27/04/2025
০৮ - দরবারে বারীয়া শরীফে ১৯৯৩ সালের মাহফিলে নাতে রাসুল পড়ছেন গাউছে জামান হযরত শাহজী বারী বাবাজান কেবলার মুরিদ সেলিম নিজামী। সেলিম নিজামীর আব্বা মুহাম্মদ আব্দুর রশিদ তিনিও হযরত শাহজী বারী বাবাজান কেবলার মুরিদ ছিলেন এবং বাবাজানের শানে বেশ কিছু মানকাবাত লিখেছেন তিনি। সেই মানকাবাত গুলো এখনো দরবারে বারীয়া শরীফে পড়া হয় মাহফিল এর সময়।
এই মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন
দরবারে বারীয়া শরীফের হযরত কেবলা গাউছে জামান হযরত শাহজী বারী বাবাজান কেবলা রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
আজমীর শরীফের খাদেম ছাহেব হযরত সামির উদ্দিন চিশতি মা,জি,আ।
সুন্নিয়তের ইমাম ইমামে আহলে সুন্নত হযরত হাশেমী ছাহেব হুজুর রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
হাফেজুল হাদীস হযরতুল আল্লামা বদরী ছাহেব হুজুর রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
হযরতুল আল্লামা ওবায়দুল হক নঈমী রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
হযতুল আল্লামা আব্দুর ছাত্তার আনোয়ারী রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
হযরতুল আল্লামা আব্দুর রহমান রাহমাতুল্লাহে আলাইহ।
হযরতুল আল্লামা কাজী মঈনুদ্দিন আশরাফী মা,জি,আ
সহ তখন কার অনেক মাদ্রাসার উস্তাদ গণ ষ্টেইজে উপস্থিত ছিলেন।
হযরত ওলামায়ে কেরাম দের কে গাউছে জামান হযরত শাহজী বারী বাবাজান কেবলা রাহমাতুল্লাহে আলাইহ এত বেশি সম্মান করতেন যা বলে শেষ করা যাবেনা। এটা হুজুরদের জবানে অনেকে শুনেছেন। এই ষ্টেইজের বেশির ভাগ উলামায়ে আহলে সুন্নত কে গাউছে জামান হযরত শাহজী বারী বাবাজান কেবলা রাহমাতুল্লাহে আলাইহ পবিত্র হজ্জ এবং উমরাহ আদায় করায়েছেন।
বাবাজান কেবলা উলামায়ে কেরাম কে আমার সামনে আমি জিজ্ঞেসা করতে দেখেছি যে, আপনি আমার ছরকারে দো আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে গিয়েছেন, তখন যারা বলতেন, বাবাজী আমার সে ভাগ্য হয়নি, কেউ বলতেন সোনার মদিনার মালিক ডাক দেননি, কেউ বলতেন এখনো নসিব হয়নি, এরকম একেক উলামায়ে কেরাম একেক জন আশেকে মুস্তফা ছিলেন নবীজির প্রেমে পড়ে আশেক গণের ভাষাও একেক রকম ছিল।
তখন বাবাজান কেবলা বলতেন, পাসপোর্ট আছে আপনার, যদি বলতেন আছে, তখন বাবাজান কেবলা বলতেন নিয়ে আসিয়েন আমার নবীর ডাক এসেছে আপনার জন্য। পাসপোর্ট না থাকলে বাবাজান কেবলা নিজেই পাসপোর্ট বানানোর হাদীয়া দিয়ে বলতে পাসপোর্ট করা আমার কাছে নিয়ে আসবেন। তখন উলামায়ে আহলে সুন্নত এর অনেক হুজুর বাবাজানের সাথে মক্কা শরীফ মদিনা শরীফে কেউ হজ্জের কেউ উমরার মুছাফির হয়ে চলে যেতেন। আমি এমনো দেখেছি ববাবাজান কেবলা এক সাথে উমরাহ করতে ২৩ থেকে ২৫ জন কে একসাথে উমরাহ করতে নিয়ে গিয়েছেন।
এক সময় আমি ছৈয়্যদ হাসান বারী আমার ছখি প্রিয়া বাবা বারী শাহ সাথে আমি অধম সফরের সংগী করে নিয়ে গিয়েছেন আমার মুরশিদ কেবলা।
সেখানে গিয়ে বাবাজান আবার উলামায়ে আহলে সুন্নত গণকে হাতে মুঠি ভরে হাদীয়া দিয়ে বলতেন, আমার মেয়ে আর নাতি নাতনিদের জন্য কিছু কিনে নিবেন মদিনা মনোয়ারা থেকে। ছফরে কিছু কেনা কাটা করা আমার ছরকারের সুন্নত এটাও মনে করিয়ে দিতেন বাবাজান কেবলা। উলামায়ে কেরাম অনেকে কেদে বলতেন ওবাবা আল্লাহর কুদরতে দরবারে আমার নবীর দরবারে এর শুকরিয়া কিভাবে আদায় করবো আমি।
বাবাজান বলতেন, ছরকার কে ভালবেসেছেন সারা জীবন আমার ছরকারে দো আলম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শান মান বলে দিন কাটিয়েছেন, এখানে যাহাই পেয়েছেন, এসেছেন সব কিছু ছরকারের দয়া।
উলামায়ে কেরামের আরো অনেক কথা এবং বাবাজানের অনেক কারামত আছে, আস্তে আস্তে মালিক দয়া করলে কিছু কিছু ভিডিওর মাধ্যমে আপনাদের অনুরোধে ইনশাআল্লাহ প্রকাশ করবো।
সবাই পড়ুন এবং আউলিয়ায়ে কারামতের উছিলায় আমাদের সকলে জীবন কে আপন আপন পীরো মুরশিদের নকশে কদমে চলার তৌফিক দান করুন।