মৈত্রী ভুবন

মৈত্রী ভুবন ☸️🙏নমো বুদ্ধায় 🙏☸️ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক🙏 May all living beings be happy in the World"🙏

28/03/2025

মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্পে একটি পুরাতন বৌদ্ধ বিহার মুহূর্তেই ধসে পড়ে 😭😔🙏 🙏 বুদ্ধ সবাইকে রক্ষা করুন 🙏 জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক 🙏 জগতের সকল প্রাণী নিরাপদ হোক 🙏

☸️🙏🙏🙏☸️Namo Buddha
29/01/2024

☸️🙏🙏🙏☸️
Namo Buddha

🙏💐🌹🌷আজ পরমপূজ্য আর্যশ্রাবক শ্রদ্ধেয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)'র ১০৫তম শুভ জন্মদিন। আজকের এই শুভ দিনে পরম পূজ...
08/01/2024

🙏💐🌹🌷আজ পরমপূজ্য আর্যশ্রাবক শ্রদ্ধেয় শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির (বনভন্তে)'র ১০৫তম শুভ জন্মদিন। আজকের এই শুভ দিনে পরম পূজ্য শ্রদ্ধেয় বনভন্তে'র প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধার্ঘ্য বন্দনা।🙏💐🌹🌷জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
🙏।।। সাধু।।।🙏সাধু।।।।🙏সাধু।।।
তারিখ:- ৮ই জানুয়ারি, সোমবার ২০২৪ ইং।
🙏 💐The 105th Happy Birthday of Holiness Savaka Buddha Most Venerable Shadanananda Mahathera (Bana Bhante) Rajbana vihar, Rangamati, Bangladesh 💐🙏May all Beings be happy. 🙏 May Buddha bless all of you 🙏
প্রশ্নোত্তরে পূজ্য বনভন্তে’র সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
🌹---------------------------------------------------🌹
১. পরম পূজ্য বনভন্তের পুরো নাম কি?
উত্তর : ভদন্ত সাধনানন্দ মহাস্থবির।
২. গৃহীর নাম কী?
উত্তর : রথীন্দ্র লাল চাকমা।
৩. পিতার নাম কী?
উত্তর : শ্রীযুক্ত হারুমোহন চাকমা।
৪. মাতার নাম কী?
উত্তর : পুণ্যশীলা বীরপুদি চাকমা।
৫. শুভ জন্ম তারিখ কত সনে?
উত্তর : ৮ই জানুয়ারী ১৯২০ সনে।
৬. জন্মস্থান কোথায়?
উত্তর : মোরঘোনা, মগবান মৌজা।
৭. বনভন্তে কোন গোজার লোক ছিলেন?
উত্তর : ধামেই গোজা পীড়াভাঙ্গা গোষ্ঠীর লোক।
৮. তাঁরা কয় ভাই-বোন ছিলেন?
উত্তর : ৬ ভাই-বোন। যথা: ক. রথীন্দ্র লাল চাকমা, খ. বৈকর্তন চাকমা, গ. পদ্মঙ্গিনী চাকমা, ঘ. জহর লাল চাকমা, ঙ. ভূপেন্দ্র চাকমা, চ. বাবুল চাকমা।
৯. তিনি কত বছর বয়সে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হন?
উত্তর : ১১ বছর বয়সে, ১৯৩১ সালে।
১০. তিনি কতদূর পর্যন্ত পড়ালেখা করেন?
উত্তর : চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত।
১১. তিনি যুবক বয়সে কী কী বই পড়তেন?
উত্তর : ধর্মীয় বইয়ের পাশাপাশি খ্যাতিমান কবি-সাহিত্যিকের লেখা বই, নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানমূলক বই এবং জ্ঞানী-গুণী মনীষিদের জীবনীগ্রন্থ। তখন তিনি পড়তেন হস্তসার, কায়বিজ্ঞান, উদান, শান্তিপদ ও প্রজ্ঞাদর্শন, খংমৌজা ইত্যাদি বই।
১২. তিনি কত বছর বয়সে প্রব্রজ্যা গ্রহণ করেন?
উত্তর : ২৯ বছর বয়সে, ১৯৪৯ সনে শুভ ফাল্গুনী পূর্ণিমা তিথিতে।
১৩. প্রব্রজ্যাগুরু কে ছিলেন?
উত্তর : শ্রীমৎ দীপঙ্কর শ্রীজ্ঞান মহাস্থবির।
১৪. প্রব্রজ্যার স্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার, চট্টগ্রাম।
১৫. তাঁর শ্রামণের নাম কী ছিল?
উত্তর : রথীন্দ্র শ্রামণ।
১৬. তিনি নন্দনকান বৌদ্ধবিহারে শ্রামণ হিসেবে কয়মাস ছিলেন?
উত্তর : আনুমানিক তিন থেকে চার মাস।
১৭. রথীন্দ্র শ্রামণের উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় আচরণ কী কী ছিল?
উত্তর : তিনি তখন পিণ্ডচারণ করতেন, এতে কম-বেশি পেলেও তিনি নীরবে খেয়ে নিতেন। তিনি বিকালে খেতেন না, টাকা-পয়সা স্পর্শ করতেন না, জমা রাখতেন না। আর খাওয়া শেষে ধর্মশাস্ত্র অধ্যায়ন করেন।
১৮. এক উপাসক রথীন্দ্র শ্রামণকে কী উপদেশ দিয়েছিলেন?
