Film O Gene (2025)

19/05/2025

🎬 Movie Review

Leave Her To Heaven

Genre: Noir/Romantic/Thriller

Release : 1945

The most ferocious forms of excessive love to someone.....

ভালোবাসা ব্যাপারটাই ভীষণ সুন্দর বলেই হয়তো আমরা সর্বদা আমাদের আশেপাশের পছন্দের মানুষদের সাথে থাকতেই সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কিন্তু কখনো কি এমন হতে পারে ওভার এক্সেসিভ কোন ভালোবাসা মানুষকে ভেতর থেকে মানসিক ব্যাধিগ্রস্ত হিসেবে গড়ে তোলে দিনকে দিন!

লেখক রিচার্ড হারল্যান্ডের মাঝে অ্যালেন দেখতে পায় প্রতিনিয়ত তার মৃত পিতার প্রতিচিত্র। সম্ভবত সেই স্বর্গীয় অনুভুতি থেকে গভীর হয় দুজনের ভালোবাসা। বিয়ের আগ পর্যন্ত ঠিক এভাবেই একটা সুন্দর রোমান্টিক প্লটের ছায়ায় সিনেমা এগোয়‌।বিয়ের পরেই সিনেমা গল্প রূপ নেয় একটা পিওর কোল্ড ব্লাডেড থ্রিলার সিনেমা হিসেবে।যে অ্যালেনের প্রতি অডিয়েন্সের সিমপ্যাথির মুহূর্তেই তা এখন ঘৃণায় রূপ নিতে শুরু করেছে।অ্যালেন কখনো চায় না তাদের মধ্যকার ভালোবাসায় কিংবা তার চেয়ে রিচার্ডকে কেউ ভালোবাসুক।সে যা করছে খুব‌ই ঠান্ডা মাথায় অন্তত রিচার্ডকে অন্ধভাবে ভালোবাসে বলেই কিন্তু আদৌ যে সেই ভালোবাসায় লুকিয়ে আছে অন্ধ ভালোবাসার এক নগ্ন বিকৃত রূপ যা প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত করে মুভির প্রতিটা ক্যারেক্টারকে।

মুভির সবচেয়ে স্ট্রং সাইড নিঃসন্দেহে গল্পই।বিয়ের আগ পর্যন্ত কোনভাবে অ্যালেনকে বুঝার সুযোগ নেই অডিয়েন্সের।ঐ পর্যন্ত সে একজন আবেদনময়ী শ্রেয়সী।ঘটনার মোড় এভাবে ঘুরিয়ে অডিয়েন্সের কল্পশক্তিকে একটা মোচড় দেওয়ার মতো ব্যাপারটাই সবচেয়ে দুর্দান্ত।মুভির প্রথম ফেজে আমরা দেখি লেখক রিচার্ড ও তার একনিষ্ঠ পাঠক অ্যালেনের মধ্যকার সম্পর্ক কিছু সময়ের জন্য জাস্ট লেখক ও পাঠকের।এভাবে ফেজ বাই ফেস তাদের সম্পর্কের বিবর্তন বা সাইকোলজিটা খুব সুন্দর করে উপস্থাপন হয়েছে। অন্যদিকে সেসময়ের হিসেবে কালার গ্রাফিক্স অত্যন্ত নিখুঁত। সিনেমাটোগ্রাফি অত্যন্ত স্ট্রং যা সাসপেন্স আবহ তৈরির জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। কলাকুশলী সকলের কাজ ছিল দেখার মতো।

❤️

19/05/2025

🎬 Mogambo (1953)

19/05/2025

🎬 Movie Review

Mogambo

Genre: Adventure/Romance

Imdb: 6.6/10

Cast: Clark Gable,Ava Gardner,Grace Kelly etc...

