর্তে নারী মূর্তিদেরকেই আহ্বান করে এবং তারা বিদ্রোহী শয়তানকে ব্যতীত আহ্বান করেনা। আল্লাহ তাকে অভিসম্পাত করেছেন; এবং শয়তান বলেছিল, আমি অবশ্যই তোমার সেবকবৃন্দ হতে এক নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।

এবং নিশ্চয়ই আমি তাদেরকে পথভ্রান্ত করব, তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিব এবং তাদেরকে আদেশ করব যেন তারা পশুর কর্ণ ছেদন করে এবং তাদেরকে আদেশ করব আল্লাহর সৃষ্টি পরিবর্তন করতে। যে আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শয়তানকে বন্ধুরুপে গ্রহণ করে, নিশ্চয়ই সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শয়তান তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দেয় ও আশ্বাস দান করে, কিন্তু শয়তান প্রতারণা ব্যতীত তাদেরকে প্রতিশ্রুতি প্রদান করেনা। তাদেরই বাসস্থান জাহান্নাম এবং সেখান হতে তারা পালানোর কোন জায়গা পাবেনা।

এবং যারা বিশ্বাস স্থাপন করেছে ও সৎ কাজ করে, আমি তাদেরকে জান্নাতে প্রবিষ্ট করাব যার নিম্নে স্রোতস্বিনীসমুহ প্রবাহিতা, তন্মধ্যে তারা চিরকাল অবস্থান করবে, আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; এবং কে আল্লাহ অপেক্ষা অধিকতর সত্যপরায়ণ?।

সূরা- আন নিসা (নারী), আয়াত-১০৫ হতে ১২২]

09/07/2025

না তোমাদের বৃথা আশায় কাজ হবে, আর না আহলে কিতাবের বৃথা আশায়; যে সৎ কাজ করবে সে তার প্রতিফল পাবে এবং সে আল্লাহর পরিবর্তে কেহকে বন্ধু অথবা সাহায্যকারী প্রাপ্ত হবেনা।

সূরা- আন নিসা (নারী), আয়াত-১২৩]

09/07/2025

১.“সুবহানআল্লাহ”(سبحان الله⁦)/ (3বার)

২.“আলহামদুলিল্লাহ”(الحمد لله)/ (3বার)

৩.“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”(لأ إله إلا الله)/(3বার)

৪.“আল্লাহু আকবার”(الله اكبر)/(3বার)

৫.“আস্তাগফিরুল্লাহ”(استغفر الله)/ (3বার)

৬.“আল্লাহুম্মাগফিরলি”(اللهم اغفر لي)/(3বার)

৭.“ইয়া রব্বিগফিরলি”(يا رب اغفر لي)/ (3বার)

৮.“আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান-নার”(اللهم اجرني من النار)/(3বার)

৯.“সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম”(صلى الله عليه وسلم)/(3বার)

১০.“লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”(لا هول ولا قوه الا بالله)/(3বার)

১১.“লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায জোয়ালিমিন”(لأ إله إلا أنت سبحانك إني كنت من الظالمين)/(3বার)

১২.“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাঃ”(لأ إله إلا الله محمد رسول الله صلى الله عليه وسلم)/(3বার)

পড়া শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়ুন 😌🌸

09/07/2025

"যে ব্যক্তি বিনা দাওয়াতে কোথাও খাবার খেল, সে চোর হয়ে ঢুকলো আর ডাকাত হয়ে বের হল"
(আবু দাউদ - ৩৭৪১)

তাক্বওয়ার মর্যাদাআল্লাহ সুবহা'নাহু তাআ'লা বলেন,(১)وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَআর শুভ পরিণাম তো মুত্তাক্বীদের জন্যেই ন...
03/07/2025

তাক্বওয়ার মর্যাদা

আল্লাহ সুবহা'নাহু তাআ'লা বলেন,

(১)

وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَ

আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাক্বীদের জন্যেই নির্ধারিত। [সূরা আল-আ'রাফঃ ১২৮]

(২)

وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلۡمُتَّقِیۡنَ

আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাক্বীদের জন্যেই নির্ধারিত।

[সূরা আল-ক্বাসাসঃ ৮৩]

(৩)

وَ الۡعَاقِبَۃُ لِلتَّقۡوٰی

আর শুভ পরিণাম তো তাক্বওয়ার মাঝেই নিহিত। [সূরা ত্বহাঃ ১৩২]

আল্লাহ সুবহা'নাহু তাআ'লা আরও বলেন,

اِنَّ الۡمُتَّقِیۡنَ فِیۡ ظِلٰلٍ وَّ عُیُوۡنٍ

নিশ্চয়ই মুত্তাক্বীরা থাকবে (গাছ-পালা এবং অট্টালিকার) ছায়া ও ঝরনাসমূহে।

وَّ فَوَاکِہَ مِمَّا یَشۡتَہُوۡنَ

আর তাদের জন্য থাকবে ফল-মূল, যা তাদের মন চাইবে।

کُلُوۡا وَ اشۡرَبُوۡا ہَنِیۡٓــًٔۢا بِمَا کُنۡتُمۡ تَعۡمَلُوۡنَ

(তাদেরকে বলা হবে) ‘তোমরা তৃপ্তির সঙ্গে খাও আর পান কর, তোমরা যে ‘আমাল করেছিলে তার পুরস্কারস্বরূপ।

اِنَّا کَذٰلِکَ نَجۡزِی الۡمُحۡسِنِیۡنَ

সৎকর্মশীলদেরকে আমি এভাবেই প্রতিফল দিয়ে থাকি।

[সূরা আল-মুরসালাতঃ ৪০-৪৪]

02/07/2025

❝ فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِينَ ❞
নিশ্চয়ই আল্লাহ পরহেজগারদের ভালোবাসেন..!!🕌❤️
(সূরা আল-ইমরান:৭৬)

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আল-কোরআন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আল-কোরআন:

Share