উত্তর : সেই উপাসক রথীন্দ্র শ্রামণকে দুটি উপদেশ দিয়েছিলেন। প্রথমটি হচ্ছে ভাত কম খাওয়া। ভাত বেশি খেলে কামভাব বেড়ে যায়, ফলে একসময় বাধ্য হয়ে চীবর ত্যাগ করতে হয়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে বর্তমান ভিক্ষুদেরকে নিন্দা, অবজ্ঞা বা তুচ্ছ না করা। তারা শীলপালনে ও ধ্যান-সমাধিচর্চায় বিমুখ হলেও এবং তাদেরকে পছন্দ না করলেও নিন্দা বা অবজ্ঞা না করা। কশ্যপ বুদ্ধকে এমন নিন্দা করেছিলেন বলেই তো গৌতম বুদ্ধের এমন দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর সাধনা করতে হয়েছিল, অন্যান্য বুদ্ধদের এমন দীর্ঘকাল তপস্যা করতে হয় নি।
১৯. তিনি চিৎমরম বিহারের উদ্দেশ্যে নন্দনকানন বৌদ্ধ বিহার ত্যাগ করলেন কোন সালে?
উত্তর : ১৯৪৯ সালের মাঝামাঝি সময়।
২০. চিৎমরম বিহারের অধ্যক্ষ উঃ পারাক্কামা তাঁকে কী উপদেশ দিয়েছিলেন?
উত্তর : আমাকে বিছানা দাও, চীবর দাও, পিণ্ড দাও, ওষুধ দাও এসব বলতে পারবে না। তারা স্বইচ্ছায় যা দান দেয়, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। সর্বদা অল্পেচ্ছুক হয়ে অরণ্যে অবস্থান করতে হয়। তৃষ্ণাবহুল হলে অরণ্যবাস খুবই দুঃখদায়ক ও কষ্টকর হয়ে ওঠে। যথালাভে সন্তুষ্ট থাকতে হবে। দায়ক দায়িকারা কুটির নির্মাণ করে না দিলে জঙ্গলের গাছতলায়, বাঁশতলায় থাকতে হবে খুশিমনে। কখনো তাঁদের কাছ থেকে কিছু চেয়ে নিতে পারবে না।
২১. তিনি ধনপাতায় পৌঁছলেন কত সালে?
উত্তর : তিনি চিৎমরম বিহার থেকে জালিপাগজ্যা বিহার, ধুল্যাছড়ি বিহার, রেংহং কেংড়াছড়ি বিহার, চংড়াছড়ি হয়ে অবশেষে ধনপাতায় পৌঁছলেন ১৯৪৯ সালের শেষের দিকে।
২২. বনভন্তের সাধনাস্থান কোথায় ছিল?
উত্তর : ধনপাতা, জীবতলী ইউনিয়ন, রাঙ্গামাটি জেলা।
২৩. এখানে লোকজন তাঁকে কী নামে ডাকতে থাকে?
উত্তর : যারা তার নাম জানে তারা তাঁকে ডাকে রথীন্দ্র শ্রামণ। যারা জানে না, তারা বলে ধনপাতার শ্রামণ। অন্যরা বলে বনে বনে থাকে, তাই বনশ্রামণ। শেষমেশ তিনি সবার কাছে বনশ্রামণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করলেন।
২৪. তাঁর সাধনা পদ্ধতি কীরকম ছিল?
উত্তর : একটি আলমারি তৈরি করতে যেমন করাত, হাতুড়ি, রন্দা, বাটালি, বাইস ইত্যাদি লাগে, ঠিক একইভাবে চিত্তকে নির্বাণের স্তরে উন্নীত করতে হলেও বুদ্ধের নির্দেশিত সব ধ্যান পদ্ধতির প্রয়োজন হয়। যখন যেই ভাবনা প্রয়োজন সেই ভাবনা করতে হয়। চিত্ত যখন কামভাব দ্বারা আক্রান্ত হয়, তখন কায়গতাস্মৃতি অথবা অশুভ ভাবনা করতে হয়, হিংসাভাব উৎপন্ন হলে মৈত্রীভাব অথবা সংস্কারধর্মের অনিত্য, দুঃখ ও অনাত্মতা পদ্ধতি চর্চা করতে হয়। এভাবে স্বীয় চিত্তের অবস্থা বুঝে বুদ্ধের প্রজ্ঞাপিত শমথ, বিদর্শন ধ্যান পদ্ধতি অনুশীলন করতে হয়। সেই আরণ্যিক জীবনে তাঁকে এসব ধ্যান পদ্ধতি অনুশীলন করে লোভ, দ্বেষ, মোহ ধ্বংস করতে সচেষ্ট থাকতে হয়েছিল।
২৫. সেখানে বনশ্রামণকে প্রথম চীবর দান করেন কে?
উত্তর : মোরঘোনা নিবাসী পেচাগালা চাকমা।
২৬. বনশ্রামণ ধনপাতায় কতদিন ছিলেন?
উত্তর : ১১ বছর, ১৯৪৯ সালের শেষার্ধ থেকে ১৯৬০ সালের শেষার্ধ পর্যন্ত।
২৭. ধনপাতায় তাঁর সাধনাস্থলে বোধিবৃক্ষটি কে রোপণ করেন?
উত্তর : বনশ্রামণের অন্যতম সেবক নিশিমণি চাকমার বড়বোন কালাবী চাকমা।
২৮. বনশ্রামণকে ধনপাতা থেকে দীঘিনালায় নিয়ে যান কে?
উত্তর : নিশিমনি চাকমা, ১৯৬০ সালের ডিসেম্বরের প্রথম দিকে, জীপ গাড়িতে করে।
২৯. বনশ্রামণের মরণাপন্ন অবস্থায় কে তাঁকে দুধ খাইয়েছিলেন?
উত্তর : রাজেন্দ্র লাল বড়ুয়া নামের এক বড়ুয়া উপাসক।
৩০. তিনি কত সালে দূর্লভ উপসম্পদা লাভ করেন?
উত্তর : ২৭শে জুন ১৯৬১ সনে; ১২ই আষাঢ় ১৩৬৮ বাংলা, ২৫০৫ বুদ্ধবর্ষ, দীঘিনালা বোয়ালখালীতে; ৫টা ৩০ মিনিটে।
৩১. বনভন্তের উপাধ্যায় কে ছিলেন?
উত্তর : শ্রীমৎ গুণালংকার মহাস্থবির।
৩২. সঙ্গীতিকারক কে কে ছিলেন?
উত্তর : ১. শ্রীমৎ গুণালঙ্কার মহাস্থবির
২. শ্রীমৎ অরিন্দম মহাস্থবির
৩. শ্রীমৎ জিনবংশ মহাস্থবির
৪. শ্রীমৎ অগ্রবংশ মহাস্থবির
৫. শ্রীমৎ জ্ঞানশ্রী ভিক্ষু,
৬. শ্রীমৎ প্রিয়দর্শী ভিক্ষু
৭. শ্রীমৎ ধর্ম্মদর্শী ভিক্ষু।
☸️ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক ☸️
*********************************
🙏🙏🙏 #রাঙ্গামাটি #রাজবনবিহার #বনভান্তে #বনভন্তে