Release: 1953

One of the finest adventurous work on the biodiversity of Africa ❤️

কেনিয়ার ঘন জঙ্গলে প্রতিকূল পরিবেশে প্রণয়ে জড়িয়ে পড়ে বন্য শিকারী মার্শ‌ওয়েল আর তার লন্ডনী বিজনেস পার্টনার কেলী।সম্পর্ক নতুন রূপ নেয় যখন সেখানে লিন্ডা নামে আরেকটি মেয়ের আগমন ঘটে।একদিকে অরণ্যে হিংস্র বন্য প্রাণীর আতঙ্কে দিন গোনা আবার অন্যদিকে তিনজনে ক্রমশ সম্পর্কে জটিলতা।

মুভির ত্রিভুজ প্রেমের সিকোয়েন্সটাও বেশ চমৎকার। এখানে সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও ইন্টারেস্টিং ক্যারেক্টারটা ছিল অ্যাভা গার্ডনারের 'কেলী' চরিত্রটি।প্রেমের ক্ষেত্রে সে খুব কৌশলে এগোয় ও বিচক্ষণতার পরিচয় দেয়। অন্যদিকে লিন্ডা চরিত্রে গ্রেস কেলী সম্পর্কের মোড় ঘোরাতে আসলেও কেলীর বিচক্ষণতার কাছে পরাস্ত হয় প্রতিবার।অন্যদিকে শিকারী কিংবা প্রেমিক হিসেবেও মার্শ‌ওয়েল‌ (ক্লার্ক গ্যাবল) অনবদ্য তাঁর চরিত্রে।

মুভিতে ইমোশন আর বিচক্ষণতার মধ্যকার লড়াইটা বেশ পরিস্কার।

মুভি যতটা রোমান্টিক তার চেয়েও বেশি অ্যাডভেঞ্চারপূর্ণ।প্রণয়ের ক্ষণে ক্ষণে আফ্রিকার গভীর অরণ্যে বন্দুক হাতে দুঃসহ সব অভিযান একটা শিকারীর সংগ্রামমুখর জীবনকেই ফুটিয়ে তোলে।শিকারীদের নানা অভিযান ও জীবনের ঝুঁকি সব কিছু পারফেশনালি শ্যুট করা।মুভির আরেকটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার ছিল আফ্রিকার বন্য আদিবাসীদের ভাষা,সংস্কৃতি আর উৎসবকে ফুটিয়ে তোলার প্রয়াস ছিল যা অনবদ্য।আর সে সময়ের প্রেক্ষাপটে ৭২ বছর আগে কালার ফিল্মে এতো চমৎকারভাবে আফ্রিকার জীববৈচিত্র্যকে ভিডিওতে ধারণ করা সত্যিই চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।

সর্বোপরি আদিম পরিবেশে আদি মানব প্রবৃত্তির ক্রমশ ঘণীভূত সম্পর্কের জটিলতাকে খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মুভিতে।কালার গ্রেডিং আর বন্য অভয়ারণ্যের সিনেমাটোগ্রাফি সব মিলিয়ে একটা টান টান অনুভূতি সঞ্চার করে।

💚

06/01/2025

🎬 অরণ্যের দিনরাত্রি

Imdb: 8.1/10

Genre: Adventure/Drama

Director: Satyajit Ray

Cast: Soumitra Chatterjee,Sharmila Tagore,Shuvendhu Chatterjee,Robi Ghosh,Simi Garewal,Aparna Sen etc...

Release: 1970

শহরের যান্ত্রিক কোলাহল থেকে ছুটি নিয়ে পালামৌর কাছাকাছি প্রত্যন্ত এক জায়গায় ঘুরতে চলে আসে চার বন্ধু অসীম,সঞ্জয়,শুভেন্দু,হরি।সেখানে আর‌ও দেখা হয় রিনি ও দুলির সাথে।সবাই মিলে ছুটি কাটানোর দারুন অভিজ্ঞতা নিয়েই কাহিনী এগিয়েছে।গল্পে আরও টুইস্ট যোগ করে কোল সম্প্রদায়ের মেয়ে দুলি।ছুটি কাটানোর অভিজ্ঞতার মাঝেই যোগ হয়েছে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র।মুভি দেখতে দেখতে মনে হবে প্রায় দেড়শো বছর আগে সঞ্জীব চন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা "পালামৌ" গল্পের কোল সম্প্রদায়,পাহাড়ি অরণ্য সব কিছু নতুন করে জেগে উঠবে দর্শকের কল্পনায়।

গল্পের প্লট অতীব সাধারণ‌ কিন্তু শ্রেষ্ঠত্ব এর নান্দনিক প্রেজেন্টেশনে।সত্যজিৎ রায় সচরাচর চলচ্চিত্রে চরিত্রসমূহের মাঝে যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব দেখা যায় এখানে তা বিশেষ দেখা যায় না।প্রতিটা চরিত্র‌ই সমান গুরুত্ব‌ নিয়ে তার আপন মহিমায় এগিয়েছে।তাঁদের প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে অপূর্ণতা,অপ্রাপ্তি।সব ভুলে সবাই একত্র হয়েছে নগর থেকে গহীনে নতুন অভিজ্ঞতার সঞ্চারণে।

সত্যজিৎ রায়ের শ্রেষ্ঠত্ব সম্ভবত এখানেই,একটি সাধারণ ভ্রমণকাহিনীকে কোন বিশেষ চমক না রেখে কীভাবে কাল্ট ক্লাসিক হিসেবে সৃষ্টি করা যায় তার জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত "অরণ্যের দিনরাত্রি।"💚

25/06/2024

বাতো বাতো মে : প্রাসঙ্গিকতা

শিল্প সাহিত্যে আমরা এমন কিছু নির্দশনের সন্ধান পাই যা শ্রেষ্ঠ কোন কর্ম নয়,বিখ্যাত কিছু নয় তবুও সেটা দেখার পর,পাঠের পর অদ্ভুত এক তুষ্টি কাজ করে।এই ভেবে যে নাহ,আমার এই দিনটা বৃথা যায়নি।হুমায়ূন আহমেদ কিংবা সমরেশ মজুমদার প্রমুখ বিখ্যাত লেখকদের অখ্যাত এমন বহু চমৎকার কাজ রয়েছে।

সিনেমার ক্ষেত্রে‌ও ব্যাপারটা স্বতঃসিদ্ধ সত্য। প্রতিদিন‌ই নানা মুভি ও ব‌ই পড়ি।কিছু মুভি আমাদের ভালো লাগে।মাসালা একশন নির্ভর মুভির রেশটা ঐদিন‌ই কেটে যায় (সাময়িক)।কিন্তু আর্ট ফিল্মের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অন্যরকম।একটা আর্ট ফিল্ম দেখার পর সেটার রেশ সবসময় রয়ে যায়।ছবির মেসেজটা আমরা আমাদের জীবনের সাথে মেলাবার চেষ্টা করি।

এত কিছু বলবার একটাই কারণ আর্ট ফিল্ম আম সাধারণের জন্য নয়।সংগত কারণেই মোটামুটি সিনেমাবোদ্ধাদের জন্য আর্ট ফিল্ম।

বসু চ্যাটার্জির মুভির সাথে এই আমার প্রথম পরিচয়। তাঁর সিনেমার প্লট, ক্যারেক্টার সব‌ই আমাদের সমাজের আশেপাশে থেকে নেয়া।কেউ জীবনের পরাঘাতে,কেউবা উদাসীনতায় ঋদ্ধ।

বাতো বাতো মে সিনেমার প্লট খুবই সিম্পল।বোম্বের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সামাজিক জীবন যাপন এখানে উঠে এসেছে।মুভির টনি ব্রিগেনজা কিংবা ন্যান্সি ফারেরা উভয়‌ই নিজের জায়গায় জীবন সংগ্রামে লিপ্ত।তবে উদাসীন টনির বিপরীতে মুভির ন্যান্সি ফারেরা খুবই ব্যক্তিত্ববান চরিত্র।টনি তাকে প্রেমে কনভিন্স করলেও ন্যান্সি তার ব্যক্তিত্ব ধরে রেখেছে দারুনভাবে।টনিকে সে ভালোবাসে কিন্তু দিনশেষে পরিবারের ভালোটাই তার কাছে মুখ্য।টনিকে ন্যান্সির পরিবার মেনে নিলেও বাঁধ সাজে টনির মা।তাদের সম্পর্কের মাঝে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতাকে ন্যান্সি দারুনভাবে ডিল করেছে।

এখানে সাপোর্টিভ ক্যারেক্টারে দারুন ছিলেন ন্যান্সির আঙ্কেল টম (ডেভিড আব্রাহাম) এবং টনির বাবা মিস্টার ব্রিগেনজা।তারা সমাজের পিছুটানকে নয় বরং দুইজনের পছন্দকেই অগ্রাধিকার দিয়েছেন।অন্যদিকে কুটিল গোড়া চরিত্রে ন্যান্সির দাদিকে খুঁজে পাওয়া যায়।