🙏☸️ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা-২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, ২০২৩ খ্রি. ☸️🙏 বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব  #শুভ_প্রবারণা_পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জ...
28/10/2023

🙏☸️ শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা-২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, ২০২৩ খ্রি. ☸️🙏 বৌদ্ধদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব #শুভ_প্রবারণা_পূর্ণিমা উপলক্ষ্যে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে জানাচ্ছি শুভ প্রবারণা পূর্ণিমার মৈত্রীময় শুভেচ্ছা।
🙏 অশান্তি বিশ্বের শান্তি কামনা করছি এবং সকলের জয়মঙ্গল কামনা করছি।🙏 জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। সকল প্রাণী সর্ব দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক 🙏
🙏☸️ সাধু সাধু সাধু ☸️🙏
🙏May all beings be happy😊
🙏 May buddha bless all of you🙏
#পূর্ণিমা #প্রবারণাপূর্ণিমা #বুদ্ধ #প্রবারণা২০২৩ #বৌদ্ধভিক্ষু #শুভপ্রবারণাপূর্ণিমা

28/10/2023

🔴 LIVE | সরাসরি সম্প্রচার 🎥 পূর্ণাচার আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার, দেবপাহাড়, চকবাজার, চট্টগ্রাম হতে....
আজ ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রি. শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা, ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, শুক্রবার।
🙏☸️ সাধু সাধু সাধু ☸️🙏
🙏May all beings be happy😊
🙏 May buddha bless all of you🙏
#পূর্ণিমা #প্রবারণাপূর্ণিমা #বুদ্ধ #প্রবারণা২০২৩ #শুভ_প্রবারণা_পূর্ণিমা

🙏☸️ ত্রিশরণ কাকে বলে? ত্রিশরণের উৎপত্তি? ত্রিশরণে প্রতিষ্ঠিত কাকে বলে? ত্রিশরণ ভঙ্গের কারণ কি? ত্রিশরণের প্রকারভেদ। ত্রি...
24/10/2023

🙏☸️ ত্রিশরণ কাকে বলে? ত্রিশরণের উৎপত্তি? ত্রিশরণে প্রতিষ্ঠিত কাকে বলে? ত্রিশরণ ভঙ্গের কারণ কি? ত্রিশরণের প্রকারভেদ। ত্রিশরণ গ্রহণের ফল ইত্যাদি বিষয়ে অনেকে জানেন না, তাই অনেক দায়ক-দায়িকা, উপাসক-উপাসিকা এমনকি ভিক্ষু-শ্রামণও ত্রিশরণ ভঙ্গ করে থাকে। সকলের সুবিধার্থে এখানে কিছুটা সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরলাম।