অন্যদিকে ন্যান্সির মা ভাইয়ের কথা না বললেই নয়। ন্যান্সির বোকাসোকা মায়ের সাবলীলতা যেমন মুগ্ধ করবে তেমনি বোকামিও দর্শককে হাসাবে। অন্যদিকে ন্যান্সির ছোট ভাই স্যাবি খুবই দুষ্ট হাসোজ্জ্বল একটা চরিত্র।জীবনের কোন ব্যাপারই তার জন্য সিরিয়াস নয়।সে আনন্দ খুঁজে নেয়।

বসু চ্যাটার্জির মুভির বরাবর‌ই অন্যতম প্রাণ হয়ে উঠে অমোল পালেকার।সরল সাবলীল ক্যারেক্টারে তিনি দারুনভাবে মিশে যেতে পারেন।আর্ট জনরারা জীবন্ত কিংবদন্তী হয়ে উঠেন তিনি‌।এই মুভিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।তিনি তাঁর সাবলীলতা বোকামি দিয়ে হাসিয়েছেন,ভাবিয়েছেন।

তবে পার্সোনালি আমার কাছে মনে হয়েছে অভিনয় জায়গাটা সবচেয়ে বেশি পেয়েছে টিনা মুনিম।বসু চ্যাটার্জি তাকে সাবলম্বী ব্যক্তিত্ববান নারী চরিত্র হিসেবে বিল্ড আপ করেছেন।ভালোবাসার প্রতি পদে সংঘাতেও সে তার পার্সোনালিটি গ্রো করেছে।প্রেমকে অনিবার্য না ভেবে ক্যারিয়ারেই সে মন দিতে চেয়েছে।বসু চ্যাটার্জি দারুনভাবে টিনা মুনিমকে সাজিয়েছেন।মুভিতে তাঁর ব্যক্তিত্ব,গ্লামার,বাচনভঙ্গি,সাবলীল ইম্প্রেশন অনবদ্য ছিল।প্রেমের চেয়েও বেশি তার কাছে ব্যক্তিত্ব বড় ছিল।অন্যদিকে সেখানে টনির ইমোশন,উদাসীনতা বেশি হাইলাইট করা হয়েছে।

টিনা মুনিমকে এই মুভিতে যেমনটা দেখেছি অন্য কোন মুভিতে তাঁকে এমন পাইনি।আমার কাছে টিনা মুনিম মানেই বাতো বাতো মে সিনেমার সেই ব্যক্তিত্বমনা অনিন্দ্য সুন্দরী ন্যান্সি ফারেরা।

বাতো বাতো মে কোন শ্রেষ্ঠ মুভির কাতারে নয় তবে যুৎসই।পরিচালক বলতে চেয়েছেন আমরা যে গোত্রের সম্প্রদায়ের হ‌ই না কেন আমাদের জীবন সংঘাত সব‌ই এক।মধ্যবিত্তের কোন বর্ণ নেই। আমাদের সবার‌ই জীবনের গল্প মোটামুটি এক।এটা যখন আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন তখন আর্ট ফিল্মের আবেদন কখনোই শেষ হবার নয়।

এটা আমার অনেক পছন্দের মুভি।অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম পছন্দের মুভি নিয়েছে মন খুলে কিছু লিখবো।এটা তার‌ই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।

12/05/2024

🎬 Movie Review

My Fair Lady

Imdb: 7.7/10

Genre: Musical/Romance/Comedy

Cast: Audrey Hepburn,Rex Harrison etc...

Release: 1964

আমাদের প্রত্যেকেই স্বপ্নের পেছনে ছুটি।সেই পথে চলতে কখনো আমাদের মেন্টরের দরকার হয় যারা আমাদেরকে সেই লক্ষ্যে পৌছে দিবে।

সিনেমার প্লট এলিজাকে নিয়ে।সে লন্ডনে এক অতিসাধারণ ফুল বিক্রেতা।তবে সে স্বপ্ন দেখে একদিন তার একটি বড় ফুলের দোকান হবে।তাকে সেই পথ দেখানোর চেষ্ঠা করে প্রফেসর হিগিনস,যে phonetics নিয়ে বিস্তর গবেষণা করে।সভ্য সমাজের বাইরে বড় হ‌ওয়ায় এলিজা ভাষার অশুদ্ধ উচ্চারণ আর ছেলেমানুষী কাটিয়ে উঠতে পারে না ।হিগিনস তাকে বলে একটা বড় দোকানের মালিক হবাটা যথেষ্ট নয়,তাকে শুদ্ধভাবে কথা বলা আর বেশভূষাও পাল্টে ফেলতে হবে।কিন্তু এলিজা কোনকিছুর জন্য প্রস্তুত নয়।এলিজাকে নিয়ে ঘটতে থাকে মজার সব ঘটনা তবে সভ্য সমাজের সাথে এলিজা ধীরে ধীরে নিজেকে মানাতে থাকে।

এটি মূলত মিউজিকাল রোমান্টিক ড্রামা।এখানে কমেডিও যথেষ্ট রয়েছে।এলিজার পাগলাটে চরিত্রটা আদ্রে ন্যাচরালি ফুটিয়ে তুলেছে।মুভিতে সবার অভিনয়‌ই সুন্দর ছিল।মেন্টর হিসেবে রেক্সের অভিনয় দারুন উপভোগ্য।মুভিতে বিভিন্ন কমেডি ও রোমান্টিক গানগুলো যথেষ্ট আনন্দ দেবে।

মুভিতে একটা স্বপ্নচারী সাধারণ ফুল বিক্রেতা নারীর বেড়ে উঠার সংগ্রামকে দেখানো হয়েছে শুরু থেকে শেষ অব্দি।আর প্রফেসর হিগিনস তাকে সেই লক্ষ্যে পৌছে দিয়েছে।একজন সাধারণ মেয়ের ছেলেমানুষী আর ভদ্র পল্লী দুই ধারার অভিনয় আর্দ্রেকে অমর করে রাখবে অডিয়েন্সের কাছে।❤️

মুভিটা দেখেছি আমাদের ইংলিশ কোর্সের শ্রদ্ধেয় হাবিব স্যারের কল্যাণে।এখানে মুভি উপভোগের পাশাপাশি pronunciation এর ব্যাপারটাও দেখানো হয়েছে চমৎকারভাবে।

03/12/2023

🎬 Movie Review

Roman Holiday

IMDb: 8/10

Genre: Romance/Comedy

Director: William Wyler

Cast: Gregory Peck, Audrey Hepburn etc.

Release: 1953

মানুষ স্বভাবত‌ই স্বাধীন হতে চায়।ডানা মেলে দেখতে চারপাশটা।কেবল উঁচু ঘরে সকল সুবিধা পেয়েও সে তার স্বাধীন মানসিকতা থেকে বিচ্যুত হয় না।কেননা পাখিকে যত দামি খাঁচায় দামি খাবার দিয়ে রেখে দেয়া হোক সেও উড়তে চায়।

রোমের রাজপ্রাসাদের সেই নিরাপত্তার প্রাচীর ভেদ করে প্রিন্সেস অ্যানি বেরিয়ে পড়ে বাইরের জগতকে দেখতে।সেখানে পরিচয় হয় রোমে কর্মরত আমেরিকান সাংবাদিক ব্রাডলির সাথে।অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্যাচেলর ব্রাডলি অ্যানিকে আশ্রয় দেয়।তবে ব্রাডলির সাথে স্কুটারে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি,মজার সব অভিজ্ঞতায় অ্যানি ব্রাডলির প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। চাকচিক্যময় আভিজাত্যের শৃঙ্খল ভেঙে অ্যানি যে বাইরের বাস্তব,জটিল নতুন অভিজ্ঞতার স্বাদ পেয়েছে সেখানে আদৌ কি সে মানিয়ে চলতে পারবে!ব্রেডলির সাথে কাটানো রোমাঞ্চকর মজার অভিজ্ঞতা অ্যানি কি নিমিষেই ভুলে যাবে....