#ত্রিশরণ
(উৎপত্তিকথা)
ত্রিশরণ বলতে বুদ্ধরত্ন, ধর্মরত্ব ও সঙ্ঘরত্ন এই ত্রিরত্নের শরণ বা আশ্রয় গ্রহণকে বুঝায়। ত্রিশরণ গ্রহণ, বুদ্ধের ধর্মগ্রহণের একটি “বীজমন্ত্র” স্বরূপ। ত্রিশরণ গ্রহণ দ্বারাই বুদ্ধের ধর্মে প্রবেশ করতে হয়। এ ত্রিশরণ গ্রহণের অর্থ হচ্ছে, স্বীয় জীবনকে বিমুক্তি লাভের অনুকূলে নিয়ন্ত্রণ। ত্রিশরণ কোনো ঋষি, শ্রাবক, শ্রামণ, ব্রাহ্মণ কিংবা কোনো দেবতা ব্রহ্মার প্রদত্ত নয়; এই ত্রিশরণ স্বয়ং ত্রিলোকদর্শী ভগবান সম্যক সম্বুদ্ধেরই প্রজ্ঞাপিত শরণ বা আশ্রয় ।
শাক্যমুনি গৌতম, বুদ্ধত্ব লাভের পর কয়েক সপ্তাহকাল বজ্রাসনের আশেপাশে ধ্যানসুখে অতিবাহিত করে যখন ধ্যান হতে উঠলেন, তখন “তপস্সু-ভল্লিক” নামক দুজন উৎকল বা উরিষ্যা (মতান্তরে ব্রহ্ম) দেশীয় বণিক বুদ্ধকে ছাতু ও মধুপিণ্ড (ঘৃত, মধু ও গুড় সংমিশ্রিত শক্ত লাড্ডু) দান করে অভিবাদন পূর্বক- “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি, ধম্মং সরণং গচ্ছামি” উচ্চারণ করে বুদ্ধ ও ধর্মের শরণ গ্রহণ করলেন। এই বণিকদ্বয় বৌদ্ধসাহিত্যে “দ্বিবাচিক উপাসক” নামে পরিচিত। তখনও সংঘ প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে তাঁরা ত্রিশরণের পরিবর্তে দ্বিশরণ গ্রহণ করেছিলেন। অতপর বুদ্ধ বারাণসী ঋষিপতন মৃগদাবে গিয়ে পাঁচজন ব্রাহ্মণ তাপসকে (যাঁরা বুদ্ধের কঠিন তপস্যার সময় প্রাণঢালা সেবা করেছিলেন) নবলব্ধ বুদ্ধ-জ্ঞান “ধর্মচক্র প্রবর্তন সূত্র” দেশনা করলেন। তাঁরা বুদ্ধের সেই সুমধুর উপদেশ শুনে অচিরেই অর্হত্ত্ব-মার্গ ফলে উপনীত হলেন এবং ভিক্ষুত্বও লাভ করলেন। এই পাঁচজন ভিক্ষু বৌদ্ধ ইতিহাসে “পঞ্চবর্গীয় শিষ্য" (কোল্ডাঞো, বম্প, ভদ্রিয়, মহানাম ও অশ্বজিৎ) নামে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তারপর যশঃ নামক বারাণসীর জৈনক শ্রেষ্ঠীপুত্র বুদ্ধের কাছে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা গ্রহণ করে তিনিও অর্হত্ত্ব-ফলে প্রতিষ্ঠিত হলেন। এই শুভ সংবাদ শুনে যশের ৫৪ জন হিতৈষী বন্ধু তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করলেন। তাঁরাও বুদ্ধের কাছে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা গ্রহণ করে অচিরে সকলেই অর্হত্ব মার্গফল সাক্ষাৎ করলেন। যশের পিতা এই সংবাদ শুনে ছুটে গেলেন বুদ্ধের কাছে বারাণসী ঋষিপতন মৃগদাবে। তিনি বুদ্ধের অমৃতময় ধর্মবাণী শুনে “বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি, ধম্মং সরণং গচ্ছামি, সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি” উচ্চারণ করে ত্রিশরণ গ্রহণ করলেন। তিনিই সর্ব প্রথম ত্রিশরণ উচ্চারণ করে ত্রিপিটকের পাতায় প্রথম “ত্রিবাচিক উপাসক”-রূপে প্রখ্যাত হলেন। অতি স্বল্পতম সময়ে পঞ্চবর্গীয় শিষ্য, যশ, যশের ৫৪ জন বন্ধু ও বুদ্ধপ্রমুখ জগতে ৬১ জন অর্হত্ব ফলে প্রতিষ্ঠিত হলেন। তখন বর্ষাব্রত সমাপনের পর বুদ্ধ তাঁর ধর্মে দীক্ষিত অর্হৎ ভিক্ষু শিষ্যগণকে আহ্বান করে বললেন– "হে ভিক্ষুগণ! বহুজনের হিতের জন্য এবং বহুজনের সুখের জন্য তোমরা দিকে দিকে বিচরণ করো। জগতের প্রতি অনুকম্পাপরবশ হয়ে দেব-মনুষ্যের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বিধানের জন্য তোমরা দেশ-দেশান্তরে বিচরণ করো। কিন্তু এক পথে দুজন যাবে না। হে ভিক্ষুগণ! তোমরা পরিপূর্ণ ও পরিশুদ্ধ ব্রহ্মচর্য প্রদর্শন করে অর্থযুক্ত ও ব্যঞ্জনযুক্ত ধর্মদেশনা করো; যে ধর্মের আদিতে কল্যাণ, মধ্যে কল্যাণ এবং অন্তে কল্যাণ সাধন হয়ে থাকে, সে ধর্ম জন-সমাজে প্রচার করো। এ প্রসঙ্গে বুদ্ধ আরও বলেন- যাঁরা প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা প্রার্থী তাঁদেরকে প্রথমে ত্রিশরণ গ্রহণ করিয়ে প্রব্রজ্যা ও উপসম্পদা প্রদান করবে। তখন থেকে এই ত্রিশরণের উৎপত্তি হয়।
বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত ত্রিশরণাপন্ন ব্যক্তিই পাপ-পঙ্ক হতে উদ্ধার হয়ে আর্যসত্যের সন্ধান লাভ করতে পারে। সেজন্য বলা হয়েছে;
যো চ বুদ্ধঞ্চ ধৰ্ম্মঞ্চ, সঙ্ঘঞ্চ সরণং গতো;
চত্তারি অরিয সচ্চানি সম্মপঞঞায পস্সতি।
এতং খো সরণং খেমং এতং সরণং মুত্তমং, এতং সরণং মাগম্ম সব্বদুক্খা পদ্ধতি।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের শরণাপন্ন হয়, চারি আর্য-সত্য সম্যক জ্ঞানের সাথে দর্শন করেন, এটাই তাঁর পক্ষে নিরাপদ আশ্রয়, উত্তম আশ্রয়। এই আশ্রয় অবলম্বন করলে, সকল দুঃখ হতে প্রমুক্ত হওয়া যায়। এজন্য ত্রিশরণের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। শরণ-গমনরূপ মার্গ দিয়েই দেব-মনুষ্যেগণের উপাসকত্ব লাভ, প্রব্রজ্যা গ্রহণ এবং বৃদ্ধশাসনে প্রবেশের মার্গস্বরূপ প্রধান উপায়।