ভালোবাসার চেয়ে বেশি এই মুভি মূলত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।চাকচিক্যময় নিরাপত্তার শেকলে বাধায় অতিষ্ঠ প্রিন্সেস অ্যানি নতুন জীবনে প্রবেশ করেছে।তাকে সেই জীবন দেখিয়েছে রিপোর্টার ব্রাডলি।সেই সাথে মুভিতে আভিজাত্যের শহর রোমকে খুব সুন্দর ভাবে দেখানো হয়েছে।যেন মনে হবে দর্শক নিজেই রোম ঘুরে দেখছে।

মুভির সকল কলাকুশলীর অভিনয় অসাধারণ।অ্যানির কৌতুহলোদ্দীপক মানসিকতাকে আর্দ্রে হেপবার্ন শুধু ফুটিয়েই তুলেননি বরং ধারণ করেছেন।অন্যদিকে ব্রাডলির চরিত্রে গ্রেগরি পেকের অভিনয়ে ব্যক্তিত্বময় সার্পোটিভ পুরুষের ভূমিকা সুন্দরভাবে ধারণ করেছেন।

সত্তর বছর পেরিয়েও এই মুভির আবেদন এতটুকুও কমেনি।অ্যানির মতো ঘুরতে ভালোবাসা কিংবা স্বাধীনভাবে বেঁচে উঠার প্রত্যাশী মানুষের কাছে এই মুভি আজ‌ও একটি Cult Classic হয়ে আছে।❤️

20/11/2023

🎬 Movie Review

Jawan

IMDb: 7.1/10

Genre : Action/Thriller

Director: Atlee

Cast: Shahrukh Khan,Nayanthara,Vijay Setupathi,Sanaya Malhotra etc.

Release: 2023

A movie with full mass thrilling and action 🔥

সম্ভবত এরকম মুভি এ সময়ে এসে খুব কম পাওয়া যাবে যেখানে এক‌ইসাথে একশন,রোমান্স,কমেডি, থ্রিলিং,ইমোশন খুবই নিখুঁতভাবে পারফেকশন করা হয়েছে।এটলি রীতিমতো একটা ডিরেকশনাল কিংমেকার।

একটা ভেঙে পড়া রাস্ট্র যেখানে পুরো সিস্টেম দুর্নীতিতে পরিপূর্ণ,খাজনার দায়ে কৃষকের আত্মহত্যা,ভঙ্গুর স্বাস্হ্যখাতে শিশুদের ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু এমন‌ই কিছু করুণ দৃশ্য মর্মাহত করবে।জাতির এই দুর্দশায় অনেকটা মসীহা হয়েই আগমন মুভির মূল চরিত্রের।সে আসলে কে সেটার খোলাসা করাটাও মুভির একটা জটিল প্রসেস।

সিস্টেম যখন ভাগ্যের সাথে এমন‌ই নিমর্ম খেলা খেললো তখন ভুক্তভোগীর ক'জন নিজেরাই মাঠে নামলো অধিকার আদায় করার লড়াই।সেই লড়াইয়ে প্রধান দুই সহচর হলো বাপ আর ব্যাটা।এই মুভির মূল আর্কষণ।

মুভি নিয়ে বলতে গেলে মুভিতে কী আছে বলার চেয়ে মুভিতে কী নেই সেটাই খুঁজতে হবে।এখানে সামাজিক চিত্র আছে,ফ্যামিলি ইমোশন,রোমান্স খুবই সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।অনিরুদ্ধের মিউজিক,গান মুভিকে রাঙিয়েছে। মুভিতে প্রত্যেকের অভিনয় অসাধারণ।শাহরুখ খান দ্বৈত রোলে ছেয়ে গেছেন,অ্যাকশন,ডান্সে এই বয়সে এসেও মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন পুরোদমে।নয়নতারা‌র অভিনয় গ্ল্যামার সেখানে অন্য এক মাত্রা দিয়েছে। নেগেটিভ রোলে বিজয় সেতুপতি ছিলেন কোল্ড প্লেয়ার।মুভিকে অন্য এক মাত্রা দিয়েছেন।

Review in one word: Massive 🔥❤️

30/08/2023

🎬 Web Review

16.5

Genre: Crime/Suspense

Cast: Afran Nisho,Zakia Bari Momo,Intekhab Dinar etc.

Scheduled: 17 August, 2023

"সুন্দরী মেয়েদের আমার সব পছন্দ, বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া।"

গল্পের শুরু একটি গার্মেন্টস ধ্বসের মধ্য দিয়ে।নিহত শ্রমিকদের পাওনা আদায় ও অপরিপক্ক অবকাঠামোর দায়ে আইনি জটিলতায় ফেঁসে যান সিইও রাকিব।সেই কেসের দায়িত্ব পড়ে আইনজীবী আশফাক রেজার উপর। আইনজীবী পেশার বাইরে আশফাকের একটি ভিন্ন রূপ আছে যেটা পরিবারের কেউ অবগত নয়। সেই কেসের তদন্ত করতে গিয়ে নিজেই ফেঁসে যান গোল্ডডিগার নাতাশাকে হত্যার দায়ে।আশফাককে যেকোন মূল্যে ফাঁসাতে ওৎ পেতে থাকে সাংবাদিক রিমি,এডিজি আলতাফ।প্রশ্ন হলো নাতাশা খুন হলো কীভাবে?কারা দায়ী এর পেছনে?গার্মেন্টস ধ্বংসের তদন্ত থেকে ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে গল্প মোড় নেয় নাতাশা হত্যার তদন্তে।

সত্যি কথা বলতে ট্রেইলার দেখে যতটা ভালো লাগছিল সিরিজ দেখে ঠিক ততটাই হতাশ হয়েছি।ভেবেছিলাম ভালো কোন গল্প আসতে চলেছে কিন্তু ঘুরেফিরে সেই সস্তা ক্রাইম স্টোরি।শহুরে মর্ডান সোসাইটির ডার্ক সাইডগুলো দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে।গল্পের ডিউরেশন এতোটাই স্লো বুঝা কঠিন হয়ে পড়বে গল্প কোনদিকে এগুবে।চরম লেভেলের সস্তা অভিনয়,ওভার একটিং এ ভরপুর।একটু পরপর হুদাই সিগারেট খাওয়া আর Fu*k শব্দের ব্র্যান্ডিং করা হয়েছে।সবচেয়ে বড় কথা নিশো তার ভক্তদের প্রত্যাশার বারোটা বাজিয়ে দিসে।

এতো নেগেটিভিটির বাইরেও কিছু পজিটিভ সাইড না বললেই নয়

বিজিএম,কালারিং মারাত্মক ছিল 🔥

নিশোর ড্রেস‌আপ,আই কনট্রাক্ট,চলন-বলন দুর্দান্ত ❤️

সিরিজের প্রত্যেকেই মর্ডান সোসাইটির সাথে নিজেদের খাপ খাওয়াতে চেয়েছে কতটুকু পেরেছে সেটাই প্রশ্ন রয়ে গেলো।বেশি ভালো ভালো নয় বলে যে একটা কথা আছে এটার ক্ষেত্রে সেটাই ঘটেছে।এ যেন বিদেশি ব্র্যান্ডের মদের বোতল বাংলা মদ ভরে বিক্রির মতো ব্যাপার হয়ে গেলো।

যাদের আজাইরা টাইম আছে দেখে মতামতের পরীক্ষা নিতে পারেন।

Review in one word: Waste of time 😑

22/08/2023

Movie Review

Chhoti Si Baat

Imdb: 8.3/10

Genre: Romantic Comedy

Director: Basu Chatterjee

Cast: Amol Palekar, Vidya Sinha,Ashok Kumar etc.

Extended Cameo: Amitabh Bachchan, Dharmendra,Hema Malini etc.

Release: 31 December,1975

আমাদের অনেক কথা আছে,মনে জমে আছে কত অব্যক্ত আর্তি কিন্তু সময় সুযোগে কোনটাই বলা হয় না। কাউকে ভীষণভাবে ভালোবাসি,তাকে আপন করে নিতে চাই কিন্তু সাহসের অভাবে অনেক কথাই বলতে পারি না।সময় গড়িয়ে চলে তার নিজ গতিতে,তার পিছনে ঘুরতে ঘুরতে সময় চলে যায় কিন্তু মনের কথা বলা হয়ে উঠে না।এভাবে ছোট ছোট মনের কথা জমতে জমতে বিষণ্ণতার পাহাড় হয়ে উঠে।বলা কি এতোটাই সহজ? আবার বলে দিলেই ক্ষতি কি?— এই দ্বিধাতেই যৌবন মুষড়ে পড়ে।