#শরণে_প্রতিষ্ঠিত
ত্রিরত্নের প্রতি যাঁর ভক্তি অচলা, যিনি ত্রিরত্ন হতে অন্য কোনো দেব-ব্রহ্মাকে শ্রেষ্ঠ মনে করেন না, ত্রিরত্নের গুণ মহিমা যিনি নিয়ত চিন্তা করেন, এমন দৃঢ় চিত্তসম্পন্ন ব্যক্তিকেই প্রকৃত শরণে প্রতিষ্ঠিত বলা যায়। যিনি শরণে প্রতিষ্ঠিত তিনি ত্রিরত্ন ব্যতীত অন্য কাউকেও পূজা করবেন তা কল্পনাতীত। বুদ্ধ, ধর্ম ও সংঘের গুণ যাঁর হৃদয় কন্দরে প্রবেশ করবে, তিনি অন্যের গুণে মোহিত হতে পারেন এটা একান্তই অসম্ভব। অর্থাৎ মিথ্যাদৃষ্টি প্রসূত তন্ত্র-মন্ত্র ও পূজাদি বিষয় তাঁর অন্তরে কখনো স্থান পেতে পারে না।

্গের_কারণ
মানবগণের উৎপন্ন ভয় অপনোদন ও অপায়-দুঃখ বিনাশ করতে “ভগবান সর্বজ্ঞ সম্যক সম্বুদ্ধ হতে অধিকতর সমর্থবান শাস্তা অন্য ধর্মেও আছেন এবং অমুক অমুক দেবতা বা ব্রহ্মা আছেন” এরূপ বিভ্রান্তিমূলক ধারণার বশবর্তী হয়ে তাদেরকে আত্মসমৰ্পণ, অভিবাদন, পূজা-সৎকারাদি করা; সুগত দেশিত নবলোকুত্তর ধর্ম হতে অন্য শ্রেষ্ঠ ধর্ম আছে; সুপ্রতিপন্নাদি নবগুণ সম্পন্ন অষ্ট আর্যপুদ্গাল তথা সঙ্ঘরত্ন হতেও অধিক সৎগুণশালী দাক্ষিণ্যেয় অন্য ধর্মে আছেন ইত্যাদি ধারণা করে ভ্রান্তবিশ্বাসী (মিথ্যাদৃষ্টি) হয়ে অভিবাদন, আত্মসমর্পন ও পূজা-সৎকারাদি করলে ত্রিশরণ ভঙ্গ হয়।