এভাবেই বাসে যাতায়াতে অরুণ প্রেমে পড়ে যায় প্রভার। প্রতিদিন বাস স্টপ থেকে অফিসের লিফট পর্যন্ত পুরোদমে প্রভার পিছনে লেগে থাকে অরুণ।প্রতিনিয়ত কল্পনায় প্রভাকে তার মনের কথাগুলো বলতে থাকে।ঘটনার আবতর্নে কোন এক কাজের প্রয়োজনে অরুণ সুযোগ পায় প্রভার সাথে কথা বলার। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় প্রভার অফিস সহকর্মী নাগেশ।প্রভাকে আকৃষ্ট করতে গিয়ে অরুণ বিভিন্নভাবে ঠকতে থাকে।অরুণ দ্বিধায় পড়ে ভাগ্য গণক,রাশিফলের পেছনেও ছুটতে থাকে।কিন্তু আশানুরূপ ফল পায় না।উল্টো গণকের নামে কতিপয় অসাধু চক্রের মুখোশ উন্মোচিত হয়।এভাবেই চলতে গিয়ে অরুণের দেখা হয় অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল জুলিয়াস এর সাথে।জুলিয়াস অরুণের সব কথা শুনেন এবং তাকে সেই অনুযায়ী গড়তে থাকেন।

Opinion:

এতো চমৎকার একটা মুভি,গল্প এতটাই প্রাণবন্ত। সাহিত্য উপন্যাস থেকে প্রভাবিত না হয়েও কত চমৎকার আর্ট ফিল্ম বানানো যায়।যেখানে ভালোবাসা আছে,সেই সাথে সমাজের বিভিন্ন ব্যাধি আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়।মনের ভেতরে চলতে থাকে ভালোবাসা আর কৌতুহলের খেলা।

এটা রোমান্টিক জনরার পিওর কমিক আর্ট ফিল্ম। এখানে রোমান্টিজম আছে,মনের দর্শন আছে।বসু চ্যাটার্জির ছবি মানেই এখানে ভোলাভালা টাইপ ক্যারেক্টার কল্পনার গভীর সমুদ্রে ডুবতে থাকবে যতক্ষন না কোন মেন্টর আসছে ঐ যুবককে পথ দেখাতে।আর এই ভোলা টাইপ চরিত্র একমাত্র অমোল পালেকার ছাড়া কাউকে দিয়ে হয়তো সম্ভব নয়।অমোল পালেকারের প্রতিটি সারল্যের সিকোয়েন্স আমাদের পরিচয় করিয়ে দিবে একজন বোকাসোকা গোবেচারা ভালো মানুষের সাথে যে প্রতিনিয়ত ঠকবে,হয় ভালোবাসতে গিয়ে নয়তো জীবনে চলতে গিয়ে।সেই সাথে বিদ্যা সিনহার গ্লামার,অভিনয় আপনাকে অন্য ভুবনে আটকে ফেলবে।অশোক কুমারের মতো গুণী তারকার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই।পুরো মুভি জুড়েই মজার সব মুহুর্তে তিনি মাতিয়ে রেখেছেন। মুভির প্রতিটা চরিত্র‌ই সুন্দর আর প্রাণবন্ত।ন্যাচারাল অভিনয় সেই সাথে সাবলীল ভাষাভঙ্গি আপনাকে মুগ্ধ করবে।হয়তো জীবনে এমন কিছু চমৎকার মুভির দরকার চমৎকার মন ভালো রাখার টনিক হিসেবে।❤️

22/08/2023

🎬 The Birds (1963)

Director: Alfred Hitchcock

21/08/2023

Suzanne Pleshette ❤️

🎬 The Birds(1963)

Film O Gene

19/05/2025

19/05/2025

19/05/2025

06/01/2025

25/06/2024

12/05/2024

03/12/2023

20/11/2023

30/08/2023

22/08/2023

22/08/2023

21/08/2023

Address

Website

Alerts

Contact The Business

Shortcuts

Share