#শরণের_প্রকারভেদ
শরণ প্রধানত দ্বিবিধ : লৌকিক ও লোকোত্তর। পৃথকজনের শরণ লৌকিক। এই লৌকিক শরণ যে-কোনো মূহূর্তে ভঙ্গ হতে পারে। রত্নত্রয়ের সারগর্ভতা না জেনে তৎসম্বন্ধে সন্দেহসূচক মিথ্যাজ্ঞান মিথ্যাবিতর্ক ও মিথ্যা কল্পনাদির দ্বারা লৌকিক শরণাগমন ক্লিষ্ট বা দূষিত হয়ে থাকে। অর্থাৎ লৌকিক শরণপরায়ণ কোনো ব্যক্তি সম্যক সম্বুদ্ধ হতে শ্রেষ্ঠ কোনো দেবতা বা ব্রহ্মার অস্তিত্ব স্বীকার করলে অথবা কর্মফল অস্বীকার করে অন্য কোনো দেবতা বা ব্রহ্মা মোক্ষ প্রদানের সমর্থ বলে বিশ্বাস বা স্বীকার করলে শরণাগমন ভঙ্গ হয়। লৌকিক শরণ শ্রেণিভেদে চারি ভাগে বিভক্ত। যথা : ১. অত্তসন্নিযাতনেন, ২. তপ্পরাযণতায, ৩. সিস্সভাবুপগমনেন ও ৪. প্রণিপাতেন।
১. অত্তসন্নিযাতনেন : আত্মসমর্পণ। আমি আজ থেকে নিজেকে ত্রিরত্ন পূজার জন্য উৎসর্গ করছি বা আমি আজ থেকে নিজেকে বুদ্ধরত্ন, ধর্মরত্ন ও সঙ্ঘারত্ন- এ রত্নত্রয়ের উদ্দেশ্যে আত্মসমর্পণ করছি। এ প্রকারে শরণ গ্রহণকে “আত্মসমর্পণ শরণ” বলা হয়। পুনশ্চ, ভগবানের উদ্দেশ্যে নিজকে পরিত্যাগ করছি, জীবনদান করছি, বুদ্ধই আমার আশ্রয় মূল, বুদ্ধই আমার ত্রাণকর্তা, আমি নিয়ত বুদ্ধপরায়ণ। এরূপ ধারণাযুক্ত শরণগ্রহণ করাকে “আত্মসমর্পণ শরণ" বলা হয়।
২. তপ্পরাযণতায : তৎপরায়ণ। আজ থেকে আমি ত্রিরত্নে মগ্ন হলাম, আমি ত্রিরত্ন হতে পৃথক হবো না এবং আজীবন শ্রেষ্ঠ শরণরূপে ত্রিরত্নকে গ্রহণ করলাম। এরূপ শরণ “তৎপরায়ণশরণ" নামে অভিহিত। আবার, আজ থেকে আমি ত্রিরত্বপরায়ণ হচ্ছি, আমাকে ত্রিরত্নপরায়ণ বলে মনে করুন। এ প্রকারে শরণ গ্রহণকেও “তৎপরায়ণশরণ” বলা হয়। পুনশ্চ, আলবক যক্ষাদির শরণ গ্রহণের মতো আমি সম্যক সম্বুদ্ধ ও ধর্মের উত্তর ধর্মতাকে নমস্কার করতে করতে গ্রাম হতে গ্রামান্তরে, নগর হতে নগরান্তরে বিচরণ করবো। এরূপ শরণ গ্রহণকে “তৎপরায়ণশরণ” বলা হয়।
৩. সিস্সভাবুপগমনেন : শিষ্যভাব প্রাপ্তি শরণ। আজ থেকে আমি বুদ্ধের শিষ্যত্ব গ্রহণ করছি, ধর্মের শিষ্যত্ব গ্রহণ করছি ও সঙ্ঘের শিষ্যত্ব গ্রহণ করছি। আমাকে একান্ত ত্রিরত্নের শরণাগত শিযা বলে ধারণা করুন। এভাবে শরণগ্রহণ করাকে “শিষ্যভাব প্রাপ্তি শরণ” বলা হয় । পুনশ্চ, মহাকাশ্যপ স্থবিরের মতো আজ হতে আমিও বুদ্ধাদি রত্নত্রয়ের শিষ্য হলাম। অর্থাৎ শ্রদ্ধা প্রযুক্ত চিত্তে জীবনের শেষ সীমা পর্যন্ত ত্রিরত্নের শিষ্যত্ব গ্রহণ করা। এ প্রকারে সর্বান্তঃকরণে ভগবৎ চরণে আত্মনিবেদন করার নামই "শিষ্যভাব প্রাপ্তি শরণ"।
৪. প্রণিপাতেন : প্ৰণিপাত। আমি আজ হতে বৃদ্ধাদি রত্নত্রয়কে অভিবাদন, প্রভ্যূত্থান, অঞ্জলিকর্ম ও সমীচিনকর্ম করবো। আমাকে ত্রিরত্ন পূজক বলে ধারণা করুন। এরূপে বুদ্ধাদির প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপরায়ণ হয়ে উক্ত চার প্রকার কার্যের মধ্যে যে-কোনোটি করলে “প্রণিপাতশরণ" গৃহীত হয়; বা “প্রণিপাতশরণ” বলা হয়। পুনশ্চ, একসময় ব্রাহ্মায়ু ব্রাহ্মণ ভগবানের শরণগ্রহণ করতে গিয়ে ভগবানের পদদ্বয়ে নিপতিত হয়ে পদযুগল চুম্বন করেছিলেন ও হাতের দ্বারা মর্দন করেছিলেন। আবার ভগবৎ গৌতম "আমি ব্ৰাহ্মণ ব্রাহ্মায়ু, আমি ব্রাহ্মণ ব্রাহ্মায়ু বলে নিজের নাম জ্ঞাপন করেছিলেন। এ প্রকারে শরণগ্রহণ করাকে "প্রণিপাতশরণ" বলিয়া অবিহিত হইয়াছে।

#লোকোত্তর_শরণ : আর্যগণের শরণ লোকোত্তর। লোকোত্তর শরণ ভঙ্গ হয় না; ভঙ্গ হওয়ার কারণও বিদ্যমান থাকে না। যেহেতু লোকোত্তর শরণসম্পন্ন আর্যশ্রাবক জীবনান্তেও অন্য শান্তার শরণাগত হন না। লোকোত্তর শরণ গ্রহণ সম্যক প্রকারে চতুরার্য সত্য অববোধকারীদের আর্যমার্গ লাভ ক্ষণে শরণ ভঙ্গের যা উপক্লেশ আছে, তৎসমস্ত প্রহীন হয়ে যায়। তখন তাঁর একমাত্র নির্বাণই লক্ষ্য হয়ে থাকে আর তাঁরা ত্রিরত্নের প্রতি অচলা শ্রদ্ধাসম্পন্ন ও অবিচলিত প্রসাদসম্পন্ন হন।
শ্রামণাফল সূত্র বর্ণনায় উক্ত হইয়াছে, আবার কূটদন্ত সূত্র বর্ণনায়ও বলা হয়েছে, আর্যশ্রাবক জন্মান্তর লাভ করা পর্যন্ত; প্রাণিহত্যা ও সূরা পান করেন না। এমনকি স্বীয় জীবন রক্ষার জন্যও তা লঙ্ঘন করেন না। সূরা এবং দুধ মিশ্রিত করে মুখে দিলে দুধমাত্র আর্যশ্রাবকের মুখে প্রবেশ করে থাকে, সূরা প্রবেশ করে না। হংসকে যেমন জলমিশ্রিত দুধ দিলে জলবিহীন দুধমাত্র পান করে থাকে। তদ্রূপ আর্যশ্রাবকগণও সূরাবিহীন দুধমাত্র পান করে থাকেন। এটা আর্যধর্মের স্বভাবসিদ্ধ গুণবিশেষ।

#মূল : শরণগমন_বিধি

বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।
ধম্মং সরণং গচ্ছামি।
সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।

দুতিযম্পি বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।
দুতিযম্পি ধম্মং সরণং গচ্ছামি।
দুতিযম্পি সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।

ততিযম্পি বুদ্ধং সরণং গচ্ছামি।
ততিযম্পি ধম্মং সরণং গচ্ছামি।
ততিযম্পি সঙ্ঘং সরণং গচ্ছামি।

#অনুবাদ :
বুদ্ধের শরণ গ্রহণ করছি।
ধর্মের শরণ গ্রহণ করছি।
সঙ্ঘের শরণ গ্রহণ করছি।

দ্বিতীয় বার বুদ্ধের শরণ গ্রহণ করছি।
দ্বিতীয় বার ধর্মের শরণ গ্রহণ করছি।
দ্বিতীয় বার সঙ্ঘের শরণ গ্রহণ করছি।

তৃতীয় বার বুদ্ধের শরণ গ্রহণ করছি।
তৃতীয় বার ধর্মের শরণ গ্রহণ করছি।
তৃতীয় বার সঙ্ঘের শরণ গ্রহণ করছি।

#ত্রিশরণ_গ্রহণের_ফল
অনেকে ত্রিশরণ আবৃত্তি করেন। কিন্তু শরণ গ্রহণের ফল কি তা বোধ হয় অনেকে জানেন না। এজন্য এখানে ত্রিশরণের ফল বর্ণনা করা উচিত মনে করছি :
১. চারি শ্রামণ্যফল (স্রোতাপত্তি মার্গফল, সকৃদাগামী মার্গফল, অনাগামী মার্গফল ও অর্হত্ত্ব মার্গফল) সমস্ত দুঃখ ক্ষয়কারী লোকোত্তর শরণ গমনের ফল। লৌকিক শরণ গমনের ফল ভবসম্পত্তি লাভ। সেজন্য বলা হয়েছে,
“যে কেচি বুদ্ধং ধম্মং সঙ্ঘং সরণং গতাসে, ন তে গমিস্সন্তি অপামং ভূমিং
পহায মানুসং দেহং দেবকায়ং পরিপূরেস্সন্তি'।
অর্থাৎ যে-কেউ বুদ্ধ-ধর্ম-সংঘের শরণাপন্ন হয়, তাঁরা অপায়ে (তির্যক, অসুর, প্রেত ও নরক) গমন করেন না। মনুষ্য দেহ ত্যাগ করে তাঁরা দেবলোক পরিপূর্ণ করেন।
২. ত্রিশরণ গ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে অঙ্গুত্তর নিকায়ের বেলামসূত্রে ও দীর্ঘনিকায়ের কুটদন্ত সূত্রে এরূপ বলা হয়েছে, জম্বুদ্বীপের একপ্রাপ্ত হতে অপরপ্রান্ত পর্যন্ত যদি আর্যপুদ্গলগণকে বসানো হয়, সেখানে থাকবেন স্রোতাপন্ন দশ লাইন, সকৃদাগামী পাঁচ লাইন, অনাগামী সাড়ে তিন লাইন, অর্থৎ আড়াই লাইন, পচ্চেক বুদ্ধ এক লাইন এবং একজন সম্যক সম্বুদ্ধ।
একজন অর্হৎকে দান দেওয়ার চেয়ে একজন সম্যক সম্বুদ্ধকে দান দেওয়া অত্যধিক পুণ্য। সম্যক সম্বুদ্ধকে প্রদত্ত দানের পুণ্য হতে উপরি-উক্ত সম্যক সম্বুদ্ধপ্রমুখ আর্যপুদ্গল ভিক্ষুসংঘকে দান দিলে সেই দানের ফল মহাফলদায়ক। তার চেয়ে অধিক ফল লাভ হয় একটি ধাতুচৈত্য নির্মাণ করলে। ধর্মশ্রবণে আরও অধিক ফল। তার চেয়েও অধিক ফল লাভ হয় চতুর্দিক আগতানাগত ভিক্ষুসংঘের উদ্দেশ্যে অন্তত চারহাত পরিমিত একটি পর্ণশালারূপ বিহারনির্মাণ করে দান করলে।
ত্রিরত্নের শরণ গ্রহণ বিহার দান হতেও অধিকতর ফলদায়ক। শরণাগমন ও শীলের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েই শীলপালন করতে হয়। সেজন্য শীল হতে শরণাগমন শ্রেষ্ঠ। সেই শরণ কীরূপ হতে হবে? ত্রিরত্নের উদ্দেশ্যে জীবন সমর্পন করে শরণাপন্ন হওয়াই উত্তম শরণ। তাই বুদ্ধ বন্দনায় বলা হইয়াছে, “বুদ্ধং জীবিত যেব মহাপরিনির্ব্বাণ পরিযত্তাং সরণং গচ্ছামি। নথিমে সরণং অঞং বুদ্ধো মে সরণং বরং। ধম্মং সঙ্ঘং........... ইত্যাদি।”
৩. রাজা মহানাম শাক্যের পাঠরাণী শশীপ্রভা। শশীপ্রভার ছিল একজন দাসী। নাম তার রোহিকা। বড়ই অনুগতা, দক্ষা, নিরলসা, সুব্রতা, বিনীতা, ভদ্রা এই দাসী। শশীপ্রতা ছিলেন রূপ-লাবণ্যে অদ্বিতীয়া। রাজার প্রধানা মহিষী বলে তার অভিমানও কম ছিল না। তিনি দাসীকে কত উৎপীড়ন, নিপীড়ন, নিন্দা, তিরস্কার, গালি, ভৎর্সনা করতেন; কিন্তু দাসী তা নীরবেই সহ্য করতো। একসময় রাজ্ঞী শশীপ্রভা দাসীসহ ধর্মশ্রবণের জন্য বিহারে গমন করলেন। সেখানে চারি পরিষদে ভগবান তথাগত বুদ্ধ-লীলায় নৈর্বানিক ধর্মের নিগূঢ় তত্ত্ব পরিবেশন করছিলেন। শ্রোতাগণও তা একাগ্রমনে শুনছিলেন। তৎমধ্যে দাসী রোহিকার মনোযোগটা ছিল সর্বাধিক। সে অতি তন্ময় হয়ে ধর্মের অমৃতবাণী শুনছিল। কোনো দিকে তার ভূক্ষেপ ছিল না। সে অপলক দৃষ্টিতে অমৃতবারি তীর্থে অবগাহন করছিল। এমন সময় তাকে অপ্রত্যাশিতভাবে শশীপ্রভার মুক্তার হারটি আনার জন্যে সভাস্থল ত্যাগ করে যেতে হয়। কারণ দাসী জীবন উপায় নেই। প্রভু পত্নীর কথা পালন করতে হবে। নতুবা আদেশ লঙ্ঘনে শিরচ্ছেদ। অগত্যা সে প্রভু-পত্নীর আদেশ পালন করতে গিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করলো। কিন্তু মহান বুদ্ধের অনন্ত গুণানুস্মরণ এবং ত্রিরত্নের প্রতি প্রগাঢ়চিত্ত প্ৰসা সম্পন্ন হয়ে ধীর পদক্ষেপে মন্থরগতিতে চলতে লাগলো রোহিকা। তখন অকস্মাৎসে এক তরুনা সবৎসা গাভী দ্বারা আক্রান্ত হয়। অতর্কিত আক্রমনে রোহিকা আত্মরক্ষার উপায় ছিল না। তখনো সে তনয় হয়ে ত্রিরত্নের মহান গুণাবলী স্মরণ করতে করতে সেই অবস্থাতেই তার প্রাণবিয়োগ ঘটিল এবং প্রাণ বিয়োগান্তে তার জন্ম লাভ হলো ধর্মরাজ্য সিংহলে রাজকন্যা “মুক্তালতা"রূপে। ত্রিরত্নের প্রতি প্রগাঢ় শ্রদ্ধাহেতু তার জীবনের মোড় ফিরে গিয়ে দাসী জীবনের অবসান ঘটল। শাস্ত্রেও বলা হইয়াছে,
চলমান.....
সংগৃহীত পোস্ট.....☸️🙏

☸️ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক ☸️........…...........................................

#ত্রিশরণ #রাজবন_বিহার #রাজবনবিহার #রাঙ্গামাটি

🥰🥰🥰Today's Best Photo❤️❤️❤️
22/10/2023

🥰🥰🥰
Today's Best Photo
❤️❤️❤️




🙏নমো বুদ্ধায়🙏কামনার পুষ্পরাশি সংসার- উদ্যানে,নিয়ত নিরত রহে যে- জন চয়নে;অতৃপ্তই থাকে হায়! কামনা তাহার,যখন সে জনে করে মৃত্...
20/10/2023

🙏নমো বুদ্ধায়🙏
কামনার পুষ্পরাশি সংসার- উদ্যানে,
নিয়ত নিরত রহে যে- জন চয়নে;
অতৃপ্তই থাকে হায়! কামনা তাহার,
যখন সে জনে করে মৃত্যু অধিকার। #গৌতমবুদ্ধ
এই সত্য বাক্যের প্রভাবে সকলের জয়মঙ্গল হউক।
" সব্বে সত্তা সুখীত হোন্তু"
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
সকলে দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক।
🙏সাধু 🙏 সাধু 🙏 সাধু 🙏


#বুদ্ধ #ধর্ম #সংঘ #ধ্যান #ভাবনা #ধর্মপদ

16/10/2023

The Rajbana Vihar is a bigger monastery in Bangladesh. It is located in Rangamati, Chittagang Hill tracts. There are more than 100 branches too available in the many parts of the country some branches in INDIA as well. The Vihar is famous in the Bangladesh as well as in other country. because of the spiritual late holy monk, who is well known as Banabhante.
Many tourism ,travelers worshipers , mediators, pilgrim are like to come to take teaching and visit the Rajbanavihar from many parts of our country or from foreign country all the season in the years.
In 1974, the Chakma Royal family under the guidance of Rajmata Arati Roy and her son Brrrister Devasish Roy (now, Circle Chief & Chakma King), invited Ven. Banabhante to come up to Rangamati for the greater universal welfare. Then Ven. Banabhante shifted to Rangamati in 1977 and stayed there permanently.
#রাজবনবিহার #রাঙ্গামাটি #মৈত্রীভুবন #বাংলাদেশ #বনভন্তে #বনভান্তে

🙏নমো বুদ্ধায়🙏আমাকে আক্রোশ( রাগ, প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ) করিল,আমাকে প্রহার করিল,আমাকে জয় করিল কিংবা আমার সম্পত্তি হরণ করিল, ...
10/10/2023

🙏নমো বুদ্ধায়🙏
আমাকে আক্রোশ( রাগ, প্রতিহিংসা, বিদ্বেষ) করিল,আমাকে প্রহার করিল,আমাকে জয় করিল কিংবা আমার সম্পত্তি হরণ করিল, যাহারা এই রকম চিন্তা পোষণ করে তাহাদের শত্রুতার উপশম( শান্তি, নিবৃত্তি) হয় না। -বুদ্ধ
~ধর্মপদ, যমক বর্গ , গাথা নং- (৩ )

এই সত্য বাক্যের প্রভাবে সকলের জয়মঙ্গল হউক।
সব্বে সত্তা সুখীত হোন্তু,
জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক। সকলে দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুক।
🙏সাধু 🙏 সাধু 🙏 সাধু 🙏


#বুদ্ধ #ধর্ম #সংঘ #ধ্যান #ভাবনা #ধর্মপদ

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মৈত্রী ভুবন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মৈত্রী ভুবন:

Share

Category